আজঃ শুক্রবার ১০ মে ২০২৪
শিরোনাম

হেফাজতের ২৩ মামলা তদন্তে সিআইডি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ এপ্রিল ২০21 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ এপ্রিল ২০21 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
২০১৩ সালে ধর্মভিত্তিক সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশের পর থেকেই জ্বালাও-পোড়াও, ভাঙচুরের মতো ভয়াবহ নাশকতা চালিয়ে আসছিল হেফাজত। এসব ঘটনায় মামলা হলেও সেসব মামলার তদন্ত নির্ধারিত সময়ে শেষ হয়নি

দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন সময়ে হেফাজতে ইসলামের নানা কর্মসূচির নামে চালানো নাশকতার মামলাগুলো অতি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। নাশকতায় জড়িতরা যাতে কোনো ধরনের ছাড় না পায় এবং তদন্তে যাতে ফাঁকফোকর না থাকে, সে জন্য এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি ঝুলে থাকা মামলাগুলোর তদন্ত শেষ করে অভিযুক্তদের দ্রুত বিচারের মুখোমুখি করারও চিন্তা রয়েছে। এসব বিষয় মাথায় রেখে এরই মধ্যে হেফাজতের বিরুদ্ধে দায়ের করা স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ ২৩টি মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডিকে। গত রবিবার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এসব মামলার তদন্তভার সিআইডিকে দেওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য মিলেছে।

সংশ্নিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৩ সালে ধর্মভিত্তিক সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশের পর থেকেই জ্বালাও-পোড়াও, ভাঙচুরের মতো ভয়াবহ নাশকতা চালিয়ে আসছিল হেফাজত। এসব ঘটনায় মামলা হলেও সেসব মামলার তদন্ত নির্ধারিত সময়ে শেষ হয়নি। ঢাকাসহ সারাদেশে চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত হেফাজতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে দেড় শতাধিক। এর মধ্যে মাত্র চারটি মামলার তদন্ত শেষ করতে পেরেছে পুলিশ। থানা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) মামলাগুলো তদন্ত করছে। তবে অগ্নিসংযোগ, ডিভাইস ব্যবহার করে লোকজনকে জড়ো করা এবং ভাঙচুরের মতো ঘটনায় প্রয়োজনীয় ফরেনসিক আলামত সংগ্রহ ও তা পরীক্ষাসহ যথেষ্ট প্রমাণ সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি তদন্ত কর্মকর্তাদের। এ জন্য নিবিড় তদন্ত এবং প্রযুক্তিগত ও ফরেনসিক প্রমাণের জন্য ২৩টি মামলা সিআইডিতে পাঠানো হয়েছে।

সিআইডির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, হেফাজতের নাশকতার ঘটনায় দায়ের করা মামলাগুলো সিআইডি মূলত নাশকতার ঘটনার ফরেনসিক ও প্রযুক্তিগত বিষয়টি প্রমাণ করবে। দায়িত্ব পাওয়ার পর এরই মধ্যে আলামত সংগ্রহ শুরু হয়েছে। ঘটনার সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ এবং ভিডিও সংগ্রহ ছাড়াও গণমাধ্যম থেকেও ফুটেজ নেওয়া হচ্ছে। সিআইডিপ্রধান বলেন, ফরেনসিক তদন্তে নাশকতার প্রমাণ করতে পারলে অপরাধীদের ছাড় পাওয়ার সুযোগ থাকবে না।

সিআইডি সূত্র জানায়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরকে কেন্দ্র করে গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ টানা তিন দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন এলাকায় তাণ্ডব চালায় হেফাজতকর্মীরা। ওই নাশকতার ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইন, সন্ত্রাসবিরোধী আইনসহ দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও আশুগঞ্জ থানায় ১০টি মামলা হয়। ২০১৬ সালেও হেফাজতসহ অন্যান্য ধর্মীয় সংগঠন ওই জেলায় তাণ্ডব চালায়। এসব ঘটনায়ও পাঁচটি মামলা হয়। ওই ১৫টি মামলা এত দিন জেলা পুলিশ তদন্ত করে এলেও তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সিআইডিকে। এ ছাড়া স্বাধীনতার রজতজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর উৎসবে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আগমনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত মাসের শেষের দিকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ সদর এবং চলিত মাসের শুরুর দিকে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে নাশকতা চালায় হেফাজত ও তাদের সমর্থকরা। প্রায় একই সময়ে চট্টগ্রামের হাটহাজারী, মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া ও সিরাজদীখানেও নাশকতা চালানো হয়। ওই ঘটনাগুলোতে দায়ের করা আটটি মামলার তদন্তভারও সিআইডিকে দেওয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান বলেন, সম্প্রতি হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন থানায় অন্তত ৫৫টি মামলা হয়েছে। এ ছাড়া আগেরও বেশ কিছু মামলা রয়েছে। এত দিন ধরে এসব মামলা জেলা পুলিশ তদন্ত করে আসছিল। তবে বাস্তবতা বিবেচনায় বেশ কিছু মামলার তদন্তের দায়িত্ব অন্যান্য তদন্ত সংস্থার মধ্যে বণ্টন হয়েছে। সিআইডি ছাড়াও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বিভাগও বেশ কিছু মামলার তদন্ত দায়িত্ব পেয়েছে।

পুলিশ সদর দপ্তরের মুখপাত্র ও এআইজি (মিডিয়া) মো. সোহেল রানা বলেন, মামলার সুষ্ঠু তদন্তের প্রয়োজনে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও কর্মকর্তাকে নিয়োজিত করার সুযোগ রয়েছে। তাই যেসব ক্ষেত্রে কোনো বিশেষ ইউনিট বা কর্মকর্তার সংশ্নিষ্টতা প্রয়োজন, সে ক্ষেত্রে তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়ে থাকে।

পুলিশ সদর দপ্তরের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হেফাজতের তাণ্ডব ও নাশকতার ঘটনায় সারাদেশে দায়ের হওয়া মামলাগুলোর মনিটর করছে পুলিশ সদর দপ্তর। অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করাই তদন্ত সংস্থার লক্ষ্য। তাই প্রয়োজন ও গুরুত্ব বিবেচনায় বেশ কিছু মামলা এরই মধ্যে সিআইডি ও পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এসব মামলার প্রযুক্তিগত ও ফরেনসিক তদন্তের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।


আরও খবর



জুলাইয়ের আগে পান্থকুঞ্জ নান্দনিক উদ্যানে পরিণত হবে: মেয়র তাপস

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জুলাইয়ের আগে রাজধানীর পান্থকুঞ্জকে নান্দনিক উদ্যানে পরিণত করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। বুধবার (১৭ এপ্রিল) পান্থকুঞ্জ পার্কের অভ্যন্তরে পান্থপথ বক্স কালভার্টের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

মেয়র তাপস বলেন, পান্থকুঞ্জ এই এলাকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উদ্যান। এটা উন্নয়নের জন্য ২০১৭ সালে মেগা প্রকল্পের আওতায় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক কারণে ঢাকা লিমিটেড এক্সপ্রেসওয়ে এদিক দিয়ে নেওয়ার একটি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। ফলে এই পার্কের উন্নয়ন কাজটা বন্ধ হয়ে যায়। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরে তাদের সঙ্গে বিভিন্নভাবে আলোচনা করেছি, দেন-দরবার করেছি। এর ফলশ্রুতিতে তারা সুনির্দিষ্ট জায়গায় কাজ করবে। বাকি জায়গা আমাদেরকে ছেড়ে দিয়েছে। সেই জায়গায় আমরাই কাজ শুরু করেছি। বর্তমানে এটার অবকাঠামো উন্নয়ন চলছে।

মেয়র বলেন, আমরা ঢাকাবাসীকে একটি নান্দনিক উদ্যান উপহার দিতে চাই। যদিও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজের কারণে উদ্যানের বড় একটা অংশ তাদের কাছে চলে যাবে। তারপরও যতটুকু রক্ষা করতে পেরেছি তা ঢাকাবাসীর জন্য অচিরেই উন্মুক্ত করে দিতে পারব। পার্কের উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। জুলাইয়ের আগে পান্থকুঞ্জকে একটি নান্দনিক উদ্যানে পরিণত করা হবে।

