আজঃ রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

হলিউডে প্রথম ছবি নিয়ে মুখ খুললেন আলিয়া

প্রকাশিত:সোমবার ১৯ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৯ জুন ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

১১ বছর আগে হিন্দি সিনেমায় অভিষেক হয় আলিয়া ভাটের। আরও এক বার আলিয়ার অভিষেক হতে চলেছে। তবে এ বার হলিউডের ছবিতে। চলতি বছরেই মুক্তি পেতে চলেছে তাঁর প্রথম হলিউড ছবি হার্ট অফ স্টোন। ছবিতে গল গ্যাডোট, জেমি ডরনানের মতো হলিউড তারকাদের সঙ্গে দেখা যাবে আলিয়াকে। এই মুহূর্তে ছবির প্রচারে ব্রাজিলে রয়েছে গোটা টিম। প্রকাশ্যে এসেছে প্রচার ঝলক। কিন্তু ছবির ট্রেলারে আলিয়ার কয়েক সেকেন্ডের উপস্থিতি দেখে মুখভার তাঁর অনুরাগীদের। এ বার তা নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী।

আরও পড়ুন<< অভিনয় ছাড়ছেন কাজল

হলিউডের প্রথম ছবিতেই খলনায়িকার চরিত্রে দেখা যেতে চলেছে আলিয়াকে। ছবির ট্রেলারে খুব একটা বেশি সময় পাননি আলিয়া। তবে, ওই কয়েক মুহূর্তেই আলিয়ার চোখেমুখে দেখা গিয়েছে বাঁকা হাসির ঝলক। তাতেই বোঝা গিয়েছিল, ধূসর চরিত্রে দেখা যাবে অভিনেত্রীকে। তবে ট্রেলারে তাঁকে এত কম সময় দেখতে পাওয়ায় নিরাশ তাঁর অনুরাগীরা। এই প্রসঙ্গে আলিয়া বলেন, হ্যাঁ, ভক্তরা হয়তো নিরাশ হবেন, সেটাই স্বাভাবিক। তবে আমি খুব একটা চিন্তিত নই। দিনের শেষে গল্পটাই যে প্রধান। সিনেমার গল্প কোন দিকে যাচ্ছে এবং চরিত্রটা কী ভাবে বাঁক নিচ্ছে, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।

আগামী ১১ অগস্ট নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেতে চলেছে হার্ট অফ স্টোন। তবে স্বল্প উপস্থিতিতে আলিয়া বাজিমাত করেন কি না, এখন সেটাই দেখার।


আরও খবর



লম্বা ছুটির পর আজ ব্যাংক খোলা

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতর ও বাংলা নববর্ষ মিলিয়ে পাঁচ দিনের ছুটি কাটিয়ে আজ সোমবার (১৫ এপ্রিল) থেকে খুলছে ব্যাংক, বিমা, পুঁজিবাজার ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। সেইসঙ্গে খুলবে অফিস-আদালতও।

এদিন থেকে আবার স্বাভাবিক নিয়মে ব্যাংকিং ও পুঁজিবাজারের লেনদেন শুরু হবে। ব্যাংক সকাল ১০টায় খুলবে, লেনদেন চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ জানিয়েছে, সোমবার থেকে পুঁজিবাজারে লেনদেন সকাল ১০টায় শুরু হয়ে চলবে বেলা ২টা ২০ মিনিট পর্যন্ত। এরপর ১০ মিনিট হবে পোস্ট ক্লোজিং। অফিস সময় হবে সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত।

গত বৃহস্পতিবার দেশে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়। ঈদ উপলক্ষে বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার সরকারি ছুটি ছিল। ঈদের পর ১৩ এপ্রিল শনিবার ছিল সাপ্তাহিক ছুটি। আর রবিবার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ তথা বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ছুটি। এভাবে ১০ থেকে ১৪ এপ্রিল টানা পাঁচ দিনের ছুটিতে ব্যাংক ও শেয়ারবাজার বন্ধ ছিল। তবে অনলাইনে ব্যাংকিং কার্যক্রম, এটিএম থেকে টাকা উত্তোলন, সিআরএমে টাকা জমা ইত্যাদি সেবা অব্যাহত ছিল।

ছুটি শেষে আজ চাকরিতে যোগ দেবেন কর্মজীবী মানুষ। অনেকেই ঈদের আগে সোমবার ও মঙ্গলবার বাড়তি ছুটি নিয়ে টানা ১০ দিন ছুটি ভোগ করেছেন। কারণ, এর আগে রবিবার শবে কদরের এবং শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি ছিল।


