আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

হাবিপ্রবিতে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপন

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ০৭ মার্চ ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ( হাবিপ্রবি) যথাযোগ্য মর্যাদার মধ্যে দিয়ে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ-২০২২ উদযাপিত হয়েছে। ঐতিহাসিক এই দিবসের কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার ( ৭ মার্চ ) সূর্যোদয়ের সাথে সাথে প্রশাসনিক ভবনের সম্মুখে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরবর্তিতে সকাল ৯.৪৫ মিনিটে প্রশাসনিক ভবনের সম্মুখে স্থাপিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে হাবিপ্রবির উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র হালদার, রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মোঃ সাইফুর রহমান, প্রক্টর প্রফেসর ড. মো. মামুনুর রশীদ, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ড. ইমরান পারভেজ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। ক্রমান্বয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিভিন্ন অনুষদের সম্মানীত ডীনবৃন্দসহ অন্যান্য শিক্ষক, কর্মকর্তা, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (হাবিপ্রবি শাখা) এর নেতৃবৃন্দ, কর্মচারীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।

দিবসের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অপারশক্তির উৎস, সমগ্র বিশ্বের সম্পদ শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতা, ৭ই মার্চের ভাষণ প্রচার, শিশুদের জন্য চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, পুরস্কার প্রদান এবং সন্ধ্যায় টিএসসি এর সম্মুখস্থ মুক্তস্থানে জাতির পিতার আন্দোলন সংগ্রাম নিয়ে নির্মিত ডকুমেন্টারি এবং চলচ্চিত্র প্রদর্শনী। 

উল্লেখ্য, ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অনন্য দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন। লাখো মুক্তিকামী মানুষের উপস্থিতিতে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বজ্রকন্ঠে ঘোষণা করেন, রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরও দেব, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, জয় বাংলা। বঙ্গবন্ধুর এই বলিষ্ঠ ঘোষণায় বাঙালি জাতি পেয়ে যায় স্বাধীনতার দিকনির্দেশনা। এরপরই দেশের মুক্তিকামী মানুষ ঘরে ঘরে চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। 


আরও খবর



চাকরির বয়সসীমা উন্মুক্ত রাখার দাবি রব্বানীর

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের সকল সরকারি-বেসরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা উন্মুক্ত রাখার দাবি জানিয়েছেন ডাকসু ও ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী।

শনিবার (১১ মে) চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে শিক্ষার্থীদের সমাবেশে তিনি এ দাবি করেন।

গোলাম রাব্বানী বলেন, আজ বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নত বিশ্বে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। আমরা দক্ষ জনশক্তিতে যাদের রোল মডেল মনে করি সেই চীনসহ আমাদের সার্কভুক্ত দেশ পাকিস্তানছাড়া সকল দেশেই চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ থেকে ৪৫ এর মধ্যে৷ ইন্ডিয়ান লিগ্যাল সিস্টেম, ইন্ডিয়ান এডমিনিস্ট্রেশন সিস্টেম আমরা সবসময় অনুসরণ করি। তাহলে চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে কেন ভারতের মতো আমাদের দেশেও ৩৫ হবে না?

তিনি বলেন, সরকারের বাধা কোথায়, কষ্ট কোথায়, ক্ষতি কোথায় সেটা আমার মাথায় আসেনা। অনেকে মনে করে চাকরিতে দেরি করে প্রবেশ করলে আবার নতুন করে অবসরে যাবার বয়সও বাড়াতে হবে। কিন্তু আমরা স্পষ্ট করতে চাই, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো হলেও চাকরি থেকে অবসরের বয়সসীমা বাড়ানোর প্রয়োজন নেই। অন্তত আমাদের আশার প্রদীপটা জ্বালিয়ে রাখতে দেন। মানুষের মাঝে যতক্ষণ শ্বাস আছে ততক্ষণ আশা আছে। আমরা আশায় বাঁচতে চাই৷ আমরা কোনো অন্যায্য সুবিধা বা অন্যায্য দাবি জানাচ্ছি না।

