আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

হ্যাটট্রিক শিরোপা জিতল আবাহনী

প্রকাশিত:শনিবার ২৬ জুন ২০২১ | হালনাগাদ:শনিবার ২৬ জুন ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ছয় বছর পর ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের শিরোপা জেতার হাতছানি ছিল প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের। এবারের টুর্নামেন্টে শুরু থেকেই ছন্দে ছিল দলটি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন আবাহনী লিমিটেডের সঙ্গে পারল না প্রাইম ব্যাংক। সুপার লিগের শেষ রাউন্ডের ম্যাচে প্রাইম ব্যাংককে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের হ্যাটট্রিক শিরোপা জিতল আবাহনী লিমিটেড।

আজ শনিবার অলিখিত ফাইনালে প্রাইম ব্যাংককে ৮ রানে হারিয়েছে আবাহনী লিমিটেড। গত দুই আসরেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আবাহনী। প্রাইম ব্যাংক ২০১৫ সালে সবশেষ শিরোপা জিতেছিল। ৬ বছর পর এত কাছে এসেও তরী ডুবল তাদের।

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আবাহনীর দেওয়া ১৫১ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা সুখকর হয়নি প্রাইম ব্যাংকের। প্রথম ওভারেই ব্যাটিংয়ের প্রাণভোমরা রনি তালুকদারকে হারায় তারা। তৃতীয় ওভারে ফেরেন অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়। তবুও রানের গতি ভালো ছিল প্রাইম ব্যাংকের। টিকে ছিলেন ওপেনিংয়ে নামা রুবেল মিয়া। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলে ৪৩ বলে ৪১ রান করেন তিনি।

কিন্তু দলকে বাঁচাতে পারেননি রুবেল। শেষ দিকে উইকেটে ধস নামে প্রাইম ব্যাংকের। ৭ রানের মধ্যেই আরও তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে প্রাইম ব্যাংক। শেষ দিকে অলোক কাপালির ব্যাটে আশা জাগালেও শেষ পর্যন্ত ১৪২ রানে গুটিয়ে নেয় প্রাইম ব্যাংক।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫০ রান করে আবাহনী লিমিটেড।

এদিন ইনিংসের শুরুতেই ধাক্কা খায় আবাহনী। প্রথম বলেই গোল্ডেন ডাকে ফেরেন মোহাম্মদ নাঈম। পঞ্চম ওভারের মধ্যে আরও দুটি উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা।

দ্রুত উইকেট হারনোর পর নাজমুল হোসেন শান্ত-মোসেদ্দেক হোসেন সৈকতের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় দলটি। তবে রানের গতি স্লো ছিল শান্তর। ৪০ বলে ৪৫ রান করে ফেরেন তিনি। অধিনায়ক সৈকত খেলেন ৩৯ বলে ৪০ রানের ইনিংস। দুজনের জুটি থেকে আসে ৭০ রান। শেষ দিকে সাইফউদ্দিনের ১৩ বলে ২১ রানের ঝড়ে দেড়শ রান স্পর্শ করে দলটি।

প্রাইম ব্যাংকের হয়ে বল হাতে ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন রুবেল হোসেন।


আরও খবর



বিজিপি প্রত্যাবাসন: ফাইল আটকে আছে মিয়ানমার প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
Image

মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১৭৭ সদস্যকে ফেরত পাঠাতে প্রায় সব প্রস্তুতি রয়েছে বাংলাদেশের। মিয়ানমারও তাদের ফেরত নিতে চায়। তবে কবে নাগাদ তাদের ফেরত নেওয়া হবে, তা এখনো জানায়নি দেশটি। আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যদের ফেরত নেওয়া সংক্রান্ত ফাইল মিয়ানমারের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে আটকে আছে বলে তথ্য মিলছে।

ঢাকা ও নেপিডোর কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের ১৭৭ বিজিপি সদস্যকে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। তবে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। নেপিডোর দিক থেকে ঢাকাকে জানানো হয়েছে, বিজিপি সদস্যদের ফেরত নেওয়ার ফাইল এখনো ক্লিয়ার করতে পারেননি কর্মকর্তারা। কেননা, কর্মকর্তা পর্যায়ে সব কাজ শেষ হলেও দেশটির প্রধানমন্ত্রীর অফিসে এ সংক্রান্ত ফাইল আটকে আছে। তবে খুব শিগগিরই সিদ্ধান্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির লড়াইয়ের জেরে গত সপ্তাহে দুই দফায় ১৭৭ বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এসব বিজিপি সদস্য বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হেফাজতে রয়েছেন।

৯ দিন ধরে বাংলাদেশে অবস্থান করা মিয়ানমারের সদস্যদের যত দ্রুত সম্ভব দেশে ফেরত পাঠাতে চায় ঢাকা। এ নিয়ে প্রস্তুতিও রয়েছে ঢাকার। মিয়ানমারের দিক থেকে সবুজ সংকেত পেলে তাদের (বিজিপি) ফেরত পাঠাবে বাংলাদেশ। ফেব্রুয়ারিতে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সেনাবাহিনী, বিজিপি, সরকারি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সংস্থার ৩৩০ সদস্যকে যেভাবে ফেরত পাঠানো হয়েছে, এবারো সেই প্রক্রিয়ায় অনুসরণ করতে চায় বাংলাদেশ।

ঢাকার এক কূটনীতিক বলেন, তাদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। আমাদের দিক থেকে প্রস্তুতি রয়েছে। আমরা চাই যত দ্রুত সম্ভব তাদের ফেরত পাঠাতে। আমরা আশা করছি, খুব দ্রুত ফেরত পাঠানো হবে। তবে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। আগে যেভাবে মিয়ানমারের বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠানো হয়েছে, ঠিক একই প্রক্রিয়ায় এদের পাঠানো হবে।

তারা (বিজিপি) এখন ২০০ জনের মতো বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। ইতোপূর্বে আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে অনেককে ফেরত পাঠিয়েছি। একই প্রক্রিয়ায় এদের ফেরত পাঠানোর জন্য আলাপ-আলোচনার মধ্যে আছি। আশা করছি, আমরা তাদেরও ফেরত পাঠাতে পারব।

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠানো, মিয়ানমার ও সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট) অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলমের সভাপতিত্বে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে নিয়ে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠানোর বিষয়টি গুরুত্ব পাবে।

এদিকে, কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টায় মিয়ানমার সীমান্তে দুইশর বেশি বিজিপি সদস্য অপেক্ষমাণ রয়েছে বলে দেশের গণমাধ্যমে খবর এসেছে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঢাকার এক জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক জানান, সীমান্তে শ’খানেকের বেশি বিজিপি সদস্য অবস্থান করছে। তারা এখন অবধি বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি চায়নি। আর আমরাও চাই না তারা বাংলাদেশে আসুক।

তাহলে কি নতুন করে আর কোনো বিজিপি সদস্যকে নেবে না বাংলাদেশ– এমন প্রশ্নে এই জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় হয়ত তাদের ঢুকতে দেওয়া হবে। যদি তারা ঢুকেও আমরা তাদের যত দ্রুত সম্ভব ফেরত পাঠাব। আগের মতো এদেরও ফেরত পাঠানো হবে।

চলমান পরিস্থিতিতে ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের দূতকে ডেকে পাঠানোর কোনো পরিকল্পনা আছে কি না– জানতে চাইলে অন্য এক কূটনীতিক বলেন, রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে। তাকে সব বিষয়ে জানানো হয়। রাষ্ট্রদূতকে ডেকে তো কোনো লাভ হচ্ছে না।

সাময়িক আশ্রিত বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠানোর প্রশ্নে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, তারা (বিজিপি) এখন ২০০ জনের মতো বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। ইতোপূর্বে আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে অনেককে ফেরত পাঠিয়েছি। একই প্রক্রিয়ায় এদের ফেরত পাঠানোর জন্য আলাপ-আলোচনার মধ্যে আছি। আশা করছি, আমরা তাদেরও ফেরত পাঠাতে পারব।

ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সংঘর্ষ শুরু হয়। চলমান ওই সংঘর্ষে প্রায় পাঁচ দিনের ব্যবধানে মিয়ানমারের সেনা, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য, শুল্ক কর্মকর্তাসহ ৩৩০ জন বাংলাদেশে ঢুকে পড়েন। তাদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। আমাদের দিক থেকে প্রস্তুতি রয়েছে। আমরা চাই যত দ্রুত সম্ভব তাদের ফেরত পাঠাতে। আমরা আশা করছি, খুব দ্রুত ফেরত পাঠানো হবে। তবে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। আগে যেভাবে মিয়ানমারের বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠানো হয়েছে, ঠিক একই প্রক্রিয়ায় এদের পাঠানো হবে।

আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘর্ষে টিকতে না পেরে গত দেড় মাসে মিয়ানমারের প্রায় ৫০০ সামরিক বাহিনীর সদস্য ও সরকারি কর্মকর্তা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। এদের মধ্যে সামরিক বাহিনীর সদস্যরা আশ্রয়ের ক্ষেত্রে সহযোগিতা চেয়ে আত্মসমর্পণ করেন। এক্ষেত্রে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের অস্ত্র নিয়ে নেওয়া হয়। পরে তাদের খাবার ও থাকার ব্যবস্থা করা হয়।

এ প্রক্রিয়া সম্পর্কে সরকারের এক কর্মকর্তা জানান, তারা আশ্রয়ের জন্য সহযোগিতা চায়। আমাদের কাছে সারেন্ডার বা আত্মসমর্পণ করতে হয়। বাংলাদেশ সরকার তাদের জিডআর্ম করে এবং তাদের খাবারের ব্যবস্থা করে। এরপর তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়।

২০২৩ সালের শেষের দিকে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে শুরু হওয়া অপারেশন ১০২৭’ থেকে সংঘর্ষের পর প্রতিবেশী দেশগুলোতে এখন অবধি প্রায় ১ হাজার জান্তা সদস্য (মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সদস্য) আশ্রয় নিয়েছে। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে। প্রায় ৫০০ জান্তা সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বার্মা নিউজ ইন্টারন্যাশনাল (বিএনআই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। বিএনআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিবেশী দেশগুলোর বাহিনী এবং গণমাধ্যমের তথ্য মতে, গত বছরের (২০২৩) শেষের দিকে শুরু হওয়া অপারেশন ১০২৭’ থেকে সংঘর্ষের পর প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নেওয়া জান্তা সৈন্যের সংখ্যা প্রায় এক হাজারে পৌঁছেছে। মিয়ানমারের সঙ্গে সীমানা ভাগ করে নেওয়া পাঁচটি প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ড, ভারত, বাংলাদেশ ও চীনে সীমান্ত নিয়ে পালিয়ে গেছে জান্তা সৈন্যরা।

বিএনআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, এদের মধ্যে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া জান্তা সৈন্যের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়েছে। আর ভারতে আশ্রয় নিয়েছে ৪০০ জনের বেশি। এ ছাড়া অপারেশন ১০২৭’-এর আগে ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে মিয়ানমারের কারেন রাজ্যে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর তীব্র আক্রমণের মধ্যে শত শত জান্তা সৈন্য থাইল্যান্ডে আশ্রয় নেয়। এসব জান্তা সৈন্যকে নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন করা হলেও তাদের প্রসঙ্গে মিলিটারি কাউন্সিল বিস্তারিত তথ্য জানানো থেকে বিরত থাকে।


আরও খবর



গরম বেড়ে শুরু হতে পারে তাপপ্রবাহ

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

ঝড়-বৃষ্টির প্রবণতা অনেকটাই কমে গেছে। বুধবার দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দিনের তাপমাত্রা বেড়ে মৃদু তাপপ্রবাহ শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে আজও দেশের ৫ বিভাগের দুএক জায়গায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।

গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশেই দিন ও রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। বুধবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল সিলেটে। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

অন্যদিকে, মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল রাঙ্গামাটিতে। বুধবার সকাল থেকে ঢাকার আকাশ কিছুটা মেঘলা। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাড়ছে ভ্যাপসা গরম।

বুধবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানান, রংপুর, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

এ সময়ে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে বলেও জানান এ আবহাওয়াবিদ।

আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাসে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলসহ ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

শুক্রবার ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। পরবর্তী পাঁচদিনে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।


