আজঃ সোমবার ১৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

ইবির ট্টেজারার হতে মরিয়া জাতির পিতাকে কটুক্তিকারী অধ্যাপক আলমগীর

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ মার্চ ২০২১ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ মার্চ ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
Image
মীর মোর্শেদুর রহমান বলেন, এখন সময় এসেছে কারা বঙ্গবন্ধু প্রেমি ও কারা সুবিধাভোগী অনুপ্রবেশকারী চিহ্নিত করা। কেউ দেশরত্ন শেখ হাসিনার চোখ ফাঁকি দিতে পারবে না বলে আমি মনে করি

ইবি প্রতিনিধি

গতবছর নভেম্বর থেকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আলমগীর হোসেন ভূইয়া অনুপ্রবেশকারী হিসেবে নানা তথ্য মিডিয়ায় প্রকাশিত হলে কোন প্রতিক্রিয়া জানাতে রাজি হয়নি তিনি। ফেব্রুয়ারির শুরুতে তৎকালীন ছাত্রনেতা সাদ্দাম হোসেন হলের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আমানুর রহমান স্বাক্ষরিত একটি প্রত্যয়নে আলমগীর হোসেন ছাত্রদল ক্যাডার ছিলেন মর্মে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত প্রদান করলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এক মাস পর অজানা কারণে প্রত্যয়নপত্র দেয়ার কথা আমানুর রহমান অস্বীকার করলে সেসুত্র ধরে অধ্যাপক আলমগীর প্রতিবাদ লিপি পাঠান। এরপর প্রতিনিধি প্রকৃত ঘটনা উৎঘাটনের জন্য অনুসন্ধানে নামলে তাঁর সম্পর্কে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেড়িয়ে আসে-

ছাত্রজীবনঃ আলমগীর হোসেন ভূইয়া ১৯৮৮-৮৯ সেশনে গাজীপুর ক্যাম্পাসে ভর্তি হয়। সে সময় অর্থনীতি বিভাগে ২৮ জন ছাত্রের মধ্যে ২১ জন ছাত্রলীগে যোগ দেয় কিন্তু ভূইয়া কোনভাবেই রাজী হননি। এ প্রসঙ্গে তৎকালীন অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র এবং ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য এবং ইবি শাখার সভাপতি আফছার আলী বলেন, "ছাত্রলীগ ও বঙ্গবন্ধুর নামটাও আলমগীর সহ্য করতে পারতো না। আমি নিজে তার রুমে চাঁদা তুলতে গিয়েছিলাম। আমাকে সরাসরী বলেছে তোমার "বঙ্গবল্টু বঙ্গবল্টু"র নাম নিয়ে আর কখনো রুমে আসবি না বলে রুম থেকে বের করে দেয়। জামাত বিএনপির লোকজনের সাথে সবসময় তার উঠাবসা ছিল। সে মূলতঃ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেনের একান্ত বিশ্বস্ত সহচর ছিল। আমি বুঝি না ইবিতে কি হচ্ছে? জামাত বিএনপির লোকের নাম ট্রেজারারের জন্য যায় কি করে? আশ্চর্য কথা! এই অনুপ্রবেশকারীরা আমাদের দলের ক্ষতি করছে। তখনকার সবাই প্রত্যক্ষ স্বাক্ষী। এটা কি করে হয়?"


শিক্ষকতা জীবন: ১৯৯৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ১১ তারিখে অর্থনীতি বিভাগে প্রভাষক পদে যোগদান করেন আলমগীর হোসেন ভূইয়া। যোগদানের বেশ পরে বাসদ সমর্থিত প্রভাবশালী শিক্ষক মুঈদ রহমান তাকে শাপলা ফোরামের ফরম পূরণ করালেও কখনই দলীয় কোন কাজে সক্রিয় করতে পারেননি। এমনকি ১/১১ এ জননেত্রী জেলে থাকা অবস্থায় কোন দলীয় কর্মকাণ্ডে তাকে দেখা যায়নি। বরং অন্য সাধারণ শিক্ষকের মতো স্বাক্ষর করেই ক্ষান্ত। ২০১৩ সালে সাবেক প্রোভিসি অধ্যাপক কামাল উদ্দীন দূর্নীতির দায়ে অব্যহতি পেলে ক্যাম্পাসে কোণঠাসা হয়ে পড়েন। তখন অধ্যাপক কামাল উদ্দীন ও ভূঁইয়া  উভয় গ্রুপের সাথে গোপন আঁতাতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়। পরবর্তী শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে ইবির ইতিহাসে ন্যাক্কার জনক ঘটনা ঘটে। কার্যকরী কমিটির ৬ জন সদস্যের প্রবল আপত্তির মুখেও ঐ দুজনেই সভাপতি-সেক্রেটারী পদে প্রার্থী হন। যেটি ক্যাম্পাসে তীরস্কার স্বরুপ 'কামাল উদ্দীন'স মডেল নামে ব্যাপক পরিচিত। ছাত্র ইউনিয়ন থেকে আসা কামাল উদ্দীন ও বঙ্গবন্ধু বিদ্যেষী ভূঁইয়াকে বঙ্গবন্ধু প্রেমিরা যখন কোনভাবেই মানতে নারাজ, তখন তারা তৎকালীন ব্যাপক সমাদৃত ভিসি অধ্যাপক হারুন-উর-রশিদ আসকারী'র শরণাপন্ন হন। বৈঠকের পর বৈঠক করে ভিসি, প্রোভিসি ও ট্রেজারারের হস্তক্ষেপে তারা নির্বাচিত হন। পরবর্তী শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে কামাল উদ্দীন'স মডেল অনুসরণ করলে ঐ দুজনেই দ্বিমত পোষন করে আলাদা প্যানেল দিয়ে পরাজিত হয় এবং অভিযোগ রয়েছে অনুপ্রবেশকারী আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে জামাতপন্থী প্যানেলে ভোট দিয়ে বঙ্গবন্ধু প্রেমিদের পরাজিত করেন তারা। যা, মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচার পায়। সরকারি গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে যাচাই করে এই জঘন্য অপরাধী চক্রের মুখোশ উম্মোচন করা প্রয়োজন বলে একাধিক সিনিয়র শিক্ষক দাবী করেন।

ইবি বঙ্গবন্ধু পরিষদ: অধ্যাপক শাহজাহান আলীর নেতৃত্বে ৫ সদস্যের আহবায়ক কমিটি দিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের যাত্রা শুরু হয় ২০০৫ সালে। পরর্বতীতে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আলাউদ্দীন ও হারুন উর রশিদ আাসকারী, অধ্যাপক আলাউদ্দীন ও মাহবুবুর রহমান, অধ্যাপক আবুল আহসান চৌধুরী ও আাইনুল ইসলাম, অধ্যাপক আবুল আহসান চৌধুরী ও অধ্যাপক রুহুল কেএম সালেহ। ধারাবাহিকভাবে নির্বাচিত সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু পরিষদ পরিচালিত হয়। হঠাৎ ২০১৬ সালের ৭ই এপ্রিল কেন্দ্র হতে ডাঃ এস এ মালেক স্বাক্ষরিত আইসিটি বিভাগের অধ্যাপক মাহবুবুরকে আহবায়ক করে কমিটি আত্মপ্রকাশ করলে ইবি বঙ্গবন্ধু অনির্বাচিত কমিটিকে মেনে না নিয়ে ১৬ই এপ্রিল অধ্যাপক কাজী আখতার হোসেনের সভাপতিত্বে অধ্যাপক জাকারিয়া ও অধ্যাপক মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করেন। সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয় মীর মোর্শেদুর রহমান। ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর আবারো অনির্বাচিত কেন্দ্রীয় কমিটি হিসেবে আইসিটি বিভাগের মাহবুবুর রহমান ও মাহবুবুল আরেফিনের কমিটি আত্মপ্রকাশ করলে পাল্টা শিক্ষক ইউনিট নির্বাচনের মাধ্যমে অধ্যাপক রুহুল কে এম সালেহ ও ড. আবু হেনা মোস্তফা জামালকে নির্বাচিত হয়।

প্রতিবেদকের হাতে সকল কমিটি, ভোটার তালিকা, চাঁদা গ্রহনের তালিকা ও সাধারণ সভায় উপস্থিতির স্বাক্ষর সংরক্ষিত আছে। পর্যালোচনা করে দেখা গেছে অভিযুক্ত অধ্যাপক আলমগীর হোসেন ভূঁইয়ার নাম কেবলমাত্র ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বরের তালিকা ছাড়া কোথাও পাওয়া যায়নি। অনুসন্ধানে বেড়িয়ে এসেছে কেবলমাত্র ইবির ট্রেজারার পদের লোভে দীর্ঘ ২৪ বছর অপেক্ষা করে তিনি বঙ্গবন্ধু পরিষদে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু মূলগুরু অধ্যাপক মুঈদ রহমান আজও যোগ দেননি।