আরও খবর



থমথমে রুমা ও থানচি, পাহাড়ে যৌথবাহিনীর অভিযান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

নিরাপত্তার কারণে বান্দরবানের তিন উপজেলা রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়িতে সোনালী ব্যাংকের কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ করা হয়েছে। এসব শাখার গ্রাহকরা অন্য শাখা থেকে লেনদেন করতে পারবেন। পরপর দুদিন অস্ত্রধারীদের হামলার পর বুধবার (৩ এপ্রিল) সোনালী ব্যাংকের বান্দরবান সদর শাখা ছাড়া অন্যগুলো বন্ধ ছিল।

গত ২ এপ্রিল রাতে বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংকের শাখা ঘেরাও করে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আনসার ও পুলিশের অস্ত্র-গুলি লুট করে। তাদের মারধর করে সোনালী ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা লুট করে। এরপর ব্যাংকের ম্যানেজারকে অপহরণ করে হেঁটে হেঁটে দুর্গম পাহাড়ের ভেতরে নিয়ে চলে যায়।

এদিকে ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ৩ এপ্রিল দুপুরে আবারো অস্ত্রধারী কয়েকজন সন্ত্রাসী থানচি উপজেলার সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকে হামলা করে ১৭ লাখ ৪৫ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে ব্যাংকের বিভিন্ন ব্যক্তির মোবাইল ফোন নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।

ঘটনার পর রুমা ও থানচি উপজেলায় এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ, র‌্যাব, এপিবিএনের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরা টহল কার্যক্রম জোরদার করেছে।

প্রকাশ্য দিবালোকে ব্যাংকে হামলার এমন ঘটনায় হতভম্ব সাধারণ জনগণ, আর এমন পরিস্থিতিতে সকাল থেকেই নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে বান্দরবানের ৭ উপজেলার মধ্যে রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি সোনালী ব্যাংকের ৩ শাখার কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

ওই ঘটনার পর পুরো বান্দরবান জুড়ে আতংক বিরাজ করছে। ঘটনার জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে পার্বত্য এলাকার আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফন্ট (কেএনএফ) এর বিরুদ্ধে। অন্যদিকে অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধারে পাহাড়ে অভিযান চালাচ্ছে যৌথবাহিনীর সদস্যরা।


আরও খবর



স্বাস্থ্যখাতের করুণ চিত্র : দেশে কমেছে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ব্যবহার

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

বাংলাদেশের পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) জরিপ অনুযায়ী দেশে মানুষের গড় আয়ুর পাশাপাশি নারীর প্রজনন হার এবং জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ব্যবহার কমেছে, আর পাশাপাশি বেড়েছে বাল্য বিয়ে এবং শিশু মৃত্যুর হার। একই সঙ্গে এই জরিপে উঠে এসেছে দেশে প্রাপ্তবয়স্ক হয়েও বিয়ে না করা পুরুষের সংখ্যা প্রায় ৩৬ শতাংশ। গত দশ বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের হার ক্রমান্বয়ে কমেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পপুলেশন সায়েন্সেসের অধ্যাপক ড. মো. মঈনুল ইসলাম বলছেন, সরকারি এই রিপোর্টে যা উঠে এসেছে তাতে মূলত দেশের স্বাস্থ্য খাতের করুণ চিত্রই প্রতিফলিত হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশ যে ট্রিপল জিরো কমিটমেন্ট, অর্থাৎ ২০৩০ সালের মধ্যে পরিবার পরিকল্পনার অপূর্ণ চাহিদা (শতভাগ দম্পতিকে পরিবার পরিকল্পনার আওতায় আসা), মাতৃমৃত্যু ও বাল্য বিবাহ-সহ জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা শূন্যতে নামিয়ে আনার যে অঙ্গীকার করেছিল, তার অর্জন দুরূহ হয়ে উঠতে পারে।

প্রসঙ্গত, কেনিয়ার নাইরোবিতে ২০১৯ সালে জনসংখ্যা ও উন্নয়ন সম্মেলনের পঁচিশ বছর পূর্তিতে এই ট্রিপল জিরো অঙ্গীকার করেছিলো বাংলাদেশ। বিবিএস যে জরিপের ফল প্রকাশ করেছে, সেই জরিপটি পরিচালিত হয়েছে ২০২৩ সালে। একই সঙ্গে তারা এই জরিপের সঙ্গে তার আগের বছরের তথ্যও প্রকাশ করেছে। জরিপটি দেশ জুড়ে তিন লাখ আট হাজারেরও বেশি পরিবার ও বিবাহিত নারীদের ওপর পরিচালনা করা হয়েছে।

