সিস্টেমের দুর্বলতার কারণে তথ্য বেহাত হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, এটা ওয়েবসাইট হ্যাকিংয়ের কারণে নয়, বরং কারিগরি ত্রুটির কারণে সিস্টেমে দুর্বলতা থাকায় এটা হয়েছে।
রোববার (৯ জুলাই) সকালে আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান শেষে তিনি একথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যে পোর্টালের তথ্যগুলো পাবলিক হয়ে গেছে সেখানে ন্যূনতম যে সিকিউরিটি থাকার কথা ছিল তা ছিল না। সতর্ক করা সত্ত্বেও আমলে নেয়নি সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তারা। তাদের গাফিলতিতে রাষ্ট্রের বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। তবে কোন মন্ত্রণালয়ের কোন দফতরের ওয়েবসাইট থেকে তথ্য ফাঁস হয়েছে জানতে চাইলে মন্ত্রণালয়ের নাম উল্লেখ করেননি তিনি।
লাখো নাগরিকের তথ্য ফাঁসের ঘটনা কোনো হ্যাক নয়, বরং কারিগরি ত্রুটির কারণেই তথ্যগুলো দেখা যাচ্ছে জানিয়ে পলক বলেন, সাইবার ক্রিমিনালরা কোনো তথ্য নিয়ে গেছে বলে আমরা এখনও প্রমাণ পাইনি। আমরা যেটা পেয়েছি যে সরকারের সেই ওয়েবসাইটটিতে যান্ত্রিক দুর্বলতা ছিল। যার ফলে তথ্যটা খুব সহজেই দেখা যাচ্ছিল।
আরও পড়ুন>> বাফুফে কর্তাদের দুর্নীতির অনুসন্ধান চলবে: আপিল বিভাগ
তিনি বলেন, ২৯টি সংকটপূর্ণ প্রতিষ্ঠান আমরা ঘোষণা করেছিলাম সেটার সংখ্যা কিন্তু ধাপে ধাপে বাড়ছে। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকে সাইবার হামলার পর যাতে আমাদের ৮১ মিলিয়ন ডলার চুরি হয়েছিল, তার পরেই আমরা সাইবার সিকিউরিটির গুরুত্ব অনুভব করতে পেরেছিলাম। এই ২৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৭ নম্বর তালিকায় যেই প্রতিষ্ঠানটিকে আমরা আইডেনটিফাই করেছিলাম সেই প্রতিষ্ঠানটিই কিন্তু এমন অবস্থায় পড়ল।
এর আগে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে উদ্ধৃত করে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের একটি ওয়েবসাইট থেকে দেশের লাখ লাখ নাগরিকের নাম, ফোন নম্বর, ই-মেইল ঠিকানা এবং জাতীয় পরিচিতি নম্বরসহ বিভিন্ন ব্যক্তিগত তথ্য হাতছাড়া হয়েছে মর্মে সংবাদ প্রচারিত হয়েছে।
এ বিষয়ে সরকারের সাইবার ইস্যু দেখভালকারী প্রতিষ্ঠান বিজিডি-ইগভ সার্ট শনিবার (৮ জুলাই) সিচ্যুয়েশনাল অ্যালার্ট জারি করেছে। বিজিডি ই-গভ সার্ট (CIRT) এর জনসংযোগ কর্মকর্তা সুকান্ত চক্রবর্তীর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে লাখ লাখ বাংলাদেশির তথ্য ফাঁসের খবরের পর সার্ট টিম তাৎক্ষণিকভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এর মাধ্যমে সার্ট টিম সাইবার নিরাপত্তার বিষয়ে তার দৃঢ় প্রতিজ্ঞার বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেছে।