আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

হবিগঞ্জ থেকে সারাদেশে বাস চলাচল বন্ধ, দুর্ভোগে যাত্রীরা

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ অক্টোবর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

হবিগঞ্জ জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনের কারণে হবিগঞ্জ থেকে সারা দেশের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।

জানা গেছে, শনিবার (৮ অক্টোবর) সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ চলছে। বিকেল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষ হলে বাস চলাচল পুনরায় শুরু হবে। হবিগঞ্জে মটর মালিক গ্রুপের আওতাধীন সকল গণপরিবহণ চলাচল বন্ধ রয়েছে। আঞ্চলিক সড়কের পাশাপাশি হবিগঞ্জ থেকে ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম সড়কের বাস চলাচলও বন্ধ রেখেছেন চালকরা।

হবিগঞ্জ জেলা মটর মালিক গ্রুপের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবু মঈন চৌধুরী সোহেল গণমাধ্যমকে বলেন, শনিবার যে বাস চলাচল বন্ধ থাকবে এ ব্যাপারে সংবাদ সম্মেলন করে ও সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আমরা আগেই যাত্রীদের জানিয়েছি। যে কারণে যাত্রীদের তেমন দুর্ভোগ হবে না। তবুও সাময়িক এই অসুবিধার জন্য আমরা যাত্রীদের কাছে ক্ষমা চাইছি।


আরও খবর



বর্ধিত মন্ত্রিসভায় ফোন পেলেন যারা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ নতুন সরকার হিসেবে শপথ নিয়েছে গত ১১ জানুয়ারি। ওই দিন নতুন সরকারের ২৫ জন মন্ত্রী ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রী শপথ নেন। দ্বিতীয় দফায় শুক্রবার (০১ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বঙ্গভবনে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীর শপথ হবে। বঙ্গভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

নতুন মন্ত্রিসভায় শপথ গ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ পেয়েছেন ওয়াসিকা আয়শা খান (সংরক্ষিত মহিলা আসন), নজরুল ইসলাম চৌধুরী (চট্টগ্রাম-১৪), ডা. রোকেয়া সুলতানা (সংরক্ষিত মহিলা আসন), ও শামসুন্নাহার চাঁপা (সংরক্ষিত মহিলা আসন), মো. শহীদুজ্জামান সরকার (নওগাঁ-২), মো. আব্দুল ওয়াদুদ (রাজশাহী-৫), ও বেগম নাহিদ ইজাহার খান।

তাদের মধ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নজরুল ইসলাম, অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন্নাহার চাঁপা এবং স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী হিসেবে ডা. রোকেয়া সুলতানা দায়িত্ব পাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ২ মার্চ শনিবার দিবাগত রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাত ও যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে যাত্রা করবেন। ১৫ মার্চ পর্যন্ত তিনি দেশের বাইরে অবস্থান করবেন।

এ ছাড়া আগামী রবিবার শুরু হচ্ছে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন। এ জন্য আজ দ্বিতীয় দফায় নতুন মন্ত্রীদের শপথ অনুষ্ঠান বঙ্গভবনে হবে। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন নতুন মন্ত্রীদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন।

গত বুধবার জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনে ৫০ জন নারী সদস্য শপথ নিয়েছেন। শপথগ্রহণের পরই তারা সংসদে যোগদান করেন। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, সংরক্ষিত আসনের মনোনয়ন চূড়ান্ত হওয়ার পর মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ করা হতে পারে। কারণ সংস্কৃতিবিষয়ক এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়সহ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ে এখন পর্যন্ত মন্ত্রী দেওয়া হয়নি।


আরও খবর



অকটেন-ডিজেল দামের ব্যবধান হবে ১০ টাকা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, চলতি মাস থেকে স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় মূল্য নির্ধারণের সময় অকটেন-ডিজেলের ব্যবধান হবে ১০ টাকা। অর্থাৎ ডিজেলের চেয়ে ১০ টাকা বেশি হবে অকটেনের দাম। এ ছাড়া বিশ্ব বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে প্রতি মাসে জ্বালানি তেলের মূল্য।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ নির্দেশিকার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।

