আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

হলুদ তরমুজ চাষে ১০ গুণ বেশি লাভ দেখছেন জয়পুরহাটের চাষিরা

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

জয়পুরহাট প্রতিনিধি:

কৃষির উপর নির্ভরশীল দেশের উত্তরের জেলা জয়পুরহাট। ধান ও আলুর উৎপাদনে উদ্বৃত্ত জেলা জয়পুরহাটের কৃষকরা এবার গ্রীষ্মকালীন তরমুজ ইয়োলো, গ্রিন, বস্ন্যাকবেরি, মধুমালা, জেসমিন ও তইওয়ানের গোল্ডেন ক্রাউনসহ কয়েক রকমের তরমুজ চাষে সফলতা অর্জন করেছে। কম খরচে অধিক লাভ আর বারোমাস ফলন হওয়ায় এ তরমুজ চাষে ঝুঁকছেন এই অঞ্চলের চাষিরা। নিজ জেলার চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি বানিজ্যিকভাবে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মাচা পদ্ধতিতে বিদেশী নানান জাতের এই তরমুজের চাষ।

পাঁচবিবি উপজেলার শিরট্টি, ভূতড়াড়ি ও মাধাইনগর এলাকার কয়েকটি গ্রাম ঘুরে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় অন্য ফসল বাদ দিয়ে অসময়ের ফসল এ তরমুজ চাষে ঝুঁকছেন এলাকার কৃষকরা। সাধারন  অসময়ে ক্ষেতে তরমুজ মাচায় মাচায় ঝুলছে চায়না ও থাইলান্ডের মধুমালা আর তৃপ্তি জাতের তরমুজ। বাজার মূল্য অনেক ভালো হওয়ায় ধানসহ অন্যান্য ফসল বাদ দিয়ে কালচে ও হলুদ রঙের তরমুজ চাষে ঝুঁকছেন এখানকার কৃষকরা। খাদ্য গুণাগুণে সমৃদ্ধ এ ফলের ভেতরে দেখতে লাল ও রসাল, খেতেও অনেক সুস্বাদু এবং মিষ্টি। ফলে বাজারে এ তরমুজের চাহিদাও অনেক বেশি। বর্তমানে এ তরমুজ জেলার বিভিন্ন আনাচে-কানাচে বিক্রির পাশাপাশি পাঠানো হচ্ছে ঢাকা সহ  দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।

জেলার পাঁচবিবি উপজেলার আওলাই ইউনিয়নের ভূতগাড়ি গ্রামের সোহেল, সুজাউল, ডাবলু, দুলু মিয়াসহ অনেকেই বিদেশী জাতের এই তরমুজের চাষ করছেন। জমিতে বেড করে মাটির সঠিক আদ্রতা ধরে রাখতে মালচিং পেপার দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। ১৮ ইঞ্চি ফাঁকে জুন মাসে চায়না ও থাইল্যান্ডের মধুমালা আর তৃপ্তি জাতের তরমুজের বীজ রোপন করেন কৃষকেরা। পুরো ক্ষেতে বাঁশের খুঁটির উপরে চিকন দড়ি জালের মতো করে বিছিয়ে মাচা তৈরী করা হয়েছে। মাত্র ৪০ দিনের মধ্যে গাছে ফুল ও কুঁড়ি আসে। আর ৭০-৮০ দিনে পরিপক্ক হয়ে মাচার ডগায় ডগায় ঝুলে পড়ে হলুদ, কালো, ডোরাকাটা নীল রঙের এ তরমুজ। ওইসব তরমুজের ওজন আড়াই থেকে চার কেজি হয়। এখানকার তরমুজগুলো বিষ ও ফরমালিন মুক্ত ও পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ বলে দাবী চাষিদের। চহিদা বেশি, ভলো দাম পাওয়ায় খুশি বলেও জানান তারা। অন্যান্য ফসলের মতো তরমুজ বিক্রির জন্য বাজারে যেতে হয় না। ব্যবসায়ীরা ক্ষেত থেকে সরাসরি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

হাজীপাড়া গ্রামের সফল তরমুজ চাষি পাপ্পু মন্ডল বলেন, পাশের গ্রাম ভূতগাড়ী এলাকায় তরমুজ চাষ হচ্ছে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে আমার ১০ শতাংশ জমিতে বেড করে চায়না ও থাইল্যান্ডের মধুমালা জাতের তরমুজের বীজ বপন করি। ৪০দিনের মধ্যে গাছে প্রচুর ফুল ও কুড়ি আসে। এখন মাচায় ডোগায় ডোগায় দোল খাচ্ছে আড়াই থেকে চার কেজি ওজনের তরমুজ। তরমুজগুলো কাটলে ভেতরে টুকটুকে লাল, রসাল আর খেতে মিষ্টি ও খুব সুস্বাদু। বর্তমানে বাজারে এ তরমুজের চাহিদা অনেক বেশি, দামও ভালো পাওয়া যাচ্ছে। প্রতিটি তরমুজ গড়ে ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রী হচ্ছে। খরচ বাদে প্রায় দেড় লাখ টাকার তরমুজ বিক্রী করার আশা করছেন পাপ্পু মন্ডল।

পাশের তরমুজ চাষি দোলন কুমার বলেন, এক ময় ধান, আলু, বেগুনসহ অন্যান্য ফসল আবাদ করতাম। অনেকেই বিদেশী জাতের তরমুজ চাষ করছে দেখে আমি এবার পরীক্ষামূলকভাবে ১ বিঘা জমিতে তিন রকম জাতের তরমুজ চাষ করেছি। ১ বিঘায় খরচ হয়েছে ১২ হাজার টাকা। এ পর্যন্ত প্রায় এক লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি হয়েছে বলে জানান দোলন কুমার। তিনি বলেন- জমিতে থাকা তরমুজ বিক্রি হবে আরও প্রায় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা। সবকিছু মিলিয়ে খরচ বাদে প্রতি বিঘা জমিতে লাভ থাকবে প্রায় ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা।

এদিকে দেখা গেল তরমুজের ক্ষেত দেখতে ভিড় করছেন বিভিন্ন এলাকার লোকজন। আবার কেউ কেউ তরমুজ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন জমি থেকে। অসময়ে এ তরমুজ বাজারে বিক্রি হয় ৮০-৯০ টাকা কেজি দরে এবং জমির পাশে রাস্তায় বিক্রি হয় প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকা দরে।

কথা হয় তরমুজ ক্ষেত দেখতে আসা ইলিয়াস, আলমগীর হোসেন, কনকসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা বেশ কয়েক জনের সঙ্গে। তারা বলেন, অসময়ে তরমুজ চাষ হচ্ছে এবং এর ফলনও বেশ ভালো। এছাড়া স্বাদ ও গুনগতমান ভালো হওয়ায় এখন আগ্রহভরে তরমুজ চাষের জন্য পরমর্শ নিতে আমাদের মতো অনেকেই আসছেন।

জয়পুরহাট পৌরশহরের তরমুজ ব্যবসায়ী সুমন কুমার বলেন, আওলাই ইউনিয়নের উৎপাদিত তরমুজগুলোর গুনগত মান অনেক ভালো। এ এলাকার তরমুজগুলো বিষ ও ফরমালিন মুক্ত হওয়ায় ক্রেতাদের চাহিদা অপনেক বেশি। বর্তমানে প্রতি মণ তরমুজ ১ হাজার ৮শ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত কিনে ঢাকা, রাজশাহী, বগুড়া, নওগাঁ, নাটোর সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানো হচ্ছে।

জানা গেছে, ২০১৮ সালে স্থানীয় বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা এহেড সোস্যাল অর্গানাইজেশন এসো সর্ব প্রথম জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার আওলাই ইউনিয়নের ভাড়াহুত গ্রামের কৃষক আবু মুসা মাত্র আড়াই শতক জমিতে মাচায় বস্ন্যাকবেরি মধুমালা তরমুজ চাষ শুরু করেন। মাত্র ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা খরচ করে এ তরমুজের চাষ করে ৭০ দিনে লাভ হয় ২২ হাজার টাকা। তার এ সাফল্য দেখে জেলার বিভিন্ন এলাকায় তরমুজ চাষ চড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে জেলার তিনটি উপজেলার বিভিন্ন  এলাকায় প্রায় ৪০০ বিঘার বেশি জমিতে এই তরমুজের চাষ চলছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ শফিকুল ইসলাম ও এসো এনজিও নির্বাহী পরিচালক মোঃ মতিনুর রহমান বলেন, কৃষি অফিস ও এনজিওর উদ্বুদ্ধকরনের মাধ্যমে এলাকার কৃষকেরা অসময়ে মাচায় তরমুজ চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। ফলে আগামী বছরে এ জাতের তরমুজ চাষে কৃষকদের আগ্রহ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

তিনি জানান, জেলার তিনটি উপজেলয় প্রায় ৪০০ বিঘারও বেশি জমিতে এবার মাচায় তরমুজ চাষ হয়েছে। ইয়োলো, গ্রিন, বস্ন্যাকবেরি, মধুমালা, জেসমিন ও তাইওয়ানের গোল্ডেন ক্রাউনসহ কয়েক জাতের তরমুজ চাষ এখানে হচ্ছে। এলাকারয় তরমুজ চাষের জন্য কৃষকদের উন্নত জাতের বীজ সংগ্রহের পরামর্শ এবং বালাইনাশক ব্যবহারের ক্ষেত্রে উপযুক্ত প্রশিক্ষণের মাধমে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। নতুন পদ্ধতির এ তরমুজ চাষ করে বাড়তি আয় হওয়ায় অর্থনৈতিকভাবেও স্বাবলম্বী হচ্ছেন জেলার কৃষকরা। সফল হওয়ায় এ তরমুজ চাষ নিয়ে এলাকার কৃষকের মাঝে ব্যাপক সাড়া পড়েছে।


আরও খবর



ঈদের আগে পুলিশের ২০ কর্মকর্তার পদোন্নতি

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি পেয়েছেন ২০ জন কর্মকর্তা। সোমবার (৮ এপ্রিল) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব মাহবুবুর রহমান শেখ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের নিম্নবর্ণিত কর্মকর্তাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি দেয়া হলো। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা হচ্ছেন— সহকারী পুলিশ সুপার সাইদুর রহমান, এটিএম আমিনুল ইসলাম আবু ছালেহ মো. আনছার উদ্দীন, গোলাম রহমান, সাইকুল আহম্মেদ ভুইয়া, আশরাফ হোসেন, রেজাউল হাসান, আব্দুল করিম, ছয়রুদ্দীন আহম্মেদ, মনজুরুল আলম, জানে আলম খান, মোস্তাফিজুর রহমান, রেজাউল হক, আজিজুল হক, ফিরোজ আহমেদ, মাহবুব উর রশীদ, হুমায়ূন কবীর, সৈয়দ রুহুল ইসলাম, হুমায়ূন কবির ও রিয়াজ হোসেন।


আরও খবর
জিআই সনদ পেল দেশের ১৪ পণ্য

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিল জ্যামাইকা

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্যারিবিয়ান দ্বীপরাষ্ট্র জ্যামাইকা। গাজায় ইসরায়েলের চলমান হামলা, নির্বিচারে মানুষ হত্যা এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকট নিয়ে চরম উদ্বেগের প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নিল দেশটি।

মঙ্গলবার জ্যামাইকার পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্যমন্ত্রী কামিনা জনসন স্মিথ এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সূত্র : জ্যামাইকা অবজার্ভার এবং আলজাজিরা

জ্যামাইকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জ্যামাইকা। সিদ্ধান্তটি জাতিসংঘ সনদের নীতিগুলোর প্রতি জ্যামাইকার দৃঢ় প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পাশাপাশি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের স্বীকৃতি প্রদানকে সমর্থন করে।

জ্যামাইকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তার দেশ সামরিক পদক্ষেপের পরিবর্তে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান’ দেখতে চায়।

উল্লেখ্য, জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ১৪২তম দেশ হিসেবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিল জ্যামাইকা।

গত মার্চের শেষ সপ্তাহে বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে এক বৈঠকের পর যৌথ ঘোষণায় ইউরোপের চার দেশ স্পেন, আয়ারল্যান্ড, স্লোভেনিয়া ও মাল্টার প্রধানমন্ত্রীরা জানান, তাদের দেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত। তারা সে সময় বলেন, যুদ্ধকবলিত এ অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের একমাত্র উপায় এটি।


আরও খবর



অস্থির আলুর বাজার, কেজিতে বেড়েছে ১২ টাকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

ঈদের পর অস্থির হয়ে উঠেছে আলুর বাজার। কেজিতে ১২-১৫ টাকা বেড়ে আলুর দাম হাফ সেঞ্চুরিতে ঠেকেছে। এর নেপথ্যে সিন্ডিকেটের কারসাজি বলে অভিযোগ করেছেন দোকানদার ও ক্রেতারা। রাজধানীর বেশ কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

ক্রেতারা বলছেন, আলুর বাজার সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এই সময় সাধারণত আলু ২০ টাকা কেজি থাকার কথা। কিন্তু সেই আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকায়। অথচ সরকার আলুর দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে ২৯ টাকা। 

কচুক্ষেত্র বাজারের আলু বিক্রেতা আমিনুল বলেন, রমজানের আগে থেকে বাড়তি দামে আলু বিক্রি করছি। এখন আলুর মৌসুম। তারপরও আলু বিক্রি করছি ৪৫-৪৮ টাকা। কোথাও ৫০-৫২ টাকায় বিক্রি করছে। তিনি বলেন, শুধু ঈদের ছুটিতে প্রতিকেজি আলুর দাম বেড়েছে ১০-১৫ টাকা। বাজারের এই অস্থিরতার পেছনে সিন্ডিকেটের কারসাজি রয়েছে বলে অভিযোগ তার।

আলু ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, মৌসুমের শুরুতেই দাম ৫০ টাকা হওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। মজুতদাররা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে অস্থিতিশীল করছেন বাজার। দাম নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবিও করেন তারা।

জয়নাল নামের এক ক্রেতার অভিযোগ, ঈদের আগে ৩৮ টাকার আলু এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৫০ টাকা ছাড়িয়ে। হঠাৎ করে আলুর দাম ১২ টাকা কেজিতে বেড়ে যাওয়ার কোনো কারণ দেখছি না।

আলুর দরে অস্থির হলেও অন্যান্য সবজির দাম বাড়েনি। বরং ঈদের পর কিছু সবজির দাম কমেছে। বাজারের ঘুরে দেখা গেছে, চিচিংগা ৫০ টাকা, করলা ৫৫-৬০ টাকা, কাঁচা পেপে ৫৫ টাকা, কাঁচা কলা ৪০ টাকা হালি, মিষ্টি কুমড়া ৩২ টাকা কেজি, সব ধরনের বেগুন ৫৫-৬০ টাকা কেজি, কাঁচা মরিচ ৮০-৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। লাল শাক আগে দরে ১০ টাকা প্রতি আঁটি বিক্রি হচ্ছে। লেবু ৪০-৪৫ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে। সবচেয়ে স্বস্তি টমোটতে। শেষ সিজনে টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকা কেজি দরে। গাজর ৮০-৮৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে শসা ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, কচুর লতি ৭০ টাকা বান্ডিল, কচুর মুখি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া এক পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়।

ঈদের পর মাছের দাম একটু চড়া। ঈদের ছুটি ও সরবরাহ কম থাকার সব ধরনের মাছের দাম কেজি ২০-৫০ টাকা বেড়েছে। দেশি রুই ঈদের পর ১০-১৫ টাকা বেড়ে ৩৫০-৩৬০ (মিডিয়াম) টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে দুই কেজির বেশি ওজনের রুই বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা কেজি। একইভাবে কাতলা মিডিয়াম ৩৮০-৩৯০, পাংগাস ২২০ টাকা, সরপুঁটি ২৪০, তেলাপিয়া ২৪০, টেংরা দেশি ৫৫০-৫৭০ টাকা, দেশি মিক্স মাছ ৩৮০-৩৯০ টাকা, কই মাছ ৩৯০, পাবদা ৪৩০ টাকা, গলদা চিংড়ি বড় ১০০০ টাকা, ছোট ও মাঝারি বোয়াল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬২০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি। আর মলা মাছ ৪০০ টাকা, মাঝারি সাইজের পাবদা মাছ ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


আরও খবর



ঢাকার বায়ু আজও অস্বাস্থ্যকর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বায়ুদূষণের শীর্ষে উঠে এসেছে ভারতের দিল্লি। আর দূষণমাত্রার দিক থেকে তালিকায় বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অবস্থান তৃতীয়।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল ৯টা ৭ মিনিটে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক থেকে জানা গেছে এ তথ্য।

বুধবার ১৯৫ স্কোর নিয়ে তালিকায় ঢাকার অবস্থান ছিল দ্বিতীয় এবং বায়ুর মান ছিল অস্বাস্থ্যকর।

বৃহস্পতিবার তালিকার শীর্ষে অবস্থান করা দিল্লির বায়ুর মানের স্কোর হচ্ছে ১৭৯ অর্থাৎ সেখানকার বায়ু অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই। শহরটির স্কোর হচ্ছে ১৭০ অর্থাৎ সেখানকার বায়ুর মানও অস্বাস্থ্যকর। সূচকের তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ঢাকা এবং ঢাকার স্কোর হচ্ছে ১৬৯। এর অর্থ দাঁড়ায় এখানকার বায়ুর মানও আজ অস্বাস্থ্যকর।

স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর।

১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।


আরও খবর
বৃষ্টি কবে থেকে, জানাল আবহাওয়া অফিস

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪

ফের দেশজুড়ে ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




পাহাড়ের বৈসাবির আয়োজন রাজধানীতে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকায় পাহাড়িদের বৈসাবি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার রাজধানীর রমনাপার্ক লেকে ফুল ভাসিয়ে তিন পার্বত্য জেলার নারী-পুরুষেরা এ অনুষ্ঠান উদযাপন করেন। এর আগে সকালে রাজধানীর বেইলি রোডে আনুষ্ঠানিকভাবে বৈসাবি উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মশিউর রহমান এনডিসি। অনুষ্ঠানে ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি বিধান ত্রিপুরাসহ সরকারের অন্যান্য পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

রাজধানীর রমনা লেকে ফুল ভাসিয়ে বৈসাবি বরণ শেষে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মশিউর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, বৈসাবি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠীর মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরও দৃঢ় হবে। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামবাসীদের আমি আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। বৈসাবি মূলত বর্ষবরণ ও পাহাড়িদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সম্মিলন। বৈসাবির ঐতিহ্য সমতলের মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য প্রতিবছর ঢাকায় এই আয়োজন করা হয়ে থাকে।

তিনি বলেন, এই অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ববোধ ও আস্থা সুদৃঢ় হয়। যার মাধ্যমে পার্বত্যাঞ্চলের শান্তি আরও সুদৃঢ় হবে। পক্ষান্তরে এটি দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।

এডিশনাল ডিআইজি বিধান ত্রিপুরা সাংবাদিকদের বলেন, ত্রিপুরাদের বৈসু, মারমাদের সাংগ্রাই ও চাকমাদের বিজু- এই তিন সম্প্রদায়ের সমন্বয়ে বৈসাবি। ত্রিপুরা, মারমা ও চাকমারা ধর্মীয়ভাবে সংখ্যাধিক্য। এই তিন ধর্মাবলম্বীদের পাহাড়ের অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে ধর্মীয় ও সামাজিক জীবন-যাপনের মিল রয়েছে বিধায় পাহাড়ের সবাই মিলে এই অনুষ্ঠানটি উদযাপন করে থাকেন। পাহাড়িদের যারা ঢাকায় অবস্থান করেন তারা রমনার লেকে ফুল ভাসিয়া অনুষ্ঠানটি উদযাপন করে থাকেন। অধিকাংশরা নাড়ির টানে নিজ এলাকায় চলে যান।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক পার্বত্য চট্টগ্রামবাসীর প্রধান উৎসব বৈসাবি উদযাপন উপলক্ষে ঢাকার বেইলি রোডের পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স হতে রমনা লেক পর্যন্ত পার্বত্য তিন জেলার পাহাড়ি ও বাঙালিদের সমন্বয়ে নানান সাজে সজ্জিত ব্যানার, ফেস্টুনসহ এক বর্ণিল শোভাযাত্রা র‍্যালির আয়োজন করা হয়। শোভাযাত্রা র‍্যালি শেষে রমনা লেকের জলে ফুল ভাসিয়ে বৈসাবি উৎসব পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মশিউর রহমান। পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার প্রধান তিনটি জাতি-গোষ্ঠীর বর্ষবরণ ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান বৈসাবি। এটি তাদের প্রধান সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোর একটি।


আরও খবর