আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

গুলিস্তানে বিস্ফোরণ : বাড়ছে লাশের সারি, নিহত ১৫

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর গুলিস্তান বিআরটিসি বাসস্ট্যান্ড কাউন্টারের পাশে একটি ভবন বিস্ফোরণের ঘটনায় বেড়েই চলছে লাশের সারি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৫ জনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে এসেছে।

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে ঢাকা মেডিকেল থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা মো. শাজাহান সিকদার জানান, বিস্ফোরণে বিআরটিসি কাউন্টারের দক্ষিণ পাশে ৫তলা একটি ভবন (নিচ তলায় স্যানিটারি দোকান, বাকি ফ্লোরগুলো ব্র্যাক ব্যাংকের অফিস) এবং তার পাশের ৭তলা একটি স্যানিটারি মার্কেট ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো ভবন ধসে পড়েনি। 

ঢামেক ও ঘটনাস্থল থেকে ১৫ জনের মৃত্যু খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। 

কামাল নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, সাধনা ঔষধালয়ের পাশের ভবনে বিকট শব্দে বিস্ফোরণটি ঘটে। শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।

আহত শতাধিক মানুষ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া। তিনি জানান, পুরান ঢাকার সিদ্দিক বাজার এলাকায় বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত শতাধিক ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।


আরও খবর



পাকিস্তানে কয়লাখনিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ১২

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পাকিস্তানের একটি কয়লাখনিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। দেশটির বেলুচিস্তান প্রদেশের হারনাই জেলায় বুধবারের (২০ মার্চ) ওই ঘটনায় ১২ জন খনি শ্রমিক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আট জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

খনি পরিদর্শক আব্দুল রশিদ জানিয়েছেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়া সব মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মিথেন গ্যাসের কারণে খনিতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তদন্তকারীরা এখনও বিস্ফোরণের কারণ নির্ধারণে কাজ করছেন।

খনি দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।


আরও খবর



রূপগঞ্জে সরকারি গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রূপগঞ্জ (নারায়নগঞ্জ) প্রতিনিধি

Image

নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জের ভুলতা-মুড়াপাড়া সড়কের রাস্তার পাশে লাগানো সরকারি গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ২১ মার্চ শুক্রবার উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের ছোনাবো এলাকার জয়নালের ছেলে নাসিরের নেতৃত্বে ১ লক্ষাধিক টাকার ৪টি কড়ই গাছ কেটে নেওয়া হচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা।

গাছ কাটার খবর পেয়ে সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে আসলে গাছ কাটার লোকজন দ্রুত পালিয়ে যায়।

স্থানীয়রা জানান, সরকারি বনায়ণের অংশ হিসেবে এ উপজেলার বিভিন্ন সড়কের পাশে গাছ রোপণ করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় বিগত ৩০ বছর পূর্বে ভুলতা-মুড়াপাড়া এ সড়কের উভয় পাশে সরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন জাতের গাছ রোপণ করা হয়েছিল। নাসির মিয়া জোরপূর্বকভাবে সড়কের পাশে লাগানো ওই গাছ কাটতে শুরু করে। আমরা সাংবাদিকদের খবর দিলে গাছ কাটার লোকজন ২টি গাছ কেটে দ্রুত পালিয়ে যায়।

এর একদিন আগে রাস্তা সংস্কারের বরাত দিয়ে একইস্থানে রোপন করা অর্ধ শতাধিক কলা গাছ জোরপূর্বক কেটে ফেলেছে ওই নাসির।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত নাসির মিয়া তার আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কোনো সরকারি গাছ কাটিনি। এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারি না।

এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান মাহমুদ রাসেল বলেন, সরকারি গাছ কাটার বিষয়ে আমি অবগত না। তবে যারা সরকারি গাছ কেটে নিচ্ছে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর
চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




রমজানের জন্য প্রস্তুত মক্কার ১২ হাজার মসজিদ, নামাজ পড়বেন নারীরাও

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

পবিত্র রমজানের জন্য মক্কা নগরীর ১২ হাজার ১০৪টি মসজিদ পুরোপুরি প্রস্তুত করা হয়েছে। মুসল্লিদের বরণ করতে এসব মসজিদ প্রস্তুত করা হয়েছে। এসব মসজিদের মধ্যে মক্কার কেন্দ্রে রয়েছে ৪৬০টি মসজিদ। খবর গালফ নিউজ

রমজানকে সামনে রেখে মক্কার ইসলাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এসব মসজিদ প্রস্তুত করেছে। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে মসজিদগুলো পরিষ্কার করা হয়েছে, কার্পেট বিছানো হয়েছে, সুগন্ধি ছিটানো হয়েছে এবং পুরুষ ও নারীদের নামাজের স্থানগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়েছে।

রোববার (১০ মার্চ) সৌদি আরবে রমজানের চাঁদ দেখা গেলে সোমবার থেকে মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশটিতে রোজা শুরু হবে। আর যদি কাল চাঁদ দেখা না যায় তাহলে মঙ্গলবার থেকে রোজা শুরু হবে।