শুক্রবার (০১ মার্চ) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রজ্ঞাপন প্রকাশের বিষয়টি জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাস্তবতার নিরিখে দেশে ব্যবহৃত অকটেন ও পেট্রল ব্যক্তিগত যানবাহনে অধিক পরিমাণে ব্যবহৃত হয় বিধায় এর মূল্য বিলাসদ্রব্য (লাক্সারি আইটেম) হিসেবে সব সময় ডিজেলের চেয়ে বেশি রাখা হয়। বর্তমানে ডিজেল ও অকটেনের খুচরা বিক্রয় মূল্য পার্থক্য লিটারপ্রতি ২১ টাকা। ফর্মুলা অনুযায়ী অকটেনের মূল্য নির্ধারণকালে ডিজেলের সাথে পার্থক্য লিটার প্রতি ন্যূনতম ১০ টাকা যেন থাকে সে জন্য প্রাইসিং ফর্মুলায় ‘α’ ফ্যাক্টর বিবেচিত হবে।

পেট্রোলিয়াম পণ্য ডিজেল, কেরোসিন, অকটেন ও পেট্রলসহ সরকার যেসব গ্রেডের জ্বালানি তেলের বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ করে থাকে সেগুলোর জন্য এই স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি প্রযোজ্য হবে। তবে সরকার/ বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) প্রয়োজন মনে করলে অন্যান্য পেট্রোলিয়াম পণ্যের ক্ষেত্রেও শর্তসাপেক্ষে উক্ত নির্দেশনা প্রয়োগ করতে পারবে। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে প্রাথমিকভাবে প্রতি মাসে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি মার্চ ২০২৪ থেকে কার্যকর হবে।

ডিজেল ও কেরোসিনের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতিতে আমদানিকৃত পরিশোধিত ডিজেলের কস্ট কম্পোনেন্টসমূহের পাশাপাশি ইস্টার্ন রিফাইনারিতে ক্রুড অয়েল থেকে উৎপাদিত ডিজেলের কস্ট কম্পোনেন্টসমূহ অন্তর্ভুক্ত হবে।

এ দুই ধরনের জ্বালানি তেলের কস্ট কম্পোনেন্টসমূহ বিবেচনা করে ডিজেল ও কেরোসিনের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ করা হবে:

যেভাবে মূল্য নির্ধারণ হবে তা নিম্নরূপ:

ডিজেলের স্বয়ংক্রিয় বিক্রয় মূল্য (H)= পণ্য মূল্য (A) + আমদানি শুল্ক, অগ্রিম আয়কর ও আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট (B) + অপারেশনাল ব্যয় (C) + আর্থিক, প্রশাসনিক ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় (D) + বিপিসির মার্জিন (E) + ভ্যাট (F4) + বিক্রয় ও বিতরণ খরচ (G)।

অকটেন ও পেট্রলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতিতে আমদানিকৃত পরিশোধিত অকটেনের কস্ট কম্পোনেন্টসমূহ বিবেচনা করে নিম্নরূপভাবে অকটেনের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ করা হবে:

অকটেনের স্বয়ংক্রিয় বিক্রয় মূল্য (H)= পণ্য মূল্য (A) + আমদানি শুল্ক, অগ্রিম আয়কর ও আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট (B) + অপারেশনাল ব্যয় (C) + আর্থিক, প্রশাসনিক ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় (D) + বিপিসির মার্জিন (E) + ALPHA (α)+ ভ্যাট (F) +বিক্রয় ও বিতরণ খরচ (G)।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) এই অনুযায়ী জ্বালানি তেলের নতুন মূল্য তালিকা অনুমোদন করবে। এটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।


আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




‘আমার মন্ত্রী-সচিব আছে, জেলা এক্সেন গোনা লাগে না’

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
শরীয়তপুর প্রতিনিধি

Image

রাস্তার অনিয়ম নিয়ে প্রশ্ন করায় সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয়ে শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আবু নাঈম নাবিল বলেন—‘আমার মন্ত্রী, সচিব আছে। জেলা এক্সেন (জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী) আমার গোনা লাগে না। শুধু তাই নয়, একপর্যায়ে গণমাধ্যমকর্মীদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিতও করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে ডামুড্যা উপজেলার খেজুরতলা এলাকায় এলজিইডির একটি রাস্তার কার্পেটিংয়ের চলমান কাজের অনিয়মের তথ্য সংগ্রহকালে এমন কাণ্ড করে বসেন ওই উপজেলা প্রকৌশলী।

ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা জানান, ডামুড্যা উপজেলার এলজিইডির তত্ত্বাবধানে কনেশ্বর ইউনিয়নের খেজুরতলা এলাকায় একটি পিচঢালাই রাস্তার কার্পেটিংয়ের কাজ চলছিলো। চলমান কাজে নিম্নমানের ও পুরোনো নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করে আসছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এমন তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাস্থলে সংবাদ সংগ্রহে যান দৈনিক সমকাল পত্রিকার প্রতিনিধি সোহাগ খান সুজন, বাংলা টিভির নয়ন দাস ও ডেইলি স্টারের প্রতিনিধি জাহিদ হাসান রনি। ঘটনাস্থলে গিয়ে রাস্তার কার্পেটিংয়ের বিটুমিন মেশানোর জায়গায় পুরোনো সেতুর ভাঙা পাথর দেখতে উপজেলা প্রকৌশলী আবু নাঈম নাবিলকে প্রশ্ন করেন গণমাধ্যমকর্মীরা। এমন সময় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং একপর্যায়ে সমকালের প্রতিনিধি সোহাগ খান ও ডেইলি স্টারের প্রতিনিধি জাহিদ হাসান রনিকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।

দৈনিক সমকালের প্রতিনিধি সোহাগ খান সুজন অভিযোগ করে বলেন, রাস্তার কাজে অনিয়ম হচ্ছে এমন সংবাদে আমরা কয়েকজন সাংবাদিক ঘটনাস্থলে যাই। আমরা সেখানে বেশকিছু পুরোনো পাথর ভাঙা দেখতে পেলে উপজেলা প্রকৌশলী আবু নাঈম নাবিলকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করি। এরপরই তিনি আমাদের ওপর চড়াও হন এবং একপর্যায়ে আমাকে ধাক্কা দেওয়া শুরু করেন।

দৈনিক ডেইলি স্টারের জাহিদ হাসান রনি বলেন, পুরোনো কার্পেটিংয়ের কিছু অংশ মিলিয়ে তারা নতুন রাস্তা করছিলেন। আমরা জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী আবু নাঈম নাবিল আমাদের গেট লস্ট বলেন। আমরা পাল্টা প্রশ্ন করলে গায়ে হাত দিয়ে ধাক্কাধাক্কি করতে থাকেন। তিনি আমাদের পড়াশোনার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন করেন এবং বলেন গেট লস্ট

অভিযোগের বিষয়ে জানতে উপজেলা প্রকৌশলী আবু নাঈম নাবিল বলেন, তারা (সাংবাদিকরা) পুরোনো মালামাল আর নতুন মালামাল মিলিয়ে ভিডিও করছিল। তারা কেন এটা করবে? তাদের আমি শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করিনি। তারাই আমাকে লাঞ্ছিত করেছে।

জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাফেউল ইসলাম বলেন, কার্পেটিংয়ে পুরোনো মালামাল নতুন করে বিটুমিনে মেলানোর সুযোগ নেই। রাস্তার পুরোনো কার্পেটিং ওঠানোর পর রোলার দিয়ে তা রাস্তাতেই মিলিয়ে ফেলতে হবে। এটা পাশেও রাখা যাবে না।

গণমাধ্যমকর্মীদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার বিষয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি তার সঙ্গে (উপজেলা প্রকৌশলী) কথা বলবো। তিনি যদি দোষী হয়ে থাকেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ডামুড্যা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাসরীন বেগম সেতু বলেন, বিষয়টি আসলেই দুঃখজনক। তিনি কেন সাংবাদিকদের সঙ্গে এ ধরনের ব্যবহার করেছেন, তাকে ডেকে জিজ্ঞাসা করা হবে।


আরও খবর



আরও একদিন বন্ধ থাকবে পোস্তগোলা সেতু

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীতে প্রবেশে গুরুত্বপূর্ণ পোস্তগোলা সেতু। চলমান সংস্কার কাজের শেষ দিন শুক্রবার (৮ মার্চ)। যার কারণে বন্ধ থাকবে সেতুতে গাড়ি চলাচল। তবে পরদিন শনিবার (৯ মার্চ) থেকেই সেতুতে সব ধরনের যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সড়ক ও জনপথ বিভাগের কেরানীগঞ্জ সড়ক সার্কেলের উপসহকারী প্রকৌশলী চৌধুরী সাজ্জাদ আরেফিন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, পোস্তগোলা সেতুতে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকবে। পর দিন সংস্কার কাজ শেষে সেতুটি সব ধরনের যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন>> কমলো সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম, প্রজ্ঞাপন জারি

