আজঃ শনিবার ১১ মে ২০২৪
শিরোনাম

হেফাজত মহাসচিব নূর হোসাইন কাসেমী আর নেই

প্রকাশিত:রবিবার ১৩ ডিসেম্বর ২০২০ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী ইন্তেকাল করেছেন। রবিবার দুপুর একটার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

দেশের প্রবীণ এই আলেম বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছিলেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, দুই মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

নূর হোসাইন কাসেমীর ছেলে জাবের কাসেমী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তার বাবার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। কাসেমীর জানাজা ও দাফন-কাফনের ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

গত ১ ডিসেম্বর ঠান্ডাজনিত কারণে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে নূর হোসাইন কাসেমীকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। কয়েক দফা পরীক্ষা করলেও তার করোনা নেগেটিভ আসে।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার দুপুরে অক্সিজেনের মাত্রা ও রক্তচাপ কমে যাওয়ায় তাকে প্রথমে হাই ডিপেন্ডসি ইউনিটে (এইচডিইউ) নেয়া হয়। পরে অবস্থার আরও অবনতি হলে রাত ৮টায় ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। শুক্রবার সকালে অক্সিজেনের মাত্রা অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে আসে। রক্তচাপ ও হৃৎস্পন্দনও স্বাভাবিক হয়। কিন্তু দুপুরের পর তার শারীরিক অবস্থার আবার অবনতি ঘটে।

আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী দেশের শীর্ষ আলেমদের অন্যতম। তিনি সম্প্রতি আলোচিত সংগঠন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব নির্বাচিত হন। ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করছেন বেশ কয়েক বছর ধরে। এছাড়া তিনি কওমি মাদ্রাসাগুলোর সম্মিলিত বোর্ড আল-হাইয়্যাতুল উলয়া লিলজামিয়াতিল কওমিয়ার কো-চেয়ারম্যান এবং বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সিনিয়র সহসভাপতি ছিলেন।

রাজধানীর বারিধারা জামিয়া মাদানিয়ার প্রিন্সিপালসহ অসংখ্য দীনি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন আল্লামা কাসেমী। সারাদেশে তার হাজার হাজার ছাত্র ও ভক্ত-অনুরাগী রয়েছেন। তার মৃত্যুতে ইসলামি অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।


আরও খবর



চট্টগ্রামে বিমান অবতরণ: অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন বিমানের ২০০ যাত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

এবার যান্ত্রিক ত্রুটি নিয়ে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করেছে এয়ার এরাবিয়ার একটি ফ্লাইট।

আজ শুক্রবার সকাল ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে ফ্লাইটটি অবতরণ করে। চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, এয়ার এরাবিয়ার ফ্লাইট জি ৯৫২৬-এ ১৯১ জন যাত্রী ও সাতজন ক্রু ছিল। সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ থেকে ফ্লাইটটি চট্টগ্রামে আসছিল। এর মধ্যে সেখানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। ফ্লাইটের ত্রুটির সংকেত পাঠানো হয় শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কন্ট্রোল রুমে। এরপর পাইলটের দক্ষতায় নিরাপদে অবতরণ করে ফ্লাইটটি।

তাসলিম আহমেদ বলেন, সকাল ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে ত্রুটি নিয়ে ফ্লাইটটি অবতরণ করে। যাত্রীরা সবাই নিরাপদে ছিল। সেখানে ১৯১ জন যাত্রীসহ সাতজন ক্রু ছিল।


আরও খবর



ইরাকি জনপ্রিয় টিকটক তারকা ওম ফাহাদকে গুলি করে হত্যা

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইরাকি জনপ্রিয় টিকটক তারকা ওম ফাহাদকে গত রাতে বাগদাদের পূর্বাঞ্চলীয় জাইউনা জেলায় নিজ বাড়ির সামনে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। টিকটকে তার হাজার হাজার অনুসারি রয়েছে। খবর আল জাজিরা

নজরদারি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, শুক্রবার রাতে কালো পোশাক ও হেলমেট পরা একদল লোক মোটরবাইকে করে এসে কিছুটা পথ হেটে একটি কালো রংয়ের এসইউভি গাড়িতে গুলি চালায়। ওই গাড়িতেই টিকটক তারকা ওম ফাহাদ বসে ছিলেন।

ইরাকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাকে হত্যার কারণ উদঘাটনে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওম ফাহাদের প্রকৃত নাম গুফরান সায়াদি, টিকটকে তার অর্ধ মিলিয়ন অনুসারি রয়েছে। পপ মিউজিকের সঙ্গে নেচে ভিডিও তৈরি করে সেগুলো টিকটিকে শেয়ার করতেন তিনি। তার তৈরি ভিডিওতে শালীনতা নষ্ট করে এমন বক্তব্য এবং জনসাধারণের নৈতিকতা ভঙ্গের দায়ে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয় দেশটির আদালত। যদিও তার ভিডিওগুরো ১০ লাখের অধিক ভিউ হয়েছে।

ওই সময়ে পাঁচ কনটেন্ট ক্রিয়েটরকেও দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া অন্যদের বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু হয়। ওম ফাহাদের ওই ধরনের অশালীন ভিডিও তৈরি ইরাকি সমাজ এবং পারিবারিক সংস্কৃতিতে কতটা প্রভাব পড়ে তা জানার জন্য ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় একটি কদন্ত কমিটি গঠন করে।

ওম ফাহাদের মতো ইনফ্লুয়েঞ্জারকে হত্যার মতো ঘটনা এটাই প্রথম নয়, দেশটিতে অনলাইনে মুক্তমত প্রকাশের ক্ষেত্রে ব্যাপক কঠোরতা রয়েছে। এটি দিন দিন বাড়ছে। এর আগেও ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ২৩ বছর বয়সী টিকটক তারকাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এছাড়া ২০২৮ সালে ২২ বছর বয়সী মডেল ও সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েঞ্জার তারা ফারেজকেও বন্দুকধারীরা হত্যা করে।

ইরাকে অনার কিলিং (সম্মান রক্ষার্থে হত্যা) এর মতোও ঘটনা রয়েছে। এ বছরের জানুয়ারিতে ২২ বছর বয়সী ইউটিউবার তিবা আল আলীকে তার বাবা শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।


আরও খবর



ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবিতে দেশজুড়ে সংহতি সমাবেশ

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবিতে ও এর পক্ষে থাকায় নিপীড়নের শিকার যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে দেশজুড়ে সর্ববৃহৎ সংহতি সমাবেশ পালিত হয়েছে। ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের আহ্বানে সারা দিয়ে সোমবার (৬ মে) বেলা ১১টা থেকে দেশজুড়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ সংহতি সমাবেশ করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঐতিহাসিক মধুর ক্যান্টিন থেকে এ সংহতি সমাবেশের শুরু হয়। এ সময় ফিলিস্তিনি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর পদযাত্রা শুরু করেন শিক্ষার্থীরা; যা সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

এ ছাড়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় , ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ও ছাত্রলীগের সংহতি সমাবেশ হয়েছে।

এ সমাবেশে ছাত্রলীগের পাশাপাশি যোগ দেন সাধারণ শিক্ষার্থীরাও। সমাবেশে শিক্ষার্থীরা স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবি জানান। সেইসঙ্গে ইসরায়েলের গণহত্যার নিন্দা জানানো হয়। শিক্ষার্থীরা যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীদের ওপর দেশটির পুলিশ দ্বারা চলমান দমন ও নিপীড়নের তীব্র নিন্দা জানান। অতি দ্রুত শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে এ ধরণের হামলা বন্ধের আহ্বান জানান তারা।

এর আগে রোববার (৫ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে স্বাধীন ফিলিস্তিন ইস্যুতে দেশজুড়ে সংহতি সমাবেশ ডাক দেয় আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।

গত অক্টোবরে ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হামলায় নিরস্ত্র মানুষদের হত্যা ও বেসামরিক বহু মানুষকে জিম্মি করার কথা বলে গাজায় সামরিক অভিযান চলছে। এই অভিযানে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও প্রাণহানির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পক্ষে বিক্ষোভে নামেন।

যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি আন্দোলনে যোগ দিচ্ছেন শিক্ষকরাও। নজিরবিহীন এ আন্দোলন ঠেকাতে মারমুখী দেশটির পুলিশ প্রশাসনও। বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের নির্যাতন, ধরপাকড়ের পাশাপাশি করা হচ্ছে বহিষ্কারও। এত কিছুর পরও দমানো যাচ্ছে না আন্দোলনকারীদের। ধীরে ধীরে আরও তীব্র হচ্ছে আন্দোলন। এমন প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে ক্রমশ।

সাম্প্রতিক ইতিহাসে এত বড় ছাত্র আন্দোলন দেখেনি যুক্তরাষ্ট্র। ক্যালিফোর্নিয়া থেকে বোস্টন, নিউইয়র্ক থেকে ওয়াশিংটন; হার্ভার্ড থেকে জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি, ওহাইও থেকে নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি একের পর বিশ্ববিদ্যালয় শামিল হচ্ছে গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবিতে।

পাশাপাশি ইসরায়েল ও গাজা যুদ্ধকে সমর্থন করে, এমন কোম্পানির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবিও তোলা হচ্ছে। এ ধরনের বিক্ষোভ প্রথম শুরু হয়েছিল কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে। এরপর অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও সফল হয়নি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে পুলিশ নির্মম দমন ও পীড়নের চেষ্টা চালায়।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিবাদের অধিকার হরণ, বাকস্বাধীনতায় সীমাবদ্ধতা এবং ইহুদিবিদ্বেষের অভিযোগ তুলে গেল ১৮ এপ্রিল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলো থেকে দুই হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ এবং মুখোশধারীদের হামলার কারণে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্রের শতাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে।

যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীদের ওপর দমনপীড়ন এবং ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইউরোপ, এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

গাজায় ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের আঁচ পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেশী কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়েও। দেশটির মন্ট্রিলের ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে তাঁবু টাঙিয়ে বিক্ষোভ করছেন ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীরা।

অস্ট্রেলিয়ায় শত শত মানুষ সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভে অংশ নেন। সেখানে বিক্ষোভকারীরা তাঁবু স্থাপন করে অবস্থান নেন। তাদের হাতে বড় বড় শব্দে লেখা ফ্রি প্যালেস্টাইন’ প্ল্যাকার্ড। অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্তত সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁবু টাঙিয়ে অবস্থান নিয়েছেন যুদ্ধবিরোধী ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীরা। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে শত শত শিক্ষার্থীরা গাজায় গণহত্যার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। এরমধ্যে ব্রিসবেনে কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় (ইউকিউ) বিক্ষোভের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এই ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনপন্থিদের ১০০ মিটার দূরত্বে ইসরায়েল সমর্থক বিক্ষোভকারীরাও অবস্থান নিয়েছেন। সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়েও প্রায় ৫০টি তাঁবু টাঙিয়ে অবস্থান নিয়েছেন যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভকারীরা। সেখানে ১০০ জনের মতো বিক্ষোভকারী রাতেও অবস্থান করছেন।

যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়া ছাত্র বিক্ষোভের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ হয়েছে ভারতেও। দেশটির খ্যাতনামা নয়াদিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়েও (জেএনইউ) কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভকারীরা গাজায় হামলা ও হত্যাযজ্ঞ থামানোর দাবিতে জড়ো হন। ২৯ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়টি পরিদর্শনে যাওয়ার কথা ছিল ভারতে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটির। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের কারণে তার ওই কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।

এক বিবৃতিতে জেএনইউ স্টুডেন্ট ইউনিয়ন বলেছে, ইসরায়েলের সন্ত্রাস ও গণহত্যার সঙ্গে যুক্ত প্রশাসন ও দেশের প্রতিনিধিত্বকারী ব্যক্তিকে জেএনইউর আঙিনা ব্যবহার করতে দেয়া হবে না। বিক্ষোভ থামাতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে এক হাজার ২০০ জন নিহত হয়। এরপর থেকে গাজায় বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। প্রায় সাত মাস ধরে চলা এই হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।


আরও খবর



সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ড : যা বলছে পরিবেশ মন্ত্রণালয়

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিবৃতি দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। রোববার (৫ মে) বিকেলে এ বিবৃতি দেয় মন্ত্রণালয়টি। এতে বলা হয়, বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলায় সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের আওতাধীন চাঁদপাই রেঞ্জের আমরবুনিয়া ক্যাম্পের বনাঞ্চলের আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। আগুন গাছের ওপরে বা ডালপালায় বিস্তৃত হয়নি, শুধু মাটির ওপরে বিক্ষিপ্তভাবে বিস্তৃত হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ঘটনাস্থলে বন বিভাগের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের কয়েকটি ইউনিট, নৌবাহিনী, পুলিশ, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, সিপিজি, স্বেচ্ছাসেবক ও স্থানীয় জনগণ অগ্নিনির্বাপণে সহায়তা করছেন। এছাড়া বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারও অগ্নিনির্বাপণে ওপর থেকে পানি ছিটিয়ে সহায়তা করেছে।

শনিবার (৪ মে) দুপুর আনুমানিক সাড়ে ৩ টায় আগুন লাগার ঘটনা প্রথম উদঘাটিত হয়। আগুন লাগার ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে বন বিভাগের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছান। বন বিভাগের কর্মীরা স্থানীয় কমিউনিটি পেট্রোলিং গ্রুপ, ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিম এবং স্থানীয় জনগণের সহায়তায় আগুন লাগার চারপাশে ফায়ার লাইন কাটার কাজ শুরু করেন।

