আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

হিউম্যান ট্রায়ালের অনুমতি পেল গ্লোবের টিকা

প্রকাশিত:বুধবার ১৬ জুন ২০২১ | হালনাগাদ:বুধবার ১৬ জুন ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

শর্তসাপেক্ষে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক বঙ্গভ্যাক্সের টিকা মানবদেহে ট্রায়ালের নীতিগত অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ (বিএমআরসি)।

বুধবার (১৬ জুন) বিএমআরসির পরিচালক অধ্যাপক ডা. রুহুল আমিন বলেছেন, সরাসরি অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলা যাবে না। তবে শর্ত দেওয়া হয়েছে। ভুল ত্রুটি ঠিক করলে আমরা অনুমতি দিয়ে দেব। শর্ত পূরণ করলে অনুমোদন দেওয়া হবে।

বিএমআরসির অনুমতি পেলে খুব শিগগিরই শতাধিক মানুষের ওপর দেশীয় এই টিকার ট্রায়াল চালানো হবে। এ জন্য কিছু বেসরকারি হাসপাতাল নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের মেডিকেল জার্নালে প্রকাশ করা হয় যে, দেশিয় করোনা টিকা গ্লোব বায়োটেকের বঙ্গভ্যাক্স প্রাণীদেহে কার্যকর। এরপর মানবদেহে ট্রায়ালের জন্য বিএমআরসির অনুমোদনের অপেক্ষা ছিল প্রতিষ্ঠানটি। সবশেষ প্রতিষ্ঠানটিকে শর্তসাপেক্ষে অনুমোদন দেয়া হলো।

এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে গ্লোব বায়োটেকের গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের প্রধান ড. আসিফ মাহমুদ বলেন, আমাদের যা কাজ ছিল, সবগুলো শেষ করে সিআরও বাংলাদেশের মাধ্যমে আমরা বিএমআরসিতে হিউম্যান এথিক্যাল ট্রায়ালের জন্য আবেদন জমা দিয়েছিলাম। আমরা আশা করছি সহসাই হয়তো হিউম্যান ট্রায়ালের অ্যাপ্রুভালটা হয়ে যাবে। সেটা হয়ে গেলে ভলান্টিয়ার রিক্রুট করে সিআরও দ্রুততম সময়ে হিউম্যান ট্রায়ালটা শুরু করবে।

ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অংশ হিসেবে গ্লোব বায়োটেকের টিকা উৎপাদনে ওষুধ প্রশাসনের অনুমতি পায় গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর। চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি সেই অনুমোদন প্রাপ্তির জন্য বিএমআরসিতে চিঠি দেওয়া হয়।

করোনাভাইরাস মোকাবেলায় এ পর্যন্ত বিশ্বে মোট ২০১টি টিকা নিয়ে কাজ চলছে। এর মধ্যে চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে আটটি টিকা। সীমিতভাবে জরুরি ব্যবহারের জন্য আরো আটটি অনুমোদন পেয়েছে বিভিন্ন দেশে। ৩১টি টিকার বড় আকারে বা তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। ৩৬টির ট্রায়াল চলছে দ্বিতীয় পর্যায়ের। ৫০টি টিকার ট্রায়াল প্রথম পর্যায়ে চলছে।


আরও খবর



কাতারের আমির শেখ তামিম ঢাকায় আসছেন আজ

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন-হামাদ আল থানিকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত বাংলাদেশ। দুদিনের সফরে আজ তিনি বিশেষ বিমানযোগে ঢাকা আসছেন। এ সফরে দুই দেশের মধ্যে ছয়টি চুক্তি এবং পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হচ্ছে। এ ছাড়া ঢাকায় একটি সড়ক এবং একটি পার্কের নামাকরণ কাতারের আমিরের নামে করা হবে।

দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির মাধ্যমে কাতার থেকে বাংলাদেশ গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করে থাকে। তবে এবার ডলার সংকটের কারণে গ্যাসের দাম এক বছর পর্যন্ত বাকি রাখতে চায় বাংলাদেশ। এই প্রস্তাব কাতারের আমিরের সফরকালে দেওয়া হবে। তার সঙ্গে মন্ত্রী এবং গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা বাংলাদেশ সফর করবেন। এটি কাতারের আমিরের এশিয়া সফরের অংশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চতুর্থ মেয়াদের নতুন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর মধ্যপ্রাচ্যের এই গুরুত্বপূর্ণ নেতার সফরটি রাজনৈতিকভাবেও খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।