তৎকালীন প্রভাবশালী ছাত্রনেতা ও কর্মকর্তা ফেডারেশনের বর্তমান মহাসচিব মীর মোর্শেদুর রহমান বলেন, এখন সময় এসেছে কারা বঙ্গবন্ধু প্রেমি ও কারা সুবিধাভোগী অনুপ্রবেশকারী চিহ্নিত করা। কেউ দেশরত্ন শেখ হাসিনার চোখ ফাঁকি দিতে পারবে না বলে আমি মনে করি। আমি তাঁকে ছাত্রজীবন থেকে চিনি। জামাত বিএনপির দোসর ছাড়া কেউ জাতির পিতাকে 'বঙ্গবল্টু' বলতে পারে?? ছাত্রজীবনে আলমগীর হোসেন ভূইয়া কোন দল করতেন সেটা তিনিই প্রমাণ করবেন। জাতির পিতার নাম নিয়ে কটূক্তি কারী তিনি যত বড়োই ক্ষমতাধর হোক না কেন তাকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাই।

সরেজমিনে প্রতিবেদন করতে গিয়ে অনেক সিনিয়র শিক্ষকের সাথে কথা হয়। তাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ১/১১ আমরা চাঁদা তুলতে পাঠিয়েছিলাম সে স্পস্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে, আমি বঙ্গবন্ধু পরিষদ করিনা আবার চাঁদা কিসের? ইউনিয়ন সমর্থিত দুর্নীতির দায়ে পদচ্যুত সাবেক প্রোভিসি কামাল উদ্দীন, বাসদ সমর্থিত ও আওয়ামী সরকার বিদ্বেষী অধ্যাপক মুঈদ রহমান তাঁর উত্থানের পিছনে মূল কারিগর। তাঁদের দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সুবিধা ভোগ করে এখন বর্তমান ভিসি তাকে ট্রেজারারের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা তথ্য সংগ্রহ করে সরকারের কাছে প্রকৃত রহস্য জানাবেন বলে দাবী তাঁদের।

এই বিষয়ে প্রফেসর আলমগীর হোসেন ভুইয়া কে বক্তব্য নেবার জন্য ফোন করা হলে তিনি বঙ্গবন্ধুকে কটুক্তি করার বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং তিনি বলেন ছাত্রদলের কোন রাজনীতির সাথে তার কোন সম্পৃক্ততা ছিল না সেই সাথে প্রতিবেদককে মামলার হুমকি প্রদান করেন।


আরও খবর



দুপুরের মধ্যে ঝড়-বৃষ্টির আভাস, নদীবন্দরে সতর্ক সংকেত

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দুপুরের মধ্যে সিলেটের ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিলেট জেলার ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেইসঙ্গে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে বৈশাখের শুরু থেকেই সারা দেশে বইছে তীব্র দাবদাহ। এর ফলে জনজীবনে হাঁসফাঁস অবস্থা। শুধু তাই নয় মঙ্গলবারই (২৩ এপ্রিল) দেশের বিভিন্ন এলাকায় হিটস্ট্রোকে নয়জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় চলমান তাপপ্রবাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠলেও শিগগিরই কোনো সুখবর মিলছে না। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বৃষ্টি ছাড়া এমন পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ মিলবে না। আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) থেকে তাপমাত্রার আরও বাড়তে পারে। আগামী পাঁচদিনেও আবহাওয়ার অবস্থায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।

গতকাল মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া খুলনা ও যশোরে ৪০ দশমিক ৪, পটুয়াখালীর খেপুপাড়া ও রাজশাহীতে ৪০ দশমিক ২ ও মোংলায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল।

আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, চলমান তাপপ্রবাহ বৃষ্টিপাত হলে তাপমাত্রা কমে আসবে। বুধবার থেকে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। চলতি মাসে তাপপ্রবাহ খুব কমে যাবে এমন সুখবর নেই। তবে কিছুটা কমবেশি হতে পারে। শক্তিশালী কালবৈশাখী হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।

তবে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দেওয়া পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

আবহাওয়া অফিস জানায় রাজশাহী, পাবনা, খুলনা, বাগেরহাট, যশোর ও পটুয়াখালী জেলাগুলোর ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, বান্দরবান জেলাসহ ঢাকা, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগ এবং রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা বিস্তার লাভ করতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।


আরও খবর



প্রেমের নামে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:

