আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

গত একযুগে দেশে ইলিশ আহরণ দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ অক্টোবর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

গত একযুগে দেশে ইলিশ আহরণ দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২২ বাস্তবায়ন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী একথা জানান।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, ইলিশের উৎপাদনে একসময় খারাপ অবস্থা হয়েছিল। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা, ইলিশ সমৃদ্ধির জন্য সুনির্দিষ্ট গবেষণা ও বর্তমান সরকারের গৃহিত ব্যবস্থাপনায় ইলিশের উৎপাদন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে গত ১২ বছরে ইলিশ আহরণ প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ইলিশ আহরণ ছিল ২ দশমিক ৯৮ লাখ মেট্রিক টন। ২০২০-২১ অর্থবছরে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৫ দশমিক ৬৫ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, ইলিশের উৎপাদন ক্রমান্বয়ে এমনভাবে বৃদ্ধি পাবে যে প্রান্তিক পর্যায় থেকে শুরু করে সর্বত্র মানুষ ইলিশের স্বাদ গ্রহণ করতে পারবে। ইলিশের উৎপাদন ব্যাপক আকারে বৃদ্ধির ক্ষেত্রে গণমাধ্যমেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের অত্যন্ত সুস্বাদু এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ও আবেগের মাছ ইলিশ। ইলিশের জিআই সনদ বাংলাদেশের। পৃথিবীতে মোট উৎপাদিত ইলিশের ৮০ শতাংশ আমাদের দেশে উৎপাদন হয়। সরকারের কঠোর ব্যবস্থাপনা, ইলিশের জন্য অভয়াশ্রম তৈরি, মা ইলিশ ধরতে না দেওয়া, জাটকা আহরণ বন্ধ রাখা এবং ইলিশ যেখানে ডিম দেয় সে জায়গায় উপযোগী পরিবেশ রক্ষার ফলে ইলিশের উৎপাদন এভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ইলিশ আহরণ বন্ধ রাখাকালে ইলিশ আহরণে সম্পৃক্ত মৎসীজীবীদের যাতে কোন ক্ষতি না হয়, সেজন্য তাদের সরকার চাল দেয়, বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য সহযোগিতা দেয়। মা ইলিশ অথবা ছোট ছোট ইলিশ ধরলে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে না। সেক্ষেত্রে ইলিশ আহরণকারী জেলেরাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দেশের মানুষ ইলিশ প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হবে, রপ্তানি পণ্যের ক্ষতি হবে এবং নিষেধাজ্ঞার সময় ইলিশ ধরতে যাওয়া অসাধু ব্যক্তিরা নিজেরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এজন্য স্থানীয়ভাবে সচেতন করা, বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়াসহ নানাভাবে সরকার জেলেদের মা ইলিশ ও জাটকা আহরণ থেকে বিরত রাখে।

মন্ত্রী আরও যোগ করেন, নিষেধাজ্ঞা চলাকালে কেউ মাছ আহরণ করে কী না সেটা বিমানবাহিনীর মাধ্যমে আকাশপথে মনিটর করা হবে। নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী, জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও মৎস্য অধিদপ্তর সম্মিলিতভাবে কাজ করবে। নৌ পাহারা, আকাশ পথে পাহারা ও স্থলপথে পাহারা দেওয়া হবে। মা ইলিশ ধরা বন্ধ রাখতে কোথাও কোথাও বরফকল বন্ধ রাখা হবে। নিষেধাজ্ঞার সময় যারা আইন অমান্যের অপরাধ করবে তাদের তাৎক্ষণিক সাজা প্রদানে মোবাইল কোর্টের ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া অবৈধভাবে মাছ আহরণ করা যানবাহন জব্দ করা, প্রয়োজনে সেগুলো বাজেয়াপ্ত করা, মা ইলিশ ধরা থেকে বিরত রাখতে মৎসীজীবীদের উৎসাহিত করাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে মা ইলিশ সংরক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।

