ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের জেরে এখনো উত্তেজনা
চরম আকার ধারণ করে আছে। এর ফলে রাশিয়ার ওপর অগণিত নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র
ও এর মিত্ররা। যার বিরুদ্ধে এবার জার্মানিতে নিজেদের মূল গ্যাস পাইপলাইন বন্ধ করে দেওয়া
হতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে মস্কো। তেল নিষেধাজ্ঞা নিয়ে পশ্চিমারা সামনে আগালে এই
পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে তারা। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।
রাশিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী আলেক্সান্ডার
নোভাক বলেছেন, ‘রাশিয়ার তেল প্রত্যাখ্যান বৈশ্বিক বাজারের জন্য মারাত্মক
পরিণতি বয়ে আনতে পারে।’ এতে তেলের মূল্য দ্বিগুণ বেড়ে প্রতি ব্যারেল
তিনশ’ ডলারে পারে হুঁশিয়ারি
উচ্চারণ করেন তিনি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন
নিয়ে রাশিয়ার তেলের ওপর সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা আরোপে মিত্রদের নিয়ে উপায় খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র।
তবে সোমবার (৭ মার্চ) এই পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছে জার্মানি ও নেদারল্যান্ডস।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) প্রায় ৪০ শতাংশ গ্যাস এবং ৩০ শতাংশ তেল পায় রাশিয়া থেকে। আর এই
সরবরাহ বিঘ্নিত হলে এর সহজ কোনও বিকল্পও নেই।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে
উপপ্রধানমন্ত্রী আলেক্সান্ডার নোভাক বলেন, ইউরোপীয়ান বাজারে রাশিয়ার তেলের বিকল্প দ্রুত
খুঁজে পাওয়া অসম্ভব হবে। তিনি বলেন, ‘এতে কয়েক বছর
লেগে যাবে এবং ইউরোপীয়ান ভোক্তাদের জন্য এটা আরও অনেক বেশি ব্যয়বহুল হবে। চূড়ান্তভাবে
এর জেরে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হবে তারাই’।