আজঃ শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

হুমকির মুখে পদত্যাগ করবো না: কাজী সালাউদ্দিন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৩ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকার পতনের সঙ্গে রাষ্ট্রীয়, সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে লেগেছে রদবদল ও পদত্যাগের হিড়িক। দাবি উঠেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের পদত্যাগেরও। তবে পদত্যাগ করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে বাফুফে প্রধান।

সম্প্রতি আল্ট্রাস নামে বাংলাদেশ ফুটবল সমর্থকদের একটি সংগঠন থেকে সালাউদ্দিনের পদত্যাগের দাবি করা হয়। বাফুফে সভাপতি ছাড়াও মাহফুজা আক্তার কিরন ও সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাম মুর্শেদীরও পদত্যাগ চেয়েছিল সংগঠনটি। ইতিমধ্যে পদত্যাগ করেছেন সালাম মুর্শেদী। তবে পদত্যাগ করতে রাজি নন সালাউদ্দিন।

দেশের একটি সংবাদমাধ্যমকে বাফুফে সভাপতি বলেন, প্রথমত, বাংলাদেশ ফুটবল আল্টার্সের কী ভূমিকা ফুটবলে? আমি ঘোষণা দিয়েছি ২৬ অক্টোবর বাফুফে নির্বাচন হবে। আমি নির্বাচন করতে পারব কিনা তারা বলার কে? তাদের কে অধিকার দিয়েছে আমাকে হুমকি দেওয়ার?

পদত্যাগ করবেন না জানিয়ে সালাউদ্দিন আরও বলেন, আমি পদত্যাগ করছি না। আমি আরও আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। আমি কোন হুমকির মুখে ফুটবল ছাড়ব না।


আরও খবর
ভারত সফরের জন্য বাংলাদেশ দল ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




এখনও দাউ দাউ করে জ্বলছে গাজী টায়ার কারখানা

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

১৪ ঘণ্টা পরও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার গাজী টায়ার কারখানার আগুন। ফায়ার সার্ভিসের ১১ টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে।

রোববার (২৫ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে লাগা আগুনের লেলিহান শিখা এখনও দাউদাউ করে জ্বলছে। থেমে থেমে বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠছে আশপাশের এলাকা।

স্থানীয়দের খবরে ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভানোর কাজে যোগ দিয়েছে ডেমরা, কাঁচপুর, আদমজী ইপিজেড ও কাঞ্চন ফায়ার স্টেশন থেকে একে একে ১১টি ইউনিট।

ভবনটির ভেতরে থাকা স্বজনদের ফেরার অপেক্ষায় পরিবার পরিজনের আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠে কারখানা এলাকা।

স্থানীয়রা বলছেন, সাবেক মন্ত্রী ও গাজী গ্রুপের চেয়ারম্যান গোলাম দস্তগীর গাজীকে গ্রেফতারের পর থেকে কারখানাটিতে গণহারে লুটপাট চলে। লুট করতে গিয়ে শতাধিক মানুষ ভেতরে আটকাও পড়েছেন।

দমকল কর্মকর্তারা জানান, ১১টি ইউনিট একযোগে কাজ করেও আগুন ১৪ ঘণ্টাতেও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। অবকাঠামোগত ও ভেতরে থাকা টায়ার উৎপাদনের দাহ্য পদার্থের কারণে ব্যাপারটি জটিল হয়ে পড়েছে।

আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসলে কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে বলেও জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।


আরও খবর



জৈন্তাপুরে ৬৭ টি ভারতীয় মহিষ আটক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

সিলেটের জৈন্তাপুরে ভারত থেকে অবৈধভাবে আসা ৬৭ টি মহিষ আটক করা হয়েছে। বিজিবি সিলেট সেক্টরের অধীনস্থ সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি) কর্তৃক পরিচালিত বিশেষ অভিযানে এই মহিষগুলো আটক করা হয়েছে।

বিজিবি সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ( ৫ সেপ্টেম্বর) ভোর ৪ টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে,  সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি) এর একটি চৌকষ টহল দল  চোরাচালান বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। আভিযানিক টহল দল সিলেট জেলার জৈন্তাপুর উপজেলার বিরাইমারা ব্রিজ নামক সীমান্ত এলাকা হতে ৬৭ টি ভারতীয় বড় আকারের মহিষ আটক করতে সক্ষম হয়। যার আনুমানিক বাজারমূল্য এক কোটি চৌত্রিশ লক্ষ টাকা। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশের পর বিজিবি টহল দলের টের পেয়ে চোরাকারবারিরা মহিষ ফেলে ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যায়। ফলে বিশেষ অভিযানে কাউকে আটক করা যায়নি।

সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ হাফিজুর রহমান, পিএসসি বলেন, বর্তমান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধকল্পে বিজিবির অভিযানিক কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। আটককৃত ভারতীয় চোরাচালানের ৬৭ টি বড় আকারের মহিষগুলোর পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। মহিষগুলো ৪৮ বিজিবির তামাবিল বিওপির জিম্মায় রাখা হয়েছে। স্থানীয় কাস্টমস প্রতিনিধির উপস্থিতিতে নিলাম কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।


আরও খবর



সালমান-আনিসুল-জিয়াউল ফের ৫ দিনের রিমান্ডে

প্রকাশিত:শনিবার ২৪ আগস্ট 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৪ আগস্ট 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

কলেজছাত্র খালিদ হাসান সাইফুল্লাহকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় লালবাগ থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও চাকুরিচ্যুত সেনা কর্মকর্তা সৈয়দ জিয়াউল আহসানের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ শনিবার (২৪ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসীম রিমান্ডের এই আদেশ দেন।

এর আগে শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এদিন মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ থানার সাব-ইন্সপেক্টর আক্কাস মিয়া। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জসিমের আদালত তার এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ১৩ আগস্ট গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নৌপথে পলায়নরত অবস্থায় রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে সালমান এফ রহমান ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অপরদিকে ১৫ আগস্ট গভীর রাতে ঢাকার খিলক্ষেত এলাকা থেকে জিয়াউল আহসানকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সায়েন্সল্যাবে হকার শাহজাহান হত্যার ঘটনায় নিউমার্কেট থানার মামলায় গত ১৪ আগস্ট সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুনুর রশীদ। একই মামলায় গত ১৬ আগস্ট জিয়াউল হকের ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জু করা হয়। সেই রিমান্ড শেষে আজ তাদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে পুলিশ।


আরও খবর
দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে পুলিশ কর্মকর্তা কাফি

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




পাইপ দিয়ে দায়সারা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ, ঝুঁকিতে ১০ গ্রাম

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলমের নির্দেশ উপেক্ষা করে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ কাটার ৯ দিনের মাথায় পাইপ দিয়ে দায়সারা বাঁধ নির্মাণের অভিযোগ ওঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী সফিকুল মৃধা, মজিবর মৃধা, মোশারফ মৃধা, ইউনুস বেপারী, মজিবর গাজী, ছত্তার হাওলাদার ও নুরজামালসহ তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার তারা পাইপ দিয়ে দায়সারা বাঁধ নির্মাণ করছেন। প্রাকৃতিক জলোচ্ছাস হলে ওই বাঁধ ভেঙ্গে আঠারোগাছিয়া ও হলদিয়া ইউনিয়নের ১০ গ্রামের মানুষ পানিতে তলিয়ে যাবে। দ্রুত দায়সারা বাঁধ নির্মাণ বন্ধ করে টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

জানা গেছে, ১৯৬৯ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন বাসীদের প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করেন। ওই বাঁধের ওপরে ৩০ বছর আগে সড়ক ও জনপথ পাকা রাস্তা নির্মাণ করে। ওই সড়ক দিয়ে গলাচিপা উপজেলার নলুয়াবাগী, গোলখালী, আঠারোগাছিয়া ও হলদিয়া ইউনিয়নের শত শত যানবাহন ও হাজার হাজার মানুষ চলাফেরা করে। গাজীপুর এলাকার পানি নিস্কাশনের জন্য স্থানীয় সরকার গত ৩৫ বছর আগে জিনবুনিয়া খালে ফ্লাসিং স্লুইজ গেট নির্মাণ করে। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালী বাহাদার মৃধা, তার বোন মাফুজা মৃধা ও তাদের সহযোগী ওই ¯স্লুইজগেট আটকে পানি নিস্কাশন বন্ধ করে দেয়।

পরে ওই স্লুইজগেট দখল করে বাড়ী নির্মাণ করেছেন তারা। এতে পশ্চিম গাজীপুর এলাকার পানি নিস্কাশন বন্ধ হয়ে যায়। গত ২৮ আগষ্ট বিকেলে আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফারুক মৃধার চাচাতো ভাই সফিকুল মৃধা, মজিবর মৃধা, মোশারফ মৃধা, ইউনুস বেপারী, মজিবর গাজী, ছত্তার হাওলাদার ও নুরজামালসহ তাদের সহযোগীরা আমতলী-গাজীপুর সড়কের পশ্চিম গাজীপুর আজাহার মাষ্টার বাড়ীর সামনে থেকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ কেটে দেয়।

এতে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। ভোগান্তিতে পরেছে কয়েক হাজার মানুষ। ভোগান্তি লাঘবে এ বাঁধ নির্মাণের নির্দেশ দেয় আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম। কিন্তু বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশ উপেক্ষা করে স্থানীয় ওই প্রভাবশালীরা পাইপ দিয়ে দায়সারা বাঁধ নির্মাণ করেন। প্রাকৃতিক জলোচ্ছাস হলে ওই বাঁধ ভেঙ্গে আঠারোগাছিয়া ও হলদিয়া ইউনিয়নের ১০ গ্রামের মানুষ পানিতে তলিয়ে যাবে। দ্রুত ওই বাঁধ কাটা স্থানে দায়সারা বাঁধ নির্মাণ বন্ধ করে টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

