আজঃ বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

গুয়াতেমালায় ভূমিধসে নিহত ৬, নিখোঁজ ১২

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারী বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট ভূমিধসে গুয়াতেমালায় কমপক্ষে ছয়জন নিহত হয়েছে। এছাড়া এখনো নিখোঁজ রয়েছে আরও ১২ জন। রাজধানীর একটি নদীর পানিতে বেশ কিছু বাড়ি-ঘর ভেসে গেছে। গুয়াতেমালার ন্যাশনাল কোঅর্ডিনেশন ফর ডিজেস্টার রিডাকশন এজেন্সি (কনরেড) জানিয়েছে, গতকাল সোমবার শুরুর দিকে নারাঞ্জো নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় একটি সেতুর নিচে থাকা অন্তত ছয়টি বাড়ি ভেসে গেছে।

অনুসন্ধান কুকুর এবং উদ্ধারকারী দলগুলো বন্যার পানিতে মারা যাওয়া ছয়জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। এদের মধ্যে এক শিশুও রয়েছে যার বয়স পাঁচ বছর বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার শরীরের অর্ধেক কাঁদামাটিতে আটকা পড়ে ছিল। তবে এখনো পর্যন্ত ১২ জনের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে এদের মধ্যে আটজনই শিশু।

ইসাউ গোঞ্জালেজ (৪২) নামের এক বাসিন্দা বলেন, নদীর পানিতে বাড়ি-ঘর ভেসে গেছে। জিনিসপত্র ভেসে গেছে এবং মানুষজন নিখোঁজ হয়েছে। বৃষ্টির মৌসুমে গুয়াতেমালায় ভূমিধসের ঝুঁকি বেড়ে যায়। বিশেষ করে মে মাস থেকে নভেম্বরে এই ঝুঁকি বেশি থাকে। 

আরও পড়ুন>> এবার বিশ্বের ২৮ প্রতিষ্ঠানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

লোকজন বলছেন, তারা জানেন যেখানে তারা বসবাস করছেন তা নিরাপদ নয়। কিন্তু তাদের কিছুই করার নেই। দেশটিতে দারিদ্র্যের হার ৫৯ শতাংশ। সে কারণে বেশিরভাগ মানুষই ঝুঁকিপূর্ণ বাড়ি-ঘরে বাস করেন।

মারভিন কাবরেরা (৩৬) নামের এক বাসিন্দা ফুড ডেলিভারির কাজ করেন। তিনি বলেন, আমরা এখানে বসবাসের ঝুঁকি সম্পর্কে জানি। কিন্তু প্রয়োজনের কারণেই আমাদের এখানে থাকতে হচ্ছে। তিনি যেখানে থাকেন সেখানে ক্রমেই বন্যার পানি বাড়ছে।

২৭ বছর বয়সী আইরিস লোপেজ (২৭) বলেন, সোমবারের এই বিপর্যয়ের পর তিনি আশা করছেন যে, সরকার তাদেরকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেবে।

চলতি বছর এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২৯ জন ভূমিধসে প্রাণ হারিয়েছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও প্রায় ২১ লাখ মানুষ। এখন পর্যন্ত ১০ হাজারের মতো বাড়ি-ঘর বৃষ্টির পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া চারটি রাস্তা এবং নয়টি ব্রিজও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।


আরও খবর



ভারতকে স্তব্ধ করে অস্ট্রেলিয়ার ষষ্ঠ শিরোপা

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

ভারতের মাটিতে ২০২৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের শিরোপা উঁচিয়ে ধরলো অজিরা। ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৬ষ্ঠ বিশ্বকাপ জিতলো অজিরা।

আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম রোববার পরিণত হয়েছিল নীলের মহাসমুদ্রে। নিজ দেশে এক যুগ পর বিশ্বকাপ উঁচিয়ে ধরবেন রোহিত শর্মারা, এমন স্বপ্নেই বিভোর ছিলেন লক্ষাধিক ভারতীয় সমর্থক। সেই কক্ষপথেই ছিলোও দলটি। কিন্তু পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ালেন ট্রাভিস হেড এবং মার্নাস ল্যাবুশেন। দুজনেই ধীরে ধীরে ভারতের কাছ থেকে ম্যাচটাকে নিয়ে গেলেন অনেকটা দূরে। শেষ পর্যন্ত তারাই হয়ে গেলেন ব্যবধান। অস্ট্রেলিয়া ফাইনাল জিতল ৬ উইকেটের ব্যবধানে।       

