আজঃ রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

হাইকোর্টে আগাম জামিন পেলেন মিথিলা ও ফারিয়া

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ ডিসেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ ডিসেম্বর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়াকে ৮ সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট এ আদেশ দেন।

আদালতে মিথিলার আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ ফারুক। আর ফারিয়ার আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জে আই খান পান্না ও জেসমিন সুলতানা।

এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তাহসান খান, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়। সাদ স্যাম রহমান নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক ধানমন্ডি থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ইভ্যালির এমডি মোহাম্মদ রাসেল, চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন, তাহসান খান, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়াসহ ৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, আসামিরা তার তিন লাখ ১৮ হাজার টাকা আত্মসাতে সাহায্য করেছেন। তার টাকা তিনি এখনও উদ্ধার করতে পারেননি। তাই তিনি বাধ্য হয়ে মামলা করেছেন। পরে ওই মামলায় আগাম জামিন চেয়ে গত ১২ ডিসেম্বর হাইকোর্টে জামিনের আবেদন জানান অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়া।


আরও খবর



আরব আমিরাতের বন্দরে ভিড়েছে এমভি আবদুল্লাহ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দর জেটিতে ভেড়ানো হয়েছে। সোমালি দস্যুদের কবল থেকে মুক্তির পর ২৩ নাবিককে রিসিভ করতে যাওয়া জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত এ তথ্য জানিয়েছেন।

গতকাল সোমবার (২২ এপ্রিল) রাতে জাহাজটি বন্দরের জেটিতে ভেড়ানো হয়। এরপর শুরু হবে কয়লা খালাস পর্ব। আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দিনের বেলা খালাস শুরু হবে। সোমালিয়ার উপকূল থেকে মুক্ত হওয়ার ৯ দিনের মাথায় তীরের দেখা পেলেন জাহাজটির ২৩ নাবিক।

জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম বলেন, বাংলাদেশ সময় সোমবার রাত পৌনে ১০টায় আল-হামরিয়া বন্দরের জেটিতে জাহাজটি ভেড়ানো হয়েছে। এরপর শুরু হবে কয়লা খালাসের পর্ব।

এদিকে এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি হামরিয়ায় ভেড়ানোর সময় বন্দর জেটিতে আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা ও শাহরিয়ার জাহান রাহাতের নেতৃত্বে কেএসআরএম গ্রুপের একটি দল উপস্থিত ছিল।

উল্লেখ্য, জিম্মিদশার পর ১৩ মার্চ দিবাগত রাতে ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ মুক্ত হয়। এর পরই জাহাজটি আল-হামরিয়া বন্দরের উদ্দেশে রওনা দেয়। ৯ দিনের মাথায় বন্দরে পৌঁছাল জাহাজটি।

জাহাজের ২৩ নাবিকের মধ্যে ২১ জন জাহাজে আর দুজন বিমানে চট্টগ্রামে ফিরবেন বলে জানান মালিকপক্ষের মুখপাত্র মো. মিজানুল ইসলাম।

প্রসঙ্গত, ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে যাওয়ার পথে জাহাজটি দস্যুদের কবলে পড়েছিল।


আরও খবর



বুয়েটে ছাত্ররাজনীতিতে বাধা নেই, প্রজ্ঞাপন স্থগিত করে হাইকোর্টের রুল জারি

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করে ২০১৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। ফলে ক্যাম্পাসটিতে ছাত্ররাজনীতিতে আর কোনো বাধা নেই। সোমবার (০১ এপ্রিল) দুপুরে বিচারপতি মোহাম্মদ খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কেএম জাহিদ সারোয়ারের বেঞ্চ এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে এই রুল জারি করেন।

২০১৯ সালে আবরার ফাহাদ নামে এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যা করে বুয়েট ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হয় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট)। এরপর গত কয়েক বছরে ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতির কার্যক্রম বন্ধ ছিল।

সোমবার সকালে ওই প্রজ্ঞাপন চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কর্মী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম রাব্বি। পরে দুপুরে সেটির শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।


আরও খবর



রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে বুয়েটে পরীক্ষা বর্জন

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ছাত্ররাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পরীক্ষা বর্জন করেছেন শিক্ষার্থীরা।

রোববার (৩১ মার্চ) ২০তম ব্যাচের টার্ম ফাইনাল পরীক্ষায় একজন ব্যতীত সব শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বুয়েটের ২০তম ব্যাচের এক হাজার ২১৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে এক হাজার ২১৪ জনই টার্ম ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ নেননি। এর মধ্য দিয়ে ক্যাম্পাসে পুনরায় ছাত্র রাজনীতি প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান কতোটা সুদৃঢ় তা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছে।

