আজঃ সোমবার ০৬ মে ২০২৪
শিরোনাম

ইলন মাস্কের সফলতার রহস্য

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ জুলাই ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক। তার নাম জানেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিলই বটে। রকেট নির্মাণপ্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স, টেসলা, পেপ্যালসহ আরও বেশ কয়েকটি বড় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে তার নাম। ইলন মাস্ক যেখানেই হাত দিয়েছেন, সেখানেই সফলতা পেয়েছেন। শত বাঁধা বিপত্তির মুখোমুখি হয়েও তার লক্ষ্যে তিনি অবিচল ছিলেন, প্রতিকূলতার সাথে যুদ্ধ করে গেছেন দৃঢ়চেতা যোদ্ধার মতো। ব্যর্থতায় দ্রুত হাল ছেড়ে দিয়ে পথ পরিবর্তন করেননি ইলন মাস্ক। নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। যদি অপ্রতিরোধ্য কোন বাঁধা এসে তার পথ আগলে দাঁড়ায়, তিনি সেখানে মাথা গরম করে ঝাপিয়ে পড়েননি বরং এমন সময়গুলোতে তিনি বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছেন।

১৯৮০ সালে বিল গেটস যখন সবার ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছিলেন। তখন তিনিও সবার দ্বার প্রান্তে পৌঁছাতে চেয়েছেন। হতে চেয়েছেন নামুশের নির্ভরতা। তিনি তার স্বপ্ন ও সামর্থ্যের সাথে পরিকল্পনাকে প্রয়োজনমত বদলে ফেলতেন। আর তার এই তুখোড় কৌশলের মাধ্যমেই তিনি প্রথমবার ব্যর্থ হলেও পরেরবার ঠিকই সাফল্যের দেখা পেয়ে যেতেন।

চলুন জেনে নেওয়া যাক ইলন মাস্কের জীবনে সফল হওয়ার কিছু কৌশল-

যে কোনো মুহূর্তে ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত থাকুন: কাজের ক্ষেত্রে ঝুঁকি নিতে হবে। যে কোনো কাজে ঝুঁকি নিয়েই করতে হবে। ইলন মাস্ক যখন রকেট নির্মাণপ্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স, কিংবা টেসলা নিয়ে কাজ করেছেন তখন তাকে অনেকেই নিরুৎসাহিত করেছে। কিন্তু তিনি কারো কথাই শোনেননি। একাই ঝুঁকি নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। ২০০২ সালের মধ্যে তিনি তার প্রথম দুটি উদ্যোগ অনলাইন সিটি গাইড জিপ-২ এবং অনলাইন পেমেন্ট সংস্থা পেপাল বিক্রি করে দেন। সে সময় তার বয়স ছিল মাত্র ৩০। অর্থাৎ ব্যবসায়ে মোড় ঘোরালেন, ঝুঁকি নিলেন। বিক্রি করে তার ব্যাংকে এল ২০ কোটি ডলার। এর অর্ধেক নিয়ে ঝুঁকি নেওয়ার পরিকল্পনা নিলেন তিনি। বাকি অর্ধেক রেখে দেওয়ার পরিকল্পনা করলেন। এমনভাবেই সব সময় ভাগ্য নিয়ে খেলেছেন তিনি।

নিজের মনের কথা শুনুন: নিজের মন বোঝাই হলো সাফল্যের মূল চাবিকাঠি, এমনটাই ভাবেন এলন মাস্ক। মাস্ক বলেন,আপনি যদি চান ভবিষ্যতে বিষয়গুলো আরও ভালো হোক, আপনি নতুন আকর্ষণীয় কিছু করুন, যা জীবনকে আরও উন্নত করে তোলে। মাস্কের জন্য এমনটা ছিল স্পেসএক্স। তিনি এটি প্রতিষ্ঠা করেন কারণ তিনি মার্কিন স্পেস প্রোগ্রাম নিয়ে হতাশ ছিলেন। সেটি বেশি উচ্চাকাঙ্ক্ষী ছিল না। মাস্ক বলেন, আমি প্রত্যাশা রেখেছিলাম যে আমরা পৃথিবী ছাড়িয়ে অগ্রসর হব, একজনকে মঙ্গল গ্রহে রাখব, চাঁদে বসতি গড়ব এবং কক্ষপথে খুব ঘন ঘন ঘুরব। যখন এটি হয়নি, তখন মঙ্গল ওসিস মিশন ধারণা নিয়ে আসেন তিনি। এই মিশনে লাল গ্রহটিতে একটি ছোট গ্রিনহাউস পাঠানোর লক্ষ্য ছিল। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল মানুষকে মহাকাশ নিয়ে উৎসাহিত করা, নাসার বাজেট বাড়ানো।