সাংবাদিকদের মন্ত্রী আরও জানান, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সহজ-সরল জেলেদের যানবাহনে নিয়ে বন্ধকালে মাছ ধরার চেষ্টা করে। সরকার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। যারা অবৈধ জাল তৈরি করে আহরণ বন্ধকালে জাটকা অথবা মা ইলিশ ধরে তাদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নেয়। এমনকি জাল তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়ে বেআইনি জাল উদ্ধার করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়।

সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু ইলিশ বিদেশে রপ্তানি করা হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে চলতি বছর এ পর্যন্ত ইলিশ রপ্তানি হয়েছে ১ হাজার ৩৫২ মেট্রিক টন। এর ফলে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হয়েছে ১ কোটি ৩৬ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ১৪১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। এই মুহূর্তে দেশের স্বাভাবিক কার্যক্রম ও উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ইলিশ বৃদ্ধি না পেলে আমরা  রপ্তানি করে এ বৈদেশিক মুদ্রা আনতে পারতাম না।

মন্ত্রী যোগ করেন, জলবায়ুর পরিবর্তন, নদীর স্রোত ও পরিবেশের সঙ্গে ইলিশ সম্পৃক্ত। বৈরী পরিবেশ, অসাধুভাবে বালু উত্তোলন, নদী ভাঙ্গন, নদীর পানি দূষণসহ নানা কারণে মা ইলিশের প্রজনন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সরকার নানা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে বিধায় বর্তমানে ইলিশের বিস্তৃতি অনেক বেড়েছে। এখন ছোট নদীসহ অনেক দুর্লভ জায়গায় ইলিশ পাওয়া যায়। মা ইলিশ আহরণে বিরত থাকা মৎস্যজীবীদের অতীতে পরিবার প্রতি ২০ কেজি করে চাল দেওয়া হতো। এ বছর এটি ২৫ কেজিতে উন্নীত করা হয়েছে। এবার দেশের ৩৭ জেলার ১৫৫টি উপজেলায় ৫ লাখ ৫৪ হাজার ৮৮৭ টি জেলে পরিবারকে ১৩ হাজার ৮৭২ মেট্রিক টন খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। ক্রমান্বয়ে এর পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, মা ইলিশ আহরণ বন্ধকালে আমাদের জলসীমায় নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড, নৌপুলিশসহ মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিকভাবে কাজ করে। মিয়ানমার অথবা অন্য কোন দেশের কেউ এসে আমাদের ভৌগলিক এলাকায় মৎস্য আহরণের কোন সুযোগ নেই। যদি কেউ লুকিয়ে এ ধরনের পদক্ষেপ নিতে চায় আমরা তাদের গ্রেফতার করবো। এ ব্যাপারে আমরা কঠোরভাবে নজরদারি করছি।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল কাইয়ূম, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, প্রতিবছরের ন্যয় এবছরও ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ৭ হতে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহণ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ ও বিনিময় নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: শ ম রেজাউল করিম

আরও খবর
জিআই সনদ পেল দেশের ১৪ পণ্য

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




দিনাজপুরে অনুষ্ঠিত হলো দেশের সর্ববৃহৎ ঈদ জামাত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দিনাজপুর প্রতিনিধি

Image

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দিনাজপুরের ঐতিহাসিক গোর-এ-শহীদ বড় ময়দানে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৯টায়  লাখ লাখ মুসল্লির অংশগ্রহণে ঈদের এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

ঐতিহাসিক এ ঈদের জামাতে অংশ নিতে সদর উপজেলা ছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও আশপাশের কয়েকটি জেলার মুসল্লিরা আসেন। জামাতে ইমামতি করেন দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতাল জামে মসজিদের ইমাম শামসুল হক কাসেমি।

বৃহৎ এ জামাতকে ঘিরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছিল কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা। সিসিটিভি ক্যামেরার পাশাপাশি ছিল কঠোর গোয়েন্দা নজরদারি। মাঠের আশপাশে র‌্যাব, বিজিবি, পুলিশ, আনসার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরাও তৎপর ছিলেন।

নামাজে অংশ নেন স্থানীয় সংসদ সদস্য হুইপ ইকবালুর রহিম ও প্রধান বিচারপতি (ভারপ্রাপ্ত) এনায়েতুর রহিম, জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ, পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ, দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) তৌয়বুল আলম দুলাল, দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফুজ্জামান মিতাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সর্বস্তরের জনগণ।

রংপুর জেলা থেকে ঈদের জামাতে আসা অলিউল ইসলাম ইসলাম বলেন, এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে বড় ও দেশের সর্ববৃহৎ ঈদ জামাতে নামাজ আদায় করার অন্য অনেক দিনে ইচ্ছে ছিল। আল্লাহ আজ সে আশা পুরণ করেছে। জীবনে প্রথম লাখ লাখ মুসল্লির সঙ্গে ঈদের নামাজ পড়তে পেরে ভালো লাগছে।

জেলার খানসামা  উপজেলা থেকে নামাজ পড়তে আসা ফারুক আহম্মেদ বলেন, আমি এর আগেও ঐতিহ্যবাহী এই ময়দানে নামাজ পড়েছি। সবাই মিলে একসঙ্গে লাখ লাখ মুসল্লি নামাজ আদায় করলাম। সবাই মিলে নামাজ পড়ে বেশ ভালো লাগলো।

নামাজ শেষে ঈদগাহ মাঠের সমন্বয়ক, পৃষ্ঠপোষক ও জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, আয়তনের দিক দিয়ে এটি উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় ঈদগাহ মাঠ। এর আয়তন প্রায় ২২ একর। এবার দিনাজপুর জেলাসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলার প্রায় ছয় লাখ মুসল্লি এখানে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।

তিনি আরও বলেন, মাননীয়  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্থায়নে এ মাঠের সুন্দর মিনারটি নির্মিত হয়েছে। ভবিষ্যতে এটিকে আরও সুন্দর করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান ঈদগাহ মাঠের এ সমন্বয়ক।

ঈদের নামাজের আগে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) তৌয়বুল  আলম দুলাল, পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমে, জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম।

জানা যায়, বিভিন্ন স্থান থেকে বড় বড় ঈদগাহ মাঠের চিত্র নিয়ে এসে এ মাঠের নির্মাণ পরিকল্পনা করা হয়। সর্বপ্রথম মাঠের পশ্চিম প্রান্তে গত ২০১৫ সালে এ ঈদগাহ মাঠের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। প্রায় দেড় বছর পর এটি নামাজের জন্য পুরো প্রস্তুত করা হয়। এ ঈদগাহে রয়েছে ৫২টি গম্বুজের দুই ধারে ৬০ ফুট করে দুটি মিনার, এর মধ্যের দুটি মিনার ৫০ ফুট করে এবং প্রধান মিনারের উচ্চতা ৫৫ ফুট। এসব মিনার আর গম্বুজের প্রস্থ হলো ৫১৬ ফুট। দেশের বড় ঐতিহাসিক গোর-এ শহীদ ময়দানের পশ্চিম দিকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এ ঈদগাহ মিনারটি। প্রত্যেকটি গম্বুজে দেওয়া হয়েছে বৈদ্যুতিক বাতি সংযোগ। ৫২টি গম্বুজ ২০ ফুট উচ্চতায় স্থাপন করা হয়েছে। গেট দুটির উচ্চতা ৩০ ফুট নির্মাণে নান্দনিক স্থাপনা দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

উল্লেখ্য, আগে দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হতো কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায়। এখন দিনাজপুরের ৫২ গম্বুজের ঈদগাহ মাঠে সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।


আরও খবর



দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে এক ভিডিও বার্তায় দেশবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, প্রিয় দেশবাসী, আসসালামু আলাইকুম। বর্ষ পরিক্রমায় আবারও আমাদের মাঝে ফিরে এসেছে নতুন বছর। আপনারা যারা দেশে-বিদেশে অবস্থান করছেন বাংলাদেশের সকল ভাইবোনকে জানাই বঙ্গাব্দ, ১৪৩১ এর শুভেচ্ছা। শুভ নববর্ষ।

সরকারপ্রধান বলেন, আসুন, নতুন বছরে অতীতের সকল ব্যর্থতা-দুঃখ-গ্লানি পেছনে ফেলে সুন্দর ভবিষ্যৎ বিনির্মাণের লক্ষ্যে একযোগে কাজ করি। আগামী রোববার (১৪ এপ্রিল) সারাদেশে উদযাপিত হবে বাংলা নববর্ষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।