বিবাহিত দম্পতিদের মধ্যে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের পরিমাণ কমার তথ্য উঠে এসেছে এবারের এই জরিপে। ২০১৫ সালে দেশের দম্পতিদের মধ্যে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের টার্গেট ছিলো ৭২ শতাংশ। এবার বিবিএসের জরিপে এ সংখ্যা হলো ৬২ দশমিক ১ শতাংশ। গত বারের চেয়ে বেশ খানিকটা কমেছে।

ড. মঈনুল ইসলাম বলছেন, তৃণমূল পর্যায়ে এ সেবা পৌঁছানো ও সেবা নেয়া উভয় ক্ষেত্রেই ব্যাপক দুর্বলতা দেখা যাচ্ছে। লোকবলের সংকট, পদ্ধতিগুলো সহজে না পাওয়াসহ নানা কারণে এ বিষয়ে আগের চেয়ে পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।

এছাড়া বিবিএসের তথ্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, দেশে আঠার বছর বয়সের আগে ২০২০ সালে বিয়ের সংখ্যা ছিল ৩১ দশমিক ৩ শতাংশ, যা ২০২৩ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ৪১ দশমিক ৬ শতাংশ। পনের বছরের আগে বিয়ের সংখ্যা ২০২৩ সালে ছিল ৮ দশমিক ২ শতাংশ, যা চার বছর আগে অর্থাৎ ২০২০ সালে ছিল ৪ দশমিক ৯ শতাংশ।


আরও খবর



আলুর দাম বাড়ার কারণ জানা গেল

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদের পর থেকে হিলি স্থলবন্দর এলাকায় বৃদ্ধি পেয়েছে আলুর দাম। প্রতিকেজি আলুর দাম বেড়েছে ১০-১২ টাকা। চাহিদার তুলনায় দেশীয় আলুর সরবরাহ কম এবং ভারত অভ্যন্তরে বৈরী আবহাওয়ার কারণে আলু ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে দেশটির অভ্যন্তরে দেখা দিয়েছে সংকট। দামও বেড়েছে। এতে কেজিতে ৬-৭ টাকা বেশি দামে আমদানি করতে হচ্ছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) হিলি স্থলবন্দরে গিয়ে দেখা যায়, ভারত থেকে আলু আমদানি পূর্বের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। ঈদের আগে যে ভারতীয় আলু বন্দর অভ্যন্তরে পাইকাররা কেজিতে ২৮-৩০ টাকা কেজিতে কিনেছে। সেই আলুর দাম হাঁকা হচ্ছে ৩৮-৪০ টাকা। আমদানিকৃত এসব আলুর মান অনেকটাই খারাপ।

কারণ হিসেবে আমদানিকারকরা জানান, ভারত অভ্যন্তরে বৃষ্টি হওয়ার কারণে কিছুটা পচন ধরেছে। আলু আমদানিকারক মেসার্স সততা বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী সেলিম হোসেন বলেন, ঈদের আগে ভারতে আলুর দাম ছিল ২৮-২৯ টাকা। ভারতে কৃষকরা আলু কোল্ড স্টোরে সংরক্ষণ করার কারণে সেখানে আলুর সংকট। তাই পূর্বের তুলনায় কেজিতে ৭-৮ টাকা বেশি দরে কিনতে হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ভারত থেকে আলু আমদানি না হলে দেশে আলুর দাম ৭০/৮০ টাকা হবে।

হিলি স্থলবন্দরে আলু কিনতে আসা পাইকার আইয়ুব আলী জানান, ঈদের ছুটি শেষে সোমবার প্রথম আলু আমদানি হয়। ওই দিন ৩৬-৩৮ টাকা দরে আলু কিনে বিভিন্ন মোকামে পাঠানো হয়েছে। আজ আলুর দাম হাঁকা হচ্ছে ৩৮-৩৯ টাকা। তাছাড়া আলুর মানও খারাপ।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন জানান, হিলি স্থলবন্দরে আলু আমদানি স্বাভাবিক রয়েছে। রমজানে আলু আমদানিতে খরচ পড়তো ২৮-২৯ টাকা। সম্প্রতি ভারত অভ্যন্তরে বৈরী আবহাওয়ার কারণে সেখানে আলুর আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে দেশটির অভ্যন্তরে আলুর সংকট দেখা দিয়েছে। এতে পূর্বের তুলনায় অন্তত ৫-৭ টাকা বেশি দরে কিনতে হচ্ছে।

এদিকে হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ভারতীয় আমদানিকৃত আলু ৪২ টাকা। হল্যান্ড (দেশীয় হাইব্রিড) ৪৮ টাকা, এবং দেশীয় আলু ৫২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

হিলি স্থলবন্দরের তথ্য মতে, গত ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৪ হাজার ৭১৭ মেট্রিকটন আলু আমদানি হয়েছে এ বন্দর দিয়ে।

নিউজ ট্যাগ: আলু আগাম আলু

আরও খবর



দীর্ঘতম সূর্যগ্রহণ: লাইভ দেখবেন যেভাবে

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

৫০ বছরের মধ্যে দীর্ঘতম সূর্যগ্রহণ ঘটবে সোমবার (৮ এপ্রিল)। সংগত কারণেই জ্যোতির্বিদ থেকে শুরু করে সব মানুষের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রবল আগ্রহ। বাস্তবে এই বিরল ঘটনা শুধু যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডা থেকে দেখা যাবে। তবে প্রযুক্তির কল্যাণে বাংলাদেশের মানুষও এ ঘটনা লাইভে উপভোগ করতে পারবেন।

সূর্যগ্রহণের স্থায়িত্ব ও দৃশ্যমানতা নির্ভর করে পর্যবেক্ষকের ভৌগোলিক অবস্থানের ওপর। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস, ওকলাহোমা, আরকানসাস, মিসৌরি, ইলিনয়, কেনটাকি, ইন্ডিয়ানা, ওহাইও, পেনসিলভানিয়া, নিউইয়র্ক, ভার্মন্ট, নিউ হ্যাম্পশায়ার ও মেইন অঙ্গরাজ্য থেকে পূর্ণগ্রাস এই সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। মেক্সিকোর প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে অবস্থিত সৈকত শহর মাজাটলানের কাছে দর্শক ভালোভাবে পূর্ণগ্রাস গ্রহণ উপভোগ করতে পারবেন। যেসব জায়গায় সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে, সেখানে অন্যান্য দেশের উৎসাহী ব্যক্তিরাও জড়ো হচ্ছেন।

মার্কিন গণমাধ্যম বলছে, এসব অঞ্চলের বাইরের মানুষও লাইভ দেখতে পারবেন এ বিরল দৃশ্য। সূর্যগ্রহণের ঘটনাটি সরাসরি সম্প্রচার করবে নাসা। ইস্টার্ন স্ট্যান্ডার্ড টাইম অনুযায়ী সোমবার দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নাসা এ ঘটনা লাইভ সম্প্রচার করবে। অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকে ৮ এপ্রিল রাত ১১টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত দেখা যাবে এই দৃশ্য। এ ঘটনার লাইভ স্ট্রিম নাসার ইউটিউব চ্যানেলে ও নাসাপ্লাস ওয়েবসাইটে সম্প্রচার করবে।

সোমবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে যেভাবে পূর্ণ সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে এমনটি আগামী দুই দশকে আর দেখা যাবে না। তবে আশঙ্কা রয়েছে বিরল এই সূর্যগ্রহণটি মেঘ ও বজ্রঝড়ে ঢাকা পড়তে পারে। এদিকে, প্রায় সাড়ে চার দশক পর প্রথমবারের মতো বিরল সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হতে যাচ্ছে কানাডাবাসী। পূর্ণাঙ্গ এই সূর্যগ্রহণ দেখতে দেশটির নায়াগ্রা জলপ্রপাতের কাজে জড়ো হতে পারেন অন্তত দশ লাখ দর্শনার্থী।

পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সময় সূর্য, পৃথিবী এবং চাঁদ একই সরল রেখায় অবস্থান করে, চাঁদ সূর্যের আলোকে সম্পূর্ণভাবে ঢেকে দেয়। এ সময় কয়েক মিনিটের জন্য আকাশ এতটাই অন্ধকার হয়ে যায় যে, মনে হয় সেটা রাতের আকাশ। আর একেই বলা হয় পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ।

নিউজ ট্যাগ: সূর্যগ্রহণ

আরও খবর