ফাইনালে প্রত্যাশিত ব্যাটিং হয়নি ভারতের। পুরো বিশ্বকাপে এদিনই প্রথম চ্যালেঞ্জের মুখে ছিল ভারতের মিডলঅর্ডার। সেবারেই চ্যালেঞ্জ নিতে ব্যর্থ হলেন টিম ইন্ডিয়ার ব্যাটাররা। পুরো ম্যাচে টানা বাউন্ডারি খরায় ভুগেছেন ভারতীয় ব্যাটাররা। দুই দফা মিলিয়ে টানা ৩৫ ওভার বাউন্ডারির দেখা পাননি ভারতের মিডল অর্ডার। স্বাভাবিকভাবেই রানটা মনমতো হয়নি তাদের।

কিন্তু ২৪১ রানের লক্ষ্যে বোলিং যেমন হওয়া দরকার ছিল, ঠিক তেমনই বল করেছে ভারতের বোলাররা। জাসপ্রিত বুমরাহ আর মোহাম্মদ শামিকে শুরুতে সামাল দিতেই পারেনি অজি ব্যাটিং লাইনআপ। ডেভিড ওয়ার্নার, মিচেল মার্শ আর স্টিভেন স্মিথ তিনজনেই পরাস্ত হয়েছেন দূর্বল ফুটওয়ার্ক আর নিজেদের ভুলে। কিন্তু ম্যাচে ভারতের সুখ টিকেছে ওই পর্যন্তই। ট্রাভিস হেড এরপর ভারতের মাথার ব্যাথা বাড়িয়েছেন আর মার্নাস ল্যাবুশেন ছিলেন চীনের প্রাচীর হয়ে। চতুর্থ উইকেট জুটিতে যেন ম্যাচটাকেই ছিনিয়ে নিলেন তারা।

অথচ শুরতেই ওয়ার্নারকে ফিরিয়ে দারুণ সূচনা এনে দিয়েছিলেন শামি। দ্বিতীয় ওভারেই বিরাট কোহলিকে স্লিপে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেছেন ফর্মের তুঙ্গে থাকা এই পেসার। দলীয় ১৬ রানেই প্রথম উইকেটের পতন। ভরসা ছিল মিচেল মার্শের উপর। দূর্বল ফুটওয়ার্কের মাশুল দিয়েছেন তিনিও। বুমরাহর বলে উইকেটের পেছনে কেএল রাহুলের হাতে আটকা পড়েছিলেন এই অলরাউন্ডার।

স্টিভেন স্মিথ আউট হয়েছেন নিজের আর আম্পায়ারের মিলিত ভুলে। বলের ইম্প্যাক্ট ছিল স্ট্যাম্পের বাইরে। কিন্তু আম্পায়ার আঙুল তুলেছেন। খানিক দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগা স্মিথও আর রিভিউ নেননি। হাঁটা দিয়েছেন প্যাভিলিয়নের দিকে। এটাই যেন পুরো ম্যাচে ভারতের শেষ উৎসব। এরপর ক্রিজে থাকা হেড আর ল্যাবুশেন কেবল যন্ত্রণাই বাড়িয়েছেন ম্যান ইন গ্রিনদের। তাদের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে গ্যালারীতে নেমেছে শ্মশানের নীরবতা।

পুরো ম্যাচে আর একবারই সুযোগ পেয়েছিল ভারত। বুমরাহর বলে এলবিডব্লিউর আবেদন ফিরিয়ে দেন আম্পায়ার। পরে রিভিউতে দেখা গেল আম্পায়ার্স কল। হতাশায় মুখ ঢাকতে বাধ্য হলেন পুরো দল।

লম্বা এই জুটির পথে সেঞ্চুরি পেয়েছেন ট্রাভিস হেড। ৯৫ বলে স্পর্শ করেছেন তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার। আর ৯৯ বলে ধৈর্য্যশীল এক ইনিংস খেলে অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন ল্যাবুশেন। ম্যাচটা অবশ্য শেষ করা হয়নি ট্রাভিস হেডের। দলের জয় থেকে মাত্র ২ রান দূরে থাকতে মোহাম্মদ সিরাজের বলে আউট হয়েছেন তিনি। তবে এর আগেই খেলে ফেলেছেন ১৩৭ রানের ম্যাচজয়ী এক ইনিংস। আর তাতেই ২০১৯ সালে হারিয়ে ফেলা বিশ্বকাপটা আজ আবারও ফিরছে অস্ট্রেলিয়াতে।


আরও খবর



চট্টগ্রাম নেভাল একাডেমিতে শীতকালীন রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করলেন নৌবাহিনী প্রধান

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চট্টগ্রাম নেভাল একাডেমিতে মিডশিপম্যান ২০২১এ ব্যাচ এবং ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসার ২০২৩ বি ব্যাচের শীতকালীন রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ আজ রবিবার (২৬ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হয়েছে। কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ২০২১ এ ব্যাচের ৫৩ জন মিডশিপম্যান এবং ২০২৩ বি ব্যাচের ১০ জন ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসারসহ মোট ৬৩ জন নবীন কর্মকর্তা কমিশন লাভ করেন। উল্লেখ্য, এদের মধ্যে ৮ জন মহিলা মিডশিপম্যান এবং ২ জন মহিলা ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসার রয়েছেন।

কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে নৌবাহিনী প্রধান বিভিন্ন বিষয়ে সর্বোচ্চ মান অর্জনকারীদের হাতে পদক তুলে দেন। সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত নবীন কর্মকর্তাদের মধ্যে মিডশিপম্যান ২০২১এ ব্যাচের মিডশিপম্যান মোঃ ফারহান আলী, (এক্স), বিএন সকল বিষয়ে সর্বোচ্চ মান অর্জনকারী সেরা চৌকশ মিডশিপম্যান হিসেবে সোর্ড অব অনার অর্জন করেন। এছাড়া মিডশিপম্যান ইফতেখার আজম, (ই), বিএন প্রশিক্ষণে ২য় সর্বোচ্চ মান অর্জনকারী হিসেবে নৌ প্রধান স্বর্ণপদক এবং ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসার ২০২৩ বি ব্যাচের এ্যাক্টিং সাব লেফটেন্যান্ট আসিফ মোহাম্মদ সামী, (শিক্ষা), বিএন শ্রেষ্ঠ ফলাফল অর্জনকারী হিসেবে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ রুহুল আমিন স্বর্ণপদক লাভ করেন। পরে সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত নবীন কর্মকর্তাগণ আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করেন।

কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান শেষে সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত নবীন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে নৌবাহিনী প্রধান তাঁর ভাষণে, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসামান্য অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। সেইসাথে তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী বীর নৌ সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের কথা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অসামান্য প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা ও দিকনির্দেশনায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী আজ একটি আধুনিক ও ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনী হিসেবে সুপরিচিত। বর্তমানে বাংলাদেশের উত্তরোত্তর উন্নয়নে ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নকে মাথায় রেখে নৌবাহিনীকে যুগোপযোগী এবং টেকনোলজি সম্পন্ন স্মার্ট নৌবাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে যা দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সমুদ্রভিত্তিক অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। একটি সমৃদ্ধশালী নৌবাহিনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে নৌবহরে বিভিন্ন শ্রেণীর জাহাজ, স্পেশাল ফোর্স, হেলিকপ্টার, এমপিএ এবং সাবমেরিন যুক্ত হয়েছে। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে একটি স্মার্ট নৌবাহিনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন অত্যাধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম ও আধুনিক প্রযুক্তি নৌবাহিনীতে প্রতিনিয়ত সংযোজিত হচ্ছে। আধুনিক এবং ত্রিমাত্রিক এই নৌবাহিনীর উত্তরোত্তর উন্নয়নের জন্য চৌকশ এবং প্রশিক্ষিত কর্মকর্তাগণের গুরুত্ব তিনি তুলে ধরেন।

নৌবাহিনী প্রধান বলেন, আজকের নবীন কর্মকর্তারা নেভাল একাডেমি থেকে অর্জিত জ্ঞান যথাযথভাবে কাজে লাগিয়ে নিজেদেরকে যোগ্য কর্মকর্তা হিসেবে গড়ে তুলবে এবং ভবিষ্যৎ কর্মজীবনে এই প্রশিক্ষণ কাজে লাগিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা ও অগ্রগতির পথে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবে। তিনি পেশা হিসেবে দেশ সেবার এ পবিত্র দায়িত্বকে বেছে নেয়ায় নবীন কর্মকর্তাদের আন্তরিক অভিনন্দন জানান। নৌপ্রধান কঠোর প্রশিক্ষণ প্রদানে যে সকল কর্মকর্তা, প্রশিক্ষক ও নৌসদস্যগণ অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তাদের প্রতিও আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। সেইসাথে নৌপ্রধান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে নবীন কর্মকর্তাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নিজেদেরকে আত্মনিয়োগ করার নির্দেশনা প্রদান করেন।

 

কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তাগণ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত নবীন কর্মকর্তাদের অভিভাবকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর
শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে জাপার ৩ নেতা

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩




এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ৭৪৭ জন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে ৩০০টি আসনে ২ হাজার ৭১১টি মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছে। এরমধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছে ৭৪৭টি। এছাড়া ৩২টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে ১ হাজার ৯৬৬টি।

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ এই তথ্য জানান।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ২৯৮টি আসনে মোট মনোনয়নপত্র দাখিল করেছে ৩০৩টি। পাঁচটি আসনে তাদের দুজন করে প্রার্থী রয়েছে। অপরদিকে জাতীয় সংসদে বিরোধীদল জাতীয় পার্টি ২৮৬টি আসনে ৩০৪টি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে। ১৮টি আসনে তাদের দুজন করে প্রার্থী রয়েছে।

অন্যান্য দলের মধ্যে জাকের পার্টি (গোলাপ ফুল) ২১৮টি, তৃণমূল বিএনপি ১৫১টি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি ১৪২টি, বাংলাদেশ কংগ্রেস ১১৬টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ (মশাল) ৯১টি, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি ৮২টি, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট (ছড়ি) ৭৪টি, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফোরাম-বিএনএফ (টেলিভিশন) ৫৫টি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বিএনএম ৪৯টি, বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন-বিটিএফ (ফুলের মালা) ৪৭টি, ইসলামী ঐক্যজোট ৪৫টি, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ (চেয়ার) ৩৯টি, বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্ট (মোমবাতি) ৩৭টি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ (গামছা) ৩৪টি এবং ওয়ার্কার্স পার্টি (হাতুড়ি) ৩৩টি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে।

এছাড়াও গণফ্রন্ট (মাছ) ২৫টি, জাতীয় পার্টি-জেপি (বাইসাইকেল) ২০টি, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি (হাতঘড়ি) ১৮টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (কাঁঠাল) ১৩টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন (বটগাছ) ১৩টি, গণতন্ত্রী পার্টি (কবুতর) ১২টি, গণফোরাম (উদীয়মান সূর্য) ৯টি, সাম্যবাদী দল (চাকা) ছয়টি, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ম্যাপ (কুঁড়েঘর) ছয়টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএল (হাত পাঞ্জা) পাঁচটি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (হারিকেন) দুটি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম (খেজুর গাছ) একটি, খিলাফত মজলিস (রিকশা) একটি এবং বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল একটি করে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছে।

এদিকে বিএনপিসহ (ধানের শীষ) নিবন্ধিত দলগুলোর মধ্যে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, ইসলামী আন্দোলন (হাতপাখা), সিপিবি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি (কোদাল), খিলাফত মজলিস (দেওয়াল ঘড়ি), জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (সিংহ), ইনসানীয়ত বিপ্লব বাংলাদেশ (আপেল), বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (মোটরগাড়ি), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি (গরুর গাড়ি) এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল আর্মি পার্টি বাংলাদেশ ন্যাপ (গাভী) নির্বাচনের অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।


আরও খবর
শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে জাপার ৩ নেতা

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩




গাজীপুরে অর্ধশত পোশাক কারখানায় ছুটি ঘোষণা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুর প্রতিনিধি

Image

বেতন বাড়ানোর দাবিতে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা, রওশন সড়ক, নাওজোড়, ইসলামপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ করেছেন পোশাক শ্রমিকরা। এ সময় উত্তেজিত শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করতে চাইলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সকালে বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিকরা এ বিক্ষোভ করেন। এতে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অন্তত অর্ধশত কারখানায় ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে , গত ২৩ অক্টোবর থেকে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় মজুরি বাড়ানোর দাবিতে পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ করে আসছেন। এরপর নতুন মজুরি কাঠামো ঘোষণা করে সরকার। এতে সন্তুষ্ট না হয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে চান্দনা চৌরাস্তায় লিবাস নিটওয়্যার, হাসান তানভীর ফ্যাশনসহ কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা আবারও বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে শ্রমিকরা ঢাকা জয়দেবপুর সড়ক অবরোধ করে। পরে পুলিশ, র‌্যাব ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের সরিয়ে দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। শ্রমিক অবরোধের কারণে সড়কে প্রায় এক ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।

