জাহাঙ্গীরনগর
বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আবাসিক হলের ছাদ থেকে পড়ে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। ওই
শিক্ষার্থীর নাম অমিত কুমার বিশ্বাস। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ৪৫
তম ব্যাচের (২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ) স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী এবং শহীদ রফিক-জব্বার হলের
আবাসিক শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার (১০
মে) বিকেল ৫টা ১৮ মিনিটে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে
(আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান অমিত কুমার।
এ বিষয়ে শহীদ
রফিক-জব্বার হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সোহেল আহমেদ বলেন, ‘পাঁচতলার ছাদ থেকে পড়ে সে জ্ঞান হারিয়ে
ফেলে। ওই অবস্থায় তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক
উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্যত্র পাঠানোর সুপারিশ করলে তাঁকে সাভারের বেসরকারি হাসপাতাল
এনাম মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়।’
প্রাধ্যক্ষ বলেন,
‘তাঁর প্রচুর রক্তপাত হচ্ছিল। হাসপাতালে
নেওয়ার পর কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। প্রক্টরিয়াল টিমসহ আমরা হাসপাতালেই ছিলাম। তাঁর
অবস্থা আশঙ্কাজনক পর্যায়ে ছিল।’
পরে বিকেলে কর্তব্যরত
চিকিৎসকেরা অমিতের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এ ব্যাপারে এনাম
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ এর মেডিকেল অফিসার ডা. ইফরান বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে
গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সে ভবনের ছাদ থেকে পড়ে গুরুতর আহত হয়।
তবে তাঁর শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে আইসিইউতে থাকা অবস্থায় তাঁর
মৃত্যু হয়েছে। আমরা তাঁর অভিভাবকের অনুমতি নিয়ে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র থেকে বের করি।’
অমিত শহীদ রফিক
জব্বার হলের ৩১৫ নম্বর কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি খুলনায়।
বাবা অজয় কুমার বিশ্বাস বাংলাদেশ নৌ বাহিনীতে কর্মরত। অমিত পরিবারের একমাত্র সন্তান।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী
পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ৪৪ ব্যাচের ছাত্র শাহরিয়ার খান হৃদয় বলেন, ‘আমি তিন তলায় থাকা অবস্থায় ভারী কিছু ছাদ
থেকে পড়ার শব্দ শুনি। তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে অমিতকে পড়ে থাকতে দেখি এবং সঙ্গে সঙ্গে
হলের কিছু ছাত্রদের সহায়তায় তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলে নিয়ে আসি। সেখান থেকে তাঁকে
এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।’