পরিশেষে কবি সুফিয়া কামালের কবিতার পঙতি উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুরাতন গত হোক! যবনিকা করি উন্মোচন, তুমি এসো হে নবীন! হে বৈশাখ! নববর্ষ! এসো হে নতুন। শুভ নববর্ষ।


আরও খবর
জিআই সনদ পেল দেশের ১৪ পণ্য

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




বিপুল পরিমাণ অর্থসহ পাউবোর দুই প্রকৌশলী আটক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসেন, পাবনা

Image

বিপুল পরিমাণ অর্থসহ পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুই উপ বিভাগীয় প্রকৌশলীকে আটক করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে সাড়ে ১০টার দিকে ঠিকাদারের সঙ্গে অবৈধ টাকা লেনদেনের অভিযোগে তাদের আটক করা হয়। এর আগে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান ঠিকাদার রাজিবসহ কয়েকজন।

সূত্র বলছে, ঠিকাদার ও কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে বিল ভাউচারের মাধ্যমে বিপুল অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের অনুসন্ধানে পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডে যান সংবাদকর্মীরা। এ সময় তথ্য ও বক্তব্যের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মাসুদ রানার কক্ষে গেলে ওই কক্ষ ভেতর থেকে বন্ধ পান। কয়েকবার নক দেবার পর মাসুদ রানা দরজা খুললে ঠিকাদার আরিফুজ্জামান রাজিব কমিশনার ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসডি মোশাররফ সহ কয়েকজনকে দেখতে পান সংবাদকর্মীরা।

এ সময় টেবিলে বিপুল অর্থও দেখা যায় এবং এরপরই আরেক ঠিকাদার কনক সেখানে হাজির হন। সরকারি অফিসে ঠিকাদারের সাথে বন্ধ কক্ষে কিসের অর্থ লেনদেন হচ্ছে জানতে চাইলে তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি। তখন সংবাদকর্মীরা বিষয়টিকে সন্দেজনক মনে করে পুলিশকে জানালে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশ তাদের আটক করে। এ ঘটনায় দুদকও তদন্ত শুরু করেছে।

নামপ্রকাশ না করার শর্তে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা জানান, ২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সদ্য সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী এবং সুনামগঞ্জের হাওড়ে বাধ নির্মাণকাজে দুর্নীতির দায়ে বার বার প্রত্যাহার হওয়া নির্বাহী প্রকৌশলী আফসার উদ্দিনের তত্ত্বাবধানে মাসুদ রানা ও এসডি মোশাররফের সহযোগিতায় ডিপিএম ও আরএফকিউ পদ্ধতিতে বিভিন্ন ভূয়া প্রকল্প দেখিয়ে বিল ভাউচারের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা আত্মাসাত করা হয়েছে। রাফি কন্সট্রাকশনের স্বত্ত্বাধিকারী ঠিকাদার আরিফুজ্জামান রাজিব কমিশনার এবং ঠিকাদার কনকের প্রতিষ্ঠানের নামে এসব টাকা উত্তোলন করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করছে। এসব তদন্তে অনিয়মের মাধ্যমে বিপুল অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ মিলেছে বলে জানান ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তা।

এ ব্যাপারে পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুধাংশু কুমার সরকার বলেন, ঘটনাটি আমরা জানতে পেরেছি। দুদক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়টি দেখছেন। কোথাকার টাকা, কীভাবে লেনদেন হলো সে বিষয়ে খোঁজ নিয়ে সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মাসুদ আলম বলেন, দুই কর্মকর্তাকে আটক করাসহ টাকাগুলো জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত টাকা দুদকের কর্মকর্তারা গণনা করছেন। টাকার উৎস অনুসন্ধান করা হচ্ছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


আরও খবর



তাইওয়ানে ভূমিকম্প: ৭ জনের মৃতদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

তাইওয়ানে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে হুয়ালিয়েন শহরসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এ পর্যন্ত ৭ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া দ্বীপজুড়ে অন্তত ১০০ ভবন ধসে গেছে এবং এসব ভবনের ধ্বংস্তূপের নিচে আটকা পড়েছেন অন্তত ৭৭ জন মানুষ।

