আজঃ রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

হাতিকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ করলো কামাল

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

 বহুল আলোচিত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে বিভিন্ন কেন্দ্রে হাতি মার্কার লোকজন ও সমর্থকদের তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ক্ষমতাসীন দলের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। হাতি মার্কার প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকারের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট মহানগর বিএনপির সেক্রেটারি এটিএম কামাল এ অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, বন্দরের সোনাকান্দায় যুবদল নেতা মনোয়ার হোসেন শোখনকে পুলিশ নিয়ে গেছে। সে ওই কেন্দ্রের বাইরে নিরাপদ দূরত্বে থেকেই হাতি মার্কার জন্য ভোট চাচ্ছিল ও ভোটাদের উৎসাহিত করছিল। শোখনকে নিয়ে গেলেও নৌকার লোকজনদের কোনও ডিস্টার্ব করা হচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, হাজীগঞ্জে আইটি স্কুলের সামনে থেকে হাতির ব্যাচ পড়া জামাল ও শাহ আলমকে নিয়ে গেছে পুলিশ। সেখানে নৌকার লোকজন প্রভাব বিস্তার করছে। সিদ্ধিরগঞ্জ পাওয়ার হাউজ কেন্দ্রে হাতির এজেন্টকে বের করে দিয়েছে। শহরের মর্গ্যান ও শিশুবাগ স্কুলে হাতির লোকজনদের থাকতে দেওয়া হচ্ছে না। প্রায় বেশিরভাগ কেন্দ্রে এ সমস্যা হচ্ছে। কোনও ভোট কেন্দ্রের বাইরেই হাতি মার্কার কর্মীদের দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছে না। তাদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। হাতি মার্কার কর্মীদের মধ্যে ভীতি সঞ্চার করতে এমনটা করা হচ্ছে; যা কেউ কোনও কেন্দ্রের কাছে না যায়।

এদিকে তৈমূর আলম খন্দকার অভিযোগ করেন, বন্দরে সুফিয়ান নামের একজন ঠিকাদারের নির্দেশে যুবদল নেতা শোখনকে আটকে রেখেছে পুলিশ।

রবিবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলবে টানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত। নির্বাচনে মেয়রসহ ৩৭টি পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন ১৮৯ প্রার্থী। এর মধ্যে মেয়র পদে ৭জন, ২৭টি ওয়ার্ডে ১৪৮ জন সাধারণ কাউন্সিলর এবং ৯টি সংরক্ষিত নারী আসনে ৩৪ প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। মোট ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৫৭ জন ভোটার ১৯২টি ভোটকেন্দ্রের ১৩৯৬টি ভোটকক্ষে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৩৪ এবং নারী ভোটার ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫১৯। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ৪ জন।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আওয়ামী লীগ মনোনয়ন নিয়ে নৌকা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আলী আহাম্মদ চুনকা কন্যা ডা. সেলিনা হায়াত আইভী। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা হাতি প্রতীকের অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার।

অবশ্য মেয়র পদে আরও  পাঁচ প্রার্থী এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- খেলাফত মজলিসের এবিএম সিরাজুল মামুন (দেয়ালঘড়ি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মো. মাছুম বিল্লাহ (হাতপাখা), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসীম উদ্দিন (বটগাছ), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মো. রাশেদ ফেরদৌস (হাতঘড়ি) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল ইসলাম (ঘোড়া)।


আরও খবর
বিএনপির ৭৫ নেতাকে বহিষ্কার

শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪




প্লাস্টিক দূষণের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী কোকা-কোলা ও পেপসিকো: গবেষণা

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বিশ্বব্যাপী প্লাস্টিক দূষণের অর্ধেকের জন্য দায়ী মাত্র ৫৬টি কোম্পানি। এর মধ্যে কোকা-কোলা একাই মোট ১১ শতাংশ প্লাস্টিক দূষণের জন্য দায়ী। সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। কোকা-কোলা ছাড়াও ব্র্যান্ডেড প্লাস্টিক দূষণের জন্য দায়ী শীর্ষ কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে (শনাক্তকৃত) পেপসিকো, নেসলে এবং ড্যানোন।

দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, বুধবার (২৪ এপ্রিল) 'সায়েন্স অ্যাডভান্স' জার্নালে প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণায় ছয়টি মহাদেশের বেশ কিছু বড় কোম্পানি বা ব্র্যান্ড এর নাম উঠে এসেছে, যারা ব্র্যান্ডেড প্লাস্টিক দূষণের সাথে জড়িত। গবেষকরা এক লাখের বেশী স্বেচ্ছাসেবীদের সহায়তায় ১ দশমিক ৮ মিলিয়নের বেশি প্লাস্টিক বর্জ্য তাদের গবেষণার জন্য আলাদা করেছেন।

