ইন্দোনেশিয়ায় চলছে জাতীয় নির্বাচন। দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট, ভাইস-প্রেসিডেন্ট, সংসদ সদস্য ও স্থানীয় প্রতিনিধি নির্বাচিত হবে এই নির্বাচনে। এই নির্বাচনে প্রায় ২ লাখ ৬০ হাজার প্রার্থী লড়ছেন। বিশ্বের সবচেয়ে বড় একদিনের নির্বাচন এটি। খবর আল জাজিরা।
১৯৯৮ সালে সুহার্তোর একনায়কত্বের অবসানের পর দেশটিতে পঞ্চমবারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই নির্বাচনে প্রায় ২০ কোটি ৫০ লাখ মানুষ ভোট দেওয়ার যোগ্য।
নির্বাচনের প্রধান তিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর মধ্যে আছেন বর্তমান প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রাবোও সুবিয়ানতো, জাকার্তার সাবেক গভর্নর আনিয়েস বাসওয়েদান ও সেন্ট্রাল জাভার গভর্নর গাঞ্জার প্রানো। আজকের নির্বাচনের মাধ্যমে সরাসরি প্রেসিডেন্ট হতে প্রার্থীকে মোট ভোটের ৫০ শতাংশের বেশি পেতে হবে। পাশাপাশি তাঁকে দেশটির ৩৮ প্রদেশের অর্ধেকের বেশি স্থানে অন্তত এক-পঞ্চমাংশ ভোট পেতে হবে। এই শর্ত পূরণ না হলে শীর্ষ দুই প্রার্থীকে নিয়ে আগামী জুন মাসে দ্বিতীয় দফার ভোট হবে।
ভোট উপলক্ষে ২৮ কোটি জনসংখ্যার দেশ ইন্দোনেশিয়ায় আজ সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ৮ লাখের বেশি কেন্দ্রে আজ ভোট নেওয়া হচ্ছে। ভোটকেন্দ্রে ৫৭ লাখের বেশি ব্যক্তি নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করছেন। ছয় ঘণ্টা ধরে ভোট গ্রহণ চলবে। আজ বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় বিকেলের দিকে ভোট গ্রহণ শেষ হবে।
ইন্দোনেশিয়ার নির্বাচন প্রতিবারই বিশ্বজুড়ে বেশ আলোচিত হয়। দেশটি আকারে বিশাল। এটি যুক্তরাষ্ট্রের থেকেও বেশি প্রশস্থ। দেশটির আছে ১৮ হাজার দ্বীপ। তিনটি টাইম জোনে ভোটগ্রহণ চলছে দেশটিতে। আজকের মধ্যেই নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার কথা রয়েছে।
ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম নির্বাচনি গণতন্ত্রের দেশ। আবার এটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের মধ্যেও সবথেকে বড়। ১৯৯৮ সালে সুহার্তোর শাসনামল শেষ হওয়ার পর থেকে দেশটি নিরবছিন্নভাবে গণতন্ত্রের পথে হাটছে। অর্থনৈতিক দিক থেকে প্রতিবেশী মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ব্রুনেই ও থাইল্যান্ডের থেকে পিছিয়ে থাকলেও, ক্রমশ এই অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে।
মোট ১৫০টিরও বেশি ভাষাভাষির মানুষ রয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে। ইন্দোনেশিয়ার নির্বাচনে মোট ২০ হাজার জাতীয় ও আঞ্চলিক আইনপ্রনেতাকে নির্বাচিত করবে সেদেশের জনগণ। নির্বাচনের ফলাফলে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখবে তরুণ ভোটাররা। ভোটারদের অর্ধেকের বয়সই ৪০ বছরের কম।