আরও খবর
ঢাকার বায়ু আজও অস্বাস্থ্যকর

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪

যেসব জেলায় হতে পারে শিলাবৃষ্টি

মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪




মাস্টার্সের ফল প্রকাশের ৭দিনের মধ্যে জবির হল ছাড়ার নির্দেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) একমাত্র ছাত্রী হল বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের মাস্টার্স এর ফল প্রকাশিত হওয়ার সাত দিনের মধ্যে হল ছাড়তে নির্দেশ দিয়েছে হল প্রশাসন।

সোমবার (১১ মার্চ) হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড.দীপিকা রাণী সরকার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যায় বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের আবাসিক ছাত্রীদের জানানো যাচ্ছে যে- যাদের মাস্টার্স পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয়েছে তাদেরকে আগামী সাত দিনের মধ্যে হলের আবাসিক সিট ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হলো।

উল্লেখ্য, গত ৫ মার্চ সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থীকে তুচ্ছ ঘটনায় মারধরে করেন ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের অবৈধভাবে হলে থাকা এক সাবেক শিক্ষার্থী। পরবর্তীত অভিযোগের প্রেক্ষিতে সেই শিক্ষার্থীর আসন বাতিল করা হয়। আর সেই প্রেক্ষিতে নড়েচড়ে বসেছে হল প্রশাসন।


আরও খবর



অলিখিত ফাইনালে কাল মাঠে নামছে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ ম্যাচটি হতে পারত নিয়মরক্ষার। প্রথম ম্যাচে খুব কাছে গিয়েও জয় না পাওয়ায় সিরিজে এখন ১-১ সমতা। তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ হেসেখেলে জিতেছে লঙ্কানদের বিরুদ্ধে। সেই আত্মবিশ্বাসকে সঙ্গী করে আগামীকাল শনিবার (৯ মার্চ) তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টায়।

দ্বিতীয় ম্যাচে দাপুটে জয় পাওয়া স্বাগতিকরা দুটি ম্যাচেই খেলেছে অনবদ্য। বিশেষত সর্বশেষ ম্যাচে বোলিং, ব্যাটিং দুই বিভাগেই চোখে পড়েছে উন্নতির ছাপ। বল হাতে পাওয়ার প্লেতে খানিকটা এলোমেলো থাকলেও শরিফুল ইসলাম-রিশাদ হোসেনদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে লঙ্কান ব্যাটিংয়ের লাগাম টেনে ধরে বাংলাদেশ। থামিয়ে দেয় ১৬৫ রানে। সেটি তাড়া করতে নেমে আট উইকেটের সহজ জয় পায় শান্ত-হৃদয়রা।

ব্যাট হাতে ছন্দে ফিরেছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। দলের জন্য যা বড় স্বস্তির খবর। লিটন-সৌম্যরা নিজেদের ইনিংস খুব বড় করতে না পারলেও ওপেনিংয়ে গড়ে দিয়েছেন শক্ত ভিত। সিলেটের ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে যা খুব কাজে দিয়েছে। বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্ত দুটি ম্যাচেই টস জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। তার দর্শন বোঝা গেছে ভালোভাবে, লক্ষ্য নিয়ে খেলতে চান তিনি। তাতে দুই ম্যাচ শেষ অন্তত সফল বলা চলে অধিনায়ককে।

ছোট ছোট বিষয়গুলো দলের উন্নতির জায়গায় অনেক কাজে দেয়। ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে আজ শুক্রবার (৮ মার্চ) বাংলাদেশ কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের কথায়ও ঝরল ক্রিকেটারদের স্তুতি। জানালেন, ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে যথেষ্ট উন্নতি করছে দল।

দলের প্রধান কো চহাথুরুসিংহে বলেন, আমরা অতীতে যেসব ভুল করেছিলাম, তা নিয়ে কাজ করছি। মানুষ ভুল করে। ভুল থেকেই এগিয়ে যায়। দলের সবার চেষ্টার মানসিকতা আছে, ব্যাপারটি দারুণ। দলকে ফুরফুরে অবস্থায় দেখে ভালো লাগছে।