রাব্বানী বলেন, আমি শিক্ষামন্ত্রী ও জনপ্রশাসন মন্ত্রীর নিকট অনুরোধ জানাবো আপনারা ছাত্রদের এই দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নিকট যান। তাকে বোঝান, ছাত্রসমাজ চায় চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করা হোক। কথায় কথায় আমরা যে সিঙ্গাপুর মালয়েশিয়ার উদাহরণ দেই তাদের দেশে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৪৫ বছর। সবচেয়ে ভালো হয় চাকরিতে বয়সের প্রবেশসীমা উন্মুক্ত রাখলে৷ তা না হলে অন্তত ৩৫ বছর করা হোক।

এর আগে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, বাংলাদেশের সকল পর্যায়ে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা আজ থেকে ৩৩ বছর আগে ১৯৯১ সালে ২৭ বছর থেকে ৩০ বছরে উন্নীত করা হয়, যখন বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ছিলো ৫৭ বছর। বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়ে ৭৩ বছর। তাই চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা যৌক্তিক।


আরও খবর



সবসময় আস্থা রাখায় ধোনিকে ধন্যবাদ জানালেন মোস্তাফিজ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) চেন্নাই সুপার কিংসের জার্সিতে মাঠ মাতিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। যেখানে তার সতীর্থ ছিলেন ভারতীয় কিংবদন্তি মহেন্দ্র সিং ধোনি। যদিও জিম্বাবুয়ে সিরিজের কারণেই মাঝপথে আইপিএলকে বিদায় জানাতে হয়েছে এ টাইগার পেসারকে।

বিদায় বেলায় মুস্তাফিজকে নিজের অটোগ্রাফ সম্বলিত একটি জার্সি উপহার দেন ধোনি। যেখানে লেখা ছিল, ফিজের প্রতি ভালোবাসা। সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে ধোনিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কাটার মাস্টার।

নিজের অফিশিয়াল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাঁহাতি এই পেসার লিখেছেন, সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ মাহি (ধোনি) ভাই। আপনার মতো কিংবদন্তির সঙ্গে একই ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করে নেয়াটা ছিল বিশেষ এক অনুভূতি। সবসময় আমার প্রতি আস্থা রাখার জন্য ধন্যবাদ। আপনার মূল্যবান পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ, আমি সেগুলো মনে রাখব। আপনার সঙ্গে শিগগিরই আবারও খেলতে এবং দেখা করতে মুখিয়ে আছি।

বিসিবির দেওয়া অনাপত্তিপত্র অনুযায়ী, গত ১ মে পর্যন্ত চেন্নাইয়ের হয়ে খেলেছেন মুস্তাফিজ। এই আসরে ৯ ম্যাচ খেলে ১৪ উইকেট নিয়ে এখন পর্যন্ত দলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তিনি।

মুস্তাফিজের বিদায় নিয়ে আগেই মন খারাপের কথা জানিয়েছেন চেন্নাইয়ের হেড কোচ স্টিফেন ফ্লেমিং ও ব্যাটিং কোচ মাইক হাসি।


আরও খবর



সেলিম প্রধানের প্রার্থিতা বাতিলের আদেশ বহাল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

আদালতের সময় নষ্ট করায় নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত এবং অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত সেলিম প্রধানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তার প্রার্থিতা বাতিলের আদেশ বহাল রেখেছেন সর্বোচ্চ আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৮ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

সেলিম প্রধান নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। তিনি ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত এবং অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত। অনলাইন ক্যাসিনোর মূল হোতা সাজাপ্রাপ্ত সেলিম প্রধান এবার উপজেলা নির্বাচনে গণসংযোগ করেছেন এবং একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১ লক্ষ টাকা অনুদান প্রদান করে বিতর্কের সৃষ্টি করেছেন। 

জানা গেছে, সেলিম প্রধান দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় চার বছর সাজা খেটেছেন। তার বিরুদ্ধে আরও তিনটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। তিনি গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন। দুদক বলছে, অনুসন্ধানের সময় রাজধানীর ধানমন্ডি, গুলশান, উত্তরা ও বনানীসহ একাধিক জায়গায় তার বাড়ি ও ফ্ল্যাট আছে, যার বাজারমূল্য শতাধিক কোটি টাকা, যা তার আয়কর নথিতে প্রদর্শন করা হয়নি।

২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর থাইল্যান্ডগামী বিমানের একটি ফ্লাইট থেকে নামিয়ে এনে সেলিম প্রধানকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। তাকে নিয়ে তার অফিস ও বাসায় অভিযান চালিয়ে ২৯ লাখ ৫ হাজার ৫০০ টাকা, ৭৭ লাখ ৬৩ হাজার টাকার সমপরিমাণ ২৩টি দেশের মুদ্রা, ১২টি পাসপোর্ট, ১৩টি ব্যাংকের ৩২টি চেক, ৪৮ বোতল বিদেশি মদ, একটি বড় সার্ভার, চারটি ল্যাপটপ ও দুটি হরিণের চামড়া উদ্ধার করা হয়। হরিণের চামড়া উদ্ধারের ঘটনায় বন্য প্রাণী সংরক্ষণ নিরাপত্তা আইনে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও মানি লন্ডারিং আইনে দুটি মামলা হয়।


আরও খবর



ভারতে পাচার হচ্ছে রাজধানীর নিম্নবিত্ত মানুষের কিডনি (ভিডিও)

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

কিডনি কেনা-বেচার সঙ্গে জড়িত আন্তঃদেশীয় দালালচক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ধানমন্ডি থানা পুলিশ। শনিবার (১১ মে) রাজধানী ধানমন্ডি ২/এ রোডের ইবনে সিনা ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

রবিবার (১২ মে) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির ক্রাইম এবং অপারেশন বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মহিদ উদ্দিন এ তথ্য জানান।

গ্রেপ্তাররা হলেন- রাজু হাওলাদার (৩২), শাহেদ উদ্দীন (২২) ও আতাউর হোসেন বাপ্পী (২৮)।

রবিন খান নামে এক ভুক্তভোগীর দেওয়া এজাহার থেকে জানা যায়, ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে মিরপুর-১০ নম্বরের শাহ আলী মার্কেটের পেছনে বসে এক বন্ধুর সঙ্গে চা খেতে খেতে সাংসারিক অভাব-অনটন নিয়ে কথা বলছিলেন তিনি। তাদের পাশে বসে থাকা মাছুম এসব কথা শুনে জানান, তিনি সাহায্য করতে পারবেন। ভারতে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১৫ দিন রবিনের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ রেখে তাকে ভারত যেতে রাজি করান সে।

পরবর্তীতে রবিনকে ধানমণ্ডির ল্যাবএইডে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান মাছুম। সেখানে মামলার গ্রেপ্তার হওয়া অন্য আসামি রাজু, শাহেদ ও আতাউরের সঙ্গে যোগাযোগ হয়। পাসপোর্ট-ভিসা কার্যক্রম শেষে গত বছর ২২ ডিসেম্বর রবিন ইন্ডিগো এয়ারলাইনের একটি বিমানে ভারতের দিল্লি পৌঁছান। সেখনে একই চক্রের দুই সদস্য শাহীন ও মোস্তফা রবিনকে দিল্লির ফরিদাবাদে নিয়ে যান। সেখানে একটি বাসায় ২০-২৫ দিন আটকে রেখে কিডনি বিক্রির জন্য রবিনের ওপর নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করেন তারা।

রবিনকে তারা বোঝান, মানুষ একটি লিভার, একটি হার্ট দিয়ে বাঁচতে পারলে একইভাবে একটি কিডনি দিয়েও বাঁচতে পারে। একদিকে মানসিক চাপ, অন্যদিকে টাকা-পয়সার প্রলোভন দেখিয়ে অবশেষে এক রকমের বাধ্য করে ভারতের গুজরাটের মুক্তিনগরের একটি হাসপাতালে অপারেশনের মাধ্যমে স্থানীয় ডাক্তারের সাহায্যে রবিনের কিডনি বিক্রি করে দেয় চক্রটি।

