ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের ফুলপরী খাতুন নামের এক নবীন ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেত্রীসহ পাঁচজনকে এক বছরের জন্য বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে এ সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট নন নির্যাতনের শিকার ছাত্রী ফুলপরী খাতুন।
ভুক্তভোগী ছাত্রী ফুলপরী খাতুন বলেন, ‘আজকে রায় দিয়েছে আমি দেখলাম। ওনারা পাঁচজন আমাকে যে পরিমাণ নির্যাতন করেছে (শারিরীক, মানসিক) তার শাস্তি এক বছরের জন্য কখনোই হতে পারেনা। এতে আমি সন্তুষ্ট না বরং আরো বেশি আতঙ্কিত।
আতঙ্কিত কেন প্রশ্ন করলে ফুরপরী জানান, তারা যে একবছর পরে এসে আমার এই ঘটনার প্রতিশোধ আবার নিবে না বা এমন কাজ পরবর্তীতে করবে না এমন কোন নিশ্চয়তা নেই। আমার ধারণা তাঁরা আবার ভার্সিটিতে আসবে, এমন করবে।
আরও পড়ুন>> ছাত্রলীগ নেত্রী অন্তরাসহ অভিযুক্তদের এক বছরের জন্য স্থায়ী বহিষ্কার
তিনি বলেন, ‘আমার যে দাবি তাদের স্থায়ী বহিষ্কার আজীবনের জন্য সেটাই আমি চাই। সেটা আমার দাবি ছিল ও রয়ে গেছে। আমি প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট না। আমি মনে করি তাদের সঠিক বিচার হয়নি।’
প্রসঙ্গত, শনিবার (১৫ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ের অনুষ্ঠিত শৃঙ্খলা কমিটির মিটিংয়ে ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কৃত নেত্রী সানজিদক অন্তরা চৌধুরী ও অভিযুক্ত অন্য চারজনের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আগামী ১৯ জুলাই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হাইকোর্টে পাঠানো হবে।
উল্লেখ, চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে এক ছাত্রীকে রাতভর নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের অভিযোগ ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গত ১৪ ফেব্রয়ারি ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। এ ঘটনা দেশজুড়ে আলোচিত হয়। ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, হল প্রশাসন ও শাখা ছাত্রলীগ এবং হাইকোর্ট থেকে পৃথক পৃথকভাবে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।