সমস্যাকে সমস্যা দিয়েই সমাধান করুন: ইলন খুবই পরিশ্রমী একজন মানুষ। টেসলার একজন প্রাক্তন প্রোডাকশন ম্যানেজার একবার বলেছিলেন যে, তাদের সপ্তাহে ৭০ ঘন্টা কাজ করা অস্বাভাবিক ছিল না। সেসময় তার মনে হতো টেসলা থেকে বরখাস্ত হওয়াটাই ছিল জীবনের সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত হবে। কাজের ক্ষেত্রে যতই সমস্যা এসেছে ইলন মাস্ক এভাবেই সমস্যাকে সমাধান করেছেন নতুন সমস্যা তৈরি করে। অর্থাৎ কোম্পানির সমস্যা মিটিয়েছেন দীর্ঘসময় কাজ করে।

পরিশ্রম করুন: পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই। হোক সেটা মানসিক কিংবা শারীরিক।একমাত্র পরিশ্রমের মাধ্যমেই আপনি সফলতা অর্জন করতে পারেন। এর একটি উদাহরণ এরই মধ্যে উপরের পয়েন্টে পেয়েছেন নিশ্চয়ই? তবে পরিশ্রম প্রসঙ্গে ইলন মাস্ক একবার বলেছিলেন, কেউ সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা কাজ করছে আর আপনি হয়তো ১০০ ঘণ্টা কাজ করছেন। আপনারা দুজন হয়তো একই কাজ করছেন। নিশ্চিত থাকুন, অন্য মানুষটি যেটা এক বছরে অর্জন করবে, সেটা আপনি মাত্র চার মাসেই অর্জন করতে পারবেন।

সঠিকসময়ে সিদ্ধান্ত নিন: বেশিরভাগ মানুষই সঠিকসময়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলের ডক্টরাল ছাত্র অ্যাটিকাস পিটারসন ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের সঙ্গে একটি গবেষণায় যুক্ত ছিলেন। তিনি বলেন, গবেষণায় তারা দেখেছেন যে উদ্যোক্তারা ক্রমাগতভাবে ঝুঁকি নেন এবং সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত নেন তারা বেশি সাফল্য অর্জন করেছেন। বিশেষ করে জটিল প্রকল্পগুলোতে সিদ্ধান্ত নিতে পারাটা অনেক বড় গুণ। ইলন মাস্ক সব কাজে নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এতে যে সব সময় সফল হয়েছেন তা নয়। কিন্তু থেমে যাননি। আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছেন।

ভয় পাবেন না: এলন মাস্কের পদচারণা বিশ্বের সবচেয়ে বড় বড় সেক্টরগুলোতে। এতে খুব সহজেই বোঝা যায় তিনি কতটা সাহসী প্রকল্প বেছে নিয়েছেন। তিনি গাড়ি শিল্পে বিপ্লব ঘটাতে চান, মঙ্গলে কলোনি বানাতে চান, ভ্যাকুয়াম টানেলে সুপার-ফাস্ট ট্রেন তৈরি করতে চান, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়েও কাজ করছেন তিনি। সবই বড় বড় ভাবনা। বিশাল বাজেটের উদ্যোগ। তার সব প্রকল্প অনেকটা আশির দশকের গোড়ার দিকে কিশোর ফ্যান্টাসি ম্যাগাজিনে যেসব ধারণা থাকত তেমন। যেগুলো ভাবাই যায় না, কেউ কখনো করে দেখাতে পারবে। অবশ্য বাচ্চাদের বই থেকে যে তিনি এসব ধারণা পেয়েছেন, তা মাস্ক নিজেও বলেন।

নিউজ ট্যাগ: ইলন মাস্ক

আরও খবর



জয়পুরহাটে পানির দামে বিক্রি হচ্ছে দুধ!

