কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় হরিণহাটি এলাকার এপেক্স হোল্ডিং কারখানার গেট সংলগ্ন চন্দ্রাপল্লীবিদ্যুৎ-মাটিকাটা রেলগেইট আঞ্চলিক সড়কের বেশ কয়েকটি স্থানে গ্যাসের মেনলাইনে লিকেজ দেখা দিয়েছে। লিকেজ হওয়া গ্যাস পাইপে অনবরত ব্যাপক আকারে গ্যাস বের হচ্ছে, মাঝে মধ্যে অনাকাঙ্খিত অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে।
স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালে একটি বেসরকারি ব্যাংক বুথের সামনে লিকেজ হওয়া লাইনে হঠাৎ আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ বিষয়ে ওই এলাকার শিল্প কারখানাসহ শতাধিক পরিবারে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
গত দশদিন যাবত এই সমস্যা সৃষ্টি হলেও গ্যাস কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত বিষয়টির সমাধান করেননি বলে জানা গেছে। আশেপাশের বসবাসকারী জনসাধারণের রাতের ঘুম নেই বলেও জানা গেছে। অগ্নিকাণ্ডের ভয়ে এক একজন পালাক্রমে পাহারাও দিচ্ছে এলাকায়।
আরো জানা গেছে, লিকেজ লাইন মেরামত করতে তিতাস গ্যাসের কয়েকজন কর্মী আসলেও সমাধান মেলেনি এখনও। মেরামত করতে গিয়ে রাস্তার বিভিন্ন স্থানে গর্ত করে রেখেছে। এতে রাস্তায় যাতায়াতের সমস্যা হচ্ছে। বাসার পানি নিষ্কাশনের লাইন ও গ্যাস লাইন এক হয়ে বাসার পানি আটকে আছে, বিপাকে পড়েছে ভুক্তভোগীরা। তাই এলাকাবাসী নিজ উদ্যোগে গ্যাস বের হওয়া বন্ধ করতে ও বাসার পানি এবং বর্জ্য নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে চেষ্টা করছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী নাসিমা বেগম বলেন, মাঝে মাঝে এখানে আগুন ধরে, আমরা সারারাইত ঘুম পাড়তে পারি না। সারাদিন এখানে বইসা থাকতে হয়। আজ ১০ দিন যাবত এই সমস্যা হইতাছে। নতুন ভাবে যদি এই লাইন কইরা দেওয়া অয় তাইলে ভালো হইব।
জব্বার নামের এক ভাড়াটিয়া বলেন, আমরা এখানে ভাড়া থাকি। আমাদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। গ্যাস কর্তৃপক্ষ আসতেছে না বলে আমরা এটা যতটুকু পারি বন্ধ রাখার চেষ্টা করতেছি।
শফিকুল নামের এক বাসার ম্যানেজার বলেন, আগে থেকেই এই লাইনে কিছুটা লিকেজ ছিল। গ্যাসের লোকজন আসছিল তারা এই লাইনে গর্ত করে গেছে কিন্তু মেরামতের জন্য এখন পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয় নাই। আগে গ্যাসের প্রেসার কম ছিল বলে এত সমস্যা হয় নাই। এখন কোম্পানিগুলো বন্ধ তাই গ্যাসের প্রেসার বেড়ে গ্যাস স্পিডে বের হচ্ছে। এটা বন্ধ না হলে হঠাৎ করে বাসা-বাড়িতে আগুন লেগে জ্বলে যাইতে পারে। আমরা সবাই খুব রিস্ক এর ভিতরে আছি। তাই আমরা এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত সমাধান চাচ্ছি।
স্থানীয় সুধীজনরা বলছেন, গ্যাস একটি রাষ্ট্রীয় সম্পদ এই সম্পদ রক্ষা করতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অগ্রণী ভূমিকা রাখা প্রয়োজন।
তিতাস গ্যাসের চন্দ্রা জোনের ডিজিএম প্রকৌ. মো. শাহজাদা ফরাজী জানান, ঈদের আগেও লিকেজ স্থানগুলোতে কাজ করা হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই নতুন পাইপ লাগিয়ে এই বিষয়টি দ্রুত সমাধান করব।