আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

‘হ্যালো টুরিস্ট’ অ্যাপে যে সেবা পাবেন আপনি

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ জুন ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সারা দেশের ছোট বড়-সব মিলিয়ে সাড়ে ৬০০ ওপরে পর্যটন স্থানে রয়েছে। যার মধ্যে প্রায় ৫০টির ওপরে পর্যটন স্থানে পর্যটকদের যাতায়াতে সব থেকে বেশি। এসব টুরিস্ট স্পটে পর্যটকদের নিরাপত্তা থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ে সহায়তা করে থাকে বাংলাদেশ পুলিশের টুরিস্ট পুলিশ। ভ্রমণপিয়াসুদের হাতের নাগালে সেবা পৌঁছাতে দিতে দীর্ঘদিন ধরে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে টুরিস্ট পুলিশ। মাত্র ১ হাজার ৩০০ জন সদস্য নিয়ে পর্যটক স্পটগুলোতে ২৪ ঘণ্টা পেট্রোলিংয়ের কাজ করছে পুলিশের এই ইউনিটটি। নিজেদের সেবার মান বাড়াতে বিভিন্ন সময় নানা উদ্যোগ গ্রহণ করে আসছে টুরিস্ট পুলিশ। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালে যাত্রা শুরু করে টুরিস্ট পুলিশের হ্যালো টুরিস্ট অ্যাপ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেবার মান বাড়াতে অ্যাপটিকে প্রতিনিয়ত আপডেট করে যাচ্ছে।

টুরিস্ট পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মূলত পর্যটকদের হাতে হাতে পুলিশের এই ইউনিটটির ফোন নম্বর পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে অ্যাপটির মূল্য লক্ষ্য। এছাড়া 'হ্যালো টুরিস্ট' ব্যবহার করে একজন পর্যটক কীভাবে পর্যটন স্থানে যাবে, কোথায় থাকবেন, নির্দিষ্ট স্থানে কোনো পরিবহনে কত ভাড়া, সমস্যা হলে কীভাবে অভিযোগ দেবেন ইত্যাদি নানা সেবা নিতে পারবেন। এই সেবা নিতে হলে পর্যটকে প্রথমে তার স্মার্ট অ্যাপটি ডাউনলোড করে ইন্সটল করে নিতে হবে। এর পর অ্যাপের ভেতরে প্রবেশ করে অপশন মোতাবেক এসব সেবা নিতে পারবেন একজন পর্যটক। অ্যাপটিতে ১৫টি অপশনের মাধ্যমে বিভিন্ন সেবা নেওয়া যাবে। অ্যাপটির বাংলা ও ইংরেজি দুটি মাধ্যম রয়েছে ব্যবহারকারীদের জিন্য।

হ্যালো টুরিস্ট যে সেবা নেওয়া যায়: আমাদের খুঁজুন ও যোগাযোগ- হ্যালো টুরিস্ট অ্যাপে আমাদের খুঁজুন ও যোগাযোগ নামে দুটি অপশন পাবেন ব্যবহারকারী। এই দুটি অপশনে গিয়ে টুরিস্ট পুলিশের প্রধানসহ তাদের সব স্তরের কর্মকর্তা ও অফিসের ফোন নম্বর সহজেই পেয়ে যাবেন পর্যটক। এসব নম্বরে ফোনে করে পর্যটন সংক্রান্ত বিভিন্ন সেবা নেওয়া যাবে।

আমাদের সম্পর্কে- অ্যাপের তৃতীয় অপশনটির নাম হচ্ছে আমাদের সম্পর্কে। এই অপশনে গিয়ে ব্যবহারকারী টুরিস্ট পুলিশের ইতিহাস ও কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে পারবেন।