গত ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে পোস্তগোলা সেতুর সংস্কারের অংশ হিসেবে রেট্রোফিটিং ও দুটি গার্ডার মেরামত শুরু হয়েছে। এই সংস্কার কাজ শেষ হচ্ছে ৮ মার্চ (শুক্রবার) দিবাগত রাত ১২টার পর।

এদিকে, গত ১৫ দিনে সেতুটির সংস্কার কাজ চলায় বিকল্প পথ হিসেবে চাপ বাড়ে বাবুবাজার ব্রিজে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। তবে আগামী শনিবার থেকে এ ভোগান্তি দূর হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।


আরও খবর



হঠাৎ কেন পদত্যাগ করলেন নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েল

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

লোকসভা নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে হঠাৎ পদত্যাগ করেছেন ভারতের নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েল। এতে করে হঠাৎ বেশ বড় ধাক্কার সম্মুখীন হয়েছে প্রতিবেশী এই দেশটির নির্বাচন কমিশন। তার পদত্যাগে সৃষ্টি হয়েছে আলোড়নের। তবে হঠাৎ কেনই বা তিনি এখন পদত্যাগ করলেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েল ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের জন্য প্রত্যাশিত সময় ঘোষণার কয়েক দিন আগে শনিবার পদত্যাগ করেছেন। আইন মন্ত্রণালয়ের একটি বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মু আনুষ্ঠানিকভাবে অরুণ গোয়েলের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন এবং সেটি অবিলম্বে কার্যকর হয়েছে।

বেশ কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভি বলছে, অরুণ গোয়েল তার পদত্যাগের জন্য ব্যক্তিগত কারণ-কে দায়ী করেছেন। যদিও তাকে পদত্যাগ করা থেকে বিরত রাখতে ভারতের সরকার থেকে প্রচেষ্টা চালানো হয়েছিল।

তবে সদ্য পদত্যাগ করা এই নির্বাচন কমিশনারের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ সংক্রান্ত জল্পনা দ্রুত খারিজ হয়ে যায় যখন শীর্ষ কর্মকর্তারা জানান, অরুণ গোয়েল নিখুঁতভাবে সুস্থ আছেন। নির্বাচন কমিশনের বেশ কয়েকটি সূত্র বলছে, অরুণ গোয়েল এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে।

ভারতের জাতীয় নির্বাচন কমিশনে তিনজন সদস্য থাকেন, একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও দুইজন নির্বাচন কমিশনার। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই নির্বাচন কমিশনারের পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন অনুপ পান্ডে। এরপর শনিবার বিকেলে হঠাৎ করেই আরেক নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েল পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন।

পরে তিনি প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠান এবং সেটি গৃহীতও হয়ে যায়। ২০২৭ সালে অরুণ গোয়েলের অবসরে যাওয়ার কথা ছিল। তবে মেয়াদ পূরণের ৩ বছর আগেই কেন তিনি হঠাৎ পদত্যাগ করলেন? তাও আবার লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণার ঠিক আগে।

মূলত আগামী এপ্রিল-মে মাসেই ভারতে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে লোকসভা নির্বাচন। সেই অনুযায়ী, মার্চ মাসেই নির্বাচনের দিন ঘোষণার কথা রয়েছে। জল্পনা রয়েছে, আগামী সপ্তাহেই লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হতে পারে।

আগামী সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মিরে যাওয়ার কথা নির্বাচন কমিশনের। উপত্যকার পরিস্থিতি ও ভোট প্রস্তুতি খতিয়ে দেখার পরই নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ নির্বাচন কমিশনার পদত্যাগ করায়, একা প্রধান নির্বাচন কমিশনার জম্মু-কাশ্মির যাবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।

কী কারণে হঠাৎ নির্বাচন কমিশনার তার পদ থেকে ইস্তফা দিলেন, তা জানাননি অরুণ গোয়েল। আগামী বছরই প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের অবসরে যাওয়ার কথা রয়েছে। তারপর তারই প্রধান নির্বাচন কমিশনার হওয়ার কথা ছিল।

সূত্রের খবর, প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের সঙ্গে একাধিক বিষয়ে অরুণ গোয়েলের মতপার্থক্য ছিল। তবে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়েই তিনি পদত্যাগ করেছেন।

এবার নির্বাচন কমিশনের কী হবে?

একা একজন সদস্য দিয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশন পরিচালিত হতে পারে না। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগেই শূন্যপদে কমিশনার নিয়োগ করা হবে। গত বছরই ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের নিয়মে পরিবর্তন আনা হয়।

আগে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিও নিয়োগ প্যানেলে থাকতেন। তবে নতুন আইন অনুযায়ী, এবার প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা বা একক বৃহত্তম বিরোধী দলের নেতা ও প্রধানমন্ত্রীর মনোনীত একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সম্মিলিতভাবে কোনও ব্যক্তিকে বাছাই করবেন এবং তার নাম প্রেসিডেন্টের কাছে সুপারিশ করবেন। সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই নতুন সিইসি বা ইসিকে নিয়োগ করবেন প্রেসিডেন্ট।

তবে যে কাউকে বাছাই করে নির্বাচন কমিশনার করা যায় না। প্রধানমন্ত্রীর কমিটি নাম সুপারিশ করার আগে একটি সার্চ কমিটি তৈরি হবে। এই কমিটিতে থাকবেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী ও দুই সচিব। তারা পাঁচজনের নাম বাছাই করবেন। সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নিয়োগ কমিটি কাউকে বেছে তার নাম প্রেসিডেন্টের কাছে সুপারিশ করবে।

মূলত অরুণ গোয়েলের পদত্যাগের আগে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ ছিল গত বছরের শেষের দিকে নতুন এই আইন প্রণয়ন। এতে দেশের শীর্ষ নির্বাচনী কর্মকর্তাদের নিয়োগের প্রক্রিয়া পরিবর্তন করা হয়। সংশোধিত পদ্ধতিতে ভারতের প্রধান বিচারপতিকে এই বাছাই প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল।

কে কী বলছে

কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে সোশ্যাল মিডিয়ায় অরুণ গোয়েলের আকস্মিক পদত্যাগের প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি প্রশ্ন করেছেন, বর্তমান পরিস্থিতি কি নির্বাচন কমিশনের নাম পরিবর্তন করে নির্বাচন অমিশন (অপসারণ) করার পক্ষে।

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে তিনি জিজ্ঞাসা করেছেন, এটা নির্বাচন কমিশন নাকি নির্বাচন অমিশন? যদিও লোকসভা নির্বাচনের তারিখ কয়েকদিনের মধ্যে ঘোষণা করা হবে, আর ভারতে এখন মাত্র একজন নির্বাচন কমিশনার আছে। কেন?

তিনি আরও বলেন, যেমনটা আমি আগেই বলেছি, আমরা যদি আমাদের স্বাধীন প্রতিষ্ঠানের নিয়মতান্ত্রিক পতন বন্ধ না করি, তাহলে আমাদের গণতন্ত্র একনায়কতন্ত্রে পরিণত হবে!

কংগ্রেস সভাপতি বলেছেন, যেহেতু নির্বাচন কমিশনার বাছাইয়ের নতুন প্রক্রিয়াটি এখন কার্যকরভাবে ক্ষমতাসীন দল এবং প্রধানমন্ত্রীকে সমস্ত ক্ষমতা দিয়েছে, কেন নতুন নির্বাচন কমিশনার মেয়াদ শেষ হওয়ার ২৩ দিন পরেও নিয়োগ করা হয়নি? মোদি সরকারকে এই প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। এবং একটি যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা দিয়ে সামনে আসুন।

কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি ভেনুগোপালও দলীয় সভাপতি খাড়গের কথারই প্রতিধ্বনি করেছেন। তিনি বলেন, এটি বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের জন্য গভীরভাবে উদ্বেগজনক যে, নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েল লোকসভা নির্বাচনের আগে পদত্যাগ করলেন।

কেসি ভেনুগোপাল সাংবিধানিক সংস্থাগুলোর ওপর সরকারের প্রভাব নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সাকেত গোখলেও উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, সাধারণ নির্বাচনের আগে এখন নির্বাচন কমিশনে দুজনকে নিয়োগ করা হবে।

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে তিনি বলেছেন, নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েল আকস্মিকভাবে পদত্যাগ করেছেন। আর ইসিতে আগে থেকে একটি পদ শূন্য রয়েছে। এতে করে নির্বাচন কমিশনে এখন কেবল একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার রয়েছেন।


আরও খবর