আজঃ বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪
শিরোনাম

হারিয়ে যাচ্ছে সুরের ফেরিওয়ালা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ এপ্রিল ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

একটা সময় ঢাকায় ব্যান্ড পার্টি ছাড়া বিয়েই হতো না। ধনী-গরিব নির্বিশেষে সব শ্রেণিপেশার মানুষের বিয়েতেই থাকতো ব্যান্ড পার্টি। কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়ায় সেই চিত্র পাল্টে গেছে। এখন ব্যান্ড পার্টির দেখা খুব একটা যায় না। বিয়েবাড়িতে নেই ব্যান্ড পার্টির সেই প্যাঁ পো আওয়াজ। ঐতিহ্যবাহী ব্যান্ড পার্টির এমন উৎসব থেকে ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে সুরের ফেরিওয়ালারা। কালেভদ্রে দু'একজায়গায় ব্যান্ড পার্টির দেখা মিললেও এখন বেশিরভাগই জায়গা পেয়েছে সাউন্ড সিস্টেম, ডিজে।

খুব বেশি দিন আগের কথা নয়। যখন রাজধানীতে বিয়ের আয়োজনে বাদ্য-বাজনা আর ঢাক ঢোলের আওয়াজ থাকতো। ব্যান্ড পার্টির সদস্যদের মাথায় থাকতো রং বেরঙের টুপি। গায়ে ঝলমলে রাজকীয় পোশাক। হাতে একেক ধরনের বাদ্যযন্ত্র দিয়ে সাজানো বহর। যেকোনো উৎসবে নজর কাড়তো এরা। শুধু বিয়ে নয়ই নয়, কারও জন্মদিনে, মাজারে সিন্নির দিনে, আকিকা, সুন্নতে খাৎনাসহ যেকোনো অনুষ্ঠানে সবার আগে ডাক পড়তো ব্যান্ড পার্টির। কিন্তু সময়ের সঙ্গে বিলীন হয়ে যাচ্ছে সুরের এ ধ্বনি তরঙ্গ। ডিজিটাল যুগে এসে কেউ ব্যান্ড দল ভাড়া করতে চায় না। ডিজিটালাইজেশনের এই যুগে ডিজে ছাড়া পুরনো ব্যান্ড পার্টি কেউ নিতে চায় না বিয়ে বাড়িতে। এর ফলে কর্মহীন হয়ে পড়ছে এই পেশার সঙ্গে যুক্তরা।

ব্যান্ড দল বিয়েবাড়ি'র সদস্য ভৈরব চন্দ্র রায়। ১৯৬০ সাল থেকেই ব্যান্ড দলের সঙ্গে কাজ করে আসছেন। তাঁর বাবাও ছিলেন এ পেশায় ৷ ১৫ বছর বয়সে বাবার সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যেতেন তিনি। সেখান থেকে আস্তে আস্তে হয়ে যান ব্যান্ড দলের সদস্য। এখন তাঁর বয়স ৮০র কাছাকাছি। এখনোও যুক্ত আছেন ব্যান্ড দলের সঙ্গে। আগের মতো কাজ করতে না পারলেও ভালোবাসার পেশাটাকে কখনো ছাড়তে পারেননি।

ভৈরব চন্দ্র বলেন, মানুষ যত বড়ই হোক না কেন তাঁর শেকড় যেন ভুলে না যায়। আমি জীবনের প্রায় ৬০ বছর মানুষকে আনন্দ দিয়ে পার করেছি। যতদিন বেঁচে আছি ততদিন মানুষকে আনন্দ দিতে চাই। যখন কারও বিয়ে হয় আর আমি সানাই বাজাই তখন আমার খুব ভালো লাগে। আমি কাজকে কখনো ছোট করে দেখিনি। দুই বেলা পরিবার নিয়ে খেতে পেয়েছি এটিই আমার জন্য যথেষ্ট ছিল। আগে অনেক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতাম। কিন্তু এখন সেভাবে ডাক পাইনা। বয়সও এখন বড় বাধা। তবুও মাঝেমধ্যে সানাই বাজাই। ঢোল তবলায় সুরের মুর্ছনা তুলি। মানুষকে আনন্দ বিলিয়ে বেড়াই।

