আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

হাজী সেলিমের খালাসের বিরুদ্ধে দুদকের আপিল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ মে ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় তথ্য গোপনের অভিযোগে তিন বছরের সাজা থেকে সংসদ সদস্য (এমপি) হাজী মোহাম্মদ সেলিমকে খালাসের বিরুদ্ধে আপিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (১০ মে) দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, তিন বছরের সাজা থেকে হাজী সেলিমকে হাইকোর্ট খালাস দিয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে আমরা আপিল করেছি।

এর আগে ২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ মামলায় ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল তাকে দুই ধারায় ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। ২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন হাজী সেলিম। ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট এক রায়ে তার সাজা বাতিল করেন।

পরবর্তী সময়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দুদক। ওই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায় বাতিল করে পুনরায় হাইকোর্টে শুনানির নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।

এরপর গত ৯ মার্চ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য (এমপি) হাজী মোহাম্মদ সেলিমকে বিচারিক আদালতের দেওয়া ১০ বছর কারাদণ্ডাদেশ বহাল রাখেন হাইকোর্ট। তবে একই মামলায় তথ্য গোপনের অভিযোগে তিন বছরের দণ্ড থেকে খালাস পান তিনি। রায় ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

ওই রায় ঘোষণার পর আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান বলেছিলেন, দুদক আইনে (২৬ এর ২ ধারা) করা মামলায় সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে হাজী সেলিমকে বিচারিক আদালত ৩ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন। সেই অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় হাজী সেলিমকে তথ্য গোপনের অভিযোগ থেকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, দুদক এ অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি।

কিন্তু দুদক আইনের ২৭ (১) ধারা অনুসারে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে হাজী সেলিমকে বিচারিক আদালত ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন। ওই অভিযোগে তার সাজা বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশের রায় দেন আদালত।


আরও খবর



নোয়াখালীতে খৎনার সময় শিশুর লিঙ্গ কেটে ফেললেন হাজাম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নোয়াখালী প্রতিনিধি

Image

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে সাত বছর বয়সী এক শিশুর সুন্নতে খৎনা করার সময় লিঙ্গের সামনের অংশ কেটে মাটিতে ফেলে দিয়েছে হাজাম (খৎনাকারী)। এ ঘটনায় গুরুতর আহত শিশু সাহাদাত হোসেনকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল থেকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলের দিকে উপজেলার নদনা ইউনিয়নের বুরপিট গ্রামের বুরপিট দক্ষিণ সরকার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

তাৎক্ষণিক স্থানীয় লোকজন অভিযুক্ত হাজাম (খৎনাকারীকে) মামুনকে (৩৫) আটক করে। সে জেলার সুবর্ণচর উপজেলার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

আহত শাহাদাত হোসেন উপজেলার নদনা ইউনিয়নের বুরপিট গ্রামের বুরপিট দক্ষিণ সরকার বাড়ির নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলের দিকে শাহাদাতের খৎনা করতে হাজাম মামুন উপজেলার নদনা ইউনিয়নের বুরপিট গ্রামের বুরপিট দক্ষিণ সরকার বাড়িতে আসেন। এরপর খৎনা করতে গিয়ে খুর চালিয়ে শিশু শাহাদাতের লিঙ্গের মাথা থেকে কেটে মাটিতে ফেলে দেন। এতে প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে থাকে। পরে স্থানীয় লোকজন গুরুত্বর আহত অবস্থায় লিঙ্গের মাথার কাটা অংশসহ শাহাদাতকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার তানভীর হায়দার ইমন বলেন, হাজাম দ্বারা খৎনা করতে গিয়ে ওই শিশুর লিঙ্গের সামনের অংশ কেটে ফেলে দেয়। পরে রোগীর স্বজনেরা লিঙ্গের কাটা অংশসহ তাকে ২৫০শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। এখানে লিঙ্গের কাটা অংশ ফ্রিজআপ করে রোগীর স্বজনদের বুঝিয়ে দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগে রেফার্ড করে দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



পাকিস্তানে আজ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন, ৯ মার্চ প্রেসিডেন্ট

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পাকিস্তানের পার্লামেন্টে আজ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন। শনিবার পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) সভাপতি শাহবাজ শরিফ এবং পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) মহাসচিব ওমর আইয়ুব প্রধানমন্ত্রীর পদের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

শনিবার দুপুর ২টায় মনোনয়নপত্র গ্রহণের সময় শেষ হয়েছে। যাচাই-বাছাইয়ের সময় শেষ হয়েছে বিকাল ৩টায়। রোববার প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনের পর ৯ মার্চ নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবেন দুই কক্ষের নবনির্বাচত সংসদ-সদস্যরা।

পিএমএল-এন এবং তাদের মিত্ররা জাতীয় পরিষদের সচিবের কাছে আটটি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বিপরীতে এসআইসি তার নামে চারটি মনোনয়নপত্র দাখিল করে। যাচাই-বাছাই শেষে উভয় প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ করা হয়েছে।

পিএমএল-এন নেতা ইসহাক দার, হানিফ আব্বাসি এবং পিপিপি নেতা খুরশিদ শাহ শাহবাজের পক্ষে নথি জমা দিয়েছেন।  ওমর আইয়ুবের মনোনয়নপত্র নিম্নকক্ষের সচিবের কাছে জমা দিয়েছে পিটিআই সমর্থক সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিল (এসআইসি)।

মুতাহিদা কওমি মুভমেন্ট-পাকিস্তান (এমকিউএম-পি), ইন্তেহকাম-ই-পাকিস্তান পার্টি এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) সবাই পিএমএল-এন-এর প্রার্থীকে সমর্থনে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য বিজয়ীকে কমপক্ষে ১৬৯ ভোট পেতে হবে।

এরই মধ্যে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) আনুষ্ঠানিকভাবে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করেছে। প্রকাশিত সময়সূচি অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা আগামী ৯ মার্চ। স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত পাকিস্তানের পার্লামেন্ট হাউজ এবং ৪টি প্রাদেশিক অ্যাসেম্বলিতে এই ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগ্রহী প্রার্থীদের নির্বাচনের আগে আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু করে ২ মার্চের মধ্যে তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। যেগুলো ৪ মার্চ পর্যন্ত একটি সূক্ষ্ণভাবে যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাবে।

ইসলামাবাদের সংসদ ভবন এবং ৪টি প্রাদেশিক পরিষদ এই গণতান্ত্রিক অনুশীলনের মূল ক্ষেত্র হিসাবে কাজ করবে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মিত্ররা প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসাবে পশতুন-খোয়া মিলি আওয়ামী পার্টি (পিকেএমএপি) প্রধান মাহমুদ খান আচাকজাইয়ের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

অন্যদিকে পিপিপির ফরুক এইচ নায়েক এবং সেলিম মান্ডভিওয়ালা প্রেসিডেন্ট পদের জন্য জোট সরকারের মনোনীত প্রার্থী হিসাবে দলের কো-চেয়ারপারসন আসিফ জারদারির মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রিসাইডিং অফিসার হিসাবে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র গ্রহণ করবেন বিচারপতি আমির ফারুক।

এদিকে শনিবার যাচাই-বাছাই পর্বের মধ্য দিয়েই দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করেছে পিটিআই। লাহোরে পিটিআই নেতাকর্মীদের ধরপাকড়ও করেছে পুলিশ। নির্বাচনি কারচুপির বিরুদ্ধে সারা দেশে বেশ কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছে তারা।

নিউজ ট্যাগ: পাকিস্তান

আরও খবর



ইসরায়েলকে কড়া ভাষায় তিরস্কার করলেন কমলা হ্যারিস

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। এ ছাড়া গাজায় পর্যাপ্ত ত্রাণসহায়তা প্রবেশ করতে না দেওয়ায় ইসরায়েলকে কড়া ভাষায় তিরস্কার করেছেন তিনি। খবর আলজাজিরার।

রোববার (৩ মার্চ) কমলা হ্যারিস বলেছেন, গাজায় চরম দুর্ভোগের পরিপ্রেক্ষিতে অন্তত ছয় সপ্তাহের জন্য অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে হবে। এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়টি বর্তমানে আলোচনার টেবিলে রয়েছে। এই চুক্তি হলে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি মিলবে এবং গাজায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ত্রাণসহায়তা প্রবেশ করবে।

এ সময় ইসরায়েলকে কড়া ভাষায় তিরস্কার করে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, গাজায় আরও বেশি পরিমাণে ত্রাণসহায়তা প্রবেশের অনুমতি দিতে ইসরায়েলকে আরও কিছু করতে হবে। এসবের মধ্যে নতুন সীমান্ত ক্রসিং খোলা এবং অপ্রয়োজনীয় বিধিনিষেধ আরোপ না করার প্রতিশ্রুতির বিষয় রয়েছে।

তিনি বলেন, গাজার মানুষ না খেয়ে থাকছেন। সেখানকার পরিস্থিতি অমানবিক। আমাদের সাধারণ মানবতাবোধ তাদের জন্য কাজ করতে বাধ্য করছে। ত্রাণসহায়তার প্রবাহ উল্লেখযোগ্য হারে বাড়াতে ইসরায়েলি সরকারকে অবশ্যই আরও কিছু করতে হবে। এখানে কোনো অজুহাত চলবে না।

গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। গত নভেম্বরে সাত দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে ১৩০ জনের মতো বন্দি আছেন।