এর আগে, বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অসাংবিধানিক, মৌলিক অধিকার পরিপন্থী ও শিক্ষাবিরোধী সিদ্ধান্ত বলে আখ্যা দিয়ে রোববার বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে প্রতিবাদ সমাবেশ করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

সমাবেশে ছাত্রলীগ নেতারা বলেন, বুয়েটে নিষিদ্ধ হিযবুত তাহরীর, জেএমবি ও ছাত্র শিবিরের ক্যাডাররা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তারা নানানভাবে শিক্ষার্থীদের দাওয়াত দিচ্ছে, টাঙ্গুয়ার হাওরে শিবির দেশবিরোধী মিটিং করছে। তাই বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত একটি নাটক। এই নাটক বন্ধ করে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতি চালু করতে হবে।

সমাবেশে বুয়েটের ২১ ব্যাচের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম রাব্বির আবাসিক হলের বরাদ্দকৃত সিট বাতিল ঘোষণার প্রতিবাদ জানায় ছাত্রলীগ। সেই সঙ্গে রাব্বির সিট ফেরত দিতে বুয়েট প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে ছাত্র সংগঠনটি।

সমাবেশ শেষে সেখান থেকে মিছিল নিয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এরপর তারা বুয়েট ত্যাগ করেন।


আরও খবর



কুকি-চিনের সঙ্গে শান্তি আলোচনা স্থগিত ঘোষণা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় ব্যাংকে ডাকাতি, অস্ত্র লুট ও সোনালী ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনার মধ্য দিয়ে সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সঙ্গে সংলাপ করার সব ধরনের পথ বন্ধ করে দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান কমিটির আহ্বায়ক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা। 

সম্মেলনে তিনি দীর্ঘদিন ধরে কেএনএফ ও শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সঙ্গে আলোচনা এবং তাদের সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির বর্তমান অবস্থা তুলে ধরেন।

এ সময় সাংবাদিকদের সামনে তিনি লিখিত একটি বিবৃতি প্রদান করেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, গত ২ এপ্রিল রুমা উপজেলায় কেএনএফ কর্তৃক পবিত্র রমজান মাসে তারাবি নামাজীদের ওপর হামলা, সরকারি কর্মকর্তা ও পথচারীদের জিম্মি, অর্থ লুটের উদ্দেশ্যে সোনালী ব্যাংকে হামলা, ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর ১৪টি অস্ত্র লুট করে নেওয়া। ৩ এপ্রিল থানচি উপজেলায় স্থানীয়দের জিম্মি করে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ ও দুটি ব্যাংক লুট করার মতো হীন কার্যক্রমের বিরুদ্ধে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য গত বছরের ২৯ মে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর নেতাদের উপস্থিতিতে জেলার অরুণ সারকী টাউন হলে মতবিনিময় সভা আয়োজন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ৯ জুন স্থানীয় নেতাদের সমন্বয়ে ১৮ সদস্য বিশিষ্ট একটি শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি গঠিত হয়। পরবর্তী সময়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি ও কেএনএফের মধ্যে কয়েক দফা ভার্চুয়াল মিটিংয়ের পর উভয় পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে সরাসরি সংলাপে বসার একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়।

তিনি বলেন, গত বছরের ৫ নভেম্বর এবং চলতি বছরের ৫ মার্চ  দুদফা সরাসরি সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। উভয় সংলাপে কেএনএফ এর সশস্ত্র কার্যক্রম থেকে বিরত থাকা ও অন্যান্য বিষয় সংক্রান্ত দুটি সমঝোতা স্মারক সম্পাদিত হয়। কিন্তু তারা সম্পূর্ণভাবে চুক্তি ভঙ্গ করে বিভিন্ন সময়ে সশস্ত্র কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। কমিটির তরফ থেকে এ ব্যাপারে বারবার অবগতি করা হলেও তারা কর্ণপাত করেনি। বরং বিক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন সময়ে স্থানীয়বাসীদের ওপর হামলা, অপহরণ, চাঁদাবাজি চালিয়ে যায়। অতি সাম্প্রতিক ঘটনায় আমরা শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি তীব্রভাবে মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ। এ ঘটনায় শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির চলমান সব ধরনের প্রচেষ্টা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এমতাবস্থায় এ কমিটি মনে করে, এসব ঘটনার মধ্য দিয়ে কেএনএফ শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সঙ্গে সংলাপ করার সব ধরনের পথ বন্ধ করে দিয়েছে।

বিধায় আগামীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির পক্ষে সংলাপ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ সময় চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা বলেন, সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা জোরদারকরণ, রাষ্ট্রের সম্পত্তির সুরক্ষা প্রদান এবং অপহৃত সোনালী ব্যাংক ম্যানেজারকে নিঃশর্তভাবে সুস্থ ও নিরাপদে মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।

