আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

হজ-ওমরায় মাথা মুণ্ডনকরা জরুরি কেন

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

হজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ ফরজ বিধান। অপর দিকে ওমরা গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত ইবাদতের অন্তুর্ভুক্ত। তবে হজ ও ওমরা পালনের সময় মাথা মুণ্ডানো বা মাথা ন্যাড়া করা অথবা চুল কেটে একেবারে ছোট করা ওয়াজিব। বুখারি, হাদিস, ১৭২৯; মুসলিম, হাদিস, ১৩০১; মিশকাত, হাদিস, ২৬৩৬) ।

হজ-ওমরায় মাথা মুণ্ডনকারীদের জন্য ক্ষমার দোয়া করেছেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِلْمُحَلِّقِينَ قَالُوا وَلِلْمُقَصِّرِينَ، قَالَ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِلْمُحَلِّقِينَ، قَالَهَا ثَلاَثًا، قَالُوا وَلِلْمُقَصِّرِينَ، قَالَ وَلِلْمُقَصِّرِينَ

হে আল্লাহ, মাথা মুণ্ডনকারীদের ক্ষমা করুন। সাহাবিরা বললেন, চুল ছোটকারীদেরকেও, তিনি বললেন, হে আল্লাহ মাথা মুণ্ডনকারীদের ক্ষমা করুন। তিনবার তিনি তা বললেন। সাহাবিরা বললেন, ছোটকারীদেরও। তখন তিনি বললেন, চুল ছোটকারিদেরকেও (ক্ষমা করুন) । (বুখারী, হাদিস, ১৭২৮)

হাদিসে নবীজি সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাথা মুণ্ডনকারিদের জন্য তিনবার দোয়া করেছেন। অপর দিকে যারা চুল ছোট করবে তাদের জন্য একবার দোয়া করেছেন।

আরেক হাদিসে আল্লাহর রাসুল মাথা মুণ্ডনকারিদের জন্য রহমতের দোয়া করেছেন। ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, মাথা মুণ্ডনকারিদের ওপর আল্লাহ রহম করুন। সাহাবিরা বললেন, হে আল্লাহর রাসূল, চুল ছোটকারিদের ওপরও? তিনি বললেন, মাথা মুণ্ডনকারিদের ওপর আল্লাহ রহম করুন। তারা বললেন, হে আললাহর রাসূল, চুল ছোটকারিদের ওপরও? তিনি বললেন, মাথা মুণ্ডনকারিদের ওপর আল্লাহ রহম করুন। তারা বললেন, হে আল্লাহর রাসূল, চুল ছোটকারিদের ওপরও তিনি বললেন, চুল ছোটকারিদের ওপরও। (ইবনে মাজাহ, ৩০৪৪)

রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেও মাথা মুণ্ডন করেছেন। হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিনায় এলেন, জামরাতে এসে তিনি শয়তানকে পাথর মারলেন। এরপর মিনায় তাঁর অবস্থানের জায়গায় এলেন এবং কুরবানি করলেন। তারপর ক্ষৌরকারকে বললেন, নাও। তিনি হাত দিয়ে (মাথার) ডান দিকে ইশারা করলেন, অতঃপর বাম দিকে। তারপর লোকদেরকে তা দিতে লাগলেন। (মুসলিম: ২২৯৮)

মাথা মুণ্ডনের কারণে প্রতিটি চুলের জন্য একটি নেকী ও একটি গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়। আনাস ইবনে মালেক রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আর তোমার মাথা মুণ্ডনের কারণে প্রত্যেক চুলের বিনিময়ে তোমার জন্য একটি সওয়াব রয়েছে এবং একটি করে গুনাহের বিলুপ্তি রয়েছে। তিনি বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ, গুনাহসমূহ যদি এর চেয়ে কম হয়? রাসূলুল্লাহ বললেন, তাহলে তা তোমার নেক আমলে জমা রাখা হবে। (কাশফুল-আস্তার (মুসনাদে বাযযার): ১/৪১১। সহীহুত তারগীব, হাদীস, ১১১৩।)


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

শুক্রবারের বিশেষ ৪ আমল

শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪




রমজানের প্রথমার্ধে ওমরাহ পালন করেছেন ৮০ লক্ষাধিক মুসল্লি

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

চলতি রমজান মাসের প্রথম ১৫ দিনে ওমরাহ পালন করেছেন ৮০ লাখেরও বেশি ধর্মপ্রাণ মুসলিম। আজ বুধবার সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম আল আরাবিয়া।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মোট ৮২ লাখ ৩৫ হাজার ৬৮০ জন মুসুল্লি চলতি মৌসুমে ওমরাহ পালন করেছেন।

রমজান মাসে হাজারো মানুষ সৌদি আরবের বিভিন্ন প্রান্ত ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে কাবা শরীফে ছুটে আসেন। নামাজ পড়া ও ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যেই তারা মূলত এখানে আসেন। যার ফলে এ সময়য় পবিত্র এই ভূমিতে মানুষের ভিড় অনেক বেশি থাকে।

এদিকে গত সপ্তাহে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় রমজান মাসে একবারের বেশি ওমরাহ পালনের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। পবিত্র মাসে ভিড় কমাতে এই উদ্যোগ নিয়েছে মন্ত্রণালয়। সবাই যাতে স্বচ্ছন্দে ওমরাহ পালন করতে পারে, তা নিশ্চিতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

শুক্রবারের বিশেষ ৪ আমল

শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪




মুম্বাইয়ে নয় জনের সঙ্গে একঘরে রাত কাটিয়েছেন নোরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বিগ বস-এ তার উপস্থিতির মাধ্যমে রাতারাতি খ্যাতি অর্জন করেছিলেন নোরা ফাতেহি। এরপর একের পর এক ছবি, মিউজিক ভিডিওর হাত ধরে এখন বিশ্বব্যাপী এক ঘরোয়া নাম হয়ে উঠেছেন তিনি। সম্প্রতি মাডগাঁও এক্সপ্রেস ছবিতে তার অভিনীত চরিত্রের জন্য সকলের মন জয় করেছেন নোরা। কিন্তু, একটা সময় বলিউডে পা রেখেই নোরা বুঝেছিলেন সফরটা এতোটা সহজ নয়। সম্প্রতি একটি সাক্ষাত্কারে, নোরা তার স্বপ্নের শহর মুম্বাইতে এসে কঠিন সময়ের অভিজ্ঞতা গুলো শেয়ার করেছেন।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, মরোক্কান নৃত্যশিল্পী নোরা ফাতেহিকে মুম্বাই শহরে এসে ভয়ানক পরিস্থিতির শিকার হতে হয়েছে। সাক্ষাত্কারে তিনি জানান, প্রথম যখন এখানে এসেছিলেন নয় জনের সঙ্গে একটি ঘর শেয়ার করে থাকতেন। নোরা এই রুমমেটদের সাইকোপ্যাথ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

তিনি বলেন, আমি তিন বিএইচকে অ্যাপার্টমেন্টে নয়জন সাইকোপ্যাথের সাথে থাকতাম যেখানে আমি অন্য দুই মেয়ের সাথে ঘরটি ভাগ করে নিতাম। সেখানে থাকাকালীন আমি ভাবতাম, আমি কীসের মধ্যে পড়েছি? আমি এখনও সেই ট্রমার মধ্যে আছি।

সাক্ষাৎকারে নোরা বলেন, হিন্দি শিখতে শুরু করেছিলাম। কিন্তু অডিশনের সময় ভয়ানক অবস্থা হতো আমার। মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতাম না। নিজেকে খুব বোকা বলে মনে হত। কিন্তু কিছু মানুষ তো ক্ষমা করেন না। সামনাসামনি হাসাহাসি করতেন তারা। বলতেন, আমি সার্কাস থেকে এসেছি। খুব অসম্মানজনক বলে মনে হয়েছে আমার। বাড়ি ফেরার সময় কাঁদতাম।

এছাড়া নোরা এজেন্সিগুলির হাত ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে এসে যে শোষণের সম্মুখীন হয়, তাও তুলে ধরেছিলেন। তাকে সামান্য বেতন দিত সেই এজেন্সি। সেই সময়ে ডিম-পাউরুটি খেয়ে বেঁচে ছিলেন বলে জানান নোরা।

বিগ বস ৯ সিজনে অংশগ্রহণ করেছিলেন নোরা। সে সময় প্রিন্স নারুলার সঙ্গে তার রোম্যান্টিক লিঙ্ক আপ আলোচিত হয়েছিল। বিগ বসের বাড়িতে তাদের প্রেম শিরোনাম তৈরি করতো।

বিগ বসের পর তাকে দেখা যায় ব্লকবাস্টার বাহুবলী ছবির একটি নাচের দৃশ্যে। ক্যারিয়ার শুরু হয় সেই থেকে। ঠিক মতো হিন্দি বলতে পারতেন না অভিনেত্রী। অনেক হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন নোরা। ধীরে ধীরে বলিউডের অন্দরমহলে নিজের জায়গা করেছেন তিনি।


আরও খবর



কমলাপুরে ঘরমুখো মানুষের ভিড়, নির্ধারিত সময়ে ছাড়ছে ট্রেন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদুল ফিতর ঘিরে শুরু হয়েছে ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা। সপ্তাহজুড়ে অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটার যুদ্ধ শেষে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করছেন যাত্রীরা। গত ২৫ মার্চ যেসব যাত্রী অগ্রিম টিকিট পেয়েছেন তারাই আজ কমলাপুর থেকে যাচ্ছেন দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে।

তবে প্রতিবছর ঈদ যাত্রায় নানা ভোগান্তির অভিযোগ থাকলেও এ বছর যাত্রীদের সেরকম অভিযোগ নেই। নির্ধারিত নিয়মে পেয়েছেন টিকিট আবার নির্ধারিত সময়ে ছাড়ছে ট্রেনও। দুই একটি ট্রেন কয়েক মিনিট বিলম্ব হলেও সেটাও মানিয়ে নিচ্ছেন যাত্রীরা।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) কমলাপুর রেলস্টেশন ঘুরে এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র দেখা গেছে।

কমলাপুর রেলস্টেশন ঘুরে দেখা যায়, স্টেশনে প্রবেশের জন্য করা হয়েছে আলাদা গেট। বাঁশ দিয়ে নির্মাণ করা এসব অস্থায়ী গেটের সামনে দাঁড়িয়ে দায়িত্ব পালন করছেন রেলওয়ের নির্ধারিত কর্মকর্তারা। সেখানেই ঈদ যাত্রার জন্য স্টেশনে আসা যাত্রীর টিকিট চেক করে ভেতরে দিকে প্রবেশ করানো হচ্ছে। তবে টিকিট ছাড়া ভেতরে কেউ প্রবেশ করতে পারছেন না। এদিকে ভেতরে প্রবেশ করেও টিকিট স্কান করে যাত্রা নিশ্চিত করা হচ্ছে।

এখন পর্যন্ত ঈদযাত্রার ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় না থাকায় অভিযোগ নেই যাত্রীদের। নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই অপেক্ষা করছেন যাত্রীরা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আসছে সব ট্রেন। সবমিলিয়ে এবারের ঈদ যাত্রায় এখনো ট্রেন নিয়ে অভিযোগ নেই যাত্রীদের।

রংপুর এক্সপ্রেসের যাত্রী আব্দুল আউয়াল বলেন, ট্রেনের টিকিট আমার ছেলে অনলাইনে কেটে দিয়েছে। লাইনে দাঁড়ানোর ঝামেলা পোহাতে হয়নি। ঈদে বাড়ি যাচ্ছি ঝামেলা ছাড়াই। ট্রেন ৫-১০ মিনিট লেট করে ছাড়লেও এটা বিষয় না। বাসেও এমন ১০ মিনিট লেট হয়। সবমিলিয়ে আলহামদুলিল্লাহ, ভালো লাগছে।

সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত কমলাপুর থেকে ১৫টি ট্রেন ছেড়ে গেছে। এছাড়া সকাল ১০টায় ছেড়ে যাবে জামালপুর এক্সপ্রেস, সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে ছাড়বে একতা এক্সপ্রেস, সাড়ে ১০টায় কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস, বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে সিলেটের উদ্দেশ্য ছেড়ে যাবে জয়ন্তীকা এক্সপ্রেস, বেলা সাড়ে ১১টায় তারাকান্দির উদ্দেশ্য ছেড়ে যাবে অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস এবং বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে খুলনার উদ্দেশ্য ছেড়ে যাবে নকশিকাঁথা এক্সপ্রেস।

জানতে চাইলে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, এবারের ঈদ যাত্রায় এখন পর্যন্ত কোনো শিডিউল বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটেনি। কোনো ট্রেন আজ দেরিতেও ছাড়েনি। সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত অবস্থা খুবই ভালো। আশা করছি যাত্রীরা এবারের ঈদ যাত্রা উপভোগ করবেন।


আরও খবর
ঢাকার বাতাসের মান আজও ‘অস্বাস্থ্যকর’

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




মেহেদির রঙ গাঢ় করতে চান? জেনে নিন কৌশল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

আমাদের যেকোনো উৎসবের সঙ্গে মেহেদির সম্পর্ক প্রগাঢ়। মেহেদি পরতে ভালোবাসেন না এমন নারী খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। আর ঈদ এলে তো কথাই নেই। তাদের ঈদের কেনাকাটায় যে জিনিসগুলো না হলেই নয় তার মধ্যে একটি হলো মেহেদি। চাঁদরাতে ঘরে ঘরে নারীর হাতে মেহেদি পরার ধুম পড়ে যায় যেন। তবে অনেকে মেহেদি দেওয়ার পর মনের মতো রং আসে না বলে মন খারাপ করেন। কিছু উপায় মেনে চললে মেহেদির রঙ গাঢ় করা সম্ভব। চলুন জেনে নেয়া যাক-

মেহেদির রঙ গাঢ় করার ক্ষেত্রে একটি কার্যকরী উপায় হতে পারে চিনি এবং লেবুর রস ব্যবহার। মেহেদি যখন শুকিয়ে যাবে তখন লেবুর রসের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে হাতে সেই মিশ্রণ লাগিয়ে নিতে হবে। এরপর শুকিয়ে গেলে হাত মুছে নিতে হবে। এতে রঙ গাঢ় হবে, সেইসঙ্গে হবে দীর্ঘস্থায়ী।

মেহেদি ব্যবহারের আগে হাত-পা শেভ কিংবা ওয়াক্স করবেন না। ফলে ত্বকের উপরের স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই পরে ওই ত্বকে মেহেদি ব্যবহার করলে গাঢ় রং পাওয়া যায় না। মেহেদি লাগানোর অন্তত ৩ থেকে ৪ দিন আগে এসব কাজ সম্পন্ন করুন।

মেহেদির রং গাঢ় করার ক্ষেত্রে লবঙ্গ কাজে লাগাতে পারেন। প্রথমে একটি লোহার কড়াই চুলায় বসিয়ে চুলা জ্বালিয়ে দিন। এরপর তাতে কয়েকটি লবঙ্গ দিন। কড়াই থেকে ধোঁয়া বের হলে তার ওপর আপনার হাত দুটি ধরে রাখুন। এতে মেহেদির রং সহজেই গাঢ় হবে। তবে সাবধান থাকুন, গরম কড়াই যেন হাতে না লাগে।

গাঢ় রং পেতে উৎসব বা অনুষ্ঠানের অন্তত ২৪ বা ৪৮ ঘণ্টা আগে মেহেদি ব্যবহার করুন। সেইসঙ্গে সর্বোচ্চ ৭ থেকে ১২ ঘণ্টা মেহেদি হাতে রাখুন। তাহলেই পাবেন গাঢ় রং।

সরিষার তেল ব্যবহার করুন মেহেদির স্থানে। তারপর একটি ব্যান্ডেজ দিয়ে স্থানটি ঢেকে ঘুমিয়ে পড়ুন রাতে। সকালে দেখবেন মেহেদির রং অনেকটাই গাঢ় হয়েছে।

মেহেদি তুলে ফেলার পর হাত গরম রাখতে হবে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হয় হাতে ভিক্স বা অন্য কোনো ব্র্যান্ডের সর্দি-কাশির বাম লাগিয়ে ঘুমাতে গেলে। এতে সারা রাত হাত গরম থাকবে। এরপর সকালে উঠে সুন্দর গাঢ় রঙ পাবেন। তবে হাতে বাম লাগানো অবস্থায় সেই হাত দিয়ে কোনো খাবার খাবেন না বা চোখে-মুখে ডলবেন না।

অন্যদিকে সাবান পানি দিয়ে কখনো মেহেদি তুলবেন না। এমনকি মেহেদি তুলে ফেলার পরও কমপক্ষে ১২ ঘণ্টা ওখানে পানি লাগাবেন না।


আরও খবর



রোজায় নিজেকে ভালো রাখতে করুন এই ৫ কাজ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

রমজান সারা বিশ্বের মুসলমানদের জন্য পবিত্র মাস। এটি এমন একটি সময় যখন মুসলমানরা সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকেন, দিনের আলোতে খাবার ও পানীয় পান করেন না। এই সময়ে শরীর সুস্থ এবং শক্তিশালী রাখা গুরুত্বপূর্ণ। রমজানে নিরাপদে রোজা রাখতে আপনাকে সাহায্য করবে কিছু কাজ। রোজায় নিজেকে ভালো রাখতে এই ৫ কাজ করুন-

পুষ্টিকর খাবার খান : রমজানের সময় প্রতিটি ক্যালোরি গণনা করা গুরুত্বপূর্ণ। ভাজা আইটেম এবং মিষ্টির মতো ক্যালোরি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরিবর্তে ফল, শাক-সবজি এবং দানা শস্যের মতো পুষ্টিকর খাবার বেছে নিন। এগুলো সারাদিন আপনার শক্তির মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করবে। সেহরি এবং ইফতারের সময় জটিল কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বিযুক্ত সুষম খাবার খাওয়ার দিকে মনোযোগ দিন।

নিয়মিত ব্যায়াম করুন : রোজা রাখলেও রমজানে ব্যায়াম করা যায়। ব্যায়াম আপনার মেজাজ উন্নত করতে, চাপ কমাতে এবং শক্তির মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করবে। ডিহাইড্রেশন এবং ক্লান্তি এড়াতে নন-ফাস্টিং ঘণ্টাগুলোতে ব্যায়াম করা গুরুত্বপূর্ণ। আপনার শরীর সঠিকভাবে হাইড্রেটেড এবং জ্বালানি থাকলে সন্ধ্যার প্রথম দিকে বা ইফতারের পরে ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন। রমজানে হাঁটা বা হালকা যোগব্যায়ামের মতো কম প্রভাবশালী ব্যায়ামের দিকে মনোযোগ দিন।

হাইড্রেটেড থাকুন : রোজার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো হাইড্রেটেড থাকা। রমজান মাসে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে ইফতারের পর থেকে সেহরি পর্যন্ত প্রচুর পানি পান করা অপরিহার্য। রোজা রাখার আগে কমপক্ষে ৪-৫ গ্লাস পানি পান করার লক্ষ্য রাখুন এবং ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধে সাহায্য করার জন্য ইফতারের পরে ৩-৪ গ্লাস পানি পান করুন। কোমল পানীয় এবং এনার্জি ড্রিঙ্কের মতো চিনিযুক্ত পানীয় এড়ানোও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এগুলো আপনাকে ডিহাইড্রেট করতে পারে এবং আপনাকে আরও বেশি তৃষ্ণার্ত বোধ করাতে পারে।

পর্যাপ্ত ঘুম : রমজান মাসে শরীরকে রিচার্জ এবং পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করার জন্য পর্যাপ্ত ঘুম অপরিহার্য। প্রতি রাতে কমপক্ষে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর লক্ষ্য রাখুন এবং ঘুমের চক্র বজায় রাখতে তাড়াতাড়ি বিছানায় যাওয়ার চেষ্টা করুন। ঘুমানোর আগে ক্যাফেইন এবং অন্যান্য উদ্দীপক এড়িয়ে চলুন, কারণ এগুলো আপনার ঘুম নষ্ট করতে পারে এবং পরের দিন আপনি ক্লান্ত ও অলস বোধ করতে পারেন।

নিজের যত্ন নিন : রমজান মাসটি মানসিক এবং শারীরিকভাবে একটি চ্যালেঞ্জিং সময় হতে পারে, তাই এসময় নিজের যত্ন নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্রাম নেওয়া কিংবা নিজের ভালোলাগার কিছু কাজ করতে পারলে তা আপনাকে সতেজ রাখতে সাহায্য করবে। ধর্মীয় প্রার্থনা আপনাকে মানসিক চাপ কমাতে এবং আপনার মানসিক সুস্থতা উন্নত করতে সাহায্য করবে। এই সময়ে নিজের যত্ন নেওয়ার দিকে মনোনিবেশ করুন এবং নিজেকে খুব বেশি চাপ দেবেন না।


আরও খবর