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটের কালাইয়ে দুধের চাহিদা না থাকায় এক লিটার গরুর দুধ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। অথচ উপজেলার অনেক বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এক লিটার বোতলজাত পানি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। পানির দামে দুধ বিক্রি হওয়ায় উপজেলার শত শত দুগ্ধ খামারিরা দুঃচিন্তা ও হতাশায় ভুগছেন এবং আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

কালাই প্রেসক্লাবের মাঠের সামনে সপ্তাহে পাঁচ দিন দুধের বাজার বসে। সেখানে শুক্রবার দুধ বিক্রি করতে আসা কয়েকজন খামারি ও কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, একজন খামারির ১০ লিটার দুধ উৎপাদনে একটি দুগ্ধবর্তী গাভীর জন্য ভুসি, খৈল, ঘাস, ভিটামিন, বিদ্যুৎ বিল, লবণ, মজুরি, চিকিৎসাসহ খরচ হয় প্রায় ৬০০ থেকে থেকে ৬৫০ টাকা। একজন কৃষকের ১০ লিটার দুধ উৎপাদনে খরচ হয় ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা। এক লিটার দুধ বিক্রি করে প্রায় ৩০ টাকা দুগ্ধ খামারির লোকসান হয় এবং একজন কৃষকের এক লিটার দুধ বিক্রি করে প্রায় ২০ টাকা লোকসান হচ্ছে।

দুধ বিক্রি করতে আসা কৃষক সোহেল, আনোয়ার, নুরনবীসহ আরও অনেকে জানান, সিন্ডিকেটের কারণে দুধের বাজার কমে যায়। তারা প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা চান।

দুধ কিনতে আসা জাহিদুল, খন্দকার আরিফ, জামাল ও সোহরাব হোসেন জানান, কিছু দিন আগে ঈদুল ফিতরের সময় প্রচুর পরিমাণ দই ও মিষ্টি বিক্রি হওয়ার কারণে মানুষ দই, মিষ্টি কিনছে না। এ কারণে অল্প দিনের জন্য দুধের বাজার কম।

স্থানীয় খামারির মালিক আব্দুল আলিম সরকার ও শাহারুল জানান, দুধ বিক্রির জন্য নির্ধারিত ক্রয়কেন্দ্র প্রয়োজন। কিন্তু তাদের এখানে নেই। ক্রেতা না পেয়ে লোকসান করেই দুধ বিক্রি করতে হয়। সরকার যদি খামারিদের দিকে নজর না দেয়, তাহলে অনেকেই দুগ্ধ খামারির পেশা থেকে সরে আসবেন।

কালাই প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হাসান আলী জানান, দুধের বাজার স্বাভাবিক রাখতে জয়পুরহাটে দ্রুতই দুধ সংগ্রহকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এতে করে খামারি ও কৃষকরা ন্যায্য দামে দুধ বিক্রি করতে পারবেন।


আরও খবর



সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে: কাদের

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিজয়কে সুসংহত করার পথে অন্তরায় সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসী অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বুধবার (১৭ এপ্রিল) ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, এটি আমাদের জাতীয় জীবনে এক ঐতিহাসিক দিন। আজকের এই দিনে আমরা শপথ নেব মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের ধারাবাহিক লড়াইয়ে আমরা এগিয়ে যাব। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে আমরা বয়ে নিয়ে যাব উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ এবং সেখান থেকে ২১০০ সালে ব-দ্বীপ বাংলায়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকের এই দিনে বিএনপিসহ স্বাধীনতাবিরোধী সন্ত্রাসী শক্তি সকল অপশক্তিকে; যারা আমাদের বিজয়কে সংহত করার পথে প্রতিবন্ধক, এদের আমরা পরাজিত করব, পরাভূত করব, প্রতিহত করব এবং আমাদের লড়াইকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাব বিজয়ের স্বর্ণতোরণ অভিমুখে।

এর আগে সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে যান প্রধানমন্ত্রী। জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে দলীয় প্রধান হিসেবে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের সাথে নিয়ে শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা। তারপর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।


আরও খবর



ঈদ ১০ না ১১ এপ্রিল, জানা যাবে মঙ্গলবার

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতর বুধ নাকি বৃহস্পতিবার উদযাপিত হবে তা জানা যাবে আগামীকাল মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায়। ঈদুল ফিতরের তারিখ নির্ধারণে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সভায় বসছে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি।

বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে (বাদ মাগরিব) এ সভা হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি ও ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

সোমবার (৮ এপ্রিল) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সভায় ১৪৪৫ হিজরি সনের শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা করে ঈদুল ফিতর উদযাপনের তারিখ নির্ধারণ করা হবে। একমাস রমজানের রোজা শেষে শাওয়াল মাসের ১ তারিখে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়।

মঙ্গলবার দেশের আকাশে শাওয়ালের চাঁদ দেখা গেলে পরের দিন বুধবার (১০ এপ্রিল) ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। আর বাংলাদেশের কোথাও চাঁদ দেখা না গেলে বুধবার রমজান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে। সেক্ষেত্রে ঈদ উদযাপিত হবে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল)।

বাংলাদেশের আকাশে কোথাও পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা ০২-২২৩৩৮১৭২৫, ০২-৪১০৫০৯১২, ০২-৪১০৫০৯১৬ ও ০২-৪১০৫০৯১৭ টেলিফোন নম্বরে ফোন করে এবং ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ ও ০২-৯৫৫৫৯৫১ নম্বরে ফ্যাক্স করে বা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) বা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে (ইউএনও) জানানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




মুসলিম দেশের নেতাদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা সৌদি বাদশা ও যুবরাজের

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মুসলিম দেশগুলোর নেতাদের ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সৌদি আরবের বাদশা সালমান ও যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। মঙ্গলবার অডিও বার্তা পাঠিয়ে তারা এই শুভেচ্ছা জানান বলে জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ।

সৌদি প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে, ঈদের ছুটিতে মুসলিম দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগের আগ্রহ থেকে এসব অডিও পাঠানো হয়েছে। বার্তায় সৌদি বাদশা ও যুবরাজ মুসলিম বিশ্বের আরও নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির প্রত্যাশা জানিয়েছেন।

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিভিন্ন মুসলিম দেশের নেতাদের কাছ থেকেও শুভেচ্ছাবার্তা পেয়েছেন সৌদি আরবের নেতারা।


আরও খবর



বুলেট-বোমা, ক্ষুধায় বিষণ্ন ঈদ গাজায়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতর। মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম পালনের পর ধর্মীয় এ উৎসবকে সামনে রেখে চারদিকে আনন্দ-উল্লাস। তবে বিশ্বে এমনো এক প্রান্ত রয়েছে যেখানে শুধুই স্বজন হারানোর হাহাকার। বাতাসে লাশের গন্ধ। বিধ্বস্ত কংক্রিটের ভাঁজে ভাঁজে রক্তের ছাপ। ধূলিসাৎ হয়ে গেছে মসজিদ, পার্ক, ঐতিহাসিক ভবনসহ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। বুলেট-বোমা, ক্ষুধায় এবার বিষণ্ন ঈদ গাজায়। বাড়িতে খাবার নেই। নতুন পোশাক নেই। জীবনেরও কোনো নিয়শ্চয়তা নেই। ইসরাইলের অমানবীয় অত্যাচারে আনন্দহীন ঈদ কাটাবে গাজাবাসী। আলজাজিরা।

গাজা উপত্যকায় যা ঘটছে তা প্রত্যক্ষ করা হৃদয়বিদারক। ইহুদিবাদীরা তাদের পৈশাচিক আচরণ এবং ঘৃণ্য পেশা দিয়ে শোক ও বেদনাকে ছড়িয়ে দিয়েছে গাজায়। অবরুদ্ধ অঞ্চলটিতে শুধুই দুর্ভিক্ষ। অনেকেই স্বজন হারিয়ে একাকী ঈদের দিনটি কাটাবে। তবুও অসংখ্য গাজাবাসীর আশায় দিন কাটাচ্ছে তাদের দুঃখের অবসান হবে। তাদের মতে, শহিদদের রক্ত ইসরাইলের বর্বর সামরিক দখলদারিত্ব থেকে মুক্তির পথকে উন্মুক্ত করে দেবে।

এদিকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরে ফিরতে শুরু করেছেন সেখানকার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা। সোমবার দলে দলে ফিলিস্তিনিরা বিধ্বস্ত শহরে ফিরছেন। দক্ষিণাঞ্চল থেকে ইসরাইলি সেনাবাহিনী আংশিক সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণার পর এই ফিরে আসা শুরু হয়েছে। মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি এ খবর জানিয়েছে। খান ইউনিসে অনেকেই নিজের শহরকে চিনতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন।

ইসরাইলি আগ্রাসনে গাজার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। অসংখ্য ভবন, অ্যাপার্টমেন্ট ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব হারিয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্কুল ও হাসপাতাল। সড়কগুলোতে বুলডোজার চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। বাস্তুচ্যুত হওয়া নাজওয়া আয়াশ নামের আরেকজন বলেছেন, তার পরিবারের অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের তৃতীয়তলায় তিনি যেতে পারছেন না। কারণ সিঁড়ি নেই। ধ্বংসস্তূপ বেয়ে উপরে ওঠে তার ভাই সন্তানদের জন্য কিছু জিনিসপত্র নিয়ে এসেছেন। বাসেল আবু নাসের আরেক বাসিন্দা বলেছেন, শহরটি ধ্বংসনগরী হয়ে গেছে। জীবনের কোনো স্পন্দন নেই। তারা কিছুই অবশিষ্ট রাখেনি।

যুদ্ধবিধ্বস্ত অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজাতে ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থনে এক কোটি লিটার জ্বালানি পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে ইরাক সরকার। এছাড়া গাজার আহত ফিলিস্তিনিদের গ্রহণ এবং তাদের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার বিষয়েও সিদ্ধান্ত নিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি।

রোববার ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি এ ঘোষণা দেন। এক বিবৃতিতে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী জানান, তার দেশ গাজার বাসিন্দাদের জন্য এক কোটি লিটার জ্বালানি পাঠাবে। ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে জ্বালানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে গাজা উপত্যকায়। জ্বালানির অভাবে সেখানকার হাসপাতাল, পানি ব্যবস্থাপনা, বেকারি ও ত্রাণ কার্যক্রম প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। তাই ফিলিস্তিনি নাগরিকদের সুবিধার্থে এই সহায়তা দিচ্ছে ইরাক।

অন্যদিকে অবরুদ্ধ গাজায় ৩০০টিরও বেশি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে। সোমবার এই ঘোষণা দিয়েছে ইসরাইল। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে প্রতিদিন ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশের সর্বোচ্চ সংখ্যা এটি। দুর্ভিক্ষগ্রস্ত অঞ্চলটিতে খাদ্য সহায়তা প্রবেশের জন্য ইসরাইলকে ক্রমবর্ধমানভাবে চাপ দিয়ে আসছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। এরই মধ্যে দেশটি সোমবার ফিলিস্তিনি এই ভখণ্ডে ৩২২টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করানোর কথা জানিয়েছে। তবে অঞ্চলটির অনাহারে ভোগা লাখ লাখ ফিলিস্তিনির জন্য গাজায় সোমবার প্রবেশ করা এই সংখ্যক ট্রাক যথেষ্ট নয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া একটি বিবৃতিতে ইসরাইলের কোঅর্ডিনেটর অব গভর্নমেন্ট অ্যাক্টিভিটিস ইন দ্য টেরিটরি (সিওজিএটি) বলেছে, ত্রাণবাহী গাড়িবহরের ২২৮টি ট্রাকে খাদ্যপণ্য ছিল। এই ট্রাকগুলো মোট সংখ্যার ৭০ শতাংশ। রাফাহ থেকে আলজাজিরার প্রতিবেদক তারেক আবু আজউম জানিয়েছেন, অন্য ট্রাকগুলোও কারেম আবু সালেম সীমান্ত দিয়ে গিয়েছিল। এই সীমান্তটি ইসরাইলিদের কাছে কেরেম শালোম নামে পরিচিত। তিনি বলেন, মানবিক সহায়তা বহনকারী গাড়ি বহরের অধিকাংশ গাড়িই পানি, চিনি, আটা ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস বোঝাই ছিল।


আরও খবর