আজঃ সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

হাজিদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট বৃহস্পতিবার শুরু

প্রকাশিত:সোমবার ১১ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ জুলাই ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

হজের কার্যক্রম শেষ হয়েছে। হাজিদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে। এদিন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রথম ফ্লাইটটি জেদ্দা থেকে ঢাকাগামী যাত্রী নিয়ে বাংলাদেশের উদ্দেশে উড়াল দেবে। ফ্লাইটে কতজন যাত্রী থাকবেন তা এখনও নির্ধারণ হয়নি।

বাংলাদেশ হজ অফিস (ঢাকা) জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্সেরও (সাউদিয়া) ফ্লাইট রয়েছে। বিমান, সাউদিয়া এবং ফ্লাইনাসের ফ্লাইটে সব হজযাত্রী ফিরতে ৪ আগস্ট পর্যন্ত সময় লাগবে।

এবার বাংলাদেশ থেকে প্রথম দফায় ৫৭ হাজার ৫৮৫ জনকে হজে যাওয়ার সুযোগ দেয় সৌদি সরকার। জুলাইয়ে দ্বিতীয় দফায় অতিরিক্ত ২ হাজার ৪১৫ জনকে পাঠানোর কোটা মঞ্জুর করে তারা। হজ ব্যবস্থাপনা ও হজ প্রতিনিধি দলসহ এবার ১৬৫টি ফ্লাইটে হজে যান মোট ৬০ হাজার ১৪৬ জন।এবার হজে গিয়ে সৌদি আরবে মারা গেছেন ১৫ জন হজযাত্রী। তাদের মধ্যে পুরুষ ১০ জন ও নারী ৫ জন।


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




হিলি স্থলবন্দরে একদিনে এলো ৩৪৮ মেট্রিকটন আলু

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

দেশের বাজারে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আলু আমদানি বাড়িয়ে দিয়েছে আমদানিকারকরা। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) একদিনে ৩৪৮ মেট্রিকটন আলু আমদানি করা হয়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

তবে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, আমদানি বৃদ্ধি পেলে দাম কমে। তাই যথেষ্ট পরিমাণ আইপি (আমদানি অনুমতি) থাকা সত্ত্বেও লোকশানের শঙ্কায় আমদানিতে তেমন আগ্রহ নেই। তবে সম্প্রতি দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আমদানিও বৃদ্ধি পেয়েছে।

হিলি স্থলবন্দরের আলু আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এমআর এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী হারুনুর রশিদ জানান, গত মার্চ মাসের প্রথম ১৫ দিন দেশের বাজারে আলুর দাম ছিল ২৫/২৬ টাকা। আর আমদানিতে খরচ পড়ত ২৪/২৫ টাকা। এতে লোকসান গুনতে হতো। তাই আমদানি বন্ধ ছিল কিন্তু এখন দেশের বাজারে আলুর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় তিনি প্রতিদিন আমদানি করছেন।

হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক জানান, যথেষ্ট আলু আমদানির অনুমতি থাকলেও প্রতিদিন ১/২ গাড়ি এমনকি সপ্তাহে ২/৩ গাড়ি আলু আমদানি হতো। তবে এখন আলুর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আমদানিও বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি জানান, গতকাল মঙ্গলবার ১৩ টি ভারতীয় ট্রাকে ৩৪৮ মেট্রিকটন আমদানি হয়েছে। যা থেকে সরকার রাজস্ব আদায় করেছে ২৪ লাখ ৩৬ হাজার টাকা।

এদিকে হিলি বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা পর্যায়ে ভারতীয় আমদানিকারকরা আলু কেজিতে ৩০ টাকা, হল্যান্ড (দেশীয় হাইব্রিড) জাতের আলু ৩২ টাকা এবং দেশীয় আলু ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

নিউজ ট্যাগ: আলু আমদানি

আরও খবর
টানা ছয় দফা কমলো সোনার দাম

সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪




টাঙ্গাইলে ট্রেনের ছা‌দ থে‌কে যুব‌কের মর‌দেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

Image

টাঙ্গাইলে ট্রেনের ছাদ থেকে এক যুবকের মর‌দেহ উদ্ধার করা হ‌য়ে‌ছে। ট্রেন চলাকালে কোনো গা‌ছের ডালের সঙ্গে ধাক্কা লে‌গে হা‌নি‌ফ (৩০) না‌মের ওই যুব‌কের মৃত্যু হ‌য়ে‌ছে ব‌লে ধারণা কর‌ছে রেলও‌য়ে পু‌লিশ।