ভ্রমণের স্থান- অ্যাপের ভ্রমণের স্থান অপশনটি গিয়ে একজন পর্যটক দেশের ৮ বিভাগের ৬৪ জেলার কোথায় কোথায় দর্শনীয় ও ঐতিহাসিক পর্যটন স্থানের নাম জানতে পারবেন। অপশনটিতে এক সঙ্গে ৬৪ জেলার সব দর্শনীয় ও ঐতিহাসিক পর্যটনস্থানে নাম সহজে ব্যবহারকারী জেনে নিতে পারবেন।

হোটেল/মোটেল- অ্যাপের হোটেল/মোটেল অপশনে গিয়ে ভ্রমণপিয়াসুরা চট্টগ্রাম, কক্সবাজর ও কুয়াকাটাসহ ২০ জেলার দর্শনীয় ও ঐতিহাসিক পর্যটন স্থানের আশপাশে কি কি হোটেল বা মোটেল রয়েছে সেই সম্পর্কে জানতে পারবেন। এ অ্যাপে ২০টি জেলার পর্যটন স্থান সংলগ্ন বিভিন্ন হোটেলের নাম, ঠিকানা ও ম্যানেজার নম্বর দেওয়া রয়েছে পর্যটকদের জন্য। এখান থেকে নম্বর নিয়ে খুব সহজেই হোটেল বুকিং করতে পারবেন পর্যটকরা।

ভ্রমণ গাইড- অ্যাপের ভ্রমণ গাইড অপশনটিতে চমৎকার সব তথ্য পাবেন পর্যটক। এসব তথ্য ব্যবহার করে ভ্রমণের পরিকল্পনা ও বাজেট ঘরে বসে খুব সহজেই করে ফেলতে পারবেন একজন পর্যটক। অপশনটি বিভিন্ন পর্যটনস্থানে কিভাবে যাওয়া যাবে, কত টাকা যাতায়াতে ও হোটেল/মোটেল ভাড়া, কি খাবেন সেখানে গিয়ে কোথায় কোথায় ঘুরবেন, কিভাবে হোটেল বুকিং করাসহ বিস্তৃত তথ্য জানতে পারা যাবে। এই অপশন ব্যবহার করে পর্যটক সম্পূর্ণ গাইড লাইন পেয়ে যাবেন নির্দিষ্ট পর্যটনস্থানের।

নিখোঁজ ও প্রাপ্তি- অ্যাপের নিখোঁজ ও প্রাপ্তি অপশনটি একজন পর্যটকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং উপকারী। বিভিন্ন পর্যটন স্থানে ঘুরতে গিয়ে অনেক পর্যটক নানা মূল্যবান জিনিসপত্র হারিয়ে ফেলন। বিশেষ করে হাতের মোবাইল ফোনটি। অ্যাপের এই অপশনে গিয়ে হারানো জিনিসপত্র টুরিস্ট পুলিশের পেলে তা সম্পর্কে তথ্য জানা যাবে। পরে উপযুক্ত প্রমাণ দিয়ে হারানো জিনিসপত্র পেতে পারবেন পর্যটক।

নোটিস/সংবাদ- অ্যাপের এই অপশনটি একজন ভ্রমণপিয়াসুর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এ অপশনে গিয়ে ব্যবহারকারী পর্যটনস্থান সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য ও জরুরি সংবাদ জানতে পারবেন।

বুলেটিন- অ্যাপের বুলেটিন অপশনে গিয়ে পর্যটক নানা জরুরি সংবাদ ও বুলেটিন সম্পর্কে জানতে পারবেন। পর্যটন স্থানে যেতে কোনো নির্দেশনা বা জরুরি কোনো সংবাদ থাকলে এ অপশনে পেয়ে যাবেন ব্যবহারকারী।

সতর্কতা- অ্যাপের এ অপশনে পাহাড়ের কিংবা সমুদ্র সৈকতের থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যটন স্থানে বেড়াতে কি কি সতর্কতা মেনে চলতে হবে সে সম্পর্কে সম্পূর্ণ গাইড লাইন দেওয়া রয়েছে।