এদিকে আন্দোলনে নামা শ্রমিকদের একটি অংশ নাওজোড় এলাকায় মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে ও রাস্তার ওপর কাঠ ও বাঁশ ফেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে। পরে বাসন থানা পুলিশ, র‌্যাব ও শিল্প পুলিশ শ্রমিকদের ধাওয়া করে। এ সময় শ্রমিকরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকেন। পুলিশ শ্রমিকদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল, রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। পরে গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট মহাসড়কে ধরিয়ে দেওয়া আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। এ ছাড়া নাওজোড় থেকে ইসলামপুর ভাঙ্গা ব্রিজ এলাকায় সড়কে শ্রমিকরা বিভিন্ন কারখানায় ঢিল ছুড়ে ভাঙচুর করে। তবে নাওজোড় এলাকায় পুলিশের সতর্ক অবস্থানের কারণে সকাল ১০টার দিকে সেখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ হয়। কিছু সময় পরই কোনাবাড়িসহ আশপাশের এলাকায় শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় আন্দোলনের মুখে বেশ অর্ধশত কারখানা ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া কোনাবাড়ি এলাকায় শ্রমিকদের আন্দোলন চলাকালে এক নারী শ্রমিক নিহতের পর কোনাবাড়ি ও আশেপাশের এলাকায় বেশ কয়েকটি পোশাক কারখানা বন্ধ রয়েছে।

গাজীপুর শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান আহম্মেদ বলেন, সকালে চান্দনা এলাকায় একটি কারখানায় শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করলে তাদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তবে এরপরই নাওজোড় এলাকাসহ আশপাশের কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা ভাঙচুর করেন এবং সড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন।

গাজীপুর শিল্পাঞ্চল-২ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বলেন, শ্রমিকদের বিক্ষোভ ও আন্দোলনের কারণে কোনাবাড়ি, নাওজোড় ও চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় অন্তত ২০টি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।


আরও খবর



ইনুর নগদ টাকা বেড়েছে প্রায় ৫২ গুণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

Image

১০ বছরে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি হাসানুল হক ইনুর নগদ টাকা বেড়েছে প্রায় ৫২ গুণ। বর্তমানে তার কাছে ৩ কোটি ৫৬ লাখ ১৫৫ টাকা আছে।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা এবং দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামা পর্যালোচনা করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

দশম সংসদ নির্বাচনের সময় ইনুর কাছে নগদ ৬ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ছিল। একাদশ নির্বাচনে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৫০ লাখ ৬৬ হাজার ৩৮৬ টাকা। আর বর্তমানে তার কাছে আছে ৩ কোটি ৫৬ লাখ ১৫৫ টাকা। অর্থাৎ, ১০ বছরের ব্যবধানে তার নগদ টাকা বেড়েছে প্রায় ৫২ গুণ।

এ ছাড়া এবার ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ইনুর জমা আছে ১৪ লাখ ৮৪ হাজার ৯২৪ টাকা, যা ৫ বছর আগে ছিল ৪৪ লাখ ৫১ হাজার ৪৮০ টাকা এবং ১০ বছর আগে ছিল ৩৬ লাখ ৭০ হাজার ১৫৬ টাকা।

আরও পড়ুন>> সাকিবের বার্ষিক আয় সাড়ে ৫ কোটি, ব্যাংক ঋণ ৩১ কোটি ৯৮ লাখ

হলফনামায় দেওয়া তথ্য থেকে আরও জানা গেছে, ইনুর বর্তমানে বার্ষিক আয় ৩৩ লাখ ৭৪ হাজার ৮০৪ টাকা। একাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় ছিল ৩৪ লাখ ৬১ হাজার ৬২৩ টাকা এবং ১০ বছর আগে ছিল ২৬ লাখ ৩৬ হাজার ৭৮২ টাকা।

কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনের টানা তিনবারের এই সংসদ সদস্যের স্ত্রী আফরোজা হকেরও নগদ টাকা বেড়েছে। ১০ বছর আগে তার কাছে নগদ টাকা ছিল মাত্র ৬ লাখ ৩৮ হাজার ৯০ টাকা। ৫ বছর আগে ছিল ৬০ লাখ ৩ হাজার ২৫৮ টাকা। এখন তার নগদ টাকা আছে ১ কোটি ৬১ লাখ ৫৪ হাজার ৮৪৩ টাকা।

এ ছাড়া ১০ বছর আগে আফরোজা হকের নামে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ছিল মাত্র ৮০ হাজার ৪৯৩ টাকা। ৫ বছর আগে তার কাছে ১৪ লাখ ২৮ হাজার ৬৭৭ টাকা থাকলেও এখন আছে ১৬ লাখ ৩৭ হাজার ২৭০ টাকা।

হলফনামায় হাসানুল হক ইনু নিজেকে রাজনৈতিক কর্মী ও প্রকৌশলী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তার ও তার ওপর নির্ভরশীলদের আয়ের মধ্যে কৃষি খাতে কোনো আয় নেই। তার আয়ের বড় অংশ আসে ব্যবসা, বেতন-ভাতা, ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ ও টিভি টকশো থেকে।


আরও খবর
আজ থেকে ফের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ

বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