সফরকালে যে ছয়টি চুক্তি সই হবে সেগুলো হলো-১. দ্বৈতকর পরিহার ও কর ফাঁকি সংক্রান্ত ২. আইনগত বিষয়ে সহযোগিতা ৩. সাগরপথে পরিবহণ ৪. উভয় দেশের পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা সংক্রান্ত ৫. দুই দেশের দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের বদলি এবং ৬. যৌথ ব্যবসা পরিষদ গঠন সংক্রান্ত চুক্তি।

এ ছাড়া যে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হবে সেগুলো হলো-১. শ্রমশক্তি বিষয়ক ২. বন্দর পরিচালনা সংক্রান্ত ৩. উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা ৪. যুব ক্রীড়াক্ষেত্রে সমঝোতা স্মারক এবং ৫. কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক।

এদিকে, ঢাকায় কালশি এলাকায় বালুর মাঠে নির্মিতব্য পার্ক এবং ইসিবি চত্বর থেকে কালশি উড়াল সেতু পর্যন্ত সড়কটি কাতারের আমির শেখ তামিম বিন-হামাদ আল থানির নামে নামকারণ করা হবে। ২৩ এপ্রিল বিকালে কাতারের আমির নিজে উভয় স্থাপনার উদ্বোধন করবেন।

রাষ্টপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে ২২ ও ২৩ এপ্রিল ২০২৪ কাতারের আমির শেখ তামিম বিন-হামাদ আল থানি এই সফর করছেন। তিনি একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে সরকার গঠনের পর মধ্যপ্রাচ্যের দেশসমূহ হতে এটি প্রথম উচ্চ পর্যায়ের রাষ্ট্রীয় সফর।

কাতারের আমিরের সফর উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর, বন্ধুত্বপূর্ণ ও বহুমুখী। কাতার বঙ্গবন্ধুর সময়কালীন সময়ে ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশকে স্বীকৃতিদানকারী অন্যতম মুসলিম রাষ্ট্র। গ্যাস আমদানির বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সৌদি আরব থেকে বাকিতে গ্যাস আমদানি করে বাংলাদেশ। কাতারের কাছ থেকেও বাকিতে গ্যাস আমদানির প্রস্তাব করা হতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২৩ সালের মার্চ ও মে মাসে দুইবার কাতার সফরের মাধ্যমে উভয় দেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সুদৃঢ় অবস্থানে উপনীত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করছেন।

সাম্প্রতিককালে কাতারের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ে কূটনৈতিক যোগাযোগ ও আলোচনার মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার পরিধি সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, জ্বালানি, বিমান চলাচল, কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন ইত্যাদি ক্ষেত্রসমূহ চিহ্নিত করা হয়েছে।

কাতারের আমির আজ বিকালে বিশেষ বিমানে ঢাকায় আগমন করবেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানাবেন। এ সময় তাকে গার্ড অব অনার জানানো হবে।

আগামী ২৩ এপ্রিল সকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ কাতারের আমিরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। তারপর গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাতারের আমিরের সঙ্গে প্রথমে একান্ত বৈঠক এবং পরে আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। বৈঠক শেষে দুই দেশের মধ্যে ছয়টি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হবে। রাষ্ট্রপতি সাহাবউদ্দিন বঙ্গভবনে কাতারের আমিরের সৌজন্যে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করবেন। ওই দিন সন্ধ্যায় বিশেষ বিমানযোগে তিনি ঢাকা ত্যাগ করবেন।

কাতারের আমিরের এই সফর তার এশিয়া সফরের অংশ। পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাসসমৃদ্ধ কাতার সর্বোচ্চ গড় মাথাপিছু আয়ের দেশ। দেশটির শক্তিশালী অর্থনীতি, ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান ও কূটনৈতিক তৎপরতা ও মধ্যস্থতার কারণে মধ্যপ্রাচ্যে একটি প্রভাবশালী দেশ হিসাবে বিবেচিত।

কাতার মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশের অন্যতম শ্রমবাজার, যেখানে প্রায় চার লাখ বাংলাদেশি কর্মরত। পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ সার্বভৌম তহবিলের অধিকারী কাতার বাংলাদেশের জন্য একটি সম্ভাবনাময় বিনিয়োগের উৎস হিসাবে বিবেচিত। তদুপরি কাতার বাংলাদেশের জন্য জ্বালানি আমদানির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎস। কাতারের আমিরের আসন্ন সফর তাই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের জন্যে এক বিরাট মাইলফলক।


আরও খবর



আচরণবিধি ভঙ্গ করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না: ইসি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কেউ নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা।

তিনি বলেন, আগামী ৮ মে ১ম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ইতোমধ্যে কমিশনের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

শুক্রবার (৩ মে) সকালে সিরাজগঞ্জে শহীদ এম মুনসুর আলী অডিটোরিয়ামে ১ম ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জেলার ৩ টি উপজেলার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, সম্ভাব্য প্রার্থী ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, নির্বাচন আচরণবিধি না মানলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সেই সঙ্গে কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে তা খতিয়ে দেখা হবে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ন কবীরের সভাপতিত্বে রাজশাহী রেঞ্জের পুলিশের উপমহাপুলিশ পরিদর্শক আনিছুর রহমানসহ জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



হাওরের ৯৭ শতাংশ বোরো ধান কাটা শেষ

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

হাওরের ৯৭ শতাংশ ধান কাটা এরইমধ্যে শেষ হয়েছে। এ বছর হাওরভুক্ত ৭টি জেলা সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোণা এবং ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় শুধু হাওরে ৪ লাখ ৫৩ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৪ লাখ ৩৮ হাজার হেক্টর জমির ধান কাটা হয়ে গেছে। আর সারা দেশে এখন পর্যন্ত ৩৩ শতাংশ বোরো ধান কাটা হয়েছে।

রোববার (৫ মে) কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে জানানো হয়, হাওরের ফসলকে ঝুঁকিমুক্ত করতে বর্তমান সরকার বহুমুখী উদ্যোগ বাস্তবায়ন কাজ করে যাচ্ছে। পাকা ধান যাতে দ্রুত কৃষকের ঘরে তোলা যায়, সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার ৭০ শতাংশ ভর্তুকিতে হাওরের কৃষকদেরকে ধান কাটার যন্ত্র কম্বাইন হারভেস্টার ও রিপার দিয়ে যাচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, হাওরভুক্ত ৭টি জেলায় এবার ৪ হাজার ৪০০টির বেশি কম্বাইন হারভেস্টার দিয়ে ধান কাটা চলেছে। এর মধ্যে এবছরই নতুন ১০০টি কম্বাইন হারভেস্টার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। দেশের অন্য এলাকা থেকেও হাওরের বোরো ধান কাটার জন্য কম্বাইন হারভেস্টার নিয়ে আসা হয়েছে। এর ফলে দ্রুততার সঙ্গে ধান কাটা সম্ভব হয়েছে।

এ বছর সারাদেশে ৫০ লাখ ৫৮ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার হেক্টর বেশি। এবার বোরোতে চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা হলো ২ কোটি ২২ লাখ টন।

সম্প্রতি মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের হাইল হাওরে বোরো ধান কর্তন উৎসবে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেছেন, আমাদের সারা বছরের মোট চাল উৎপাদনের অর্ধেকের বেশি যোগান দেয় বোরো ধান। সেজন্য এ বছরও বোরোর আবাদ ও ফলন বাড়াতে আমরা অনেক গুরুত্ব দিয়েছি। বোরোর আবাদ বাড়াতে ২১৫ কোটি টাকার বীজ, সার প্রভৃতি কৃষকদেরকে বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সারা দেশের বোরো ধান সফলভাবে ঘরে তুলতে পারলে দেশে খাদ্য নিয়ে তেমন কোনো ঝুঁকি থাকবে না।


আরও খবর



সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিষয়ে অনুসন্ধান করবে দুদক

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠায় দুর্নীতি অনুসন্ধান করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ ঘটনায় কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এর আগে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ৩৪ বছর ৭ মাস চাকরি করে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে অবসরে যান। অবসর গ্রহণের পর দেখা যায়, বেনজীর আহমেদের স্ত্রী ও কন্যাদের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে, যা তার আয়ের তুলনায় অসম।

গত ৩১ মার্চ দৈনিক কালের কণ্ঠে ঢাকায় বেনজীরের জন্ম আলাদীনের চেরাগ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শকের স্ত্রী জিশান মির্জা এবং দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন।