এর চারদিন পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে রবিন জানতে পারে তার কিডনি ৫০ লাখ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছে চক্রটি। প্রায় অর্ধকোটি টাকায় কিডনি বিক্রি করলেও রবিনকে দেয়া হয় মাত্র ৩ লাখ টাকা। পরে দেশে ফিরে রবিন জানতে পারে, একই চক্রটি তার পরিচিত একজনকে এভাবে ফুসলিয়ে ভারত নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। নিজের যে ক্ষতি হয়েছে, তা যেন অন্য কারও না হয় সেজন্য রবিন ধানমন্ডি থানায় চক্রটির বিরুদ্ধে মামলা করে।

বর্তমানে কিডনি হারিয়ে কর্মক্ষমতাহীন অবস্থায় জীবন কাটাচ্ছেন রবিন। কিডনি অপারেশনের ফলে তার পেটে ৫ ইঞ্চি পরিমাণ একটি কাটা দাগ আছে। একটি কিডনি হারিয়ে বর্তমানে নানা ধরনের শারীরিক জটিলতায় দিন কাটছে তার।

কালোবাজারে কিডনির দাম প্রসঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মহিদ উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে- যখন যেমন দাম পায় তার ওপরেই ভিত্তি করে বেচাকেনা হয়। তবে বর্তমানে এক একটি কিডনির সর্বনিম্ন মূল্য ২৫ লাখ টাকা। অনেক ক্ষেত্রে প্রাপ্যতার ওপর ভিত্তি করে এ দাম ৫০ লাখ থেকে এক কোটি টাকা পর্যন্ত উঠানামা করে।

কারা কিডনি পাচারের শিকার হোন এমন প্রশ্নে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, সমাজের নিম্নবিত্ত মানুষ এ চক্রটির প্রধান টার্গেট। এদের লাখখানেক টাকা দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এ চক্রটি। এটি একটি আন্তঃদেশীয় দালালচক্র। ভারতের কলকাতা ও গুজরাটে এদের সংঘবদ্ধ সদস্যরা আছে।

কিডনি বিক্রির এ চক্রটির সঙ্গে হাসপাতালের কর্মকর্তা ও ডাক্তার জড়িত কি-না এ নিয়ে এখন পর্যন্ত তদন্ত চলছে। ধারণা করা হচ্ছে, এ চক্রের বিস্তার বহুদূর বলে জানায় পুলিশ।

ডিএমপির পক্ষ থেকে জানা যায়, পাচার হওয়া কিডনি ভারতীয় আইন অনুযায়ী ভারতের কোনো নাগরিককে দেওয়া হয় না। এসব কিডনি বাংলাদেশ থেকে যারা ভারতে চিকিৎসা নিতে যান, তাদের শরীরেই প্রতিস্থাপিত হয়।


আরও খবর



অবশেষে চট্টগ্রামে নামল বৃষ্টি, মানুষের স্বস্তির নিশ্বাস

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

দীর্ঘ দাবদাহে পুড়তে থাকা চট্টগ্রাম নগরবাসী অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টির দেখা পেয়েছেন। বুধবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে নগরীর বিভিন্ন জায়গায়।

রাত থেকে শুরু হয় বাতাস, বিদ্যুৎ চমকানো আর বজ্রপাত। বৃহস্পতিবার ভোরের আলো ফুটতে ফুটতে বাড়ে বৃষ্টির পরিমাণ। বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত বৃষ্টি হতে দেখা গেছে। বৃষ্টির পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কেউ কেউ সৃষ্টিকর্তার নিকট কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। 

আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আবহাওয়াবিদ আবদুল বারেক বলেন, চট্টগ্রামে বুধবার মধ্যরাত থেকে থেমে থেমে হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এর মধ্যে কক্সবাজার অঞ্চলে বৃষ্টি হয়েছে। কক্সবাজারে ২ মিলিমিটার, টেকনাফে ৩ মিলিমিটার এবং কুতুবদিয়ায় ১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর