সাই-ফাই ঘরানার সিনেমা নিয়ে আগ্রহ আছে নোমাডল্যান্ড খ্যাত পরিচালক ক্লোয়ি ঝাওয়ের। এ ধারার সিনেমার প্রশংসা করে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘সাই-ফাই ঘরানার সিনেমা পরবর্তী প্রজন্ম ও যুবকদের বিজ্ঞানী হওয়ার প্রেরণা দেয়। এ ধরনের সিনেমায় উপস্থাপিত বিষয়গুলো প্রকৃত অর্থে আমাদের প্রযুক্তিকে উন্নত হতে সাহায্য করে।
কারণ, বর্তমানে যারা এসব সিনেমা দেখছেন, তারাই একদিন বিজ্ঞানী হয়ে ভবিষ্যতের প্রযুক্তি তৈরি করবেন।’ এবারের অস্কারে ১১টি বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছে সাই-ফাই ঘরানার সিনেমা ‘এভরিথিং এভরিহোয়্যার অল অ্যাট ওয়ান্স’।
এ সিনেমার পরিচালক ড্যানিয়েল কুয়ান ও ড্যানিয়েল শিনার্টকে এক দশক ধরে চিনেন ক্লোয়ে ঝাও। সানড্যান্স ডিরেকটরস ল্যাবে তারা সতীর্থ ছিলেন। তবে সাই-ফাই ঘরানার সিনেমা নির্মাণে নারীদের তুলনামূলক কম অংশগ্রহণ তাকে ব্যথিত করে।
ক্লোয়ি ঝাও এ পর্যন্ত দ্বিতীয় নারী ও প্রথম অশ্বেতাঙ্গ নারী পরিচালক হিসেবে ২০২১ সালে নোমাডল্যান্ড সিনেমার জন্য অস্কার পুরস্কার অর্জন করেছিলেন। নারী নির্মাতাদের সহায়তা দিতে তিনি জনি ওয়াকার নামে একটি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। এক বছর আগে যাত্রা করে সংগঠনটি। এ পর্যন্ত তারা আইফান্ডওম্যান ও শি শুড রানের মতো নারী সংগঠনে ১০ লাখের বেশি ডলার আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন। জনি ওয়াকারে যোগদান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি তারকাখ্যাতির জন্য জনি ওয়াকারে যোগ দিইনি। নারী নির্মাতা এবং তাদের নির্মিত সিনেমাগুলোকে সাহায্য করাই আমার উদ্দেশ্য।’
২০২৩ সালের অস্কার মনোনয়নের ঘোষণার পর থেকে বিতর্ক শুরু হয়েছে। কারণ, সেরা পরিচালকের দৌড়ে কোনো নারীর নাম নেই! এ প্রসঙ্গে ঝাও বলেন, ‘আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে নারী নির্মাতারা এখনো অনেক পিছিয়ে আছেন।’ এটারনালস নির্মাতা মনে করেন, নারীদের সিনেমা নির্মাণে উৎসাহিত করতে হলিউডকে মনোযোগী হতে হবে।