বুধবার (০৩ এপ্রিল) স্থানীয় সময় ৭ টা ৫৮ মিনিটে ঘটে এই ভূমিকম্প। তাইওয়ানের পাশাপাশি চীন, ফিলিপাইন ও জাপানেও অনুভূত হয়েছে কম্পণ। তাৎক্ষণিক এক বিবৃতিতে জাপানের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, বিশাল মাত্রার এই ভূমিকম্পের জেরে সুনামির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে তাইওয়ান ও তার প্রতিবেশী এই তিন দেশে। এ সময় সময় সাগরের ঢেউয়ের উচ্চতা ৩ মিটার (৯ ফুট) ছাড়িয়ে যেতে পারে।

মার্কিন ভূতত্ত্ব গবেষণা সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভের (ইএসজিএস) তথ্য অনুযায়ী, তাইওয়ানের হুয়ালিয়েন শহর থেকে ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণে ছিল ভূমিকম্পটির কেন্দ্র বা এপিসেন্টার এবং ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৫ দশমিক ৫ কিলোমিটার গভীরে ছিল কম্পণটির উৎপত্তিস্থল। ৭ টা ৫৮ থেকে পরবর্তী কয়েক মিনিটে অন্তত ৯ দফা কম্পণ হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউএসজিএস।

স্বায়ত্বশাসিত এই দ্বীপভূখণ্ডের দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তরের কর্মকর্তারা বলেছেন, তাইওয়ানজুড়ে অন্তত ১০০ ভবন ধসে পড়েছে ভূমিকম্পে। এই ১০০ ভবনের অর্ধেকই হুয়ালিয়েন শহরের। দুর্যোগ কেটে যাওয়ার অল্প সময়ের মধ্যে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছেন দুর্যোগ মোকাবিলা বিভাগের কর্মীরা।

তাইওয়ানের ভূকম্পণ পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা সংস্থা তাইপে সিসমোলজি সেন্টারের পরিচালক উ শিয়েন ফু বিবিসিকে বলেছেন, গত ২৫ বছরে তাইওয়ানে যত ভূমিকম্প ঘটেছে, তার মধ্যে এটি সবচেয়ে বড়।

এর আগে ১৯৯৯ সারের সেপ্টেম্বরে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল তাইওয়ানে। সেই ভূমিকম্পে ২ হাজার ৪০০ মানুষ নিহত হয়েছিলেন, সেই সঙ্গে ধ্বংস হয়েছিল অন্তত ৫ হাজার ভবন।


আরও খবর



জিবুতি উপকূলে নৌকাডুবি, ৩৮ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পূর্ব আফ্রিকার দেশ জিবুতির উপকূলে নৌকাডুবিতে ৩৮ অভিবাসনপ্রত্যাশী ও শরণার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এরই মধ্যে ভুক্তভোগীদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা এই তথ্য জানিয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) এক এক্স বার্তায় সংস্থাটি জানায়, এখনো ছয়জন নিখোঁজ রয়েছেন। তাছাড়া উদ্ধার হওয়া ২২ জনকে সহযোগিতা করছে সংস্থার সদস্যরা।

আইওএম জানিয়েছে, ২০১৪ সালের পর পূর্বাঞ্চলীয় ওই পথে এক হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন বা নিখোঁজ হয়েছেন।

এর আগে রবিবার (৭ এপ্রিল) তিউনিশিয়ার উপকূল থেকে ১৩ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার করে দেশটির কোস্টগার্ড। উপকূলের কাছে ভূমধ্যসাগরে বেশ কয়েকটি অভিযান চালিয়ে এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

উত্তর আফ্রিকার দেশ তিউনিশিয়া থেকে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টায় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের হতাহতের ঘটনা নতুন নয়।

গ্রীষ্ম শুরুর এই সময়ে সাগরে অনুকূল পরিস্থিতির সুযোগে ইউরোপ মুখে যাত্রা করা নৌকার সংখ্যা বাড়ছে বলে জানিয়েছে তিউনিশিয়ার ন্যাশনাল গার্ড।


আরও খবর