আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

হৃদরোগ-স্ট্রোকে মারা গেছেন বিএনপি নেতা রশিদ: পুলিশ সুপার

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ২৫ ডিসেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
পঞ্চগড় প্রতিনিধি

Image

পঞ্চগড়ে গণমিছিলে বিএনপির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ১২ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৩৭ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এ সংঘর্ষ ঘটে। এ সময় পুলিশের গুলিতে আব্দুর রশিদ আরেফিন (৪৫) নামের এক নেতা নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ বিএনপির। তবে পুলিশের দাবি, ওই ব্যক্তি হৃদরোগ ও স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

মিছিলে অংশ নেওয়া যুবদলকর্মী আব্দুস সবুর বলেন, মিছিল শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ আমাদের ব্যানার ছিঁড়ে নেয় এবং লাঠিচার্জ শুরু করে। তারা কাদানে গ্যাস ছোড়ে। আমরা পালানোর চেষ্টা করি। নিহত আরেফিনও পালানোর চেষ্টা করেন। পুলিশ আমাদের বেধড়ক মারধর করেন। আরেফিন সেখানেই অসুস্থ হয়ে লুটিয়ে পড়েন।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ বলেন, সারাদেশের মতো পঞ্চগড়েও গণমিছিল বের করা হয়। কিন্তু পুলিশ শান্তিপূর্ণ মিছিলে বাধা দেয়। এতে বোদা উপজেলার ময়দানদীঘি ইউনিয়ন বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রশিদ আরেফিন মারা যান। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার বাড়ি পাথরাজ এলাকায়। রশিদের মরদেহ দলীয় নেতাকর্মীদের দেখতে দেওয়া হচ্ছে না। তার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন আছে এটা আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারি। এছাড়া মিছিল থেকে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে বলেও অভিযোগ করেছেন বিএনপির এ নেতা।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাহিরুল ইসলাম কাচ্চু বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ মিছিল শুরু করি। পুলিশ বিনা উসকানিতে আমাদের ঠেলতে শুরু করে এবং ব্যানার ছিনিয়ে নেয়। পুলিশ আমাদের ধাক্কা দেয় এবং আমাকেও দুটি বাড়ি দেয়। এ সময় পেছন থেকে নেতাকর্মীরা এগিয়ে এলে সংঘর্ষ শুরু হয়।

তবে শনিবার রাতে এক প্রেসব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল না করায় পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের বাধা দেয়। তারা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ শাট গানের ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল ছোড়ে। সংঘর্ষের ঘটনায় আমাদের ১০-১২ জন সদস্য এবং তাদের ২০-২৫ জন আহত হয়েছেন। বিএনপির আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে গেছে। রশিদ আরেফিন নামের এক ব্যক্তি নিহতের অভিযোগ করেছে বিএনপি। তবে তিনি পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় মারা যাননি। তিনি আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন। তার বেশ কয়েকবার বাইপাস সার্জারি হয়েছে।

সিরাজুল হুদা বলেন, সংঘর্ষের ঘটনা ছিল বিকেল সাড়ে ৩টায় আর মারা যাওয়া ওই ব্যক্তি পঞ্চগড় কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে দুপুর আড়াইটায় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে ইসিজি করা হয় এবং জানা যায় তিনি মারা গেছেন। রশিদের পরিবার এবং হাসপাতালের চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, তিনি হৃদরোগ ও স্ট্রোকজনিত কারণে মারা গেছেন।

আরেফিনের ভাই আবুল কালাম আজাদ লিটন বলেন, আমার ভাইয়ের বাইপাস সার্জারি করা হয়েছে। তবে তিনি সুস্থ ছিলেন এবং গণমিছিলে এসেছিলেন বলে জেনেছি। আমাকে বল হয়েছে রোববার মরদেহের সুরতহাল করা হবে। এরপর ভাইয়ের মরদেহ বুঝে পাবো বলে পুলিশ জানিয়েছে।

পঞ্চগড়ের সিভিল সার্জন রফিকুল হাসান জাগো নিউজকে বলেন, আব্দুর রশিদ আরেফিন নামে মারা যাওয়া ব্যক্তিকে বিকেল ৪টার দিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তার শরীরে তেমন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। বুকে প্রিভিয়াস সার্জারির দাগ ছিল। ময়নাতদন্ত করলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

নিউজ ট্যাগ: পঞ্চগড়

আরও খবর



পাকিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৫ চীনা নাগরিক নিহত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পাকিস্তানের একটি বাঁধ প্রকল্পে কাজ করা চীনা প্রকৌশলীদের একটি গাড়িবহরে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৬ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৫ জন চীনা প্রকৌশলী এবং একজন পাকিস্তানি ড্রাইভার।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে এই ঘটনা ঘটেছে। একটি শীর্ষ পুলিশ সূত্রের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।

এক সপ্তাহের মধ্যে পাকিস্তানে চীনা স্বার্থের ওপর তৃতীয় বড় হামলার ঘটনা এটি।

প্রথম দুটি হামলা বেলুচিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রদেশের একটি বিমানঘাঁটি এবং একটি কৌশলগত বন্দরে ঘটে। সেখানে অবকাঠামো প্রকল্পে কোটি কোটি টাকার বিনিয়োগ করছে চীন।

আঞ্চলিক পুলিশ প্রধান মোহাম্মদ আলী গন্ডাপুর রয়টার্সকে জানিয়েছেন, হওয়া ওই প্রকৌশলীরা ইসলামাবাদ থেকে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের দাসুতে বাঁধ নির্মাণের স্থানে তাদের ক্যাম্পে দিকে যাচ্ছিলেন। গন্ডাপুর বলেন, হামলায় পাঁচ চীনা নাগরিক এবং তাদের পাকিস্তানি ড্রাইভার নিহত হয়েছে।

দাসু একটি বড় বাঁধের স্থান এবং এলাকাটিতে এর আগেও হামলা হয়েছে। সেখানে ২০২১ সালে একটি বাসে বিস্ফোরণের ঘটনায় ৯ চীনা নাগরিকসহ ১৩ নিহত হয়েছিল।


আরও খবর



প্রথম সিনেমা ফ্লপ, যা বললেন মন্দিরা

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

নাটকের অভিনেত্রী মন্দিরা চক্রবর্তী। প্রথমবার সিনেমায় অভিনয় করেছেন প্রায় তিন বছর আগে। নাম কাজলরেখা। ময়মনসিংহ গীতিকা অবলম্বনে তৈরি এ সিনেমায় নামভূমিকায় অভিনয় করেছেন মন্দিরা। গিয়াউদ্দিন সেলিম পরিচালিত এ সিনেমাটি ঈদে মুক্তি পেয়েছে।

কিন্তু মুক্তির পর আশানুরূপ সাফল্য পায়নি। ঈদসিনেমার ভিড়ে যে কটি প্রেক্ষাগৃহ ভাগে পেয়েছে, সেখানে দর্শকদের যেতে যেন খুব কষ্ট! মোট কথা, ঈদে কাজলরেখা ফ্লপ। কিন্তু যে কজনই সিনেমাটি দেখেছেন, তারা মন্দিরার অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন। নিজের অভিনীত প্রথম সিনেমা নিয়ে অভিনেত্রীও বেশ সন্তুষ্ট।

তিনি বলেন, জীবনের প্রথম সিনেমায়ই নামভূমিকায় অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছি। এটা আমার জন্য অনেক বড় একটি বিষয় ছিল। সেলিম ভাইয়ের প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমার প্রত্যাশা ছিল, সিনেমাটি দর্শকের কাছে ভালো লাগবে। বিশেষত আমার চরিত্রটি। দর্শক আমার অভিনয়ে মুগ্ধ হয়েছেন, এটাই আমার প্রাপ্তি। আমি যে অনেক শ্রম দিয়েছি, কষ্ট করেছি-দর্শকের কাছ থেকে তার বিপরীতে যে ভালোবাসা, যে সম্মান আমি পেয়েছি, তাতে সত্যিই মুগ্ধ।

সেরা নাচিয়ে খ্যাত মডেল, অভিনেত্রী মন্দিরা চক্রবর্তী ২০১২ সাল থেকে মিডিয়াতে কাজ করছেন। ওয়াহিদ আনামের নির্দেশনায় প্রতিযোগিতা নাটকে তিনি প্রথম অভিনয় করেন। এরপর বিভিন্ন পরিচালকের নির্দেশনায় তিনি মোশাররফ করিম, তাহসান, আফরান নিশোর বিপরীতেও অভিনয় করেছেন।


আরও খবর



ফের বাংলাদেশে তিন মিয়ানমার সেনা সদস্যের অনুপ্রবেশ

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কক্সবাজার প্রতিনিধি

Image

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘাতের জেরে ফের দেশটির সেনাবাহিনীর তিন সদস্য বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। তারা বিজিবির হেফাজতে রয়েছে।

শনিবার (৩০ মার্চ) ভোরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে তারা। তাদের সঙ্গে থাকা অস্ত্র জমা নেওয়ার পর বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন চৌধুরী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর তিন সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত খবর নেওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে বিজিবির দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তা কথা বলতে রাজি হননি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিজিবির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তিনজনকে হেফাজতে নেওয়ার পর বিজিবি সদর দপ্তরে অবহিত করা হয়েছে। পরে বিস্তারিত বলা যাবে।

এর আগে ১১ মার্চ নাইক্ষ্যংছড়ির জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে এসেছিল ১৭৯ জন মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্যরা। তারাও নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবি ব্যাটালিয়নে রয়েছে। তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

প্রসঙ্গত, ২ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তের ওপারে আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সংঘর্ষ শুরু হয়। এর জেরে ৪ থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশে পালিয়ে আসে বিজিপিসহ ৩৩০ জন। যার মধ্যে ৩০২ জন বিজিপি সদস্য, চারজন বিজিপি পরিবারের সদস্য, দুজন সেনা সদস্য, ১৮ জন ইমিগ্রেশন সদস্য ও চারজন বেসামরিক নাগরিক। তাদের ১৫ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরত পাঠানো হয়।


আরও খবর



নিকারাগুয়ার অ্যাটর্নি জেনারেলের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

নিকারাগুয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল ওয়েন্ডি ক্যারোলাইনা মোরালেস আরবিনার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করা সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট ডানিয়েল ওর্তেগা, তার স্ত্রী ও ভাইস প্রেসিডেন্ট রোজারিও মুরিলোর নিষ্ঠুর নিষ্পেষণে সমর্থন দেয়ায় তার ভূমিকার জন্য এই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল মোরালেস আরবিনা বিরোধী কণ্ঠকে নীরব করে দিয়েছেন এবং কমপক্ষে ৩০০ নাগরিকের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছেন। নির্বাসনে থাকা জেলপ্রাপ্ত রাজনৈতিক বন্দিদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়ায়ও সমর্থন দিয়েছেন তিনি।

বিবৃতিতে বলা হয়, ইচ্ছাকৃতভাবে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের কমপক্ষে আড়াইশ গ্রুপসহ কমপক্ষে ৩৫০০ নাগরিক সমাজের সংগঠনকে বন্ধ করে দেয়ার জন্য দায়ী আরবিনা। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ওর্তেগা-মুরিলো শাসকগোষ্ঠীর ভিত্তিহীন অভিযোগে আক্রমণের অংশ মোরালেস আরবিনা। এসব সংগঠনের বিরুদ্ধেও মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। ধর্মীয় নেতাদের অন্যায়ভাবে বন্দি করা হয়েছে। নিকারাগুয়ান সরকার এবং তার সহযোগীদের জঘন্য আচরণের জন্য জবাবদিহিতা উন্নীত করার জন্য আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছি।


আরও খবর



শুক্রবারের বিশেষ ৪ আমল

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

জুমার দিন বা শুক্রবার মুসলমানদের কাছে পবিত্র ও সর্বশ্রেষ্ঠ দিন, সপ্তাহের ঈদের দিন। ইসলামে বিশেষ মর্যাদা রয়েছে এ দিনের। সব দিনের মধ্যে জুমাবারকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন আল্লাহ তাআলা। কোরআন ও হাদিসে এ দিনের বিশেষ সম্মান ও মর্যাদার কথা উল্লেখ রয়েছে। জুমার দিনে অনেকেই বিভিন্ন আমল করার চেষ্টা করেন, শুধু আল্লাহকে খুশি করার জন্য।