আইন কানুন- অ্যাপের আইন কানুন নামে অপশনটিতে গিয়ে পর্যটন সংশ্লিষ্ট সব আইন জানতে পারবেন পর্যটক। একটি পর্যটন স্থানে বেড়াতে গিয়ে পর্যটক কে কি কি আইন মেনা চলা উচিৎ সেই সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা দেওয়া হয়েছে অপশনটিতে। এছাড়া অ্যাপসটিতে 'জিজ্ঞাসা', 'ছবি গ্যালারি', 'আপনার মতামত' ও 'অভিযোগ' নামে আরও চারটি অপশন রয়েছে। এসব অপশন ব্যবহার করে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সেবা নিতে পারবেন পর্যটক। এছাড়া 'অভিযোগ' অপশনটি ব্যবহার করে একজন পর্যটক টুরিস্ট পুলিশকে অভিযোগ জানাতে পারবেন।

হ্যালো টুরিস্ট অ্যাপটির বিষয়ে টুরিস্ট পুলিশের (লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া) পুলিশ সুপার ইব্রাহিম খলিল বলেন, কোনো ব্যবহারকারী যদি টুরিস্ট পুলিশের 'হ্যালো টুরিস্ট' অ্যাপটি তার স্মার্টফোনে ইনস্টল করেন তাহলে এর মাধ্যমে আমাদের সব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নম্বর এখানে পেয়ে যাবেন। এসব নম্বর ব্যবহার করে পর্যটকরা যেকোনো অভিযোগ বা সহায়তা পাওয়ার জন্য টুরিস্ট পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। অ্যাপটি ইনস্টলের পর ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াও ব্যবহার করতে পারবেন। অধিকাংশ পর্যটকের কাছে টুরিস্ট পুলিশের নাম্বার নেই। তবে এই অ্যাপটি ফোনে ইনস্টল করা থাকলে সারা দেশের টুরিস্ট পুলিশের নম্বর এক সঙ্গে পেয়ে যাবেন পর্যটকরা। যেমন কোনো পর্যটক যদি কোনো পর্যটন স্থানে গিয়ে সমস্যা পড়েন বা তার কোনো তথ্য জানার প্রয়োজন পড়ে তাহলে অ্যাপট ব্যবহার করে সংশ্লিষ্ট পর্যটন স্থানের টুরিস্ট পুলিশের ইনচার্জের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন ফোনে। ফোন পাওয়ার পর ওই পর্যটককে অবশ্যই সাহায্য করার জন্য টুরিস্ট পুলিশ এগিয়ে আসবে। এছাড়া কোনো পর্যটক এমন স্থানে গিয়েছেন যেখানে টুরিস্ট পুলিশের কোনো অফিস নেই, তার পরেও যদি অ্যাপটি থেকে নম্বর নিয়ে যোগাযোগ করা হয় তাহলে টুরিস্ট পুলিশ সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের সঙ্গে ওই পর্যটকের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেবে। এতে করে ওই পর্যটক স্থানীয় থানা পুলিশকে তার সমস্যার কথা জানাতে পারবে।

তিনি আরও বলেন, অ্যাপে পর্যটন স্পটের ছবি ও লোকেশন দেওয়া হয়েছে। একজন পর্যটক নির্দিষ্ট পর্যটন স্থানে কিভাবে যাবেন, সেখানে যেতে কত টাকা খরচ হতে পারে তারও তথ্য এ অ্যাপে দেওয়া রয়েছে। হ্যালো টুরিস্ট অ্যাপে টুরিস্ট পুলিশের সব কার্যক্রমের তথ্য দেওয়া থাকে। এছাড়া কোনো পর্যটক যদি পর্যটন স্থানে মোবাইল, টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র হারিয়ে ফেলেন সেগুলো যদি পাওয়া যায় সেসব তথ্যও অ্যাপে দেওয়া থাকে। পরে পর্যটক হারিয়ে যাওয়া জিনিসপত্রের বিষয়ে উপযুক্ত প্রমাণ দিয়ে টুরিস্ট পুলিশের কাছ থেকে নিয়ে নিতে পারবেন।