প্রতি বছর বিভিন্ন কোম্পানি সাড়া পৃথিবীতে প্রায় ৪০০ মিলিয়ন মেট্রিক টন প্লাস্টিক উৎপাদন করে। এই প্লাস্টিকের কিছু নদী বা সমুদ্র সৈকতে জমা হয়ে পানির স্বাভাবিক স্রোতে বাধা সৃষ্টি করে। আবার কিছু প্লাস্টিক ভেঙ্গে অতিক্ষুদ্র মাইক্রোপ্লাস্টিক বা ন্যানোপ্লাস্টিকেও পরিণত হয়। এ ধরনের অতিক্ষুদ্র প্লাস্টিক বাতাসে ভাসতে পারে। এমনকি মানুষের ফুসফুস ও রক্তসহ অন্যান্য অঙ্গে প্রবেশ করতে পারে।

তথ্য সংগ্রহের জন্য বিশ্বব্যাপী হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্লাস্টিক 'নিরীক্ষা' পরিচালনা করেছেন। তারা সতর্কতার সাথে সমুদ্র সৈকত, পার্ক, নদী এবং অন্যান্য এলাকায় অনুসন্ধান চালিয়ে প্লাস্টিকের ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহ করেছেন। তারা প্লাস্টিক বর্জ্যের প্রতিটি অংশ পরীক্ষা করে দৃশ্যমান ব্র্যান্ড বা ট্রেডমার্ক চিহ্নিত করেছে। ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ব্রেক ফ্রি ফ্রম প্লাস্টিক নামের সংস্থাটি এক হাজার ৫৭৬টি নিরীক্ষা সমন্বয় করেছে।

পরীক্ষা চালানো ১ দশমিক ৮ মিলিয়নেরও বেশি প্লাস্টিকের মধ্যে প্রায় ৯ লাখ ১০ হাজার প্লাস্টিকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দৃশ্যমান চিহ্ন পাওয়া গেছে। [সূর্যালোক এবং আবহাওয়ার সংস্পর্শে আসার কারণে প্লাস্টিক তার ব্র্যান্ড মার্কারগুলো (চিহ্ন) হারাতে পারে।]  ব্র্যান্ডের দৃশ্যমান চিহ্নের ওপর ভিত্তি করে ব্র্যান্ডেড প্লাস্টিক দূষণের জন্য দায়ী শীর্ষ কোম্পানিগুলো (শনাক্তকৃত) হলো কোকা-কোলা, পেপসিকো, নেসলে এবং ড্যানোন।

কোকা-কোলার একজন মুখপাত্র মেইলে কোম্পানিটির 'ওয়ার্ল্ড উইদাউট ওয়েস্ট' নামক কৌশলের কথা উল্লেখ করে জানান, কোকা-কোলা ২০২৫ সালের মধ্যেই বিশ্বব্যাপী শতভাগ পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্যাকেজিং ব্যবস্থা চালু করার চেষ্টা করছে। পাশাপাশি ২০৩০ সালের মধ্যে কোম্পানিটি প্যাকেজিংয়ের জন্য ৫০ শতাংশ পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপাদান ব্যবহার করতে চায়।

এ ছাড়া নেসলে জানিয়েছে, নতুন প্লাস্টিকের ব্যবহার এক-তৃতীয়াংশ কমিয়ে আনা এবং প্যাকেজিংয়ের জন্য আরো বেশি করে পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপাদান ব্যবহার করা কোম্পানির মূল লক্ষ্য। আর পেপসিকো ইমেইলের মাধ্যমে জানিয়েছে, কোম্পানিটি প্লাস্টিক দূষণ মোকাবেলায় একটি বৈশ্বিক নীতি কাঠামোর পক্ষে এবং এমন একটি অর্থনীতি গড়ে তুলতে কাজ করছে যেখানে প্লাস্টিক পুনরায় ব্যবহার করা সম্ভব।

এদিকে বিশ্বব্যাপী প্লাস্টিক সমস্যা সমাধানে একটি চুক্তি করার ব্যাপারে আলোচনার জন্য এই সপ্তাহে অটোয়াতে বিশ্ব নেতারা এবং মধ্যস্ততাকারীরা একত্রিত হবেন। অনেক পরিবেশগত সংস্থা এবং দেশগুলো এমন একটি চুক্তি চায় যা প্লাস্টিক উৎপাদন হ্রাস করবে যা মার্কিন মধ্যস্ততাকারীরা প্রতিরোধ করে আসছে। শিল্প গোষ্ঠী এবং সংস্থাগুলো যুক্তি দিয়েছে, বারবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক উৎপাদন, উন্নত রিসাইকেল ব্যবস্থা এবং উন্নত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্লাস্টিক উৎপাদন ব্যাহত না করেই এ সমস্যাটির সমাধান করতে পারে।

ওয়ার্ল্ড প্লাস্টিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বেনি মারম্যানস বলেন, "আমাদের সদস্যরা বারবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের সরবরাহ বাড়াতে বিভিন্ন অবকাঠামোতে বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে যাতে ব্যবহৃত প্লাস্টিকগুলো বর্জ্য, ভূমি বা পুড়িয়ে ফেলার মাধ্যমে পরিবেশে প্রবেশ করতে না পারে।" তবে প্লাস্টিক শিল্পের সাথে জড়িত সংশ্লিষ্টদের দাবি, প্লাস্টিক বিশ্ব অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে। এর উৎপাদন কমালে তা নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

গবেষকরা শুধু পুনর্ব্যবহার বাড়ানো বা বৃত্তাকার অর্থনীতির গুরুত্বের উপর জোর না দিয়ে প্লাস্টিক উৎপাদন কমানোর বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিচ্ছেন। তেল ও গ্যাস উৎপাদনকে লক্ষ্য করে জলবায়ু নীতি থাকা সত্ত্বেও জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে তৈরি হওয়া প্লাস্টিক এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখছে। আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থা ধারণা করছে, প্লাস্টিকের জন্য এ শতাব্দীর মাঝামাঝি তেলের চাহিদা অর্ধেক বৃদ্ধি পাবে। আর বিজ্ঞানীরা ইতোমধ্যেই জানিয়েছেন, প্লাস্টিক উৎপাদনে বিধিনিষেধ না থাকায় সেটি পরিবেশের ক্ষতি করার পাশাপাশি মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।


আরও খবর



ভাষানটেকে আগুনে দগ্ধ ৬ জনের মধ্যে বৃদ্ধার মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঢামেক প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর ভাষানটেকে একটি বাসায় আগুনে একই পরিবারের শিশুসহ ৬ জন দগ্ধের মধ্যে মেহেরুন্নেছা (৭০) নামে এক বৃদ্ধা মারা গেছেন। মেহেরুন্নেছা কুমিল্লা লাকসাম উপজেলার বাসিন্দা।

শনিবার সকাল ৮ টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা যান তিনি। এর আগে গত শুক্রবার ভোরে এ আগুন লাগে।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম বলেন, মেহেরুন্নেছার শরীরের ৪৭ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।

নিউজ ট্যাগ: ভাষানটেক

আরও খবর



ঈদে আনফিট গাড়ি নামালে কঠোর ব্যবস্থা: বিআরটিএ চেয়ারম্যান

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেছেন, ঈদে আনফিট গাড়ি নামার সুযোগ নেই, কেউ যদি বের করে, সেটি জানালে তাৎক্ষণিকভাবে লোকাল প্রশাসনের মাধ্যমে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আজ শনিবার গাবতলী বাস টার্মিনালের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে গিয়ে বিআরটিএ চেয়ারম্যান একথা বলেন।

নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, ঈদের সময় কিছু আনফিট গাড়ি রাস্তায় নেমে আসে, এমন একটি কমন অভিযোগ থাকে প্রতিবছরই। এবার কোনোভাবেই যাতে আনফিট গাড়ি রাস্তায় নামতে না পারে, এজন্য আমরা বিআরটিসির ৫৫০টি বাস রিজার্ভেশনে রেখেছি। এছাড়া গার্মেন্টস মালিকদের রিকুইজিশন দিতে বলেছি, যাতে আনফিট গাড়ি না নিয়ে বিআরটিসির বাস নিতে পারে। সুতরাং এখানে আনফিট গাড়ি রাস্তায় নামার সুযোগ নেই। এছাড়া যেসব জায়গা থেকে আনফিট গাড়ি বের হওয়ার চেষ্টা করে সেগুলো বন্ধ করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে আমরা নজরদারিতে রেখেছি।

তিনি আরও বলেন, টার্মিনালগুলো পরিদর্শন করেছি। গাবতলী বাস টার্মিনালে আমাদের মোবাইল কোর্ট, ভিজিলেন্স টিম, মনিটরিং টিম কাজ করছে। বিভিন্ন টিকেট কাউন্টার ঘুরে দেখলাম, বেশিরভাগ জায়গায় ভাড়া কম নেওয়া হচ্ছে। দুই-এক জায়গায় রুট ভুল লিখেছে। তাই ওই দুইটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করতে বলেছি। এখানে যাত্রীরও তেমন ভিড় নেই, পাশাপাশি অতিরিক্ত ভাড়াও অভিযোগ দেখছি না।

