ধর্মশালায় আজ বিশ্বকাপ ম্যাচে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের কাছে ১৩৭ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। ৩৬৫ রান তাড়া করতে নেমে ২২৭ রানে গুটিয়ে যায় সাকিব আল হাসানের দল।
৪৯ রানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর লিটন দাস, মুশফিকুর রহিম ও তাওহিদ হৃদয় টানেন দলকে। যদিও তা দলকে বাঁচানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না। খণ্ড খণ্ড কিছু লড়াইশেষে ৪৮.২ ওভারে ২২৭ রানে সবকটি উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
মঈন আলীর পরিবর্তে আজ দলে আসা দীর্ঘদেহী পেসার রিস টপলি (৪/৪৩) বড় ক্ষতি করেন বাংলাদেশের। দ্বিতীয় ওভারে পরপর দুই দলে তিনি সাজঘরে ফেরান তানজিদ হাসান ও নাজমুল হোসেন শান্তকে। জাগিয়েছিলেন হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা। নতুন ব্যাটসম্যান সাকিব তাকে হ্যাটট্রিক থেকে বঞ্চিত করেন। যদিও বেশিক্ষণ উইকেটে টিকে থাকা হয়নি সাকিবের। ৯ বলে ১ রান করে এই টপলির বলে বোল্ড বাংলাদেশ দলনায়ক। পরে লড়তে থাকা মুশফিকের উইকেটও নেন টপলি।
আগের ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় মেহেদী হাসান মিরাজ (৮) আজ নামরে প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। তিনি ক্রিস ওকসের শিকার হন। এরপর লিটন ও মুশফিক ৭৫ বলে ৭২ রানের জুটিতে দলকে টানেন। দলীয় ১২১ রানে লিটনকে আউট করে এই জুটি ভাঙেন ওকস। আউট হওয়ার আগে ৭ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৬৬ বলে ৭৬ রান করেন লিটন।
এরপর মুশফিক ও তাওহিদ হৃদয়ের ৪৩ এবং তাওহিদ ও মেহেদী হাসানের ২৫ এবং তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলামের ২৬ রানের তিনটি জুটি দলের হারের ব্যবধানই যা একটু কমিয়েছে।
এর আগে টস জিতে বোলিং নেয়া বাংলাদেশের বোলারদের পিষ্ট করে ৪০ ওভারে ইংলিশ তুলে নেয় ৩ উইকেটে ২৯৮ রান। এরপর শরিফুল ও মেহেদী হাসানের পেস ও স্পিনের সাঁড়াশি আক্রমণে বেশ কিছু উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ইংলিশরা। শেষ ১০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে তারা ৬৬ রান তুলতে পেরেছে। ডেভিড মালান ১৪০, জো রুট ৮২ ও জনি বেয়ারস্টো ৫২ রান করেন।