আরও খবর



গভীর সমুদ্রে ভাসতে থাকা ১৩ জেলে জীবিত উদ্ধার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বঙ্গোপসাগরের কুতুবিয়ায় গভীর সমুদ্রে ইঞ্জিন বিকল হয়ে গত চারদিন ধরে ভাসতে থাকা একটি ফিশিং বোটের ১৩ জেলেকে উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড। সোমবার সন্ধ্যায় তাঁদের উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি এ তথ্য জানান।

তিনি আরও বলেন, চারদিন আগে ইঞ্জিন বিকল হয়ে বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া লাইট হাউস থেকে ৯ নটিকেল মাইল দূরে ভাসছিল ফিশিং বোট এফবি শিফা। পরে ভাসতে থাকা জেলেরা ৯৯৯ জরুরি সেবা নম্বরে যোগাযোগ করলে কোস্টগার্ডের উদ্ধারকারী জাহাজ সবুজ বাংলা জেলেদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করে। সোমবার সন্ধ্যায় তাদের জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হয় কোস্টগার্ড।

কোস্টগার্ড মিডিয়া সেলের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ইতোমধ্যে উদ্ধার হওয়া জেলেদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে এবং রাত ৮টার দিকে বোট মালিকের কাছে জেলেদের হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর



ঈদে আসছে আরিয়ানের ত্রিভুজ প্রেমের গল্প ‘তখন যখন’

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

মিজানুর রহমান আরিয়ান মানেই বিশেষ কিছু। কারণ সংখ্যায় কম, মানে উন্নত’- এ অদৃশ্য নীতি ধরে শুরু থেকে কাজ করে আসছেন এ নির্মাতা। তারই আরেকটি বহিঃপ্রকাশ ঘটতে যাচ্ছে এ ঈদে, তার একমাত্র নির্মাণ দিয়ে।

হ্যা, এ ঈদে শতাধিক নাটকের ভিড়ে আরিয়ান মাত্র একটি কাজই করেছেন; সেটি হলো তখন যখন’।

আরিয়ানের চিত্রনাট্য ও নির্মাণে বিশেষ এ নাটকটি নির্মিত হয়েছে সিএমভির ব্যানারে। এর প্রধান তিন চরিত্রে অভিনয় করেছেন জোভান, নিহা ও সাদিয়া আয়মান। যেখানে তিনজনকে দেখা যাবে সহপাঠী তথা বন্ধুর চরিত্রে।

কাজটি প্রসঙ্গে মিজানুর রহমান আরিয়ান বলেন, এটা একটা লাভ ট্রায়াঙ্গেল। বিশ্ববিদ্যালয়জীবনে ঢোকার আগে কোচিং করার একটা সময় আসে শিক্ষার্থীদের। সে সময়টায় কোচিং ক্লাসের সুবাদে প্রেমেও পড়ে অনেকে। তেমনই একটি ত্রিভুজ প্রেমের গল্প এটি। বাকিটা আর বলছি না।’

নির্মাতা জানান, এখন তিনি ব্যস্ত আছেন একটি ওয়েব সিরিজ ও ওয়েব সিনেমা নির্মাণ প্রক্রিয়া নিয়ে। তবে দর্শক প্রত্যাশার কথা ভেবে ঈদ উপহার হিসেবে নির্মাণ করেছেন তখন যখন।

এদিকে প্রযোজক এসকে সাহেদ আলী পাপ্পু জানান, তখন যখন তাদের ঈদ আয়োজনের অন্যতম বিশেষ নির্মাণ; যা ঈদ আয়োজনে উন্মুক্ত হবে সিএমভির ইউটিউব চ্যানেলে।


আরও খবর
নতুন খবর দিলেন বিদ্যা সিনহা মিম

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪

নিজেকে দেখে নিজেই মুগ্ধ পরীমণি

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে সংগীত শিল্পী পাগল হাসানসহ নিহত ২

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

সুনামগঞ্জে বাস ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে গীতিকার ও সংগীত শিল্পী মতিউর রহমান হাসান ওরফে পাগল হাসান (৩৫) ও তার প্রতিবেশী ছাত্তার মিয়া (৪৫) নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আরও তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ভোরে সুনামগঞ্জের ছাতক-দোয়ারাবাজার সড়কের সুরমা সেতু টোলপ্লাজার পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ আলম দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

শিল্পী পাগল হাসান ও ছাত্তার মিয়ার বাড়ি ছাতক উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের মুক্তিরগাঁও-শিমুলতলা গ্রামে। পাগল হাসানের দুই ছেলে রয়েছে।

আহতরা হলেন- মুক্তিরগাঁও-শিমুলতলা গ্রামের আব্দুল কাদিরের ছেলে লায়েছ মিয়া (৩০), ননদু মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৩৪) ও সিএনজি অটোরিকশার চালক সিরাজ আলীর ছেলে রুপন মিয়া (৩০)।

পুলিশ জানায়, আজ সকালে সংগীত শিল্পী পাগল হাসানসহ একই গ্রামের পাঁজন সিএনজি চালিত অটোরিকশায় করে দোয়ারাবাজার থেকে ছাতকে ফিরছিলেন। অপরদিকে, ছাতক থেকে একটি বাস দোয়ারাবাজারে যাচ্ছিল। পথে সুরমা সেতুর টোলপ্লাজার কাছে বাস ও অটোরিকশাটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই সংগীত শিল্পী পাগল হাসান ও ছাত্তার মিয়া মারা যান। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। পুলিশ দুর্ঘটনা কবলিত বাসটি (মৌলভীবাজার–জ- ১১-০০৪০) জব্দ করেছে। তবে ঘটনার পরপরই বাসের চালক ও সহযোগীরা পালিয়ে যায়।

কালারুকা ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. সামছু মিয়া বলেন, শিল্পী পাগল হাসান ও ছাত্তার মিয়া একই গ্রামের বাসিন্দা। যারা আহত হয়েছেন তাদের দুইজন হাসানের বন্ধু ও একজন সিএনজি চালিত অটোরিকশার চালক।’

ওসি মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, পাগল হাসানসহ দুইজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেটের এমএজি ওসমামানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’


আরও খবর



বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের দুর্নীতি অুনসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালা উদ্দিন রিগ্যান সোমবার (২২ এপ্রিল) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিটটি দায়ের করেন। বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চে এটির শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

এ বিষয়ে দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলছেন, তারা রিটের একটি কপি হাতে পেয়েছেন। সেখানে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। রিটে বিবাদী করা হয়েছে দুদক চেয়ারম্যান, সচিবসহ চারজনকে।

এর আগে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ৩৪ বছর ৭ মাস চাকরি করে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে অবসরে যান। অবসর গ্রহণের পর দেখা যায়, বেনজীর আহমেদ তার স্ত্রী ও কন্যাদের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি অর্জন করেছেন যা তার আয়ের তুলনায় অসম।

গত ৩১ মার্চ দৈনিক কালের কণ্ঠে ঢাকায় বেনজীরের জন্ম আলাদীনের চেরাগ” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক মহাপরিদর্শক তার স্ত্রী জিশান মির্জা এবং দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন।

বেনজীর আহমেদ তার পদের অপব্যবহার করে তার আয়ের তুলনায় প্রতিবেদনে উল্লিখিত সম্পত্তিগুলি অধিগ্রহণ করেছেন বলে বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলে চিঠিতে জানান ব্যারিস্টার সুমন। এমন পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ, স্ত্রী, বড় মেয়ে এবং ছোট মেয়ের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ সংগ্রহের জন্য তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুদককে অনুরোধ করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দৈনিক কালের কণ্ঠে ঢাকায় বেনজীরের জন্ম আলাদীনের চেরাগ” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজ মিলেছে। এরপর থেকেই বেশ আলোচনায় পুলিশের সাবেক এই আইজিপি।

