আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

হবিগঞ্জে স্কুল পরিষ্কার করতে ব্যয় সাড়ে ৫ কোটি টাকা

প্রকাশিত:রবিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

হবিগঞ্জে খুলে দেওয়া হয়েছে ১ হাজার ৩২১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। স্কুল, কলেজ ও মাদরাসায় ফিরছে ৪ লক্ষাধিক শিক্ষার্থী।

তবে প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে ব্যয় হয়েছে সাড়ে ৫ কোটি টাকা।

জানা গেছে, সরকারি-বেসরকারি ও এমপিওভুক্ত মিলিয়ে হবিগঞ্জ জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১ হাজার ৩২১টি। এর মধ্যে শুধু প্রাথমিক বিদ্যালয় ১ হাজার ৫২টি ও বাকি ২৬৯টি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল, কলেজ, মাদরাসা।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আমিরুল ইসলাম জানান, ১ হাজার ৫২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিষ্কার ও এগুলোতে স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী কেনা হয়েছে। এজন্য প্রতিটি বিদ্যালয়ে গড়ে ৫০ হাজার করে মোট ব্যয় হয়েছে ৫ কোটি ২৬ লাখ টাকা।

একই কাজে ২৬৯টি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল কলেজ এবং মাদরাসায় ব্যয় হয়েছে ১০ হাজার করে ২৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা। ফলে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক মিলিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ব্যয় দাঁড়ায় ৫ কোটি ৫২ লাখ ৯০ হাজার টাকা।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল্লাহ জানান, নির্দেশনা আসার পর থেকেই প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। গতকাল শনিবার পর্যন্ত কর্মকর্তা ও শিক্ষক-কর্মচারী মিলে শ্রম দিয়েছেন। সফলভাবে প্রথমদিনের পাঠদান সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদী তারা।

করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ সারাদেশের মতো হবিগঞ্জের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়। ১ বছর ৫ মাস ২৫ দিন পর প্রতিষ্ঠানগুলো খুলছে আজ।  

নিউজ ট্যাগ: হবিগঞ্জ

আরও খবর



অবশেষে অভিশ্রুতির পরিচয় শনাক্ত

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অবশেষে সাংবাদিক অভিশ্রুতি শাস্ত্রী ওরফে বৃষ্টির পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। বাবা সবুজ শেখ ওরফে শাবলুল আলম এবং মা বিউটি খাতুনের দেওয়া ডিএনএ নমুনার সঙ্গে মিলেছে তার ডিএনএ। রবিবার (১০ মার্চ) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডির) ফরেনসিক বিভাগের ডিআইজি একেএম নাহিদুল ইসলাম।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মারা যান বৃষ্টি খাতুন। বৃষ্টি তার বন্ধু ও সহকর্মীদের কাছে অভিশ্রুতি নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি মূলত মুসলিম পরিবারের সন্তান। কিন্তু অভিশ্রুতি নামে নিজেকে পরিচয় দেওয়ার কারণে তার মৃতদেহ হস্তান্তর নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়।

মৃত্যুর পর রমনা মন্দিরের পুরোহিত বৃষ্টিকে সনাতন ধর্মাবলম্বী এবং সবুজ শেখ ও বিউটি খাতুন নিজের সন্তান বলে দাবি করেন। এরপর মৃতদেহ শনাক্ত করতে নেওয়া হয় ডিএনএ নমুনা। নমুনা নেওয়ার ১১ দিন পর বৃষ্টির ডিএনএ’র সঙ্গে তার বাবা-মায়ের ডিএনএ মিলেছে।

বৃষ্টির গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বেতবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বনগ্রাম গ্রামের পশ্চিমপাড়ায়। কলেজের সার্টিফিকেট, জন্মনিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্রে অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর নাম বৃষ্টি খাতুন।

