আজঃ বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের মেয়াদ-ব্যয় বাড়ালো

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন প্রকল্পের অপারেশন সাপোর্টের মেয়াদ ও ব্যয় বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় কমিটি।

বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান সাংবাদিকদের জানান, আজকের সভায় মোট ১৫টি এজেন্ডা ছিল। যার সবগুলো পাস হয়েছে। তার মধ্যে আটটি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের। বিদ্যুতের দুটি, বাণিজ্যে দুটি। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের একটি করে।

তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় বেড়েছে ৮৮ কোটি ১১ লাখ ৯৯ হাজার ৭৭৪ টাকা। মোট খরচ হবে তিন হাজার ৪৬৬ কোটি ৯৯ লাখ চার হাজার টাকা। কাজটি পেয়েছে জার্মানির ভেরিডোস জিএমবিএইচ।

জানা গেছে, ই-পাসপোর্ট ইস্যু ও অপারেশন সাপোর্ট সংক্রান্ত জার্মানি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়ছে। দ্বিতীয় দফায় এ মেয়াদ আরও ১৬ মাস বাড়ানো হচ্ছে। এ সময়ের জন্য সংস্থাটিকে প্রয়োজনীয় সেবা গ্রহণের জন্য পরিশোধ করতে হবে ৮৮ কোটি ১১ লাখ ৯৯ হাজার ৭৭৪ টাকা। 

সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন’ শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর।

গত ২০১৮ সালের ২১ জুন একনেক সভায় ১০ বছর মেয়াদে (২০১৮ সালের জুলাই থেকে ২০২৮ সালের জুন) প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় চার হাজার ৬৩৫ কোটি ৯১ লাখ টাকা। এরমধ্যে তিন হাজার ৪০৪ কোটি ৯১ লাখ টাকার সমমূল্যের বৈদেশিক মুদ্রা রয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জি-টু-জি পদ্ধতিতে জার্মানির ভেরিডস জিএমবিএইচ সঙ্গে ২০১৮ সালে মূল চুক্তি এবং পরবর্তীতে ২০২২ সালে ১ম সংশোধিত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। মূল চুক্তি অনুযায়ী সংস্থাটি প্রকল্পে দুই বছর মেয়াদী অপারেশন সাপোর্ট দেওয়ার জন্য চুক্তিবদ্ধ রয়েছে।

সুরক্ষা সেবা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ফোর্স ম্যাজিওর ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে উভয়পক্ষের সম্মতিতে অপারেশন সাপোর্ট- এর মেয়াদকাল ২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২২ সালের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়। কিন্তু বর্তমানে প্রকল্পে নিয়োজিত জনবল দিয়ে উচ্চ কারিগরি এবং অপারেশন সাপোর্ট কার্যক্রম সফলভাবে পরিচালনা করা সম্ভব নয়। এজন্য প্রকল্পে উচ্চ কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন জনবল এবং বর্তমানে জার্মানির ভেরিডোস জিএমবিএইচ কর্তৃক পার্সোনালাইজেশন সেন্টার, ই-পাসপোর্ট বুকলেট, অ্যাসেম্বলি লাইন (ইপিবিএএল), ডাটা সেন্টার (ডিসি), ডিজাস্টার রিকভারি সাইট (ডিআরএস)- এ অপারেশন সাপোর্ট দেওয়ার কাজে নিয়োজিত জনবলের প্রতিস্থাপক সংস্থানের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় অনুমোদন সাপেক্ষে চাহিদাকৃত জনবলের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জনের জন্য আরও সময় প্রয়োজন বলে সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে উল্লেখ করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, বিষয়টি প্রকল্পের ১০ প্রজেক্ট স্টিয়ারিং কমিটির সভায় উপস্থাপন করা হলে প্রকল্পের চলমান অপারেশন সাপোর্ট- এর মেয়াদকাল ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে সুরক্ষা সেবা বিভাগ কর্তৃক গত ২০২২ সালের ২৩ জুনে অপারেশন সাপোর্ট- এর মেয়াদ ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর প্রশাসনিক অনুমোদন দিয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: ই-পাসপোর্ট

আরও খবর



মানবপাচার মামলায় ফের রিমান্ডে মিল্টন সমাদ্দার

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর মিরপুর থানায় দায়ের করা মানবপাচার আইনের এক মামলায় চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে চার দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। রবিবার (৫ মে) বিকালে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম শান্তা আক্তারের আদালত এই আদেশ দেন।

