আজঃ মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

হাওরে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে ৬ কৃষক নিহত

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ এপ্রিল 20২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৩ এপ্রিল 20২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

সুনামগঞ্জের তিন উপজেলায় হাওরে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে ছয় কৃষক নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আজ রোববার এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের মিলন মিয়া (১৪) ও তারা মিয়া (৩৫), ছাতক উপজেলার জাউয়াবাজার ইউনিয়নের দেবেরগাও গ্রামের মহিম মিয়া (১৩), বড়কাপন গ্রামের আরশ আলী (৬৫), চর মহল্লা ইউনিয়নেব চর দুরলভ গ্রামের আব্দুস সামাদ ও তাহিরপুর উপজেলার বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়নের রমজান মিয়া (১৪)। নিহতরা সবাই নিজ নিজ এলাকার হাওরে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলে মারা যান।

আরও পড়ুন : সিরাজগঞ্জে মসজিদের পুকুর নিয়েসংঘর্ষ, নিহত ১

দোয়ারাবাজার থানার ওসি দেব দুলাল ধর জানান, উপজেলার রণভূমি হাওরে ধান কাটার সময় মিলন মিয়া ও তারা মিয়া ঘটনাস্থলে মারা যান।

ছাতক থানার ওসি খান মোহাম্মদ মাঈনুল জাকির জানান, ছাতক উপজেলার দেবেরগাও গ্রামের হাওরে ধান কাটার সময় মহিম মিয়া ও একই উপজেলার বড়কাপন গ্রামের হাওরে ধান কাটার সময় আরশ আলী নামের ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধ ও চর মহল্লা ইউনিয়নেব চর দুরলভ গ্রামের আব্দুস সামাদ মারা যান।

তাহিরপুর থানার ওসি সৈয়দ ইফতেখার হোসেন জানান, উপজেলার বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়নের রমজান মিয়া ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন।

আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষেনিহত ৪


আরও খবর



নাটোরে ছাত্রীনিবাস থেকে কলেজছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

নাটোর শহরের উত্তর বড়গাছা (জলারপার) এলাকার হাফসা ছাত্রীনিবাস থেকে নুসরাত জাহান মারিয়া ওরফে বৈশাখী (১৮) নামে এক ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (৩০ মার্চ) রাত ১১টার দিকে ওই ছাত্রীর কক্ষের দরজা ভেঙে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত নুশরাত জাহান মারিয়া ওরফে বৈশাখী নাটোর এনএস সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী এবং সিংড়া উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম মৃধার মেয়ে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

হাফসা ছাত্রীনিবাসের মালিক নাটোর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান চুন্নু জানান, শনিবার রাত ৯টার দিকে তার ছাত্রীনিবাসের তৃতীয় তলার ছাত্রীরা ফোন দিয়ে জানায়, বৈশাখীর রুমের দরজা বন্ধ রয়েছে। তাকে ডেকেও কোনো সাড়াশব্দ পাচ্ছে না। এরপর তিনি বৈশাখীর পরিবার ও নাটোর থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ছাত্রীনিবাসে এসে বৈশাখীর রুমের দরজা ভেঙে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত নাটোর থানার এসআই মতিউর রহমান জানান, যেহেতু বৈশাখীর ঘরের দরজা বন্ধ ছিল এবং প্রাথমিক আলামতে মনে হয় বৈশাখী আত্মহত্যা করেছেন।

নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। রুমের দরজা বন্ধ থাকায় ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সহযোগিতায় দরজা খোলা হয়। বৈশাখীর মরদেহ তার ওড়না দিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। বৈশাখীর ব্যবহৃত ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।


আরও খবর



জিম্মি জাহাজের অদূরে ইইউ নেভির যুদ্ধজাহাজ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সোমালিয়ার জলদস্যুদে হাতে ছিনতাই বাংলাদেশি জাহাজ এম ভি আবদুল্লাহর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেভাল ফোর্সের একটি যুদ্ধজাহাজ। এমভি আবদুল্লাহকে ঘিরে চক্কর দিচ্ছে ইইউ নেভির হেলিকপ্টার। সোমালিয়া উপকূলে জলদস্যু দমনে অপারেশন আটলান্টা নামে কার্যক্রম কার্যক্রম পরিচালনা করছে সংস্থাটি।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বাংলাদেশ সময় গভীর রাতে অপারেশন আটলান্টা তাদের এক্স অ্যাকাউন্টে (সাবেক টুইটার) বাংলাদেশি পতাকাবাহী পণ্যবাহী বাণিজ্যিক জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে ঘিরে তাদের কার্যক্রমের ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করেছে।

এসব ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায়, ইইউ নেভাল ফোর্সের অপারেশন আটলান্টার মোতায়েন করা যুদ্ধজাহাজটি থেকে বাংলাদেশের জিম্মি জাহাজটিকে দেখা যাচ্ছে। ইইউ নেভাল ফোর্সের দুই সদস্য জাহাজটির দিকে তাকিয়ে আছেন। যা যুদ্ধজাহাজটি থেকে এমভি আবদুল্লাহর খুব কম দূরত্বই নির্দেশ করে। অপর দুটি ছবি ও একটি ভিডিওতে যুদ্ধজাহাজ থেকে ইইউ নেভাল ফোর্সের একটি হেলিকপ্টার জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজের ওপর দিয়ে উড়ে যেতে দেখা যায়।

সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশি জাহাজটি গত তিনদিন ধরে সোমালিয়ার গোদবজিরান উপকূলের দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করে আছে। এর আগে গত ১২ মার্চ বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টার দিকে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। দস্যুদের কাছে জিম্মি আছেন ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিক ও ক্রু।

পরে ১৪ মার্চ এক বিবৃতিতে ইইউ নেভাল ফোর্স জানায়, অপারেশন আটলান্টার আওতায় তাদের একটি যুদ্ধজাহাজ বাংলাদেশি জাহাজটিকে অনুসরণ করছে। তারা বাংলাদেশ ও সোমালি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে।

১৮ মার্চ রয়টার্স তাদের এক প্রতিবেদনে জানায়, সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ উদ্ধারে দেশটির পুলিশ ও বিভিন্ন দেশের নৌবাহিনীর সদস্যরা মিলে সোমবার (১৮ মার্চ) অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। সোমালিয়ার পান্টল্যান্ড অঞ্চলের পুলিশ বাহিনীর বরাতে তারা এ তথ্য জানায়।

এদিকে ইইউ নৌবাহিনীকে অভিযান পরিচালনা থেকে বিরত রাখতে জিম্মি নাবিকদের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে জলদস্যুরা।

দেশের সিনিয়র নাবিক ক্যাপ্টেন আতিক ইউএ খান জানান, ইইউ নৌবাহিনীর চাপে নাবিকদের এখন ২৪ ঘণ্টাই জাহাজের ব্রিজে অবস্থান করতে হচ্ছে। এছাড়া মাঝেমধ্যে ভিএইচএফ (ওয়াকি-টকি) ব্যবহার করে নৌবাহিনীকে অনুরোধও জানাতে হচ্ছে যেন কাছে না আসে।

তবে জাহাজের মালিকপক্ষ কবির গ্রুপ এবং সরকার, নাবিকদের নিরাপত্তাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। তাই এর আগে ইইউ নেভাল ফোর্স জিম্মি জাহাজটি উদ্ধারে অভিযানের কথা জানালেও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সম্মতি দেওয়া হয়নি।

এছাড়া ছিনতাই হওয়া জাহাজ ও জিম্মি নাবিকদের উদ্ধারে মধ্যস্থতাকারী নিয়োগের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিল জাহাজের মালিক কবির গ্রুপ। সর্বশেষ বুধবার প্রথমবারের মতো জলদস্যুরা জাহাজের মালিক পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বলে জানান কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম।

বাংলাদেশি মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন এম আনাম চৌধুরী বলেন, সোমালিয়া কোস্ট লাইনের ভেতরে এমন অভিযান খুব ঝুঁকিপূর্ণ হবে। সোমালিয়া কোস্টের ভেতর যতগুলো জাহাজ ছিল আজ পর্যন্ত কোনো জাহাজ পিসফুল নেগোসিয়েশন ছাড়া মুক্ত করা সম্ভব হয়নি। মাল্টিজ জাহাজ রুয়েন, যেটি ভারতীয় বাহিনী উদ্ধার করেছে, সেটিও যদি তাদের কোস্ট থেকে বের না হতো, তবে উদ্ধার করা সম্ভব হতো না।

অপারেশন আটলান্টা তাদের এক্স অ্যাকাউন্টে প্রকাশিত জলদস্যুতার ঝুঁকি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত ২৪ নভেম্বর থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২৫টি নৌযানে ছিনতাই ও ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেছে দস্যুরা। এর মধ্যে বেশিরভাগই ছোট নৌযান। বাণিজ্যিক জাহাজ রয়েছে তিনটি। তবে সর্বশেষ শুধু বাংলাদেশি জাহাজটিই এখন সোমালিয়ার দস্যুদের কাছে জিম্মি রয়েছে।


আরও খবর



বেনাপোলে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এম এ রহিম, বেনাপোল (যশোর)

Image

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আজ রোববার দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে সব ধরনের পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে। তবে দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বন্দর পরিচালক রেজাউল করিম ও বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান।

রেজাউল করিম বলেন, রোববার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকায় পেট্রাপোল ও বেনাপোল বন্দর দিয়ে কোনো আমদানি-রপ্তানি হবে না। সোমবার সকাল থেকে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চলবে।