জাতীয় ওই দৈনিকে বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যেখানে তার নানা অর্থ সম্পদের বিবরণ তুলে ধরা হয়। বেনজীরের বিপুল সম্পদের মধ্যে রয়েছে, গোপালগঞ্জের সাহাপুর ইউনিয়নে সাভানা ইকো রিসোর্ট নামের এক অভিজাত ও দৃষ্টিনন্দন পর্যটনকেন্দ্র। এছাড়াও তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ছয়টি কোম্পানির খোঁজ পাওয়া গেছে। পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকার বেশি হতে পারে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ঢাকার অভিজাত এলাকাগুলোতে বেনজীর আহমেদের দামি ফ্ল্যাট, বাড়ি আর ঢাকার পাশে বিঘার পর বিঘা জমি রয়েছে। দুই মেয়ের নামে বেস্ট হোল্ডিংস ও পাঁচতারা হোটেল লা মেরিডিয়ানের রয়েছে দুই লাখ শেয়ার। পূর্বাচলে রয়েছে ৪০ কাঠার সুবিশাল জায়গাজুড়ে ডুপ্লেক্স বাড়ি, যার আনুমানিক মূল্য কমপক্ষে ৪৫ কোটি টাকা। একই এলাকায় আছে ২২ কোটি টাকা মূল্যের আরও ১০ বিঘা জমি।

অথচ গত ৩৪ বছর সাত মাসের দীর্ঘ চাকরিজীবনে বেনজীর আহমেদ বেতন-ভাতা বাবদ মোট আয় এক কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ টাকার মতো হওয়ার কথা।


আরও খবর



আচমকা অবসরে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

পাকিস্তান নারী দলের সাবেক অধিনায়ক বিসমাহ মারুফ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। আজ (বৃহস্পতিবার) পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

সর্বশেষ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজে ভালো ছন্দে থাকলেও অধিনায়ক হিসেবে দলকে সাফল্য এনে দিতে পারেননি বিসমাহ। পরে নতুনদের সুযোগ করে দিতে নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। এবার ক্রিকেটকেই বিদায় বলে দিলেন ২৭৬টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে পাকিস্তানের জার্সি গায়ে খেলা বিসমাহ। দেশটির যে কোনো নারী ক্রিকেটারদের মধ্যে যা সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড। এ ছাড়া দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ৯৬ টি ম্যাচে।

অবসর ঘোষণার বিবৃতিতে বিসমাহ মারুফ বলেছেন, 'আমি যে খেলাটিকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি তা থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটি আমার জন্য একটি অবিশ্বাস্য যাত্রা ছিল, চ্যালেঞ্জ, বিজয় এবং অবিস্মরণীয় অনেক স্মৃতিতে ভরা।'

ক্যারিয়ারজুড়ে সমর্থন ও পাশে থাকার জন্য পরিবার, সতীর্থ থেকে শুরু করে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বিসমাহ। বলেন, 'আমি আমার পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই, যারা আমার ক্রিকেট যাত্রায় শুরু থেকে এখন পর্যন্ত আমাকে সমর্থন করেছে। আমি আমার সতীর্থ খেলোয়াড়দের ধন্যবাদ জানাতে চাই, যারা আমার কাছে পরিবারের মতো হয়ে উঠেছে। মাঠে এবং মাঠের বাইরে আমাদের যে বন্ধুত্ব হয়েছে, তা আমি চিরকাল লালন করব।'

২০০৬ সালে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে এবং ২০০৯ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয়েছিল বিসমাহ মারুফের। ১৭ বছরের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে ৩৩টি ফিফটিসহ ৬,২৬২ রান করেছেন এবং বোলিংয়ে ৮০টি উইকেট শিকার করেছেন।


আরও খবর