ব্যান্ড পার্টির সঙ্গে যুক্ত অনেকেই এখন জীবিকার তাগিদে অন্য পেশায় চলে গেছেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যেখানে আগে সপ্তাহে ৩ থেকে ৪টা অনুষ্ঠানে ডাক পড়ত, সেখানে এখন মাসে একবারও ডাক পড়ে না। তাই বাধ্য হয়েই অনেকেই অন্য পেশায় নিজেকে জড়িয়েছেন। অক্টোবর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত সবচেয়ে চাহিদা থাকতো তাদের। অনেক সময় সিরিয়ালও পাওয়া যেতো না। আর এখন উৎসবের ভরা মৌসুমেও ডাক পড়ে না! তবুও অনেকেই এখনো এই ঐতিহ্যবাহী ব্যান্ড পার্টিকেই শেষ সম্বল হিসেবে আকড়ে ধরে রেখেছেন। কারণ তাদের পুর্বপুরুষেরাও এই পেশার সঙ্গেই যুক্ত ছিলেন। বাপ দাদার এই পেশাকে ছাড়তে নারাজ অনেকেই। তাই অনেক কম রোজগারের ফলেও কেউ কেউ আগলে ধরে আছেন ঐতিহ্যবাহী পেশাটিকে।

পুরান ঢাকায় এখনো কিছু ব্যান্ড দল রয়েছে। তবে, আগের মতো কাজ না থাকায় অধিকাংশ সদস্য ব্যান্ড দল ছেড়ে অন্য কাজ করেন। কোনো অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পেলে সকল কাজ ফেলে আবার একত্রিত হয় দলের সবাই। অনুষ্ঠানে ডাক পেলে তবেই সবাই একত্রিত হয়ে অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ করে।

পুরান ঢাকার ব্যান্ড পার্টি সুরের মেলা। এর মালিক নির্মল গুহ। তিনিই এখন সুরের মেলা পরিচালনা করেন। ১৯৫০ সাল থেকে নির্মলের দাদা শঙ্কর গুহ সর্বপ্রথম এই ব্যান্ডটি চালু করেন। পুরান ঢাকার নাজিরাবাজার থেকে শুরু হয় এই ব্যান্ডের যাত্রা। এরপর শঙ্করের মৃত্যু হলে নির্মল গুহের বাবা হরিদাস গুহের কাঁধে এসে পড়ে ব্যান্ডের দায়িত্ব। এভাবেই এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মের কাঁধে এসে পড়ছে ব্যান্ডের দায়িত্ব।

নির্মল গুহ জানান, আমাদের এই ব্যান্ড অনেক পুরনো। আমার বাপ দাদাসহ অনেকেই ব্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আমিও পারিবারিক ব্যান্ডের দায়িত্ব নিয়ে পরিচালনা করছি।  আগে ব্যান্ডের অনেক প্রচলন ছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী এ শিল্প। আজ থেকে ১০-১৫ বছর আগেও আমাদের এত পরিমাণ কাজ আসতো যে আমরা সব অনুষ্ঠান করতে পারতাম না। কিন্তু এখন সপ্তাহে একটা বা মাসে দুয়েকটা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাই। ব্যান্ডের এই দুর্দশায় রোজগারের পরিমাণ কমে গেছে। তাই অনেকেই বিভিন্ন কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। অনুষ্ঠানে ডাক পেলে সকলে একত্রিত হই।

সনাতন ধর্মাবলম্বী এক মেয়ের বাবা তার মেয়ের বিয়েতে একটি ব্যান্ড দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। বিয়ের আয়োজন নিয়ে বলেন, আমার একমাত্র মেয়ে- তাই ধুমধাম করেছি। ব্যান্ড দলকে আনা হয়েছে দুই দিনের জন্য। তারা দুই দিন টানা ঢোল, বাঁশির সুরে সবাইকে মুগ্ধ রাখবে এই ছিল চিন্তা।

আগেরকার বিয়েগুলো এমনই হতো জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের সময় যখন বিয়ে হয়েছে তখন ঢাক-ঢোল পিটিয়ে, সানাই বাজিয়ে হৈ-হুল্লোড়ের মধ্যে বিয়ে হয়েছে। যেগুলো এখনো মনে পড়লে অন্যরকম এক ভালোলাগা কাজ করে। আগেরকার দিনের বিয়ে মানে ছিল অন্য রকম উত্তেজনা। কিন্তু এখন আর সেসবের দেখা মেলে না। এখন সবাই চায় চুপচাপ কোনো হৈ-হুল্লোড় ছাড়াই বিয়ের কাজটা সেরে ফেলতে। কিন্তু মানুষ একবারই বিয়ে করে আর সেটি যদি ব্যান্ডের তালে তালে উৎসবমুখর না হয় তাহলে তো কোনো আনন্দই থাকবে না। তাই আমার মেয়ের বিয়েতে আমি ব্যান্ড দল ভাড়া করে এনেছি। যেন বিয়েটা জমজমাটভাবে হয়। আমার নাতি-নাতনিরা যেন বলতে পারে আমার বাবা মায়ের বিয়ে কেমন ধুমধাম করে হয়েছিল।

১৫ বছরের মধ্যেই পাল্টে গেলো ব্যান্ড পার্টির স্বর্ণযুগ। ২০০০ সনের পরেও বেশ জনপ্রিয় ছিল এই দলগুলো। কেউ বাবা-কাকাকে দেখে হাতে তুলে নিয়েছিলো ট্রাম্পেট, ক্ল্যারিনেট, স্যাক্সোফোন, সানাই, ড্রাম বা ঝুনঝুনি। অথচ সেই যন্ত্রগুলো সময়ের স্রোতে বড় ভারি লাগে অনেকের কাছে! এই ভারি লাগার কারণ গুরুত্ব কমে যাওয়া, আয় কমে যাওয়া।

জোহর উদ্দিন এখন আর সানাই বাজান না। সুর তোলেন না। তবে ভালোবাসার কমতি নেই। ঢাকা মেইলকে তিনি বলেন, সানাই বাজানো ছেড়েছি আরেও পাঁচ বছর আগে। বাবা-চাচারা যে শিক্ষা দিয়েছিল অনেকদিন সেই সুর তুলেছি এখন আর সাউন্ড সিস্টেমের কাছে এই সুর ভালো লাগে না। তাই ছেড়ে দিয়ে ব্যবসা করছি। সময় যাচ্ছে বয়ে। পরিবর্তন আসছে জগৎ সংসারে। এর মধ্যে কতো কিছু যুক্ত হয়ে আবার কতো কিছু নীরবেই হারিয়ে যায়। ব্যান্ড পার্টি এখন অনেকের কাছে সোনালি অতীতের মতো...।

নিউজ ট্যাগ: ব্যান্ড পার্টি

আরও খবর



ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ১৩

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

ফরিদপুরের কানাইপুরে বাস ও পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষের ঘটনায় আরও ২ জন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে ১১ জন নিহত হন। এরপর ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুইজনের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৩ জনে দাঁড়িয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কানাইপুরে অ্যাবলুম ক্যাফেটেরিয়ার সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এ দুর্ঘটনায় ছয়জন নিহতের নাম জানা গেছে। তারা হলেন, ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের বেজিডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা তারা মোল্লার ছেলে রফিক মোল্লা (৩৫), তার স্ত্রী সুমী বেগম (২৩), দুই ছেলে রুহান মোল্লা (৬) ও হাবিব মোল্লা (৩) এবং শেখর ইউনিয়নের বাসিন্দা মর্জিনা বেগম। বাকিদের নাম এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ইউনিক পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ঢাকা থেকে মাগুরা যাচ্ছিল। সকাল ৮টার দিকে কানাইপুরের দিকনগর এলাকায় পৌঁছালে ঢাকাগামী একটি পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে বাসটির সংঘর্ষ হয়। ওই পিকআপ ভ্যানটি ভাড়া করে কয়েকজন ঢাকায় যাচ্ছিলেন। এতে পিকআপ ভ্যানে থাকা ১১ জন যাত্রী ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুইজনের মৃত্যু হয়। আরও পাঁচজন আহত রয়েছেন।

জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, এই ঘটনায় জেলা প্রশাসন ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা এবং আহতদের তিন লাখ টাকা দেওয়া হবে।

নিউজ ট্যাগ: ফরিদপুর

আরও খবর



ঢাকাসহ দেশের ৪ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকাসহ দেশের চারটি অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ, ঢাকা, কুমিল্লা এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিমি বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে খুলনা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গায়। আগের দিন রবিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার ঢাকার তাপমাত্রাও আগের দিনের তুলনায় কমেছে। তবে বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে জনজীবনের অস্বস্তি বাড়ছে।


আরও খবর



বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তির মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

১১৪ বছর বয়সে মারা গেছেন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি জুয়ান ভিসেনটি পেরেজ মোরা। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন পরিবারের সদস্যরা।

গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড অনুযায়ী, দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলার নাগরিক মোরা ছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি।

ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো এক্সে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, ১১৪ বছর বয়সী জুয়ান ভিসেনটি পেরেজ মোরা আজ আমাদের ছেড়ে অনন্তলোকে যাত্রা করেছেন।’

২০২২ সালে পেরেজকে বিশ্বের সবচেয়ে বৃদ্ধ ব্যক্তি বলে স্বীকৃতি দেয় গিনেজ। সে সময়ে তার বয়স ছিল ১১২ বছর।

পেরেজের ১১ সন্তান এবং ৪১ জন নাতি-নাতনি রয়েছে। এই ৪১ জনের আবার ১৮ সন্তান আছে, আর এই ১৮ জনেরও আছে ১২ সন্তান।

গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের তথ্য অনুযায়ী, কৃষক পরিবারে জন্ম নেওয়া জুয়ান মাত্র ৫ বছর বয়সেই বাবা এবং ভাইদের সঙ্গে নিজেদের আখ ও কফি ক্ষেতে চাষের কাজে যোগ দিয়েছিলেন। পরে এক সময় এল কোবরে শহরের শেরিফ (প্রধান আইন কর্মকর্তা) হয়েছিলেন তিনি, কিন্তু কৃষিকাজ ছাড়েননি। যতদিন কর্মক্ষম ছিলেন, নিয়মিত চাষের কাজ করে গেছেন জুয়ান।


আরও খবর



রিজার্ভ বেড়ে ফের ২০ বিলিয়ন ডলারের উপরে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

আমদানির চাহিদা অনুযায়ী বৈদেশিক মুদ্রা না থাকায় বাজারে ডলার বিক্রির ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমে আসছিল। তবে ঈদের আগে কিছুটা চাঙা ছিল রেমিট্যান্স প্রবাহ। তাই ফের কিছুটা বেড়েছে রিজার্ভ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আইএমএফের গণনা পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী- রিজার্ভ এখন ২ হাজার ১০ কোটি ডলারে (২০ দশমকি ১০  বিলিয়ন) পৌঁছেছে। যেখানে গত মাসের ২৭ মার্চেও ছিল ১ হাজার ৯৪৫ কোটি ডলার।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ঈদের আগে প্রবাসীরা বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এছাড়া রপ্তানি প্রবাহও বেড়েছে। এসব কারণেই মূলত রিজার্ভ কিছুটা চাঙ্গা।

তবে এর বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, যা শুধু আইএমএফকে দেওয়া হয়। এটি প্রকাশ করা হয় না। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেই হিসাবে দেশের ব্যয়যোগ্য প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৫ বিলিয়ন ডলারের ঘরে।

প্রতি মাসে প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার হিসেবে এ রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটাতে কষ্টসাধ্য হবে বাংলাদেশের জন্য। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই মানদণ্ডে বাংলাদেশ এখন অনেকটা শেষ প্রান্তে রয়েছে।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুরুতে গ্রোস রিজার্ভ ছিল ২৯ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার। আর বিপিএম-৬ অনুযায়ী ছিল, ২৩ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, সংকটের কারণে রিজার্ভ থেকে বাজারে প্রচুর ডলার বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া গত মাসে আকুর বিলও পরিশোধ হয়েছে। রপ্তানি ও রেমিট্যান্স প্রবাহ কম। এসব কারণেই মূলত রিজার্ভ কমছে।


আরও খবর
দাম কমলো সোনার

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪

হাইব্রিডে বিপ্লব এনেছে হীরা ধান

সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪




‘শ্রুতিকটু’ শব্দ থাকা ২৪৭ বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিভিন্ন রকমের শ্রুতিকটু ও নেতিবাচক নাম থাকা দেশের ২৪৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করেছে সরকার। বুধবার (৩ এপ্রিল) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ কবির উদ্দীনের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, খুলনার কয়রার খাসিটানা উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে করা হয়েছে উদয়ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা পাটাচোরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে করা হয়েছে ছায়াবিথী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখান চোরমর্দ্দন বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম জ্ঞানপ্রদীপ চোরমর্দ্দন বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চোরমর্দ্দন বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম জমিদারবাড়ি চোরমর্দ্দন বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নাটোরের লালপুর উপজেলার গোদাগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে সালামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার চোরমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে মাতৃছায়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একই উপজেলার চুলধরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে ফুলছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ভণ্ডগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে বর্ণমালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ এভাবে শ্রুতিকটু ও নেতিবাচক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।

গত বছরের ১৯ জানুয়ারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামকরণ ও বিদ্যমান নাম পরিবর্তন নীতিমালা-২০২৩ জারি করেছে মন্ত্রণালয়।

ওই সময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ জানান, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনেকগুলোর নাম শ্রুতিকটু ও নেতিবাচক ভাবার্থসংবলিত। যা শিশুর রুচি, মনন, বোধ ও পরিশীলিতভাবে বেড়ে ওঠার অন্তরায়। এজন্য মন্ত্রণালয় এসব বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে সুন্দর, রুচিশীল, শ্রুতিমধুর এবং স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তি, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ স্থানীয় ইতিহাস, সংস্কৃতির সঙ্গে মানানসই নামকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশব্যাপী এ রকম নেতিবাচক ভাবার্থসংবলিত নাম পরিবর্তন করা হবে।


আরও খবর