
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে
গত ৪ দিনে চারজন শিশু নিখোঁজের তিন দিন পর ৩ শিশুকে পাওয়া গেছে। তাদের ভিন্ন ভিন্ন
স্থানে অবচেতন অবস্থায় পাওয়া গেছে এবং তারা কেউই কিভাবে নিখোঁজ হয়েছে কোথায় ছিল কিছুই
বলতে পারেনি। তবে এখনো এক শিশু নিখোঁজ রয়েছে।
২৬ অক্টোবর উপজেলার
শানখলা ইউনিয়নের পাইকুড়া গ্রামের ব্যবসায়ী বাচ্চু মিয়ার পুত্র আল আমিন নিখোঁজ হয়। সে
স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪র্থ শ্রেণিতে পড়ে। শুক্রবার সকালে তাকে শায়েস্তাগঞ্জ নতুন
ব্রিজ এলাকায় ঘোরাফেরা করা অবস্থায় পাওয়া যায়।
শিশুটির বাবা
বাচ্চু মিয়া জানান, সে কিভাবে কার সঙ্গে এসেছে এবং কোথায় ছিল কিছুই বলতে পারেনি। তার
চোখে ঘুম ঘুম ভাব দেখে তাকে চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি নিয়ে যান।
একই দিন রাত সাড়ে
৭টার দিকে উপজেলার দেওরগাছ গ্রামের ফরিদ মিয়ার পুত্র তানভীরকে (৮) সিলেট শাহজালালের (র.) মাজার প্রাঙ্গনে দেখতে পান
তার এক আত্মীয়। তার চোখে নেশা নেশা ভাব এবং অবচেতন অবস্থায় ঘুমিয়ে ছিল। পরে রাতেই তাকে
চুনারুঘাট নিয়ে আসা হয়।
তানভিরের বাবা
ফরিদ মিয়া জানান, তার এক আত্মীয় তাকে মাজারে দেখতে পেয়ে বাড়িতে কল দেয়। তবে সে কিছুই
বলতে পারে না। কিভাবে সে সিলেট গেছে বা কোথায় ছিল কিছুই সে জানাতে পারেনি। ফরিদ জানায়,
তার ছেলে একটি মাদ্রাসায় পড়ে। এর আগে উপজেলার বাসুল্লা এলাকার এক শিশু নিখোজের দুদিন
পর তাকে পাওয়া যায় মতিভ্রম অবস্থায়। তাকে চিকিৎসা দেওয়ার পর বাড়িতে পাঠানো হয়।
এর আগে ২২ অক্টোবর
চুনারুঘাট পৌর শহরে অবস্থিত বাসা থেকে বের হয়ে লিজা আক্তার নামের এক শিশু নিখোঁজ হয়।
লিজা আমকান্দি গ্রামের কবির মিয়ার কন্যা। সে চুনারুঘাট পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের
৭ম শ্রেণির ছাত্রী। এ নিয়ে ২৬ অক্টোবর চুনারুঘাট থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। তাকে
এখনো পাওয়া যায়নি।