রাসুল (সা.) বলেছেন, জুমার দিন অন্য দিনগুলোর মধ্যে শ্রেষ্ঠ। জুমার দিন আল্লাহ তাআলার কাছে সবচেয়ে মহান দিন। এমনকি এ দিন আল্লাহ তাআলার কাছে ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর তথা ইসলামের দুই ঈদের দিন থেকেও মহান। (সুনানে ইবনে মাজা)

আরেক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ এ দিনটিকে মুসলমানদের জন্য ঈদের দিনরূপে নির্ধারণ করেছেন। তাই যে ব্যক্তি জুমার নামাজ আদায় করতে আসবে সে যেন গোসল করে এবং সুগন্ধি থাকলে তা শরীরে লাগায়। মিসওয়াক করাও তোমাদের কর্তব্য। (সুনানে ইবনে মাজা)

জুমার দিন একজন মুসলমান বিশেষ চারটি আমলে ‍গুরুত্ব দিতে পারেন। আমলগুলো হলো

সূরা কাহাফ তিলাওয়াত:

জুমার দিনে সুরা কাহাফ তিলাওয়াতের অনেক গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছে। হাদিসে বর্ণনা করা হয়েছে, যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করবে, তার (ঈমানের) নূর এ জুমা হতে আগামী জুমা পর্যন্ত চমকাতে থাকবে। (মিশকাত ২১৭৫)।

হজরত আবু দারদা রা. থেকে বর্ণিত, নবী সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি সুরা কাহাফের প্রথম দশ আয়াত মুখস্থ করবে সে দাজ্জালের ফিতনা থেকে নিরাপদ থাকবে। (সহিহ মুসলিম : ৮০৯, আবু দাউদ : ৪৩২৩)

হজরত আলী রা. থেকে বর্ণিত, নবী সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করবে, সে ৮ দিন পর্যন্ত সব ধরনের ফিতনা থেকে নিরাপদ থাকবে। যদি দাজ্জাল বের হয় তবে সে দাজ্জালের ফিতনা থেকেও নিরাপদ থাকবে।

বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা:

জুমার দিনের ফজিলতপূর্ণ আরেকটি আমল হচ্ছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা। রাসুল (সা.) বলেন, দিনসমূহের মধ্যে জুমার দিনই সর্বোত্তম। এ দিনে আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে। এই দিনে তিনি ইন্তেকাল করেছেন। এ দিনে শিঙ্গায় ফুঁ দেওয়া হবে। এ দিনে সমস্ত সৃষ্টিকে বেহুঁশ করা হবে। অতএব তোমরা এ দিনে আমার ওপর অধিক পরিমাণে দরুদ পাঠ করো। কেননা, তোমাদের দরুদ আমার সম্মুখে পেশ করা হয়ে থাকে। (আবু দাউদ, হাদিস : ১০৪৭)

তাড়াতাড়ি মসজিদে আগমন:

হজরত আউস ইবনে আউস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূল সা.-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করাবে (জুমার নামাজের পূর্বে স্ত্রী-সহবাস করে তাকেও গোসল করাবে) এবং নিজেও গোসল করবে অথবা উত্তমরূপে গোসল করবে। এরপর ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মসজিদে আসবে, আসার সময় হেঁটে আসবে, কোনো বাহনে চড়বে না, ইমামের কাছাকাছি বসবে, এরপর দুটি খুতবা মনোযোগ দিয়ে শুনবে এবং (খুতবার সময়) কোনো অনর্থক কাজকর্ম করবে না, সে মসজিদে আসার প্রতিটি পদক্ষেপে একবছর নফল রোজা ও একবছর নফল নামাজের সওয়াব পাবে। (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৪৫)

দোয়া করা:

জুমার দিনের দোয়া আল্লাহ তায়ালা কবুল করেন। তাই এদিন আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করা জরুরি। হজরত জাবের ইবনে আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, জুমার দিনে এমন একটা সময়ে রয়েছে, যাতে আল্লাহর বান্দা আল্লাহর ক‍াছে যা চাই আল্লাহ তাই দেন। অতএব তোমরা আছরের শেষ সময়ে তা তালাস করো। (আবু দাউদ, হাদিস : ১০৪৮, নাসাঈ, হাদিস : ১৩৮৯)


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

আজ পবিত্র ঈদুল ফিতর

বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