বিআরটিএ এর পক্ষ থেকে প্রতিটি কাউন্টারে ভাড়ার তালিকা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এটা আমাদের ম্যাজিস্ট্রেট, ভিজিলেন্স টিম সদস্য দেখছেন। মালিক সমিতির নেতারাও এই ব্যাপারে সিরিয়াস, যাতে তাদের বদনাম না হয়।


আরও খবর



তাপপ্রবাহে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি নিয়ে আসছে নতুন সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে চলতি সপ্তাহজুড়ে বন্ধ রয়েছে প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিকের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আগামী শনিবার এই ছুটি শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

এদিকে, সিলেবাস শেষ করতে মাধ্যমিকের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি না বাড়িয়ে অনলাইনে ক্লাস চালুর চিন্তা করছে মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

অন্যদিকে, প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ছুটি বাড়ছে না কি ক্লাস কমিয়ে আগামী রবিবার থেকে খুলছে, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।

যদিও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের একটি সূত্র বলছে, মাধ্যমিকের মতো ছুটি না বাড়িয়ে অনলাইন ক্লাস চালুর চিন্তা করছে শিক্ষা অধিদপ্তর এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টরা। সেক্ষেত্রে দুয়েকদিনের মধ্যে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের শীর্ষকর্তারা বৈঠকে বসে সিদ্ধান্ত নেবেন।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর সাপ্তাহিক ছুটিসহ অন্য ছুটি বাদে ১৮০ দিনের মতো প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা থাকার কথা। এর মধ্যে তাপপ্রবাহের কারণে অনির্ধারিতভাবে পাঁচ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হচ্ছে। এই ছুটি দীর্ঘায়িত হলে সিলেবাস শেষ করা অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে। এসব চিন্তা করেই তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকলে অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার চিন্তা-ভাবনা চলছে।

গতকাল বুধবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত বলেন, তাপপ্রবাহের কারণে প্রাথমিকের ছুটি আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। এখন আগামী রবিবার থেকে ক্লাস কমিয়ে খুলছে নাকি ছুটি বাড়ানো হচ্ছে, সে বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আগামী শুক্রবার এ বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। এছাড়া অনলাইন ক্লাস চালুর কথাও ভাবছে।

এদিকে, সারাদেশের আবহাওয়ার পূর্বাভাস পাঁচদিনে উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলে গতকাল বুধবার এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।


আরও খবর



দুই মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট, ঘরমুখো মানুষের চরম ভোগান্তি

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে সোমবার (৮ এপ্রিল) দুপুর থেকেই দেখা দিয়েছে গাড়ির দীর্ঘ সারি। এতে ঈদে ঘরমুখো হাজারো মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। এদিন দুপুরে ছুটি পেয়ে গাজীপুর থেকে লাখ লাখ গার্মেন্টস শ্রমিক ঈদযাত্রায় শামিল হয়েছেন। এত এত যাত্রীর তুলনায় পরিবহনের সংখ্যা খুবই কম। পরিবহন সংকটে পড়ে বাস, ট্রাক, পিকআপ ও ড্রাম্প ট্রাকে করে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন অনেকে।

গাজীপুর ছাড়াও গাবতলী, আশুলিয়া, বাইপাল, সাভার ও নবীনগর এলাকা থেকে ছেড়ে আসা বাসগুলো চন্দ্রা এলাকা পার হয়ে উত্তরবঙ্গের ২৩ জেলার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এ পরিস্থিতি বাড়তে থাকলে ভুগতে হবে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষদের।

অপরদিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে যাত্রীদের অপেক্ষায় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে স্বল্প দূরত্বের চলাচলকারী বাস, মিনিবাস, ট্রাক ও পিকআপ। এসব পরিবহনগুলো দীর্ঘ সময় দাঁড় করিয়ে ইচ্ছে মতো ভাড়া হাঁকিয়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছে।

মাওনা হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মাহবুব মোর্শেদ বলেন, আজ দুপুর থেকেই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ঈদে ঘরমুখো মানুষদের বেশ উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।

তিনি বলেন, যাত্রী উঠানামা করাতে গাড়িগুলো দাঁড়াচ্ছে, এতে সামান্য সময়ের জন্য যানজটের তৈরি হচ্ছে। গাড়িগুলো চলে যাওয়ার পর মুহূর্তেই আবার যান চলাচল স্বাভাবিক হচ্ছে। মহাসড়কের মোড়ে মোড়ে যানজট কমাতে পুলিশ কাজ করছে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, ঈদযাত্রায় মহাসড়কে যানবাহন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত ট্রাফিক পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। এখন পর্যন্ত এই পথে গাজীপুর অংশে কোথাও যানজটের খবর পাওয়া যায়নি।


আরও খবর