শান্তি আলোচনা চলাকালে কেএনএফ এর এ ধরনের অবস্থানে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির গৃহীত উদ্যোগ ও কার্যক্রম ব্যর্থ হয়েছে কিনা? এমন প্রশ্নের উত্তরে এ সময় সাংবাদিকদের বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি শান্তি আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার। এর মধ্যে সাধারণ বম জনগোষ্ঠীকে তাদের নিজ গ্রামে ফিরতে প্রশাসনিকভাবে সকল সুবিধা দেওয়া হয়েছে। তাদের খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারপরেও এ ধরনের ঘটনায় আমরা বিস্মিত।

পুনরায় কি এই শান্তি আলোচনা চালিয়ে যাবে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ঘটনার পর কেএনএফ এর লিয়াজোঁ কমিটির সব সদস্যের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। আমরা যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলাম, সম্ভব হয়নি।

প্রসঙ্গত, পাহাড়ে কেএনএফের অপতৎপরতা বন্ধের লক্ষ্যে ২০২৩ সালের ১৮ জুন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের উদ্যোগে গঠিত হয় শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৫ নভেম্বর বান্দরবানের রুমায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির প্রথম মুখোমুখি বৈঠকের অনুষ্ঠিত হয় এবং চলতি বছরের ৫ মার্চ দ্বিতীয়বারের মতো শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সঙ্গে সমঝোতা বৈঠকে বসে পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) উচ্চ পর্যায়ের নেতারা।

তবে শান্তি আলোচনা, সমঝোতা হওয়ার পরেও পাহাড়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে নিজেদের বিরত না রেখে একের পর এক হামলা, চাঁদাবাজি, গুম, খুনের মতো ঘটনা ঘটিয়েছে পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)।


আরও খবর



বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা চাইলেন ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমি তাকে বলবো, এসব মিথ্যাচার থেকে বিরত থাকুন। ৮০ ভাগ নেতাকর্মী কারা? আমির খসরু, মির্জা ফখরুল একে একে জেল থেকে বের হয়ে গেছেন। তাহলে নিগৃহীত কে হচ্ছে? তাদের তালিকা প্রকাশ্যে দিতে হবে।

বিএনপির ৮০ ভাগ নেতাকর্মী নিগৃহীত হয়েছে বলে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করলে তার প্রতিউত্তরে এসব কথা বলেন তিনি।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির ঈদ উপহার ও ইফতার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

বিএনপি নেতারা অনেক মিথ্যাচার করেছেন মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনাদের নেগেটিভ রাজনীতি এদেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। এই রাজনীতি অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাবে। কেউই গ্রহণ করবে না। বিএনপি নামে একটি দল সংকুচিত হয়ে যাবে।

বিএনপি ইফতার পার্টি করে, আর আওয়ামী লীগ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের নেত্রীর নির্দেশ ইফতার পার্টি নিজেরা না করে গরিব সাধারণ মানুষের মাঝে, যারা এ সংকটের মুহূর্তে কষ্টে আছে তাদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করাএটাই আমাদের সারা বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন কাজ।

মন্ত্রী বলেন, বিএনপি ইফতার পার্টি করে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। এখন তারা বলে দিল্লির শাসন মেনে নেওয়ার জন্য পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেনি। আসলে বিএনপি পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেনি। বিএনপির চেতনায় পাকিস্তান।

আওয়ামী লীগ কোনও বিদেশি রাষ্ট্রের দাসত্ব করে না মন্তব্য করে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের হৃদয়ে বাংলাদেশ। আমাদের চেতনায় বাংলাদেশ। সেটাই আমরা মনে প্রাণে ধারণ করি। আজ বিএনপির চারদিকে অন্ধকার। শেখ হাসিনার উন্নয়ন, মানবতা, অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি বিএনপির রাজনীতিকে অন্ধ করে রেখে দিয়েছে। এখান থেকে বের হতে পারছে না। আজ তারা দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে একটা স্বাধীন দেশ সে কথাও তারা ভুলে গেছে। নির্বাচনের আগে কীভাবে বিদেশি শক্তির তাঁবেদারি করেছে। নির্বাচন বানচালের চক্রান্ত করেছিল। নির্বাচন যখন হয়ে গেছে, সরকার ক্ষমতা দখল করেছে। শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্ব দেশ সংকট উত্তরণ করে ভালোর দিকে যাচ্ছে, সুসময় আসতে সময় লাগে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সারা বিশ্বে সংকট, তার প্রতিক্রিয়া আমাদের দেশেও আছে। তারপরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্ব আছে বলেই বাংলাদেশের মানুষ ভালো আছে। তুলনামূলক অনেক দেশের মানুষের যে কষ্ট সে তুলনায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অনেক ভালো আমরা আছি।

আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ।


আরও খবর
বিএনপির ৭৫ নেতাকে বহিষ্কার

শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