এদিন ভুয়া মৃত্যু সনদ প্রদানের অভিযোগে করা মামলায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। তখন এ মামলায় তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর জোনাল টিমের উপপরিদর্শক মোহাম্মদ কামাল হোসেন।

এ ছাড়া মানবপাচার আইনের আরেক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোসহ সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে ডিবি পুলিশ। পরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুবের আদালত এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখান।

এর আগে রাজধানীর মিরপুর থেকে গত বুধবার রাতে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) মিরপুর জোনাল টিম। তার বিরুদ্ধে এরই মধ্যে মিরপুর মডেল থানায় ৩টি মামলা করা হয়। আরও কয়েকটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।

গত বৃহস্পতিবার মিল্টনকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার আশ্রমে জাল মৃত্যুসনদ দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

এদিকে মিল্টন সমাদ্দারের গ্রেপ্তার হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে মিরপুরের পাইকপাড়া এবং বরিশালের উজিরপুরের সাধারণ মানুষজন। এ ছাড়া বুধবার রাতেই রাজধানীতে আনন্দ মিছিল করে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামের একটি সংগঠন। গ্রেপ্তারের পর থেকেই ভুক্তভোগীদের অনেকে মিল্টনের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছেন।

প্রসঙ্গত, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক কোটি ষাট লাখের বেশি অনুসারী রয়েছে মিল্টন সমাদ্দারের। অভিযোগ রয়েছে এ বিশাল অনুসারীদের কাজে লাগিয়ে তার মূল টার্গেট ছিল বিভিন্ন মানবিক কাজ প্রচার করে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করা।


আরও খবর



মিল্টন সমাদ্দারের আশ্রমের দায়িত্ব নিলো শামসুল হক ফাউন্ডেশন

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আলোচিত মিল্টন সমাদ্দারের চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের সব দায়িত্ব আলহাজ শামসুল হক ফাউন্ডেশন নিয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ।

সোমবার (৬ মে) মিন্টো রোডের গোয়েন্দা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ডিবি প্রধান জানান, আলহাজ সামসুল হক ফাউন্ডেশনের কর্ণধারকে আপাতত মিল্টনের আশ্রমের সব দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আশ্রয় নেয়াদের আশ্রমে রেখেই তিনি চিকিৎসা করাবেন এবং একজন ডাক্তার নিয়োগ দেবেন। এই বিষয়ে ডিবি তাকে নির্দেশনা দিয়েছে।

এর আগে গতকাল রোববার সাংবাদিকদের হারুন অর রশিদ আরও বলেন, মিল্টন সমাদ্দারকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি। এতে ভয়াবহ ও লোমহর্ষক তথ্য বেরিয়ে এসেছে। মাদকাসক্ত মিল্টন মানুষের হাত-পা কেটে পৈশাচিক আনন্দ উপভোগ করতেন।

তিনি বলেন, মিল্টন বিভিন্ন জায়গা থেকে বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধী ও রোগাক্রান্তদের ধরে আনতেন। তাদের দেখিয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে অনুদান নিতেন, যা এসব মানুষের পেছনে খরচ করতেন না। বরং তারা অসুস্থ হলে নিজেই তাদের চিকিৎসার নামে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কেটে ফেলতেন। তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা রয়েছে।’

ডিএমপির ডিবি প্রধান বলেন, মিল্টন সমাদ্দারের মতো সাইকোপ্যাথিক মানুষ কীভাবে মানবতার ফেরিওয়ালা হয়, তা আমাদের বোধগম্য নয়। তিনি যে নির্যাতন করে, ব্লেড ছুরিতে নিজেই অপারেশন করতেন, টর্চার সেলে মানুষকে পেটাতেন তাদের যে বানর বলে অভিহিত করতেন, পিটিয়ে নিস্তেজ করতেন। তিনি স্বীকার করেছেন, এসব করে তিনি পৈশাচিক আনন্দ পেতেন। আমরা তার টর্চার সেল থেকে আলামত জব্দ করেছি। কথিত অপারেশন থিয়েটার থেকে ব্লেড ছুরি জব্দ করেছি।

‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দার বিভিন্ন জায়গা থেকে বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধী ও রোগাক্রান্তদের ধরে এনে তাদের দেখিয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে অনুদান সংগ্রহ করতেন। কিন্তু তাদের পেছনে খরচ না করে তা জমিয়েছেন তার ব্যাংক হিসাবে।

‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ নামের বৃদ্ধাশ্রমের আড়ালে মিল্টন সমাদ্দারের নানা অপকর্ম নিয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর দেশব্যাপী তুমুল সমালোচনার ঝড় ওঠে।

যদিও কয়েকটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন মিল্টন সমাদ্দার। নিজের পক্ষে কিছু তথ্যপ্রমাণ ও যুক্তিও তুলে ধরেন। কিন্তু তার দাবি এবং উপস্থাপিত তথ্যপ্রমাণ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মিল্টনের দেয়া বেশিরভাগ তথ্যই মিথ্যা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিল্টন সমাদ্দারের সেবামূলক কর্মকাণ্ডের রয়েছে ব্যাপক প্রচারণা।

এতে দেখা যায়, অসহায়-দুস্থ মানুষের সেবায় তিনি গড়ে তোলেন চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ নামে একটি বৃদ্ধাশ্রম। রাস্তা থেকে অসুস্থ ও ভবঘুরেদের কুড়িয়ে এনে আশ্রয় দেন বৃদ্ধাশ্রমে।

জনসেবামূলক এসব কর্মকাণ্ডের স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন সরকারি-বেসরকারি নানা পুরস্কারও। তবে যেটুকু ভালো কাজ করেছেন, প্রচার করেছেন ঢের বেশি।

এ সব অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১ মে রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে আটক করে ডিবি। এরপর আশ্রমের মৃত ব্যক্তিদের জাল মৃত্যু সনদ দেয়ার অভিযোগের মামলায় তিন দিনের রিমান্ড নেয়া হয়। রোববার (৫ মে) রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মানবপাচার আইনে মিরপুর মডেল থানার অপর এক মামলায় মিল্টন সমাদ্দারের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।


আরও খবর



ঈদের আনন্দ থেকে কেউ যেন বঞ্চিত না হয়: রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সমাজের সচ্ছল ব্যক্তিদেরকে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। রাষ্ট্রপ্রধান বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনের ক্রিডেনশিয়াল হলে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেওয়া এক শুভেচ্ছা বক্তব্যে দেশবাসীকে ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে ঈদের আনন্দ মিলেমিশে উপভোগের অনুরোধ জানান।

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে তিনি দেশে ও প্রবাসে বসবাসকারী বাংলাদেশিসহ বিশ্ববাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানান। এই ঈদের মধ্যেও ফিলিস্তিনসহ বিশ্বব্যাপী অনেক মানুষ অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্টের মধ্য দিয়ে দিনাতিপাত করছেন উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি।

রাষ্ট্রপতি ফিলিস্তিনের নির্মমতার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বলেন, একজন মানুষ হিসেবে আমাদের নৈতিক দায়িত্ব তাদের পাশে দাঁড়ানো। তাদের দুঃখ-কষ্ট লাঘবে নিজের সাধ্যমত চেষ্টা করা।

মনে রাখতে হবে দুঃখ একলা ভোগ করা যায়, কিন্তু আনন্দ একলা ভোগ করা যায় না-সকলকে নিয়ে আনন্দ করতে হয়, বলেন রাষ্ট্রপতি।

মো. সাহাবুদ্দিন আশা প্রকাশ করেন, ঈদ সবার মধ্যে গড়ে তুলুক সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি আর ঐক্যের বন্ধন। ঈদুল ফিতরের শিক্ষা সকলের মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক, গড়ে উঠুক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।

ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম উল্লেখ করে রাষ্ট্র প্রধান বলেন, মানবিক মূল্যবোধ, সাম্য, পারস্পরিক সহাবস্থান ও সহযোগিতা- ইসলামের এই সুমহান বার্তা ও আদর্শ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ঈদের আনন্দ থেকে পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব কেউ যেন বঞ্চিত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখার ও তাগিদ দেন।

তিনি ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ স্মাট বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। এর আগে রাষ্ট্রপতি এবং তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা বঙ্গভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

রাষ্ট্রপতি রাজনীতিবিদ, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, কূটনৈতিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিচারক, কবি, সাহিত্যিক, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী এবং বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ সময় ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এবং বঙ্গভবনের সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



নওগাঁয় সন্ত্রাসী বাহিনীর শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ফয়সাল আহম্মেদ, নওগাঁ প্রতিনিধি

Image

নওগাঁয় মোশারফ হোসেন শান্ত ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় শহরের বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকা আদালতের সামনের সড়কে বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকাবাসীর আয়োজনে এ কর্মসূচী পালিত হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদ কবিরাজ এর সভাপতিত্বে পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জামেদ আলীসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।

এসময় স্থানীয় বাসিন্দা চাঁন মোহাম্মদ চান্দু, আব্দুস ছালাম, গোলাম রব্বানী, সন্ত্রাসী হামলায় আহত ঠিকাদার সাজ্জাদ হোসেন ও তার পরিবারের সদস্যসহ এলাকার প্রায় দুই শতাধিক এলাকাবাসী ঝাঁড়ু হাতে উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন- গত ১৪ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯ টায় শহরের বালুডাঙ্গা বাসস্টান্ড এলাকায় দেশীয় অস্ত্র রামদা, চাপাতি ও হাসুয়াসহ বিভিন্ন অস্ত্র সজ্জিত হয়ে মোশারফ হোসেন শান্ত ১০-১২ জনকে সঙ্গে নিয়ে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ এর ঠিকাদার সাজ্জাদ হোসেন এর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেওয়ায় সাজ্জাদকে কুপিয়ে জখম করে মোশারফ হোসেন শান্ত সহ তার সন্ত্রাসী বাহিনীরা। পরে থানায় মামলা হলে মোশারফ হোসেন শান্তসহ তিনজনকে আটক করে আদালতে পাঠায় থানা পুলিশ। ব্যবসায়ীরা ভয়ে ঠিকমতো ব্যবসা পরিচালনা করতে পারছে না। মোশারফ হোসেন শান্তর অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ট। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান এলাকাবাসী।


আরও খবর



চলতি বছর ছাড়াতে পারে তাপমাত্রার রেকর্ড

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চৈত্রের প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস মানুষ। রাজধানীসহ অনেক জেলায় বইছে মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ। গত বছরের চেয়ে চলতি বছরজুড়ে তাপমাত্রা বেশি থাকবে। এর মধ্যে এপ্রিলে গরমের তীব্রতা পৌঁছাতে পারে সর্বোচ্চ পর্যায়ে বলে জানিয়েছে আবহওয়া অফিস।

আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি হওয়ায় গরমে অস্বস্তি আরও বাড়ছে। ২০২৩ সালের তুলনায় এবছর তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।  বাংলাদেশে সাধারণত মার্চ থেকে মে মাসকে বছরের উষ্ণতম সময় ধরা হয়। এর মধ্যে এপ্রিল মাসেই সাধারণত তাপমাত্রা সবচেয়ে বেশি থাকে।

বিশেষজ্ঞের মতে, নির্বিচারে গাছ কাটা, জলাশয় ভরাট করা, এসির অত্যধিক ব্যবহারের কারণে রাজধানীর তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে।

এ বছরের তাপপ্রবাহ তীব্র হওয়ার আশঙ্কা কেন?

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের গত কয়েকদিনের পূর্বাভাসের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে এখন বেশি তাপমাত্রা বিরাজ করছে।

এর কারণ হিসেবে আবহাওয়াবিদরা জানান, বাংলাদেশের ঐ অঞ্চলের দিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উত্তরপ্রদেশ ইত্যাদি রাজ্যের অবস্থান। কিন্তু এইসব প্রদেশের তাপমাত্রা অনেক বেশি। এসব জায়গায় বছরের এই সময়ে তাপমাত্রা ৪২ থেকে ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মাঝে ওঠানামা করে।

এ নিয়ে আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, গত বছর ভারতের ওইসব অঞ্চলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যেহেতু ওগুলো উত্তপ্ত অঞ্চল, তাই ওখানকার গরম বাতাস চুয়াডাঙ্গা, যশোর, কুষ্টিয়া, রাজশাহী হয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে এবং তা আমাদের তাপমাত্রাকে গরম করে দেয়।

এই আন্তঃমহাদেশীয় বাতাসের চলাচল ও স্থানীয় পর্যায়েও তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে দেশব্যাপী এবছর তাপপ্রবাহ তুলনামূলক বেশি থাকতে পারে বলে মনে করেন এই আবহাওয়াবিদ।

ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, বিগত বছরের বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে এটা প্রতীয়মান হচ্ছে যে ২০২৪ সাল উত্তপ্ত বছর হিসেবে যাবে। আমরা এ বছর তাপপ্রবাহের দিন এবং হার বেশি পেতে যাচ্ছি।


আরও খবর