প্রার্থীকে চেনেন না। নামও জানেন না। কিন্তু
হিরো আলমের এজেন্ট হয়ে বুথে আছেন। মানারাত ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ও কলেজে গিয়ে
এই চিত্র চোখে পড়েছে।
৬০ নম্বর কেন্দ্রের ৫ নম্বর পুরুষ বুথে
জিহাদ একতারার এজেন্ট। কিন্তু প্রার্থী হিরো আলমের নাম জানেন না। যদি প্রার্থীকেই না
চেনেন, তবে কেন এজেন্ট হয়েছেন— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এলাকার
এক বড়ভাই অনুরোধ করলেন। তার অনুরোধেই এজেন্ট হয়েছি।
একই ঘটনা কেন্দ্র ৬২, বুথ নম্বর ১-এ। একতারার
এজেন্ট মাহাবুব বলেন, প্রার্থীকে চিনি না। নাম জানতে চাইলে বলেন, আলম। পুরো নামও জানেন
না।
কক্ষ নম্বর ২-এ একতারার এজেন্ট মিজানুর
রহমান বলেন, প্রার্থীর নাম জানি না, মনে হয় আলম আশরাফুল। এলাকার বড়ভাই বলল তাই এজেন্ট
হয়েছি।
আরও পড়ুন<< সিসি ক্যামেরায় ভোট পর্যবেক্ষণ করছে ইসি
ভোটকেন্দ্রের ২ নম্বর বুথের ভেতরে একজনের
কাছে পরিচয় জানতে চাইলে তিনি জানান, তার নাম হুমায়ূন। তিনি স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী।
তিনি কেন ভোটকক্ষের ভেতরে ঢুকেছেন জানতে চাইলে কোনো জবাব দেননি তিনি। পাশ থেকে আরেকজন বলেন, 'উনি (হুমায়ূন) হিরো আলমের পোলিং এজেন্ট।' তবে হুমায়ূনের কাছে আবারও তার প্রার্থীর নাম ও প্রতীক জিজ্ঞেস করা হলে, তিনি কোনো উত্তর দিতে পারেননি।
পরে ভোটকক্ষের বাইরে এসে হুমায়ূন নৌকার
ব্যাজ পরিহিত একজনকে জিজ্ঞেস করেন, 'আমি কোন প্রার্থীর এজেন্ট?' জবাবে তিনি বলেন,
'আপনি (হুমায়ূন) হিরো আলমের এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন।'
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৫, ১৮, ১৯
ও ২০ নম্বর ওয়ার্ড এবং ঢাকা সেনানিবাস এলাকা নিয়ে গঠিত এই আসনে ভোটকেন্দ্র আছে ১২৫টি
এবং ভোটার ৩ লাখ ২৫ হাজার ২০৫ জন।
আরও পড়ুন<< সময় বাড়লো এইচএসসির ফরম পূরণের
এই আসনের সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান
ফারুকের মৃত্যুতে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ৫ মাস আগে এ উপনির্বাচন হচ্ছে। ১২৪টি ভোটকেন্দ্রের
৬০৫টি ভোটকক্ষে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভোটগ্রহণ চলবে।
এ আসনে উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আছেন ৮ জন। তাদের মধ্যে দলীয় প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের মোহম্মদ আলী আরাফাত, জাতীয় পার্টির সিকদার আনিসুর রহমান, জাকের পার্টির কাজী মো. রাশিদুল হাসান, তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. রেজাউল ইসলাম স্বপন ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের মো. আকবর হোসেন। আর স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে আছেন আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর মো. আশরাফুল আলম (হিরো আলম) এবং মো. তারিকুল ইসলাম।