লঙ্কান শিবিরে ফিরছেন দলটির নিয়মিত অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙা। প্রথম দুই ম্যাচের একাদশে ছিলেন না তিনি। তার জায়গায় দায়িত্ব সামলেছিলেন চারিথ আসালাঙ্কা। হাসারাঙার ফিরে আসা সফরকারীদের শক্তি বাড়াবে বলে মনে করেন হাথুরুসিংহে। তিনি জানান, শ্রীলঙ্কা দলে হাসারাঙা ফিরছে। এটি তাদের জন্য শক্তি। বাংলাদেশের জন্য শেষ ম্যাচেট কাজটা সহজ হবে না।

জয়ের মানসিকতা ধারণ করা এই বাংলাদেশ জানে, মাঠে কোনো কিছু সহজে আসে না। পরিশ্রমের ফল হিসেবে সাফল্য আসে। থাকতে হয় সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা। শান্তর নেতৃত্বে এদিক দিয়ে এগিয়ে স্বাগতিকরা।

বাংলাদেশ স্কোয়াড:

নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন দাস, এনামুল হক বিজয়, নাঈম শেখ, তাওহিদ হৃদয়, সৌম্য সরকার, শেখ মেহেদি হাসান, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী অনিক, তাইজুল ইসলাম, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব।


আরও খবর



এখন পাসপোর্ট ছাড়াই যাওয়া যাবে সৌদি আরবে

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সাধারণত নতুন কোনো দেশে বাণিজ্য বা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে গেলে সঙ্গে রাখতে হয় নিজের পাসপোর্ট। কিন্তু এখন থেকে সঙ্গে পাসপোর্ট না থাকলেও যাওয়া যাবে সৌদি আরবে! এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। পাসপোর্ট ছাড়া ভ্রমণের সুযোগ দিতে সৌদি আরব এরই মধ্য ডিজিটাল নথি তৈরি করে ফেলেছে। খবর অ্যারাবিয়ান বিজনেসের।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, সৌদি আরবের পাসপোর্ট বিভাগের জেনারেল ডাইরেক্টরেট রিয়াদ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন অ্যান্ড এক্সিবিশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত লিপ ইয়ার বা অধিবর্ষ ২০২৪ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্যাভিলিয়নে সৌদি আরবে আগত দর্শনার্থীদের সামনে ওই ডিজিটাল নথিটি প্রদর্শন করছেন।

এই ডিজিটাল ডকুমেন্ট সার্ভিস সৌদি নাগরিক, বাসিন্দা এবং দর্শনার্থীসহ সুবিধাভোগীদের দেয়া ডিজিটাল এবং প্রযুক্তিগত সমাধানগুলোর একটি। এর আওতায় থাকা ব্যক্তিরা সৌদি আরবের অভ্যন্তরীণ পরিষেবাগুলো পাবেন।

মূলত পরিষেবাটির লক্ষ্য হলো একটি ইউনিফাইড নম্বর দেয়ার মাধ্যমে দর্শনার্থীদের সৌদি আরবে আগমন প্রক্রিয়া সহজতর করা। দর্শনার্থী বা ভ্রমণকারীরা দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অ্যাবশার ইলেকট্রনিক প্ল্যাটফর্ম থেকে তারা নিজেদের ডিজিটাল পরিচয় বা ইউনিফাইড নম্বর বের করার সুযোগ পাবেন।

এই ডিজিটাল পাসপোর্ট ব্যক্তির মোবাইল ফোনে থাকবে। এর মাধ্যমে ভ্রমণকারী দেশটির কোথায় অবস্থান করছেন তাও জানা যাবে। ফলে কোনো কাগুজে পাসপোর্টের প্রয়োজন হবে না।

সম্প্রতি বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রযুক্তি সম্মেলন লিপ ইয়ার ২০২৪-এ সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অংশ নিয়ে উন্নত প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী ডিজিটাল সমাধানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) গুরুত্ব তুলে ধরে।

এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য নিরাপত্তা, ভিড় ব্যবস্থাপনা, মানব ও পরিবেশগত নিরাপত্তা, বিশ্বব্যাপী অনুষ্ঠানগুলোকে উন্নত করার পাশাপাশি সৌদি আরবের ভিশন-২০৩০ পূরণ করা।


আরও খবর