ভারী বৃষ্টির
কারণে সৃষ্ট ভূমিধসে গুয়াতেমালায় কমপক্ষে ছয়জন নিহত হয়েছে। এছাড়া এখনো নিখোঁজ রয়েছে
আরও ১২ জন। রাজধানীর একটি নদীর পানিতে বেশ কিছু বাড়ি-ঘর ভেসে গেছে। গুয়াতেমালার ন্যাশনাল
কোঅর্ডিনেশন ফর ডিজেস্টার রিডাকশন এজেন্সি (কনরেড) জানিয়েছে, গতকাল সোমবার শুরুর দিকে নারাঞ্জো
নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় একটি সেতুর নিচে থাকা অন্তত ছয়টি বাড়ি ভেসে গেছে।
অনুসন্ধান কুকুর
এবং উদ্ধারকারী দলগুলো বন্যার পানিতে মারা যাওয়া ছয়জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। এদের
মধ্যে এক শিশুও রয়েছে যার বয়স পাঁচ বছর বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার শরীরের অর্ধেক কাঁদামাটিতে
আটকা পড়ে ছিল। তবে এখনো পর্যন্ত ১২ জনের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে
এদের মধ্যে আটজনই শিশু।
ইসাউ গোঞ্জালেজ (৪২) নামের এক বাসিন্দা বলেন, নদীর পানিতে বাড়ি-ঘর ভেসে গেছে। জিনিসপত্র ভেসে গেছে এবং মানুষজন নিখোঁজ হয়েছে। বৃষ্টির মৌসুমে গুয়াতেমালায় ভূমিধসের ঝুঁকি বেড়ে যায়। বিশেষ করে মে মাস থেকে নভেম্বরে এই ঝুঁকি বেশি থাকে।
আরও পড়ুন>> এবার বিশ্বের ২৮ প্রতিষ্ঠানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
লোকজন বলছেন,
তারা জানেন যেখানে তারা বসবাস করছেন তা নিরাপদ নয়। কিন্তু তাদের কিছুই করার নেই। দেশটিতে
দারিদ্র্যের হার ৫৯ শতাংশ। সে কারণে বেশিরভাগ মানুষই ঝুঁকিপূর্ণ বাড়ি-ঘরে বাস করেন।
মারভিন কাবরেরা
(৩৬) নামের এক বাসিন্দা ফুড ডেলিভারির কাজ করেন। তিনি বলেন, আমরা এখানে বসবাসের ঝুঁকি
সম্পর্কে জানি। কিন্তু প্রয়োজনের কারণেই আমাদের এখানে থাকতে হচ্ছে। তিনি যেখানে থাকেন
সেখানে ক্রমেই বন্যার পানি বাড়ছে।
২৭ বছর বয়সী
আইরিস লোপেজ (২৭) বলেন, সোমবারের এই বিপর্যয়ের পর তিনি আশা করছেন যে, সরকার তাদেরকে
নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেবে।
চলতি বছর এখন
পর্যন্ত কমপক্ষে ২৯ জন ভূমিধসে প্রাণ হারিয়েছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও প্রায়
২১ লাখ মানুষ। এখন পর্যন্ত ১০ হাজারের মতো বাড়ি-ঘর বৃষ্টির পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এছাড়া চারটি রাস্তা এবং নয়টি ব্রিজও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।