কিন্তু ওই সময় ভাটার কারণে খালে কোনো পানি না থাকায় আগুনে পানি দেয়া সম্ভব হয়নি। তবে রাতেই বন বিভাগের নিজস্ব ফায়ার ফাইটিং ইকুইপমেন্ট ও পানি দেয়ার মেশিন এনে, সেটি রেডি করে পাইপ লাগিয়ে সেট করে রাখা হয়। পরে রোববার ভোর থেকেই বন বিভাগের কর্মী, ফায়ার সার্ভিস, স্থানীয় জনগণ, সিপিজি, সিএমসির লোকদের নিয়ে আগুন লাগার স্থানে চারদিকে ফায়ার লাইন কাটার পাশাপাশি পানি দিয়ে আগুন নেভানোর কাজ পুরোদমে শুরু করা হয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আগুন লাগার স্থানের চারদিকে প্রায় ৫ একর জায়গা জুড়ে ফায়ার লাইন কেটে আগুন নেভানোর কাজ চলছে। তবে যেহেতু আগুন মাটির নীচ দিয়ে গাছের শিকড়ের মধ্যে দিয়ে বিস্তৃতি লাভ করেছে, কাজেই সতর্কতার সঙ্গে আগুন নেভাতে হচ্ছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে থাকলেও আগামী কয়েক দিন এখানে অগ্নি নির্বাপণ সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম চলমান রাখা হবে। কেননা ফরেস্ট ফায়ার আপাতত নিভে গেছে বা নিয়ন্ত্রিত হয়েছে মনে হলেও আবার যে কোনো সময় এটি নতুনভাবে সৃষ্টি ও বিস্তৃতি লাভ করতে পারে। আগুন লাগার সুনির্দিষ্ট কারণ নির্ণয়ে তদন্তের জন্য বন বিভাগের পক্ষ থেকে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী এবং মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ সুন্দরবনের আগুন নির্বাপণ কর্মকাণ্ড সার্বক্ষণিকভাবে তদারকি ও সমন্বয় করছেন। প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি অবহিত আছেন এবং তিনি নিয়মিত খোঁজখবর রাখছেন। এ কর্মকাণ্ড সরেজমিনে তদারকি করতে প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী সুন্দরবনের ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। তিনি এ বিষয়ে সর্বশেষ অগ্রগতি ও কর্মপন্থা বিষয়ে আজ সন্ধ্যা সাড়ে আটটায় খুলনায় সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।


আরও খবর



ইউক্রেনে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: নিহত ১৭

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইউক্রেনের ঐতিহাসিক শহর চেরনিগিভে বুধবার কয়েক দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ওই শহরে তিনটি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ১৭ জন নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা এরই মধ্যে মিত্র দেশগুলোর কাছ থেকে আরও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। খবর এএফপির।

বেশ কিছু ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, শহরের রাস্তা-ঘাট রক্তাক্ত হয়ে আছে। উদ্ধারকর্মীরা জীবিতদের উদ্ধারে কাজ করছেন। এছাড়া আহতদের উদ্ধার করে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে আরও সাহায্যের জন্য আবেদন জানিয়েছেন। অপরদিকে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ অবশেষে একটি বিশাল আকারের নতুন সামরিক সহায়তা প্যাকেজের ওপর ভোটাভুটির ঘোষণা দিয়েছে। এতে ৬১ বিলিয়ন ডলারের দীর্ঘ সময়ের সামরিক সহযোগিতা অন্তর্ভূক্ত থাকছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের এমন পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন জেলেনস্কি।

চেরনিগিভের বাসিন্দা ওলগা সামোইলেঙ্কো এএফপিকে বলেন, প্রথম ক্ষেপণাস্ত্রটি যখন বিস্ফোরিত হলো তখন তিনি তার সন্তানদের নিয়ে তাদের অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ের করিডোরে অবস্থান করছিলেন।

৩৩ বছর বয়সী ওলগা বলেন, আমাদের প্রতিবেশীরাও ইতোমধ্যেই সেখানে অবস্থান করছিলেন। আমরা চিৎকার করে সবাইকে মেঝেতে শুয়ে পড়তে বলেছিলাম। সবাই তাই করেছিল এবং এর মধ্যেই আরও দুটি বিস্ফোরণ ঘটে। তারপরেই আমরা পার্কিং লটে ছুটে যাই।

এদিকে জরুরি সেবা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, তিন শিশুসহ ৬০ জন রুশ হামলায় আহত হয়েছে। শহরের মেয়র ওলেকসান্দর লোমাকো জানিয়েছেন, ডজনখানেকের বেশি ভবন আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যান্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ডজনখানেক যানবাহন এবং মেডিকেল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এই হামলার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করেছেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, রুশ হামলা প্রতিহত করতে পশ্চিমা দেশগুলোর উচিত ইউক্রেনকে আরও সহায়তা দেওয়া।

তিনি বলেন, ইউক্রেন যদি পর্যাপ্ত বিমান প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম পেত এবং রাশিয়ার সন্ত্রাসী হামলা প্রতিহত করার জন্য বিশ্বের দৃঢ় সংকল্প থাকত তবে তারা এভাবে হামলা চালাতে পারত না। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ থেকে প্রায় ১৪৫ কিলোমিটার (৯০ মাইল) উত্তরে অবস্থিত চেরনিগিভ শহরটি। যুদ্ধের আগে ওই শহরের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ২ লাখ ৮৫ হাজার।


আরও খবর