কক্সবাজারের চকরিয়ায়
গুপ্তধন পাওয়ার আশায় আড়াই মাস বয়সী ভাগ্নে মো. আনাসকে নদীতে ডুবিয়ে হত্যা করেছে বলে
পুলিশের প্রাথমিক জ্ঞিাসাবাদে স্বীকার করেছেন খালা। এঘটনায় বুধবার রাতে খালা আঁখি রহমানকে
গ্রেফতার করে পুলিশ। আঁখি রহমান (১৫) উপজেলার বিএমর ইউনিয়নের ছৈনম্যারঘোনা এলাকার ছৈয়দ
আকবরের মেয়ে।
এ ঘটনায় নিহত
শিশুর পিতা হোছাইন আলী বাদী হয়ে খালাকে একমাত্র আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
মঙ্গলবার রাতে উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের মধ্যম সুরাজপুর
এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
থানায় দায়েরকৃত
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আসামি আঁখি রহমান ঝাঁড়ফুকের কাজ করতো। গত ৫ নভেম্বর
বোনের বাড়িতে বেড়াতে আসে। ৮ নভেম্বর রাতে বাড়ির একটি কক্ষের এক কোনে বসে আঁখি রহমান
ঝাঁড়ফুকের কাজ করছিল। এসময় বড় বোন শাকিলা বেগম তাকে বকাঝকা করেন। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হন আঁখি। ঘটনার আগের দিন রাতে রাতে
যথারীতি বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। বুধবার ভোর ৫টার দিকে ওই শিশুর মা জেগে উঠে দেখে তার
পাশে ছেলে নেই। এরপর তিনি চিৎকার করে ঘুম থেকে জেগে উঠেন। পরে ঘরের দরজা খোলা পান।
এসময় আঁখি রহমানের
পায়ে ও পরণের কাপড়ে কাঁদামাটি দেখে সন্দেহ হলে বাড়ির সবাই জিজ্ঞাসাবাদ করে। তিনি আড়াই
বছরের শিশু ভাগ্নে আনাসকে মাতামুহুরী নদিতে নিক্ষেপ করে হত্যা ও লাশ গুমের চেষ্টা করেন
বলে জানান।
পরে মাতামুহুরী
নদীর সুরাজপুর পয়েন্টে ওই শিশুর মরদেহ পানিতে ভাসতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। এ ঘটনা থানা
পুলিশকে অবহিত করার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের
জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
চকরিয়া থানার
অফিসার ইনচার্জ (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, আসামি আঁখি রহমান বৈদ্যালীর কাজ
করতো। স্বপ্নে গুপ্তধন পেতে আপন ভাগ্নেকে পানিতে নিক্ষেপ করে হত্যা করেছে সে। এ ঘটনায়
শিশুর পিতা বাদী হয়ে খালাকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার
দেখানো হয়েছে।