হবিগঞ্জ শহরবাসীর গলার কাটা হয়ে দাড়িয়েছে টমটম ইজিবাইক ও ব্যাটারি চালিক অটোরিকশা। দিনদিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে এসব যানবাহন। যেখানে সেখানে পার্কিং, লেন অমাণ্য করে চলাচলের কারণে দিনের পর দিন শহরে যানজট লেগে থাকায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষকে। সেই সাথে যাত্রীদের নানাভাবে হয়রাণীতো আছেই।
জানা যায়, শহরে টমটমে উঠানামার ক্ষেত্রে ৫ টাকা ভাড়া থাকলেও সম্প্রতি তা বাড়িয়ে ১০ টাকা করা হয়েছে। তবে শর্ত দেয়া হয়েছে ৫ জনের অধিক যাত্রী পরিবহণ করা যাবে না। অথচ চালকরা ভাড়া ১০ টাকা নিলেও যাত্রী পরিবহণ করছে ৫ জনের অধিক। বিষয়টি নিয়ে শহরবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ নিয়ে প্রায় সময়ই ঘটছে টমটম চালক ও যাত্রীদের মধ্যে বাদ-বিতন্ডা। কখনো কখনো সেটি গড়ায় হাতাহাতির পর্যায়ে।
বাণিজ্যিক এলাকার আওলাদ হোসেন বলেন, ‘যে পরিমান টমটম ইজিবাইক বৃদ্ধি পাচ্ছে, যদি এখনই এর লাগাম না টানা যায় তাহলে ভবিষ্যতে শহরে চলাচলের অনুপযোগী হবে। এছাড়া প্রতিনিয়তই জ্যামে থাকে যে জায়গায় ১০ মিনিটে যাওয়ার কথা সেখানে আধা ঘন্টারও বেশি সময় লাগছে।’
রফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যাক্তি বলেন, ‘টমটম এবং ইজিবাইকের চালকেরা নিজেদের অনেক কিছু মনে করেন। যাত্রিদের কাছ থেকে যার যেমন মন চায় তেমই ভাড়া আদায় করছেন। কখনো কখনো বাদ-বিতন্ডাও জড়িয়ে পরছেন। আমরা মেয়র সাহেবের কাছে অনুরোধ করবো যাতে ভাড়াগুলো নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নিয়ে আসা যায়।
মহসিন মিয়া বলেন, শহরে ধারণ ক্ষমতার বেশি ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক ও অটোরিকশা হয়েগেছে। যে কারণে শহরেও প্রতি মুহূর্তই যানজট লেগে থাকে। এছাড়া এতদিন টমটমের দাপট থাকলেও এখন নতুন করেও অটোরিকশার দাপট বেড়েছে। তারা যতখুশি ততই ভাড়া আদায় করেছেন। পৌর মেয়রের এদিকে নজর দেয়া উচিত।
উঠা-নামার ভাড়া ১০ টাকা করার পর থেকেই যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। ভাড়া কমানোর জন্য যাত্রী-কল্যাণ পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক ও পৌর মেয়রের কাছে একাধিকবার স্মারকলিপি দেয়া হয়। এরপরও কমছে না উঠা-নামার ভাড়া।
সম্প্রতি অটোরিকশার নৈরাজ্য কমাতে মাঠে নামেন পৌর মেয়র আতাউর রহমান সেলিম। এ সময় অটোচালকদের সতর্ক করে দিলেও কমেনি তাদের দৌরাত্ম্য।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, শহরের যানজট নিরসনে কাজ করছে হবিগঞ্জ পৌরসভা। কিছু দিনের মধ্যেই জনসাধারণের যে ভাড়া কমানোর দাবি এলাকা ভিত্তিক ভাড়া সমন্বয়ের বিষয়েও শিগগিরই ব্যবস্থা নেয়া হবে।