অন্যদিকে ইসরায়েলের হামলায় গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় কমপক্ষে ৩০ হাজার ৫৩৪ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৭১ হাজার ৯২০ জন আহত হয়েছে।


আরও খবর



কারও ফেসবুক হ্যাক হয়নি, আতঙ্কিত হবেন না : পুলিশ

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক হঠাৎ করে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের ব্যবহারকারীরা কেউ ফেসবুকে লগইন করতে পারছেন না। হঠাৎ ফেসবুকে ঢুকতে না পেরে অনেকে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তাদের আতঙ্কিত না হতে অনুরোধ করেছেন ডিএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিটের এসপি মো. নাজমুল ইসলাম।

ফেসবুকের বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর তিনি এ কথা জানান। মঙ্গলবার রাতে এ বিষয়ে একটি ভিডিও বার্তা দেন এসপি নাজমুল।

ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ফেসবুকের কার্যক্রম বর্তমানে কিছুটা বিঘ্নিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে এ বিষয়টি নিয়ে আমরা বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ এবং সিঙ্গাপুরের ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছে সমস্যার সমাধানে তারা কাজ করে যাচ্ছে। দ্রুতই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, এটা সম্পূর্ণ ফেসবুকের কারিগরি সমস্যা, কেউ আতঙ্কিত হবেন না। এতে ফেসবুক অ্যাকাউন্টধারী বা ফেসবুক অ্যাপের কোনো ত্রুটি নেই। পাসওয়ার্ড বা আর্থিক কোনো বিষয়েও সংশ্লিষ্টতা নেই। আপনার ফেসবুক হ্যাক হয়নি, তাই কেউ আতঙ্কিত  হবেন না। শিগগিরই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টার পর থেকে এ সমস্যার কথা জানাতে থাকেন ব্যবহারকারীরা। বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে কর্মীরা ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছেন, তারা ফেসবুক ব্যবহার করতে পারছেন না। ঢাকা পোস্টের কর্মীরাও ফেসবুক লগইন করতে পারছেন না বলে জানান।

এদিকে রাত ১০টার দিকে ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষক ডাউনডিটেক্টরে দেখা যায়, রাত ৯টা ৩২ পর্যন্ত ৫ লাখ ৪১ হাজার ৫৭৩ জন ব্যবহারকারী তাদের সমস্যার কথা জানিয়েছেন। তারা এও জানতে চাচ্ছেন কী হয়েছে সামজিক মাধ্যমটির? কেনই বা লগইন করা যাচ্ছে না? কখন ঠিক হবে?

ডাউনডিটেক্টরের মন্তব্যের ঘরে ব্যবহারকারীদের এমন অসংখ্য প্রশ্ন দেখা যায়। যদিও এ প্রসঙ্গে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি মেটা কর্তৃপক্ষ।

ডাউনডিটেক্টর ছাড়াও ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট, অ্যাপ এবং বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ফেসবুক বিভ্রাটের বিষয়টি রিপোর্ট করছেন ব্যবহারকারীরা। সেই সঙ্গে এ অভিযোগের সংখ্যা আজ রাত ১০টার পর থেকে আকস্মিকভাবে বৃদ্ধি পায়।


আরও খবর
গুগল ডুডলে মহান স্বাধীনতা দিবস

মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪




তিনটি নতুন সমঝোতা স্মারক সই, নবায়ন হলো একটি

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুকের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ-ভুটানের মধ্যে তিনটি নতুন সমঝোতা স্মারক সই এবং পুরোনো একটি চুক্তি নবায়ন করা হয়েছে।

সোমবার (২৫ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এই দুই নেতার মধ্যে বৈঠক শেষে তিনটি সমঝোতা স্মারক সই ও একটি চুক্তি নবায়ন করা হয়। পরে দুই দেশের পক্ষে বইয়ে সই করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

সমঝোতাগুলো হলো, ভুটানের রাজধানীতে থিম্পুতে একটি বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত, কুড়িগ্রামে ভুটানের বিনিয়োগে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা এবং ভোক্তা সুরক্ষায় প্রযুক্তিগত সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তি। এছাড়া, নবায়ন হয়েছে সাংস্কৃতিক সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তি।

চারদিনের বাংলাদেশ সফরের প্রথম দিনেই রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে বসেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক। দুপুর ১টার কিছু পরে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছান ভুটানের রাজা। এ সময়, টাইগারগেটে রাষ্ট্রীয় অতিথিকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পরে দুই শীর্ষ নেতা একান্ত বৈঠকে বসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভুটানের রানি জেতসুন পেমা। পরে, প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠক সেখানেই অনুষ্ঠিত হয়। সবশেষ, দুই নেতার উপস্থিতিতে বাংলাদেশ-ভুটানের মধ্যে তিনটি সমঝোতা সই এবং একটি চুক্তি নবায়ন করা হয়।


আরও খবর