টার্গেট করা হয় প্রাবস ফেরত ও টাকাওয়ালা ব্যক্তিদের। পরে তাদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে মেয়ে দিয়ে প্রেমের ফাঁদ পেতে নিয়ে আসা হয় ডেটিংয়ের জন্য। আগে থেকেই তৈরি থাকে চক্রের সদস্যরা। তারা ওই ব্যক্তিদের আটকে রেখে মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে মারপিটসহ জোরপূর্বক নকল বিয়ে দেন কাজী ডেকে। দেনমোহর ধার্য করেন ৫ থেকে ১০ লাখ টাকার। পরে ডিভোর্সের নামে সেই দেন মোহরের টাকা হাতিয়ে নেন। এমনই প্রতারক চক্রের সন্ধান মিলেছে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নে।

গত ২১ শে মার্চ এই চক্রের সদস্যদের হাতে প্রতারণার শিকার হয়েছেন ঘাটাইল উপজেলার রহমতখার বাইদ গ্রামের দুলাল মন্ডলের ছেলে নাজমুল ইসলাম নামে এক প্রবাস ফেরত যুবক। এ ঘটনায় তিনি বিচার চেয়ে টাঙ্গাইল আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

আসামীরা হলেন- মোঃ জাহিদুল হাসান জাহিদ, সৌরভ তালুকদার, হুমায়ুন সিকদার রানা, বাবুল হোসেন, মোঃ জুয়েল, রিজান, সুজন, রায়হান, কাজী মোঃ তাহেরুল ইসলাম তাহের, রাশেদা বেগমকে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ৫ মাস আগে দেশে আসে নাজমুল ইসলাম। গত ২১ মার্চ চাম্বলতলা গ্রামের আবু তালুকদারের বাড়িতে তার ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে যান। সেখানে খাওয়া-দাওয়া শেষে রাত ৯ টার দিকে জাহিদ সৌরভ তালুকদার মাধ্যমে নাজমুলকে ডেকে নাজিম উদ্দিনের বাড়ির উত্তর পার্শ্বে গজারী বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে তারা। চাঁদা না দিলে নাজিম উদ্দিনের নাবালিকা কন্যা সুমাইয়ার সাথে জোরপূর্বক বিয়ে দেয়ার কথা বলে। টাকা দিতে অস্বীকার করলে ব্যাপক মারধর করে। পরে তারা কয়েকটি কার্টিজ পেপারে খুন করার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয় এবং নাবালিকা সুমাইয়াকে কাবিন ছাড়া বিবাহের নামে নাজিম উদ্দিনের নাবালিকা কন্যা সুমাইয়াকে নাজমুলের বাড়িতে জোরপূর্বক তুলে দেয়। সত্য ঘটনা প্রকাশ করিলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে বলে জানান নাজমুল।

সুমাইয়া জানায়, সে নাজমুলকে চিনতেন না। জাহিদুল তার দুঃসম্পর্কের মামা হয়। জাহিদুলের কথায় সে এমনটি করেছে। প্রথমে না করতে চাইলে আমাকে মারধর করত।

স্থানীয়রা জানান, এ চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে এমন প্রতারণার মাধ্যমে লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে তারা নারীদের ব্যবহার করছে। আর স্থানীয় কাজীকে তারা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।

কাজী তাহেরুল ইসলাম তাহের জানান, এ ধরনের বিয়ে তিনি পড়াননি। তবে তাকে ডেকে নেয়া হয়েছিল।

এ বিষয়ে ঘাটাইল থানার ওসি আব্দুস ছালাম মিয়া বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



ব্রাজিলে ভারী বৃষ্টিতে নিহত ৩৯, নিখোঁজ ৭০

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য রিও গ্র্যান্ডে ডো সুলে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যা দেখা দিয়েছে। এ বন্যায় কমপক্ষে ৩৯ জন মারা গেছেন এবং ৭০ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর রয়টার্সের

আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ে সীমান্ত লাগোয়া রিও গ্রান্দে দো সুল রাজ্যে গত সোমবার থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আগামী কয়েকদিনে আরও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এ রাজ্যের ৪৯৭টি শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মৃত্যু ও নিখোঁজের পাশাপাশি এসব শহরের অন্তত ২৪ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