মৃত হানিফ জয়পুরহাটের আমতলী উপ‌জেলার আমতলী গ্রামের হান্নানের ছেলে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকা‌লে টাঙ্গাইলের ঘারিন্দা রেলস্টেশনের পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের ছাদ থেকে মর‌দেহটি উদ্ধার করেন।

বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব রেলস্টেশ‌ন মাস্টার মো. শাহীন বলেন, ট্রেনটি বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব রেল‌স্টেশ‌নে আসার পর ছা‌দের ওপর ওই যুব‌কের মর‌দেহ আটকে থাকতে দেখা যায়। প‌রে সেখান‌ থেকে মর‌দেহ‌টি টাঙ্গাইল স্টেশ‌নে পা‌ঠি‌য়ে দেওয়া হ‌য়।

ঘারিন্দা রেলস্টেশন ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) আকবর বলেন, হানিফ মিয়া পঞ্চগড় থেকে ছে‌ড়ে আসা ঢাকাগামী একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের ছাদে উঠেছিল। পথিমধ্যে কোথায় গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগেছে তা কেউ বলতে পারেনি। ট্রেনটি টাঙ্গাইলের ঘারিন্দা রেলস্টেশনে এসে পৌঁছালে মর‌দেহটি উদ্ধার করা হয়। এখন রেল পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। পরিবারের লেকজনকে খবর দেওয়া হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মর‌দেহ হস্তান্তর করা হবে।


আরও খবর



অরিত্রীর আত্মহত্যা : দুই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে মামলার রায় ফের পেছালো

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় ওই প্রতিষ্ঠানের সাময়িক বরখাস্ত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও শাখা প্রধান জিন্নাত আক্তারের বিরুদ্ধে করা মামলার রায় চতুর্থ দফার মত পিছিয়েছে। আগামী ৩ জুন রায়ের তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ-১২ এর বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ঘোষণার জন্য আগামী ৩ জুন নতুন দিন ধার্য করেন আদালত।

গত ২৭ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের তারিখ ২১ জানুয়ারি ধার্য করেন। তবে, ওই দিন রায় প্রস্তুত না হওয়ায় তা পিছিয়ে ৮ ফেব্রুয়ারি ধার্য করা হয়। ওই দিনেও রায় প্রস্তুত না হওয়ায় তারিখ পিছিয়ে ৩ মার্চ ধার্য করা হয়। একই কারণে রায় ঘোষণার দিন পিছিয়ে ৯ এপ্রিল ধার্য করেন আদালত।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর অরিত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় রাজধানীর পল্টন থানায় তার বাবা দিলীপ অধিকারী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

২০১৯ সালের ২০ মার্চ এ দুই শিক্ষককে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কামরুল হাসান তালুকদার। আসামিদের নির্দয় ব্যবহারে অরিত্রী আত্মহত্যায় প্ররোচিত হয় বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন তদন্ত কর্মকর্তা। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় শ্রেণিশিক্ষক হাসনা হেনাকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করা হয়।

একই বছরের ১০ জুলাই এ দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। ২৫ নভেম্বর এ মামলার বাদী ও অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারীর জবানবন্দির মধ্য দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এরপর ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট অরিত্রী মা বিউটি অধিকারী আদালতে সাক্ষ্য দেন। এ মামলার ১৮ সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর পরীক্ষা চলাকালে অরিত্রীর কাছে মোবাইলফোন পান শিক্ষক। মোবাইলফোনে নকল করেছে-এমন অভিযোগে অরিত্রীর মা-বাবাকে নিয়ে স্কুলে যেতে বলা হয়। দিলীপ অধিকারী তার স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে স্কুলে গেলে ভাইস প্রিন্সিপাল তাদের অপমান করে কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। অধ্যক্ষের কক্ষে গেলে তিনিও একই রকম আচরণ করেন। এসময় অরিত্রী দ্রুত অধ্যক্ষের কক্ষ থেকে বের হয়ে যায়। পরে শান্তিনগরে বাসায় গিয়ে তিনি দেখেন, অরিত্রী তার কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছে।


আরও খবর



সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচীর নববর্ষ উদ্‌যাপন, যা বলল ডিএমপি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলা নববর্ষ উদ্‌যাপনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকার যে নির্দেশনা জারি করেছিল তা উপেক্ষা করে নববর্ষ উদ্‌যাপন করেছে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠান সমাপ্ত করা সংক্রান্ত সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ করা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করার বিষয়টিকে অত্যন্ত অনভিপ্রেত ও বিব্রতকর বলে মন্তব্য করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে ডিএমপি বলেছে, পহেলা বৈশাখ বাংলা ও বাঙালি জাতির প্রাণের উৎসব। সব ধর্মের মানুষের কাছে এটি একটি সর্বজনীন উৎসব। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবারই উৎসব উদ্‌যাপনে থাকে বিশেষ প্রস্তুতি। বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম ধারক ও বাহক যেন এই দিনটি। বিশেষত দিনটি রঙিন হয়ে ওঠে বাঙালি পোশাকে-আশাকে, আয়োজনে এবং আপ্যায়নে। কিন্তু ইতোপূর্বে বিভিন্ন সময়ে বাঙালি সংস্কৃতির ধারক এই পহেলা বৈশাখ উদ্‌যাপনের ওপর উগ্রবাদী আঘাত এসেছে। বারবার চেষ্টা করা হয়েছে সংস্কৃতি যাত্রাকে ব্যাহত করার।

এতে বলা হয়, উগ্রবাদের এই ভয়াল থাবা বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে বিভিন্ন সময়ে আক্রমণ করেছে ,আঘাত করেছে সৃজনশীল ও সংস্কৃতমনা মানুষদের। উগ্রবাদীদের এই নৃশংসতায় প্রাণ দিয়েছেন অনেক কবি, সাহিত্যিক, অধ্যাপক, ব্লগারসহ মুক্তমনা এবং রুচিশীল ব্যক্তিত্ব। সর্বোপরি, জঙ্গি সংগঠনগুলোর টার্গেট হলো বাঙালি সংস্কৃতির অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করে দেশের মধ্যে একটি অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করা যা তাদের কার্যক্রমে স্পষ্টরূপে প্রতীয়মান হয়।

ডিএমপি বলছে, এদেশে প্রথম জঙ্গি হামলা হয়েছিল ১৯৯৯ সালে, যশোরে উদীচীর অনুষ্ঠানে। পরবর্তীতে ২০০১ সালে রমনা বটমূলে ছায়ানটের অনুষ্ঠানে বোমা হামলা, একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা, যাত্রা প্যান্ডেলে বোমা হামলা, সিনেমা হলে বোমা হামলা, ১৭ আগস্টের সিরিজ বোমা হামলার পর বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলা হয় গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয়। এ সব হামলায় অনেক মানুষের মূল্যবান জীবনহানি হয়েছে এবং অনেকে পঙ্গু হয়েছেন। হামলা প্রতিরোধ করতে ও জনগণের জীবন বাঁচাতে গিয়ে পুলিশের অনেক সদস্য জীবন দিয়েছেন, আহত হয়েছেন বহুজন।

বিবৃতিতে বলা হয়, বিগত সময়ে ১৯৯৩ সালে (১৪০০ বঙ্গাব্দ) বাংলা শতবর্ষ উদ্‌যাপনে সরকার কর্তৃক বাঙালির এই আয়োজনে বাধাও প্রদান করা হয়েছিল। কিন্তু উগ্রবাদ দমনে বর্তমান সরকারের গৃহীত জিরো টলারেন্স নীতির ভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ ও পরিকল্পনা গ্রহণ করায় সারা বিশ্বে বাংলাদেশ আজ রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতা রোধে পুলিশ সবসময়ই তৎপর। প্রতিটি অনুষ্ঠানে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে সদা সতর্ক থাকায় পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি হামলা বা সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটতে পারে নাই। বর্তমান সরকার সবসময়ে অসাম্প্রদায়িক বাঙালি সংস্কৃতিকে তার নিজস্ব আমেজে উদ্‌দযাপন করার ক্ষেত্রে আন্তরিক ও পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে আসছে।

ডিএমপি বলছে, উদীচীর মতো বিভিন্ন প্রগতিশীল সংগঠনগুলো সারা বছর যে অনুষ্ঠানগুলো আয়োজন করে থাকে তার নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ তথা সরকার নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে ও পেশাদারত্বের সঙ্গে সেগুলো বিবেচনা করে থাকে। পহেলা বৈশাখ উদ্‌যাপনের জন্য বাংলা নববর্ষ ভাতার ব্যবস্থাও করা হয়েছে যাতে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই মিলিত হয়ে আনন্দের সঙ্গে এই অনুষ্ঠান উদ্‌যাপন করতে পারে।

বিবৃতিতে বলা হয়, খুব স্বাভাবিকভাবেই নববর্ষ উদ্‌যাপনে নিরাপত্তা দেওয়া পুলিশের কর্তব্য। পুলিশের এই নিরাপত্তা কার্যক্রমে সব জনগণ সার্বিকভাবে সহযোগিতা করবেন এটাই কাম্য যেন আনন্দের এই অনুষ্ঠান বিষাদে পরিণত না হয়ে যায়।

এতে বলা হয়, নিরাপত্তা বিধানে প্রদত্ত প্রয়োজনীয় নির্দেশনা না মেনে তার বিরোধিতা করে অনুষ্ঠান করা খুবই দুঃখজনক এবং উদীচীর মতো প্রগতিশীল একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের কাছ থেকে যা কখনো কাম্য নয়।

ডিএমপির বিবৃতিতে বলা হয়, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী কর্তৃক সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে অনুষ্ঠান আয়োজন ও সেখানে প্রদত্ত বক্তব্য খুবই হতাশাজনক। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে তাদের এহেন কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়। অতীতেও ঊদীচীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সময়ে উগ্রবাদী হামলার ইতিহাস রয়েছে বিধায় উদীচী তাদের নিজেদের ও জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে ভবিষ্যতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্তৃক প্রদত্ত বিভিন্ন নিরাপত্তামূলক নির্দেশনার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবে বলে প্রত্যাশা।


আরও খবর



ঢাকার মঞ্চ মাতালেন আতিফ আসলাম

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বাংলাদেশের দর্শক মাতাতে তৃতীয়বারের মতো ঢাকায় আসলেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আতিফ আসলাম।

রাজধানীর বসুন্ধরা ক্রিকেট গ্রাউন্ডে শুক্রবার রাত সোয়া ৯টার দিকে মঞ্চে উঠেন তিনি। ভক্তদের গেয়ে শোনান তেরা হোনে লাগা হু, দুরিআদাতের মতো তার জনপ্রিয় কিছু গান।

কনসার্টটি আয়োজন করেছে ব্লুজ কমিউনিকেশন। এর আগে ২৮ মার্চ আতিফের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে ঢাকায় আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেন এ গায়ক নিজেই।

ওই দিন বিকেলে ফেসবুকে ১২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও প্রকাশ করেন আতিফ। যেখানে তার ছবি, মিউজিকের সঙ্গে লেখা ছিল- বাংলাদেশ, চলো একসঙ্গে সংগীত উপভোগ করি।

২০১৩ সালে বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পারফর্ম করতে প্রথম ঢাকায় এসেছিলেন আতিফ আসলাম। পরে ২০১৬ সালে এটিএন এন্টারটেইনমেন্টের আমন্ত্রণে দ্বিতীয়বার ঢাকায় আসেন।

পাকিস্তানের পাঞ্জাবের ওয়াজিরাবাদে জন্ম নেয়া উপমহাদেশের তুমুল জনপ্রিয় গায়ক আতিফ আসলাম ক্যারিয়ার শুরু করেন ২০০৩ সালে, জাল ব্যান্ডের মাধ্যমে। মূলত উর্দু ভাষায় গাইলেও তিনি হিন্দি, পাঞ্জাবি, বাংলা, পশতুসহ অনেক ভাষায় নিজের দক্ষতা প্রকাশ করেছেন। জেহের সিনেমার ওহ লামহে ওহ বাতে গান দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি।

এরপর একে একে উপহার দিয়েছেন অনেক জনপ্রিয় গান। তারমধ্যে উল্লেখ্য পেহলি নাজার ম্যায়, বাখুদা তুমহি হো, তু জানে না, দুরি, ম্যায় রং শরবতো কা, দিল দিয়া গাল্লা সহ প্রায় শতাধিক গান।


আরও খবর