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান বিশ্বাস বলেন, বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।

এ ছাড়া বন্দর থেকে আমদানি পণ্য খালি করা ট্রাক ফেরত যাওয়ার জন্য চেকপোস্ট কার্গো শাখা খোলা থাকবে।


আরও খবর



উপজেলা নির্বাচনও বর্জনের সিদ্ধান্ত বিএনপির

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চ্যুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, বিএনপি বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে এবং প্রশাসন ও পুলিশের একপেশে ভূমিকার জন্য এর আগেও জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন বর্জন করেছে। এখনও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়নি। বিদ্যমান পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ায় আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার যৌক্তিক কারণ রয়েছে। বিএনপি ৮ মে থেকে শুরু হওয়া সকল ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বর্তমান সরকারের আমলে দেশে জাতীয় ও স্থানীয় সরকারের কোনো নির্বাচনই অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। ক্ষমতাসীন দলের মনোনীত প্রার্থীদেরই নির্বাচন কমিশন বিজয়ী ঘোষণা করে। প্রতিদ্বন্দ্বী বিরোধী দলের প্রার্থীদের নানাভাবে হামলা, মামলা ও হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। মনোনয়নপত্র তোলা ও জমা দেওয়া এবং নির্বাচনী প্রচারে হামলা এবং শারীরিক আক্রমণসহ পথে পথে বাধা দেওয়া হয়। অনেককেই মনোনয়নপত্র জমা দিতেও দেওয়া হয়নি।

এর আগে সোমবার দুপুরে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণের বিষয়ে একই মনোভাবেব কথা জানিয়েছিলেন রুহুল কবির রিজভী। নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বিএনপির আগের সিদ্ধান্ত (অংশগ্রহণ না করা) বহাল আছে। সেই অনুযায়ী কাজ হচ্ছে।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, এটা আমরা আগেই পরিষ্কার করেছি। সবকিছু আমরা বলেছি। ওই সিদ্ধান্তটাই এখনো বহাল আছে। নতুন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আগেই সিদ্ধান্ত বহাল আছে। ওটা তো নাকচ হয়নি। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ হচ্ছে।


আরও খবর



ফের জিআই পণ্যের তালিকা চাইলেন হাইকোর্ট

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

দেশে ও বিদেশে কতগুলো পণ্য জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিফিকেশন (জিআই) বা ভৌগোলিক নির্দেশক হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছে তার তালিকা ফের চাইলেন হাইকোর্ট। অবকাশকালীন ছুটি শেষে আদালত খোলার দিনই এই তালিকা দাখিল করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড ছাড়া অন্য কেউ তালিকা দাখিল না করায় ওই আদেশ দেন আদালত।

শুনানির সময় বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড হাইকোর্টকে জানায়, বাংলাদেশের জিআই পণ্যের তালিকা মসলিন শাড়ি অন্তর্ভুক্ত করা আছে। আরও নতুন ৭টি পণ্য জিআই তালিকাভুক্ত করার জন্য আবেদন করা হয়েছে।

টাঙ্গাইলের শাড়ি নিয়ে আলোচনা শুরু হওয়ার পর বাংলাদেশের জিআই পণ্যের তালিকা করতে সরকারকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি সরদার রাশেদ জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে জিআই পণ্যের তালিকা তৈরি ও রেজিস্ট্রেশনে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। বাণিজ্য সচিব, কৃষি সচিব, সংস্কৃতি সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের আজকের মধ্যে এ তালিকা করে হাইকোর্টকে জানানোর নির্দেশ দেয়া হয়।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারোওয়াত সিরাজ শুক্লা। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের সব জিআই পণ্যের তালিকা তৈরির নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিটটি করেন তিনি।

সম্প্রতি কয়েকশ বছরের পুরোনো টাঙ্গাইল শাড়িকে নিজেদের দাবি করে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। এরপর গত ৮ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় শিল্প মন্ত্রণালয়।

গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের মোট ২১টি পণ্য জিআই হিসেবে নিবন্ধিত হলেও মোট ১৪টি পণ্যের জন্য নতুন করে আবেদন করা হয়েছে। এছাড়া আবেদনের প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে আরও দুটি পণ্য।

কোনো পণ্যের জন্য আবেদন করার অর্থ এই নয় যে, সেগুলো জিআই সনদ পাওয়ার মতো যোগ্য বা পাবেই। নানারকম পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর নির্ধারিত হয় কোন পণ্য এই তালিকায় উঠবে। যাচাই-বাছাইয়ের পর এগুলোর কোনোটি যদি জিআই সনদ পেয়ে যায়, তাহলে তখন সেগুলো বাংলাদেশের নিজস্ব পণ্য হিসেবে বিশ্ব দরবারে পরিচিতি লাভ করবে।

নিউজ ট্যাগ: জিআই সনদ আদালত

আরও খবর