সেঞ্চুরিকে আরও
এগিয়ে নিলেন দিনেশ চান্দিমাল। উপহার দিলেন ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি। বড় লিডের
ওপর দাঁড়িয়ে প্রতিপক্ষের ব্যাটিং লাইনআপ আবারও গুঁড়িয়ে দিলেন প্রবাথ জয়াসুরিয়া। টেস্ট
অভিষেকে তার রেকর্ড গড়া বোলিংয়ে প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ইনিংস ব্যবধানে
জয়ের স্বাদ পেল শ্রীলঙ্কা।
গলে সিরিজের দ্বিতীয়
ও শেষ টেস্টের চতুর্থ দিনে স্বাগতিকদের জয় ইনিংস ও ৩৯ রানে। প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার
১০ উইকেটের জয়ে দুই টেস্টের সিরিজটি শেষ হলো ১-১ সমতায়। দ্বিতীয় টেস্টে অস্ট্রেলিয়া
আগে ব্যাট করে প্রথম ইনিংসে ৩৬৪ রান সংগ্রহ করে। জবাবে দিনেশ চান্দিমালের ডাবল সেঞ্চুরিতে
প্রথম ইনিংসে ৫৫৪ রান সংগ্রহ করে স্বাগতিকরা। ১৯০ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে
ব্যাট করতে নামে অজিরা। কিন্তু প্রভাত জয়সুরিয়ার ঘূর্ণিতে ১৫১ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা।
তাতে ইনিংসে ও ৩৯ রানে জয় পায় শ্রীলঙ্কা।
প্রথম ইনিংসের
পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ৬ উইকেট নিয়েছেন অভিষিক্ত জয়সুরিয়া। ম্যাচসেরা হয়েছেন তিনি। সিরিজ
সেরা হয়েছেন ডাবল সেঞ্চুরিয়ান চান্দিমাল। দ্বিতীয় ইনিংসে শ্রীলঙ্কার বোলারদের তোপের
মুখে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানরা দাঁড়াতেই পারেননি। আগের ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান মার্নাস
ল্যাবুশেন সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন। এছাড়া উসমান খাজা ২৯, ডেভিড ওয়ার্নার ২৪ ও ক্যামেরন
গ্রিন ২৩ রান করেন। প্রভাত জয়সুরিয়া ৬টি, মাহিশ থিকসানা ও রামেশ মেন্ডিস ২টি করে উইকেট
নেন।
তার আগে ৬ উইকেট
হারিয়ে ৪৩১ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শুরু করে শ্রীলঙ্কা। ১১৮ রান নিয়ে আগের দিনে অপরাজিত
ব্যাটসম্যান চান্দিমাল আজ ২৮১ বল খেলে ১২টি চার ও ১ ছক্কায় ১৫০ পূর্ণ করেন। এরপর মিচেল
স্টার্কের করা ১৭৯তম ওভারে প্রথম তিন বলে ৪, ৬, ৬ হাঁকিয়ে ১৮৫ থেকে ২০১ রানে পৌঁছান
৩১৬ বলে। একের পর এক সঙ্গী হারালেও শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত থাকেন ২০৬ রানে। যা অস্ট্রেলিয়ার
বিপক্ষে কোনো লঙ্কান ক্রিকেটারের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।
চান্দিমালের অনবদ্য
ইনিংসে ভর করে শ্রীলঙ্কা ১৮১ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৫৫৪ রান তোলে। যা অস্ট্রেলিয়ার
বিপক্ষে তাদের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। এর আগে ১৯৯২ সালে শ্রীলঙ্কা অজিদের বিপক্ষে ৮
উইকেট হারিয়ে ৫৪৭ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছিল। ৫৫৪ রান করে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শ্রীলঙ্কা
লিড নেয় ১৯০ রানের। এই রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে অজিরা অলআউট
হয়ে যায় ১৫১ রানে।