বৃহস্পতিবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, বন্যা নিয়ন্ত্রণ কাটা বাঁধের নিচে পাইপ দিয়ে দায়সারা বাঁধ নির্মাণ করছে স্থানীয়রা।

পশ্চিম গাজীপুর গ্রামের রেজাউল ইসলাম বলেন, যেভাবে দায়সারা বাঁধ নির্মাণ করছে, তাকে প্রাকৃতিক জলোচ্ছাস হলে আঠারোগাছিয়া ও হলদিয়া ইউনিয়নের ১০ গ্রাম পানিতে তলিয়ে যাবে। দ্রুত ওই দায়সারা বাঁধ বন্ধ করে টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন তিনি।

বাধ কাটার সঙ্গে জড়িত সফিউল মৃধা ও মজিবর মৃধা বলেন, ইউএনও স্যার বাঁধ নির্মাণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাই বাঁধ নির্মাণ করছি। কিন্তু পাইপ দিয়ে বাঁধ নির্মাণের নির্দেশ ইউএনও দেয়নি আপনারা কেন তার নির্দেশ উপেক্ষা করে দায়সারা বাঁধ নির্মাণ করছেন এমন প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি তারা।

আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, পাইপ দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করা যাবে না। দায়সারা বাঁধ নির্মাণ করতে নিষেধ করেছি। তারপরও যদি কেউ পাইপ দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করে থাকেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রাকিব বলেন, স্থানীয়রা অন্যায়ভাবে বাঁধ কেটেছে আবার অন্যায়ভাবে পাইপ দিয়ে দায়সারা বাঁধ নির্মাণ করছে। যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও খবর



ঢামেকে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি, জরুরি বিভাগসহ বন্ধ সব সেবা

প্রকাশিত:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঢামেক প্রতিবেদক

Image

চিকিৎসাধীন এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু ঘিরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ঢুকে চিকিৎসকদের মারধর ও জরুরি বিভাগে ভাঙচুরের ঘটনায় সেবা বন্ধ করে দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই নিরাপত্তাহীনতায় হাসপাতালটির জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগসহ সব ওয়ার্ড থেকে চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে দিয়েছেন তারা। এ সময় হাসপাতালে শত শত রোগীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

রোববার সকালে চিকিৎসকরা কজে যোগ দিলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যান তারা। সবশেষ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসাররা তাদের কক্ষ বন্ধ করে দেন এবং জরুরি বিভাগের টিকিট কাউন্টারও বন্ধ করা হয়। এরপর থেকেই ঢাকা মেডিকেলের সামনে ভিড় বাড়তে থাকে রোগীদের। চিকিৎসক না পেয়ে হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে চলে যেতে গেছে দেখা গেছে অধিকাংশ রোগীকে।

শনিবার (৩১ আগস্ট) নিউরো সার্জারি বিভাগের তিন চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় চিকিৎসকরা দোষীদের সিসি টিভি ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দেন। অন্যথায় ২৪ ঘণ্টা পর তারা কর্মবিরতিতে যাবেন বলে ঘোষণা দেন।

জানা যায়, শনিবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস টেকনোলজির (বিইউবিটি) শিক্ষার্থী আহসানুল হক দীপ্তর মৃত্যু হয়। এরপর ওই শিক্ষার্থীর পরিবার এবং বিইউবিটির শিক্ষার্থীরা ঢাকা মেডিকেলে আসেন। ঢাকা মেডিকেলে এসে তারা দাবি করেন, অবহেলার কারণে তাদের বন্ধু মারা গেছেন। পরে বিকালে দীপ্তর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে অপারেশন থিয়েটারে ঢুকে চিকিৎসকদের মারধর করা হয়। এ সময় আহত হন নিউরো সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ইমরান, মাশরাফি ও জুবায়ের। এ ঘটনায় শনিবার রাতেই ক্ষুব্ধ চিকিৎসকরা ঢাকা মেডিকেলে উই ওয়ান জাস্টিস স্লোগান দিয়ে হাসপাতাল কম্পাউন্ডে মিছিল করেন এবং দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি করেন বলে জানা যায়।

এ ছাড়া ওইদিন মধ্যরাতে খিলগাঁও সিপাহীবাগ এলাকা থেকে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহতরা ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিতে আসেন। পরে অন্য আরেক গ্রুপ চাপাতিসহ হাসপাতালে জরুরি বিভাগের ভেতরে ঢুকে যায়। এ সময় হাতেনাতে চারজনকে আটক করে সেনাবাহিনীকে দেয় কর্তৃপক্ষ।


আরও খবর