বেনজীর আহমেদ তার পদের অপব্যবহার করে তার আয়ের তুলনায় প্রতিবেদনে উল্লিখিত সম্পত্তিগুলো অধিগ্রহণ করেছেন বলে বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলে চিঠিতে জানান ব্যারিস্টার সুমন। এমন পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী, বড় মেয়ে এবং ছোট মেয়ের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ সংগ্রহের জন্য তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুদককে অনুরোধ করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দৈনিক কালের কণ্ঠে ঢাকায় বেনজীরের জন্ম আলাদীনের চেরাগ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজ মিলেছে। এরপর থেকেই বেশ আলোচনায় পুলিশের সাবেক এই আইজিপি।

জাতীয় ওই দৈনিক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যেখানে বেনজীর আহমেদের নানা অর্থ-সম্পদের বিবরণ তুলে ধরা হয়। বেনজীরের বিপুল সম্পদের মধ্যে রয়েছে, গোপালগঞ্জের সাহাপুর ইউনিয়নে সাভানা ইকো রিসোর্ট নামের এক অভিজাত ও দৃষ্টিনন্দন পর্যটনকেন্দ্র। এছাড়াও তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ছয়টি কোম্পানির খোঁজ পাওয়া গেছে। পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকার বেশি হতে পারে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ঢাকার অভিজাত এলাকাগুলোতে বেনজীর আহমেদের দামি ফ্ল্যাট, বাড়ি আর ঢাকার পাশে বিঘার পর বিঘা জমি রয়েছে। দুই মেয়ের নামে বেস্ট হোল্ডিংস ও পাঁচতারা হোটেল লা মেরিডিয়ানের রয়েছে দুই লাখ শেয়ার। পূর্বাচলে রয়েছে ৪০ কাঠার সুবিশাল জায়গাজুড়ে ডুপ্লেক্স বাড়ি, যার আনুমানিক মূল্য কমপক্ষে ৪৫ কোটি টাকা। একই এলাকায় আছে ২২ কোটি টাকা মূল্যের আরও ১০ বিঘা জমি। অথচ, গত ৩৪ বছর সাত মাসের দীর্ঘ চাকরিজীবনে বেনজীর আহমেদের বেতন-ভাতা বাবদ মোট আয় এক কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ টাকার মতো হওয়ার কথা।


আরও খবর



স্ত্রী হত্যার দায়ে কাজাখস্তানের সাবেক মন্ত্রীর ২৪ বছরের কারাদণ্ড

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

স্ত্রী হত্যার দায়ে কাজাখস্তানের সাবেক অর্থমন্ত্রী ২৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার তার বিরুদ্ধে এই রায় ঘোষণা করা হয়। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ৪৪ বছর বয়সী ওই রাজনতিবিদের নাম কুয়ানদিক বিশিমবায়েভ। ২০১৬ সালের মে-ডিসেম্বর পর্যন্ত তেল-সমৃদ্ধ দেশ কাজাখস্তানের অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন কুয়ান্দিক বিশিমবায়েভ। ঘুষ নেওয়ার দায়ে ২০১৮ সালে তিনি দোষী সাব্যস্ত হন এবং ১০ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন। গত সাত সপ্তাহ ধরে তার বিরুদ্ধে চলা বিচারকার্য সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে।

বিচারের সময় প্রকাশিত সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ৩১ বছর বয়সী স্ত্রী সালতানাত নুকেনোভাকে লাথি-ঘুষি মারছেন কুয়ানদিক। প্রায় বিবস্ত্র অবস্থায় চুল টেনে ধরে এক রুমে নিয়ে যান তাকে। সেখানেই মৃত্যু হয় সালতানাতের। এছাড়া কুয়ানদিকের মোবাইলেও বেশ কিছু মারধরের ভিডিও পেয়েছেন পুলিশ।

রয়টার্স বলছে, বিচারের সময় বিশিমবায়েভ তার স্ত্রীকে মারধর করার কথা স্বীকার করেছেন। তবে তিনি বলেছেন, কিছু আঘাত তার স্ত্রী নিজে থেকেই পেয়েছিলেন। এছাড়া স্ত্রীকে নির্যাতন বা হত্যার পরিকল্পনাও অস্বীকার করেছেন তিনি।


আরও খবর