ডিআইজি নাহিদুল ইসলাম জানান, বৃষ্টির পরিবারের সদস্যরা ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়েছিলেন। শনিবার তাদের ডিএনএ শনাক্ত হয়েছে। বৃষ্টির পরিবারের সঙ্গে ডিএনএ মিলেছে। ডিএনএ শনাক্তের পর তদন্ত কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। পরবর্তী ব্যবস্থা তারাই নেবেন।

এ বিষয়ে বৃষ্টির বাবা শাবলুল আলম সবুজ ও নাজমুলের মামা আনোয়ার হোসেন জানান, মৃতদেহ নেওয়ার জন্য এখনো তাদের কিছু জানানো হয়নি। তারা অপেক্ষায় আছেন।


আরও খবর



অর্ধেকের বেশি শিশুর জন্ম অস্ত্রোপচারে, পল্লীর তুলনায় এগিয়ে শহর

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

পল্লী এলাকার তুলনায় শহরে অস্ত্রপচারের মাধ্যমে সন্তান জন্মদানের হার বেশি। এছাড়া সরকারি প্রতিষ্ঠানের চেয়ে বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে সন্তান জন্ম হয় বেশি। এমন তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুারো (বিবিএস)। সম্প্রতি বিবিএসসের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হয়েছে বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস-২০২৩।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বাংলাদেশে অস্ত্রপচারের মাধ্যমে বেড়েছে সন্তান জন্মদানের হার। দেশে স্বাভাবিকভাবে সন্তান জন্ম হয় ৪৯ দশমিক ৩ শতাংশ, যা ২০২২ সালে ছিলো ৫৮ দশমিক ৬ শতাংশ। আর অস্ত্রপচারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম হয় ৫০ দশমিক ৭ শতাংশ, যা ২০২২ সালে ছিলো ৪১ দশমিক ৪ শতাংশ।

পরিসংখ্যানে অনুযায়ী, পল্লী এলাকার চেয়ে শহর এলাকায় অস্ত্রপচারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম হয় বেশি। ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে পল্লী এলাকায় স্বাভাবিকভাবে সন্তান জন্মদানের হার কমেছে। ২০২২ সালে ছিলো ৬১ দশমিক ৫ শতাংশ আর ২০২৩ সালে এই হার কমে হয়েছে ৫১ দশমিক ৬ শতাংশ। পক্ষান্তরে ২০২২ সালের তুলনায় বেড়েছে অস্ত্রপচারের হার। পল্লী এলাকায় ২০২২ সালে অস্ত্রপচারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম হয়েছে ৩৮ দশমিক ৫ শতাংশ, ২০২৩ সালে বেড়ে হয়েছে ৪৮ দশমিক ৪ শতাংশ।

পল্লী এলাকার চেয়ে শহর এলাকার চিত্র ঠিক বিপরীত। শহর এলাকায় ২০২২ সালে স্বাভাবিকভাবে সন্তান জন্ম হয়েছে ৪৭ শতাংশ। ২০২৩ সালে এই হার কমে হয়েছে ৪০ দশমিক ৯ শতাংশ। শহর এলাকায় ২০২২ সালে যেখানে অস্ত্রপচারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম হয়েছে ৫৩ শতাংশ, ২০২৩ সালে বেড়ে এই হার হয়েছে ৫৯ দশমিক ১ শতাংশ।

পরিসংখ্যান বলছে, দেশে বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে সন্তান জন্মদানের হার বেশি। ২০২২ সালে ছিলো ৩২ দশমিক ৯৩ শতাংশ, ২০২৩ সালে বেড়ে এই হার হয়েছে ৩৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এর বিপরীতে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে সন্তান জন্ম হয় ২৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ, ২০২২ সালে এই হার ছিলো ২৪ দশমিক ৩ শতাংশ। আর বাসাবাড়িতে সন্তান জন্মদানের হার ২০২২ সালের চেয়ে কমে হয়েছে ৩২ দশমিক ৭৭ শতাংশ।