রমজান মাস শুরু হওয়ার আগেই সৌদির ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় মসজিদের মুয়াজ্জিন ও ইমামদের কিছু নির্দেশনা দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ইফতারের জন্য কোনো ধরনের অর্থ সংগ্রহ করা যাবে না। এছাড়া মসজিদের পরিচ্ছন্নতা রক্ষায় এর ভেতরে ইফতার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে মসজিদের আশপাশের খালি জায়গায় ইফতার আয়োজন করা যাবে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, নামাজ চলাকালে কোনো ধরনের ভিডিও করা এবং এগুলো প্রচার করা যাবে না। এছাড়া সরকারি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী আজান দেয়ার জন্য এবং আজান দেয়ার পর নির্দিষ্ট সময়ে নামাজ শুরুর নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।


আরও খবর
ঐতিহাসিক বদর দিবস আজ

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




মুন্সীগঞ্জে ‘সুবচন নির্বাসনে’র ১ম প্রদর্শনী মঞ্চায়িত

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

মুন্সীগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন থিয়েটার সার্কেলের নাট্যযাত্রার রজত জয়ন্তী উপলক্ষে নাটক সুবচন নির্বাসনে’ মঞ্চায়িত হয়েছে। মঙ্গলবার (০৫ মার্চ) সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে মঞ্চায়িত হয় দলের ৫৬তম প্রযোজনার ১ম প্রদর্শনীর এই নাটকটি। বাংলাদেশের অন্যতম প্রয়াত নাট্যজন আব্দুল্লাহ আল মামুনের রচনায় গুণী নাট্যকার ও সঙ্গীত শিল্পী শিশির রহমানের নির্দেশনায় নাটকটিতে স্থানীয় গুণী শিল্পীরা অভিনয় করে।

নাটকটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরকারি হরগঙ্গা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সুভাষ চন্দ্র হীরা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক চন্দন রেজা, প্রেসিডিয়াম সদস্য উত্তম সাহা।

সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অভিজিৎ দাস ববির সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত সাংষ্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহিন মোঃ আমান উল্লাহ্, নাট্যকার নির্দেশক জাহাঙ্গীর আলম ঢালী, মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজন হায়দার জনি প্রমুখ।

অভিনয়ে অংশ নেয় শিশির রহমান, আশরাফ আলী, মাশফিক শিহাব, রবিন ঢালী, সিমান্ত দাস, দিগন্ত দাস, মেহেরুন নেছা তন্নী, ইকবাল মাহমুদ, মো: শিপন, লোকনাথ দাস, কামরুল হাসান প্রমুখ।

নাটকটিতে ফুটে উঠেছে স্কুল মাস্টার বাবার বাঙালি সমাজের প্রচলিত চিরন্তন কিছু সুবচনে বিশ্বাস। আর তিনি চান তার ছেলে-মেয়েরাও যেনো ওই সব আদর্শেই বড় হয়। বাবা বিশ্বাস করেন- সততাই মহৎ গুণ’, লেখাপড়া করে যে- গাড়ি ঘোড়া চড়ে সে.... ইত্যাদি। পড়াশোনা, চাকরি, সামাজিক জীবন-সবক্ষেত্রেই সে দেখেছে বাবার শিখিয়ে দেয়া আদর্শের পরাজয়। স্বাধীনতার পর এভাবেই দেশ থেকে ধীরে ধীরে সুবচন নির্বাসনে গিয়েছে। সেখানে স্থান করে নিয়েছে আদর্শহীনতা, নীতিহীনতা, কপটতা, ভন্ডামি ইত্যাদি। আমাদের বর্তমান সমাজ, সংসার, পরিবার, রাষ্ট্র-সব ক্ষেত্র থেকেই সুবচন আজ নির্বাসনে। বিষয়টি আরো বেশি দৃশ্যমান আমাদের রাজনীতিতে।


আরও খবর



ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের ওপর বিদেশ ভ্রমণসহ নানা নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর নীতিমালা জারি করল বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে কেউ ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি হলে তার বিভিন্ন ধরনের নাগরিক সুবিধায় নিষেধাজ্ঞা দিতে পারবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে বিদেশে ভ্রমণ, ট্রেড লাইসেন্স ও কোম্পানি নিবন্ধনের মতো নিষেধাজ্ঞায় পড়বেন ঋণখেলাপিরা। এছাড়া কোনো ধরনের রাষ্ট্রীয় পুরস্কার বা সম্মাননার জন্য যোগ্য হবেন না এসব ব্যক্তি। এ ধরনের ঋণখেলাপি শনাক্তে ব্যাংকগুলোর প্রধান কার্যালয়ে পৃথক ইউনিট খুলতে হবে। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংক সংশোধিত ব্যাংক কোম্পানির আলোকে এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা জারি করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতা চিহ্নিত এবং তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিলে ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ কমে আসবে। পাশাপাশি ঋণ শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং ব্যাংকিং খাতের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে।

সার্কুলারে বলা হয়, ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতার ওপর বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা, ট্রেড লাইসেন্স ইস্যুতে নিষেধাজ্ঞা এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ও রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসের (আরজেএসসি) কাছে কোম্পানি নিবন্ধনে নিষেধাজ্ঞার জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থায় এ ধরনের খেলাপির তালিকা পাঠাবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া গাড়ি, জমি, বাড়ি, ফ্ল্যাট ইত্যাদির নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের কাছে তালিকা পাঠানো হবে। তালিকার আলোকে এসব সংস্থা বিদ্যমান আইনের আওতায় যথাযথ কার্যব্যবস্থা নিতে পারবে। এছাড়া ইচ্ছাকৃত খেলাপি রাষ্ট্রীয় পুরস্কার বা সম্মাননা পাবে না। আবার কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ইচ্ছাকৃত খেলাপির তালিকায় কারও নাম এলে ঋণ পরিশোধ করে তালিকা থেকে অব্যহতির ৫ বছরের মধ্যে কোনো ব্যাংকের পরিচালক হতে পারবেন না। আর যদি কোনো পরিচালক ইচ্ছাকৃত খেলাপি হয়ে পড়েন তবে তার পরিচালক পদ বাতিল হবে। ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতা সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রতি ত্রৈমাসিকে ব্যাংকের অডিট কমিটির সভায় উপস্থাপন করতে হবে।

এতে আরও বলা হয়, ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপির আরোপিত বা অনারোপিত কোনো সুদ মওকুফ করা যাবে না এবং পুনঃতফসিলও করা যাবে না। আবার ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতার ঋণ হিসাবটি অন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান অধিগ্রহণ করা যাবে না। এছাড়া ঋণ সম্পূর্ণ আদায় বা পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ঋণ গ্রহীতা ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি হিসেবে চিহ্নিত থাকবে। কেউ ইচ্ছাকৃত খেলাপি হওয়ার পর তালিকার বিরুদ্ধে আপিল না করলে বা আপিল করার পর না মঞ্জুর হলে তাকে ২ মাসের মধ্যে অর্থ পরিশোধের জন্য নোটিশ দেওয়া হবে। এই সময়ের মধ্যে অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হলে পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন ক্রমে খেলাপির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করবে ব্যাংক। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ঋণ, অগ্রিম বা পাওনা আদায়ের ক্ষেত্রে অর্থঋণ আদালতের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে না।

যারা ইচ্ছাকৃত খেলাপি বিবেচিত হবেন: কোনো খেলাপি ঋণ গ্রহীতা ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি নিজের, তার পরিবারের সদস্যের, স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির অনুকূলে কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে গৃহীত ঋণ, অগ্রিম, বিনিয়োগ বা আরোপিত সুদ বা মুনাফা তার সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও পরিশোধ না করলে তিনি ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি হিসেবে বিবেচিত হবেন। এছাড়া জালিয়াতি, প্রতারণা বা মিথ্যা তথ্য প্রদানের মাধ্যমে বা যে উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে সে সে উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য কোনো খাতে ব্যবহার করলে অথবা অন্য কোনো ব্যাংকের জামানতকৃত সম্পদ অনুমতি ছাড়া নতুন ঋণে জামানত হিসেবে দেখালে তাকে ইচ্ছাকৃত খেলাপি হিসেবে বিবেচনা করা হবে।

সার্কুলারে আরও বলা হয়, ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের চিহ্নিত করতে ব্যাংকের এমডি ও সিইওর দুই ধাপ নিচের কর্মকর্তার অধীনে প্রধান কার্যলয়ে ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতা শনাক্তকরণ ইউনিট’ নামে একটি পৃথক ইউনিট আগামী ৯ এপ্রিলের মধ্যে গঠন করতে হবে। তারা ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী, কারা ইচ্ছাকৃত খেলাপি তা শনাক্ত করবেন। ইচ্ছাকৃত খেলাপি শনাক্ত হওয়ার পর শনাক্তকরণের কারণ উল্লেখ করে ইচ্ছাকৃত খেলাপিকে তার বক্তব্য প্রদানের জন্য ১৪ কর্মদিবস সময় দিতে হবে। ওই সময়ের মধ্যে বক্তব্য প্রদানে ব্যর্থ হলে অথবা তার বক্তব্য যথাযথ বিবেচিত না হলে ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতা শনাক্তকরণ ইউনিট’ কর্তৃক এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে। ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতা হিসেবে চূড়ান্তকরণের পর সংশ্লিষ্ট ঋণ গ্রহীতাকে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে অবহিত করতে হবে।

কোনো ব্যাংক এসব নির্দেশনা লঙ্ঘন করলে ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে কমপক্ষে ৫০ লাখ টাকা এবং অনধিক ১ কোটি টাকা জরিমানা আরোপ করা হবে। যদি উক্ত লঙ্ঘন অব্যহত থাকে, তাহলে প্রত্যেক দিনের জন্য অতিরিক্ত অনূর্ধ্ব ১ লাখ টাকা জরিমানা আরোপিত হবে।


আরও খবর