মূলত চারটি বিষয় রেখে মামলাটির তদন্ত হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে মুনিয়ার সঙ্গে ম্যাসেঞ্জারসহ এ ধরনের প্ল্যাটফর্মে কাদের যোগাযোগ ছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ছাড়া মামলার এজাহারে পিয়াসা নামে এক মেয়ের নাম এসেছে, যার পুরো নাম ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা
রাজধানীর গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে তরুণীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলাটি চারটি বিষয় সামনে রেখে তদন্ত করছে পুলিশ।
মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী জানান, ঘটনাটিকে গুরুত্ব দিয়ে নানামুখী তদন্ত শুরু করেছি। তদন্তের স্বার্থে যা যা করার দরকার সবই করবো।
এদিকে 'আত্মহত্যায় প্ররোচনার' অভিযোগে মামলা হলেও এটি আত্মহত্যা নাকি অন্য কোনো ঘটনা আছে সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের আরেক কর্মকর্তা।
গত সোমবার সন্ধ্যায় গুলশান-২-এর ১২০ নম্বর রোডের বাসা থেকে মোসারাত জাহান মুনিয়া (২১) নামের ওই তরুণীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।এ ঘটনায় 'আত্মহত্যায় প্ররোচনার' অভিযোগে সোমবার মধ্যরাতে ওই তরুণীর বোন মামলা করেন। মামলায় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরকে একমাত্র আসামি করা হয়েছে। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত মঙ্গলবার আনভীরের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন।
মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মূলত চারটি বিষয় রেখে মামলাটির তদন্ত হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে মুনিয়ার সঙ্গে ম্যাসেঞ্জারসহ এ ধরনের প্ল্যাটফর্মে কাদের যোগাযোগ ছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ছাড়া মামলার এজাহারে পিয়াসা নামে এক মেয়ের নাম এসেছে, যার পুরো নাম ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা। তিনি আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলের সাবেক স্ত্রী। মুনিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় তার যোগসূত্র কীভাবে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সূত্র আরও জানায়, এর পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন উপকরণও খতিয়ে হচ্ছে। এ ছাড়া মুনিয়ার সঙ্গে চট্টগ্রামের সরকারদলীয় এমপি ও হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর ছেলের যোগাযোগের কিছু বিষয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে সামশুল হক চৌধুরীর ছেলের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে।