আজঃ সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

হামদর্দের ১১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০১ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০১ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

হামদর্দ ল্যাবরেটরীজ। উপমহাদেশের স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও মানবসেবার নন্দিত প্রতিষ্ঠান।

১ আগস্ট ২০২৩, প্রতিষ্ঠানটির ১১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। গৌরবান্বিত ১১৭ বছর শেষ করে, হামদর্দ পা রাখলো আলোকিত ১১৮ বছরে।

হামদর্দ পরিবার প্রতিষ্ঠার্ষিকীর এই শুভক্ষণে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা হাফেজ হাকীম আবদুল মজিদ, তার স্ত্রী রাবেয়া মজিদ, দুই সন্তান প্রখ্যাত ইউনানী চিকিৎসা বিজ্ঞানী হাকীম আবদুল হামিদ এবং শহীদ হাকীম মোহাম্মদ সাঈদকে। পাশাপাশি তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনাও করছে হামদর্দ পরিবার।

১৯০৬ সাল। তখন উপমহাদেশে চলছে ব্রিটিশ অপশাসন। ভারতের দিল্লিতে মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নির্বিঘ্ন করতে হাকীম হাফেজ আব্দুল মজিদ প্রতিষ্ঠা করেন হামদর্দ।

মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশে হামদর্দ একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত ও রুগ্ন প্রতিষ্ঠান হিসিবে চিহ্নিত হয়। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত সময়কালে পর্যায়ক্রমে ৭ জন মোতাওয়াল্লী নিয়োগ দেওয়া হয়। তারা হামদর্দকে যথাযথভাবে পরিচালনা করতে না পারায় ব্যাপক বিশৃঙ্খলা তৈরি হয় । ১৯৭৫ সালে ষড়যন্ত্র করে হামদর্দ বাংলাদেশকে লেঅফ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু তাতে বাধা দিয়ে প্রতিষ্ঠানকে সচল রাখেন ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া। ১৯৭৭ সালে মোতাওয়াল্লী হিসেবে নিয়োগ পান তৎকালীন সিনিয়র কর্মকর্তা নুরুল আফসার। কিন্তু তিনি না কারণে প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় ভূমিকা রাখতে পারেন নি। ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া সবার মধ্যে সাহস সঞ্চার করে বলেন, আল্লাহর রহমত এবং আমাদের প্রচেষ্টায় হামদর্দ ঘুরে দাঁড়াবে ইনশাল্লাহ। এ সময় তিনি নেপথ্যে থেকে দৃঢ়ভাবে হাল ধরেন ।

১৯৮২ সালে হামদর্দ বাংলাদেশের পূর্ণ দায়িত্ব গ্রহণ করেন ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া । তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় মাত্র ৫০ হাজার টাকার মূলধন এবং ছয়গুন ঋণ নিয়ে ঘুরে দাঁড়ায় প্রতিষ্ঠান। এত অল্প মূলধন নিয়ে হামদর্দের অগ্রযাত্রার এ তথ্যটি ওয়াক্ফ প্রশাসনে এখনো সংরক্ষিত রয়েছে।

১৯৮২ সালে বাংলাদেশ ড্রাগ পলিসিতে প্রাকৃতিক চিকিৎসা ব্যবস্থাকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে অন্তর্ভূক্ত করতে উদ্যোগী হন হামদর্দ ট্রাস্টি বোর্ডের তৎকালীন ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. নুরুল ইসলাম, ট্রাস্টি বোর্ডের অন্যতম সদস্য তৎকালীন ওষুধ প্রশাসনের পরিচালক ড. হুমায়ুন কে এম এ হাই ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখেন ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া। এ স্বীকৃতির কারণে সরকারি হাসপাতালে নিয়োগ পাচ্ছে ইউনানী আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরা। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণে আসায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়েছে। এর ফলে তৈরি হয়েছে ইউনানী-আয়ুর্বেদিক ফর্মুলারী।

১৯৮৩ সাল থেকে বিশে^র মুসলমানের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব বিশ্ব ইজতেমায় হামদর্দ মেডিকেল ক্যাম্প করে ফ্রি চিকিৎসা সেবা দেওয়া শুরু করে। যা আজও অব্যাহত আছে। এর ফলে ইজতেমায় আগত বিপুল সংখ্যক ধর্মপ্রাণ মানুষ উপকৃত হচ্ছেন।