নিউমার্কেট এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে ঢাকা দক্ষিণের এ মেয়র বলেন, গত বছর কয়েকটি জায়গায় জলাবদ্ধতা হয়েছে। বিশেষ করে নিউমার্কেটের সামনে ও শান্তিনগরে। যেসব স্থানে পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল আমরা সেগুলো পরিষ্কার করেছি। আশা করি এবার আর জলাবদ্ধ থাকবে না। নিউমার্কেট এলাকার জন্য নতুন প্রকল্প নিয়েছি। এর মূল কারণ হচ্ছে পিলখানা ভেতর দিয়ে আগে যে পানি প্রবাহের নর্দমা ছিল সেগুলো ২০০৯ সালে বন্ধ হয়ে যায়। এজন্য গত বছর সেখানে বড় ধরনের জলবদ্ধতা হয়েছে। আমরা তাদের সঙ্গে আলাপ করেছি এবং সম্মতি পেয়েছি। আমরা পিলখানার ভিতর দিয়ে পানি প্রবাহের বড় নর্দমা করছি। এটা করতে পারলে ওই এলাকায় আর জলাবদ্ধতা থাকবে না। এভাবে প্রত্যেকটা এলাকায় বিচার-বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’

ঢাকায় বিচ্ছিন্ন কয়েকটি জায়গা ছাড়া তেমন কোন জায়গায় এখন দীর্ঘ সময় জলবদ্ধতা থাকে না উল্লেখ করে মেয়র বলেন, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমের আগে সূচি অনুযায়ী বক্স কালভার্ট, খাল ও নর্দমাগুলো পরিষ্কার করে থাকি। যাতে করে বর্ষার সময় পানি প্রবাহ স্বাভাবিক থাকে। এছাড়া ঢাকা শহরে আমরা ব্যাপকভাবে নর্দমা অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলমান রেখেছি।’

পরে মেয়র সায়েদাবাদ টার্মিনাল সংলগ্ন সায়েদাবাদ সুপার মার্কেট, গেন্ডারিয়ার জহির রায়হান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র পাঠাগার ও ওয়ারীর তাজউদ্দীন স্মৃতি পাঠাগার পরিদর্শন করেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা কায়জার মোহাম্মদ ফারাবী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. খায়রুল বাকের, ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান আসাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় এক নারীসহ আরও তিনজন গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের রুমায় ব্যাংক ডাকাতি ও অস্ত্র লুটের ঘটনায় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বিত অভিযানে রুমা উপজেলা সদরের কাছাকাছি গির্জাপাড়া থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন, গির্জাপাড়ার তরুণী লালরিন ত্লোয়াং বম (২০), যুবক ভাননুয়াম বম (৩৭) ও ভানলাং থাং বম (৪৫)।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানায়, গ্রেপ্তার তিনজন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গতিবিধির তথ্য প্রদানকারী এবং ব্যাংক ডাকাতিতে জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

ব্যাংক ডাকাতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও উপপরিদর্শক মদন মিয়া আসামিদের আদালতে পাঠানোর প্রতিবেদনে বলেছেন, ওই তিনজনকে যৌথ অভিযানে সেনাবাহিনী আটক করে থানায় হস্তান্তর করেছে। তাঁদের সবার বাড়ি গির্জাপাড়ায়। তিনজনকেই ব্যাংক ডাকাতি, পুলিশ-আনসারের অস্ত্র লুটের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা চলমান সমন্বিত অভিযানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গতিবিধি কেএনএফের কাছে আদান-প্রদান করেন বলে স্বীকার করেছেন। তা ছাড়া রুমায় সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি, ব্যাংকের ব্যবস্থাপককে অপহরণ ও পুলিশ-আনসারের অস্ত্র লুটের ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহ রয়েছে।

গত ২ এপ্রিল রাতে রুমার সোনালী ব্যাংক ও পরেরদিন দুপুরে থানচির সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে হামলা চালায় কেএনএফ। রুমার সোনালী ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা লুটের চেষ্টা করলে টাকা নিতে না পেরে ব্যাংকের ব্যবস্থাপককে অপহরণ করে। এ সময় পাহারায় থাকা পুলিশ-আনসারের ১৪টি অস্ত্র লুট করে নিয়ে যায় কেএনএফ। তবে ৩ এপ্রিল থানচির সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে হামলা চালিয়ে ১০ লক্ষাধিক টাকা লুট করে নেয় পাহাড়ের এই সশস্ত্র গোষ্ঠী। এ ঘটনার পর থেকে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার বাহিনী সমন্বিত অভিযান পরিচালনা করছে।


আরও খবর



নাশকতার তিন মামলায় জামিন পেলেন মামুনুল হক

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

নাশকতার তিন মামলায় হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা মামুনুল হককে জামিন দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক এই আদেশ দেন।

মামুনুল হকের আইনজীবী আব্দুস সালাম হিমেল জানিয়েছেন, বুধবার মতিঝিল থানার মামলা ১৪(৫)১৩, পল্টন থানার মামলা ৮(৪)২১, পল্টন থানার মামলা ২৮(৪)২১ সহ তিনটি মামলায় মাওলানা মোহাম্মদ মামুনুল হককে জামিন দিয়েছেন আদালত।

নথি থেকে জানা গেছে, মাওলানা মামুনুল হক গত ২০২১ সালের ২১ এপ্রিল গ্রেপ্তার হয়ে তিন বছরের বেশি সময় জেল হাজতে আটক আছেন।


আরও খবর



আবারও পেছাল রিজার্ভ চুরির তদন্ত প্রতিবেদন

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ অর্থ চুরির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ ফের পেছালো। আগামী ৯ জুলাই প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

সোমবার (৬ মে) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে তদন্ত সংস্থা সিআইডি প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী নতুন দিন ধার্য করেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে সুইফট কোডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়ে যায়। ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ মতিঝিল থানায় মামলাটি দায়ের করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং বিভাগের যুগ্ম পরিচালক জুবায়ের বিন হুদা। ১৬ মার্চ মামলাটি তদন্ত করে সিআইডিকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।

মামলাটিতে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ (সংশোধনী ২০১৫)-এর ৪ ধারাসহ তথ্য ও প্রযুক্তি আইন, ২০০৬-এর ৫৪ ও ৩৭৯ ধারায় করা মামলায় সরাসরি কাউকে আসামি করা হয়নি।


আরও খবর



ওমরা ভিসার মেয়াদ নিয়ে সৌদির নতুন নির্দেশনা

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ওমরা ভিসার মেয়াদসংক্রান্ত নতুন নির্দেশনা দিয়েছে সৌদি আরব। দেশটির হজ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগে ওমরা ভিসার ৯০ দিন মেয়াদ গণনা শুরু হতো সৌদিতে প্রবেশের পর। বর্তমানে এই নিয়ম পরিবর্তন করে ভিসা ইস্যুর দিন থেকে ৯০ দিন সৌদিতে অবস্থানের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। রবিবার (১৪ এপ্রিল) দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সৌদি গেজেট তাদের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বর্তমানে ওমরা ভিসায় যারা সৌদি আরবে অবস্থান করছেন তাদের আগামী ২৩ মের আগেই সৌদি আরব ত্যাগ করতে হবে। সৌদিতে আসার পর ৯০ দিন পূর্ণ হোক বা না হোক। এসময়ের পরেও যারা ৯০ দিন পূর্ণ হয়নি বলে রয়ে যাবেন তারা আইনি জটিলতায় পড়তে পারেন বলে সতর্ক করেছে হজ মন্ত্রণালয়।

গত কয়েক বছর ধরে ওমরা ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করায় পবিত্র ওমরা পালনকারীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে। এ বছর পবিত্র রমজানে ৩০ মিলিয়ন (তিন কোটি) মুসলমান ওমরা পালন করেছেন।

আগামী জুনের শুরুতে পালিত হবে এবারের হজ। অস্বাভাবিক খরচ বেড়ে যাওয়ায় হজযাত্রীর সংখ্যা অনেক কমে গেছে। অনেকে হজের পরিবর্তে ওমরায় যাচ্ছেন। এ কারণেও আগের তুলনায় ওমরাযাত্রীর সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।


আরও খবর