পল্লী এবং শহর এলাকাতেও বেড়েছে বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানে সন্তান জন্মদানের হার। পল্লী এলাকায় এই হার ৩৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ আর শহর এলাকায় এই হার ৪৩ দশমিক ২৭ শতাংশ। এছাড়া এই পরিসংখ্যান অনুযায়ি দেশে ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে বেড়েছে জীবিত সন্তান জন্মদানের হার। ২০২২ সালে এই হার ছিলো ৮৭ দশমিক ০৫ শতাংশ, ২০২৩ সালে বেড়ে হয়েছে ৮৮ দশমিক ৭৯ শতাংশ।


আরও খবর



মেসি-সুয়ারেজ নৈপুণ্যে বিশাল জয় মায়ামির

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

মেজর লিগ সকারে ইন্টার মায়ামির হয়ে দুর্দান্ত একটি রাত কাটালেন লুইস সুয়ারেজ। ওরলান্ডো সিটির জালে নিজে দুইবার বল জড়ানোর পাশাপাশি দুটি অ্যাসিস্টও করেছেন উরুগুয়ে ফরোয়ার্ড। দুইবার জালে বল জড়িয়েছে আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসিও। আর মেসি-সুয়ারেজের অসাধারণ নৈপুণ্যে ওরলান্ডো সিটিকে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে ডেভিড বেকহ্যামের মায়ামি।

প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতিটা খুব একটা ভালো হয়নি মায়ামির। তবে মেজর লিগ সকারের নতুন মৌসুমের শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছে মায়ামির। তিন ম্যাচ খেলে এখনো কোনো ম্যাচ হারেনি তারা। এই তিন ম্যাচে ৭ পয়েন্ট অর্জন করে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে আছে তারা।

ক্লাব ইতিহাসে অমন বর্ণিল শুরু আর পায়নি বেকহামের দল। অন্যদিকে ফ্লোরিডা প্রতিদ্বন্দ্বী ওরলান্ডো সিটির সংগ্রহ মোটে ১ পয়েন্ট। অথচ গত মৌসুমে ইস্টার্ন কনফারেন্সে দ্বিতীয় হয়েছিল তারা। এবারের এমএলএস কাপ জয়েও অন্যতম ফেভারিট ভাবা হচ্ছে ক্লাবটিতে। মেসি-সুয়ারেজের দুর্দান্ত পায়ের জাদুতে সেই ওরলান্ডোকে গোলের মালাই পরাল মায়ামি।

বার্সেলোনার অনেকগুলো বর্ণিল বসন্ত কাটিয়েছেন মেসি ও সুয়ারেজ একসঙ্গে। কাতালান ক্লাবটি অনেকবার উৎসবে মেতেছে তাঁদের যুগলবন্দিতে। মায়ামিতেও মম্ভবত সেই পথচলার শুরু হয়ে গেল।  প্রথম দুই ম্যাচে অনেকটা নিষ্প্রভ ছিলেন লুই সুয়ারেজ।

তার ফিটনেস নিয়েও ছিল প্রশ্নচিহ্ন। জোড়া গোলের পাশাপাশি জোড়া অ্যাসিস্টে সেই সংশয় দূর করে দিলেন উরুগুয়ে তারকা।

খেলার চতুর্থ মিনিটে গোল উৎসবের শুরু সুয়ারেজের পায়েই। একাদশ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণও করেছেন উরুগুয়ে ফরোয়ার্ড। ২৯ মিনিটে রবার্ট টেলরের গোলে স্কোর হয় ৩-০। ম্যাচটা ওখানেই প্রায় শেষ। দ্বিতীয়ার্ধে পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে মেসির দুই গোলে ওরলান্ডোর ম্যাচে ফেরার আশাও পুরোপুরি হয়ে যায় বিলীন। ৫৭ মিনিটে প্রথমবার বল জালে জড়ান আর্জেন্টাইন তারকা। ৬২ মিনিটে ম্যাচে করেন নিজের দ্বিতীয় গোল। মেজর লিগ সকারে নতুন মৌসুমে তিন ম্যাচ শেষে আর্জেন্টাইন তারকার গোলসংখ্যাও সমান তিন।


আরও খবর
ডি মারিয়াকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




পিরোজপুরে আওয়ামী লীগ নেতাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়েছে দুর্বৃত্তরা

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মশিউর রহমান রাহাত, পিরোজপুর

Image

পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার পাড়েরহাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল হালিমকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রবিবার (১০ মার্চ) রাতে পাড়েরহাট ইউনিয়নের উমেদপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত হালিম পিরোজপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

আব্দুল হালিমের নাতি আরিফ সিকদার জানান, আব্দুল হালিমের ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসা রয়েছে। রবিবার রাতে হজে লোক পাঠানোর বিষয়ে কথা বলার জন্য ফোন দিয়ে বাড়ি সামনে বের হতে বলে একজন। তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে উমেদপুর মসজিদের কাছে গেলে ১০-১২ জন তার ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা লোহার পাইপ ও রড দিয়ে দুই পায়ে পিটিয়ে আহত করে ফেলে চলে যায়। এরপরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। তিনি আরো জানান, হামলাকারীরা পরিচিত তবে ফোনে তাদের নাম বলা যাবে না।

ইন্দুরকানী থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মো.কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, রাজনৈতিক শত্রুতার জন্য এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হামলাকারীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।


আরও খবর



৩৫ বছর আগের সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলার রায় আজ

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

৩৫ বছর আগের সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলার রায় ঘোষণার জন্য আজ বুধবার (১৩ মার্চ) দিন ধার্য রয়েছে।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি এ মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। তবে সেদিন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইন ছুটিতে থাকায় রায় ঘোষণার দিন পেছানো হয়।

তিন দশক আগে রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুলের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী সগিরা মোর্শেদকে। ২০ ফেব্রুয়ারির আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। তবে সেদিন রায় প্রস্তুত না হওয়ার কারণে তারিখ পেছানো হয়।

এ রায়ে চার আসামির মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। অপর দিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি রাষ্ট্রপক্ষ। আসামিরা খালাস পাবেন, সেই প্রত্যাশা তাদের।

এর আগে ২৫ জানুয়ারি ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ দায়রা জজ মোহাম্মদ আলী হোসাইনের আদালত যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ৮ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করেছিলেন।

এ মামলার আসামিরা হলেন-আনাস মাহমুদ ওরফে রেজওয়ান (৫৯), ডা. হাসান আলী চৌধুরী (৭০) ও তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদ ওরফে শাহীন (৬৪) এবং মারুফ রেজা ও মন্টু মণ্ডল।

মামলার অভিযোগপত্রে জানা যায়, সগিরা মোর্শেদের পরিবারের সঙ্গে শাহীনের বিভেদ তৈরি হয়েছিল। এছাড়া শাশুড়ি সগিরাকে বেশি পছন্দ করতেন এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সগিরা-শাহীনেরও দ্বন্দ্ব ছিল। সম্বোধন করা নিয়েও পারিবারিক দ্বন্দ্ব ছিল। সগিরার কাজের মেয়েকে মারধর করেন ডা. হাসান আলী চৌধুরী।

এ নিয়ে পারিবারিক বৈঠকে সগিরাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন  শাহীন। আসামিরা নিজেদের বাসায় বসে সগিরাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ডা. হাসান আলী তার চেম্বারে মারুফ রেজার সঙ্গে ২৫ হাজার টাকায় হত্যার চুক্তি করেন।

১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই বিকেল ৫টার দিকে মেয়েকে স্কুল থেকে আনতে সগিরা মোর্শেদ সিদ্ধেশ্বরীর বাসা থেকে বের হন। স্কুলের সামনে পৌঁছালে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী আব্দুস সালাম চৌধুরী রমনা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

২০১৯ সালের ১৬ জানুয়ারি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম আদালতের জিআর শাখায় এ মামলার অভিযোগপত্র জমা দেন। ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। এ মামলায় ৫৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।


আরও খবর