বিভিন্ন সময়ে প্রলয়ংকরী বন্যা, ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস পরবর্তি ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে হামদর্দ।

১৯৯০ সালে উত্তরাঞ্চলের প্রাণকেন্দ্র বগুড়ায় প্রতিষ্ঠিত হয় হামদর্দ ইউনানী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল।

১৯৯৪ সাল। ঢাকার অদূরে ছায়াসুনিবিড় সোনারগাঁওয়ে আধুনিক কারখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন হাকীম মোহাম্মদ সাঈদ। এরপর বিপুল কর্মদ্যোগে ওষুধ উৎপাদনে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করে হামদর্দ। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে ১৯৯৮ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফান্ডে অনুদান প্রদান করে হামদর্দ। ২০০৪ সালে ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়ার একক প্রচেষ্টায় ইউনানী আয়ুর্বেদিক ও হার্বাল ওষুধ শিল্প থেকে ভ্যাট প্রত্যাহার করে সরকার। এই খাতের জন্য এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। ফলে প্রতিষ্ঠিত হয় নতুন অনেক শিল্প কারখানা। বাড়ে কর্মসংস্থান এবং ওষুধের বাজার।

হাকীম মো. সাঈদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ২০০৮ সালে শিক্ষা বিস্তারে অসাধারণ উদ্যোগ গ্রহণ করেন ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া। হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের জন্য জমি ক্রয় করেন এবং মাটি ভরাটের কাজ শুরু হয়। স্বপ্নের এই প্রতিষ্ঠানের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন হাকীম মো. সাঈদের সুযোগ্য কন্যা সাদিয়া রশিদ। শহীদ হাকীম মোহাম্মদ সাঈদের অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ একই বছর নামে ঢাকায় প্রতিষ্ঠা করা হয় হাকীম সাঈদ ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।

২০১০ সালে ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়ার উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় হামদর্দ পাবলিক কলেজ। যা এখন স্বনামধন্য একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে সবার কাছে পরিচিত। প্রতিবছর সফলতার সঙ্গে শতভাগ উত্তীর্ণ হয় এই কলেজের শিক্ষার্থীরা। ইতোমধ্যে অসংখ্য শিক্ষার্থী কলেজ থেকে উত্তীর্ণ হয়ে বুয়েট, মেডিকেল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ শেষে কর্মজীবনে দেশ ও জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।

২০১২ সালে ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া প্রতিষ্ঠা করেন হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ। একই সালে হামদর্দ প্রধান কার্যালয়ে উদ্বোধন করা হয় বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন। যে কর্নারে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে দুর্লভ গ্রন্থের সমাহার।

২০২১ সালে এ্যালোপ্যাথিক, ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক এই তিন পদ্ধতির সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠা করা হয় হামদর্দ জেনারেল হাসপাতাল। ভারতের স্বাস্থ্য বিষয়ক আয়ুশ মন্ত্রণালয় হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশে ইউনানী চেয়ার হিসেবে প্রেরণ করেন দেশটির প্রখ্যাত ইউনানী বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মনোয়ার হোসেন কাজমীকে। ২০২২ সালে ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া বিপুল ভোটে বাংলাদেশ আয়ুর্বেদিক মেডিসিন ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনে সভাপতি নির্বাচিত হন। তার বলিষ্ঠ উদ্যোগের কারণে ইউনানী আয়ুর্বেদিক খাতকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউছুফের নেতৃত্বে গঠিত হয় ইউনানী আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক সেল। এ খাতের জন্য এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।

এভাবে বর্ণাঢ্য কর্মতৎপরতায় মানুষের কল্যাণে নির্ঘুম কাজ করে যাচ্ছে হামদর্দ বাংলাদেশ। ১১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভক্ষণে সকল শুভানুধ্যায়ী, সেবাগ্রহণকারী এবং দেশবাসীর প্রতি নিরন্তর কৃতজ্ঞতা ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছে হামদর্দ কর্তৃপক্ষ।


আরও খবর



পিনাকীসহ দু’জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য ও ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মফিজুর রহমান আশিকের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) বিভাগ।

একই সঙ্গে সুনির্দিষ্ট সাক্ষ্য প্রমাণ না পাওয়ায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার উপপ্রেস সচিব মুশফিকুল ফজল আনসারীকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করে সম্প্রতি এ প্রতিবেদন দাখিল করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিটিটিসির উপপরিদর্শক মোহাম্মদ রাহাত হোসেন। আজ রবিবার প্রতিবেদন দাখিলের বিষয়টি জানা গেছে।

রাজধানীর রমনা মডেল থানার এ মামলার প্রতিবেদনে পিনাকী ভট্টাচার্য পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন।

জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে বদলি করা হয়েছে।

২০২২ সালের ১৫ অক্টোবর রাজধানীর রমনা থানায় পিনাকী ভট্টাচার্যসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) বিভাগের উপপরিদর্শক এম আব্দুল্লাহিল মারুফ বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় মফিজুর রহমান ও মুশফিকুল ফজল আনসারীকে আসামি করা হয়।

মামলায় বলা হয়, ২০২২ সালের ১৪ অক্টোবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া একটি পোস্ট কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগের নজরে আসে। ওই পোস্টে পুলিশ সদস্যদের সম্পর্কে বিকৃত তথ্য প্রচারের অভিযোগ আনা হয়েছে। ওই ফেসবুক পোস্টের সূত্র ধরে ১৫ অক্টোবর পল্লবীর বাসা থেকে মফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে পুলিশ মফিজুরের দুটি মুঠোফোন জব্দ করে।

মামলা বলা হয়, আসামি মফিজুর রহমান ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এই তালিকায় আছেন পিনাকী ভট্টাচার্য ও মুশফিকুল ফজল আনসারী। মিরপুরে পুলিশ বাহিনীর একটি অভিযানের ঘটনাকে বিকৃতভাবে প্রচার করা হয়। সেই তথ্য ও ছবি পাঠানো হয় পিনাকী ভট্টাচার্যের ফেসবুক মেসেঞ্জারে। আলামত হিসেবে নাগরিক টিভি ও আমার দেশ পত্রিকার অনলাইনের একটি করে প্রতিবেদন এবং মুশফিকুল ফজল আনসারীর ফেসবুক মেসেঞ্জারে পিনাকী ভট্টাচার্যের কাছে পাঠানো কয়েকটি ছবি ও কথোপকথন তুলে ধরা হয়েছে। সেখানকার আলাপচারিতায় মুশফিকুলকে পিনাকীর কাছে বইয়ের তালিকা চাইতে দেখা গেছে।

মামলায় বলা হয়, মফিজুর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া তথ্য প্রচার করেছেন। পরে সেই তথ্য তিনি বিদেশে অবস্থানরত পিনাকী ভট্টাচার্য, মুশফিকুল ফজল আনসারীসহ বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে পাঠিয়েছেন। পরে সেগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েছে। মফিজুর রহমানসহ অন্যরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। এর মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটার আশঙ্কা হয়।

মামলার কাগজপত্রের তথ্য বলছে, মফিজুর রহমানের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের বাঁশখালীর খুদুখখালী গ্রামে। চিকিৎসাশাস্ত্রে পড়াশোনা করা পিনাকী ভট্টাচার্য একটি ওষুধ কোম্পানি পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কয়েক বছর ধরে তিনি বিদেশে অবস্থান করছেন। পিনাকী ভট্টাচার্য নানা বিষয়ে সরকারের সমালোচনা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে থাকেন। সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ফ্রান্সের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে পিনাকী ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দিয়েছিলেন। তাতে তিনি বলেছিলেন, পিনাকী ভট্টাচার্য বিদেশে অবস্থান করে সরকার, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বঙ্গবন্ধু পরিবারকে নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করছেন।


আরও খবর



গুজবের অভিযোগ আমলে না নিলে দেশে ফেসবুক-ইউটিউব বন্ধের সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সরকারের অভিযোগ আমলে না নিলে বাংলাদেশে ফেসবুক, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

রবিবার (৩১ মার্চ) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।

তিনি বলেন, 'তারা (ফেসবুক, ইউটিউব, গুগল) বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের সুপারিশ শোনে না। কারণ গুজব প্রতিরোধ ও সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে এখানে কোনো অফিস নেই। আমরা বলব যে তারা আমাদের কথা শুনছে না। প্রয়োজন হলে কিছু সময়ের জন্য এসব সেবা বন্ধ থাকবে। আমরা প্রথমে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে সঠিকভাবে জানাব যে তারা (সোশ্যাল মিডিয়া) আমাদের অভিযোগ আমলে না নিয়ে এই অপরাধ এবং গুজব চালাতে দিচ্ছে এবং এগুলো প্রতিরোধে তাদের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না।

মন্ত্রী আরও বলেন, প্রথমে কয়েকবার বলা হবে। প্রয়োজনে আমরা সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমেও বলব, যেন মনে না হয় যে এখানে মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।

তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আইনের বিধান হলো কোনো অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া। তারা আমাদের অভিযোগের তদন্ত করছে না। আমরা এখন গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জনগণকে তাদের উদাসীনতা সম্পর্কে জানাব, যেন বাধা (সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধ) দেওয়া হলে দায় সরকারের ওপর না পড়ে, বরং তাদের ওপরই বর্তায়।


আরও খবর
প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরছেন আজ

সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪




প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরছেন আজ

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

থাইল্যান্ডে ছয় দিনের সরকারি সফর শেষে আজ ব্যাংকক থেকে দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল রবিবার প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগামীকাল (আজ) সকালে ব্যাংকক ত্যাগের কথা রয়েছে।’

শেখ হাসিনা থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক উভয় সফরের অংশ হিসেবে ২৪ এপ্রিল বিকালে ব্যাংকক পৌঁছান। তাকে ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীকে সেখানে ১৯ বার তোপধ্বনি ও গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।

শেখ হাসিনা থাইল্যান্ড সফরকে প্রতিবেশী’ নীতির ওপর বৃহত্তর ফোকাসের অংশ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। কারণ, এটি দুই দেশের জন্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গতিকে আরও নবায়নের চমৎকার সুযোগ করে দিয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, এই সফর দুই দেশের সম্পর্ককে আরও গভীর করার ক্ষেত্রে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।


আরও খবর



বাংলাদেশে ঢুকে দুই যুবককে বিএসএফের গুলি

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ সীমান্তে প্রবেশ করে দুই বাংলাদেশিকে লক্ষ্য করে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলি করার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার বেলা ২টায় কালীগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের খামারভাতি সীমান্তের ৯১৩ নম্বর মেইন পিলারে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে খামারভাতি সীমান্তে জমি দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন স্থানীয় যুবক এনামুল হক ও ইন্দু মিয়া। হঠাৎ বিএসএফ তাঁদের ধাওয়া দিলে তাঁরা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। ওই সময় বিএসএফ সদস্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে গুলি চালান। অবশ্য দুই যুবক অক্ষত অবস্থায় নিরাপদ স্থানে যেতে পেরেছেন। এ ঘটনার পর থেকেই খামারভাতি এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এভাবে দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে বাংলাদেশিদের লক্ষ্য করে প্রকাশ্যে গুলি করার দৃশ্য ধারণ করেন স্থানীয় শাকিল নামে এক যুবক। তিনি জানান, এমন ঘটনা প্রায় সময়ই সীমান্তে ঘটে। কিন্তু কোনো প্রমাণ থাকে না বলে কেউ বিশ্বাস করে না। প্রতিবাদও জানায় না। দূরে ভিডিও নিয়ে কাজ করার সময় এমন দৃশ্য দেখে ভিডিও ধারণ করেছি। এটিই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিনিয়তই বিএসএফ সদস্যরা বাংলাদেশিদের ধাওয়া করেন। অনেক সময় মারধর করে বলেও অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) লালমনিরহাট ১৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মোফাজ্জল হোসেন বলেন, এখন পর্যন্ত এমন কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



ধর্ষণ মামলায় জামিন পেলেন মামুনুল হক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় করা ধর্ষণ মামলায় হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে জামিন দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালত তাকে জামিন দেন।

আদালতে মামুনুল হকের পক্ষের আইনজীবী একেএম ওমর ফারুক নয়ন শুনানিতে অংশ নেন। আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রকিব উদ্দিন আহমেদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার রয়েল রিসোর্টে এক নারীসহ অবরুদ্ধ হন মামুনুল হক। পরে ওই রিসোর্ট ভাঙচুর করে মামুনুলকে ছিনিয়ে নেন তার অনুসারীরা। একই বছরের ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ।

এ ঘটনার ২৭ দিন পর ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেন তার সঙ্গে থাকা ওই নারী।

১৮ এপ্রিল ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ হেফাজত নেতা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে। একই বছরের ৩ নভেম্বর মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয় পুলিশ।


আরও খবর