রাজ্যের গভর্নর এদোয়ার্দো লেইতে গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, বৃষ্টিতে রিও গ্রান্দে দো সুলের বেশ কয়েকটি শহরের রাস্তাঘাট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বেশ কয়েকটি সড়ক ও সেতু ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া অনেক জায়গায় ভূমিধস দেখা দিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কয়েক বছরের মধ্যে রাজ্যটিতে এবারের ঝড় ও বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রাজ্যজুড়ে নদনদীর পানি এখনো বাড়ছে, বহু এলাকা বন্যাকবলিত হয়েছে।

এদিকে দুর্যোগের মধ্যেই গত বৃহস্পতিবার রাজ্যটি পরিদর্শনে যান ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা। সেখান গিয়ে তিনি রাজ্যের গভর্নরের সঙ্গে উদ্ধার অভিযানের বিষয়ে আলাপ করেন।


আরও খবর



নয়াপল্টনে চলছে বিএনপির সমাবেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসাসহ নিঃশর্ত মুক্তি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, মহানগর দক্ষিণের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবীসহ সব রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে সমাবেশ ও মিছিল করছে বিএনপি।

শুক্রবার বিকাল ৪টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে এ সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। এতে সভাপতিত্ব করছেন দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম এবং সঞ্চালনা করছেন সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু।

সমাবেশে অংশ নিতে ব্যানার, ফেস্টুনসহ মিছিলসহকারে বিকাল পৌনে ৩টা থেকে দলটির হাজার হাজার নেতাকর্মী নয়াপল্টনে জড়ো হতে শুরু করেছেন। খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আসছেন তারা। এ সময় তাদের বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিসহ সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতেও দেখা গেছে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নয়াপল্টন ও এর আশপাশের এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সরগরম হয়ে উঠছে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল আসছে। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠছে নয়াপল্টন।

এদিকে সমাবেশকে ঘিরে নয়াপল্টন ও এর আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি সাদা পোশাকেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দেখা গেছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন তারা।


আরও খবর



শিল্পী সমিতির নতুন সভাপতি মিশা, সাধারণ সম্পাদক ডিপজল

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদি নির্বাচনে সভাপতি পদে মিশা সওদাগর এবং সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ফল ঘোষণা করছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু।

মিশা সওদাগর ভোট পেয়েছেন ২৬৫টি। অন্যদিকে মাহমুদ কলি ১৭০ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। আর অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল পেয়েছেন ২২৫ ভোট। তার থেকে ১৬ ভোট কম পেয়ে পরাজিত হয়েছেন নিপুণ আক্তার, তিনি পেয়েছেন ২০৯ ভোট।

সহ-সভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন মাসুম পারভেজ রুবেল, তিনি পেয়েছেন ২৩১ ভোট, ও ডি এ তায়েব, তিনি ২৩৪ ভোট পেয়েছেন। সহ-সাধারণ সম্পাদক আরমান, তিনি পেয়েছেন ২৩৭ ভোট, সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী, তিনি পেয়েছেন ২৫৫ ভোট, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, তিনি পেয়েছেন ২৯৬ ভোট, দফতর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর, তিনি পেয়েছেন ২৪৫ ভোট, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক মামনুন হাসান ইমন, তিনি পেয়েছেন ২৩৫ ভোট এবং কোষাধ্যক্ষ পদপ্রার্থী কমল, তিনি পেয়েছেন ২৩১ ভোট।

কার্যনির্বাহী সদস্য পদে মিশা-ডিপজল পরিষদ থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ৯ জন। তারা হলেন সুচরিতা, তিনি পেয়েছেন ২২৮ ভোট, রোজিনা, তিনি পেয়েছেন ২৪৩ ভোট, আলীরাজ, তিনি পেয়েছেন ২৩৯ ভোট, সুব্রত, দিলারা ইয়াসমিন, তিনি ২১৮ ভোট, শাহনূর, তিনি পেয়েছেন ২৪৫ ভোট, নানা শাহ, তিনি পেয়েছেন ২১০ ভোট, রত্না কবির, তিনি পেয়েছেন ২৬৩ ভোট ও চুন্নু, তিনি পেয়েছেন ২৪৮ ভোট।

কলি-নিপুণ পরিষদ থেকে রিয়ানা পারভিন পলি, তিনি পেয়েছেন ২২০ ভোট, ও সনি রহমান, তিনি ২৩০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে ভোটগ্রহণ শেষ হয়। এর আগে ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্যে সকাল সাড়ে ৯টায় এফডিসির শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ৫৭০ ভোটের মধ্যে ভোট পড়েছে ৪৭৫টি।


আরও খবর