আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহীতে করোনায় মৃত্যু ১২

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ আগস্ট ২০২১ | হালনাগাদ:শনিবার ০৭ আগস্ট ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গে আরও ১২ জন মারা গেছেন। এরমধ্যে করোনায় ৪ জন এবং উপসর্গ নিয়ে ৫ জন ও ৩ জন করোনা নেগেটিভ হওয়ার পরে তাদের প্রাণহানি হয়েছে। এ নিয়ে ৬৮তম দিনে রামেকে সবমিলিয়ে ১ হাজার ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (০৭ আগস্ট) সকালে রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শামীম ইয়াজদানী বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় যে ১২ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে রাজশাহীর ৩, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কুষ্টিয়া, পাবনার ২ জন করে এবং নওগাঁ, নাটোর ও সিরাজগঞ্জে ১ জন করে মারা গেছেন। মৃতদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে দাফন করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, গেল ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের দুই ল্যাবে করোনা পরীক্ষা হয়েছে ১৮২ জনের আর করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫৫ জনের। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩০ দশমিক ২১ ভাগ।

এছাড়াও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দফায় দফায় ওয়ার্ড ও শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর পরও উপচে পড়ছে রোগীর সংখ্যা। এখানে করোনা ইউনিটে ২০টি আইসিইউসহ শয্যা সংখ্যা রয়েছে ৫১৩টি এরমধ্যে রোগী ভর্তি রয়েছে ৪০৭ জন আর গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৪৩ জন।



আরও খবর



মুখের ক্যান্সারের লক্ষণ জেনে নিন

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

ক্যান্সার এমন একটি রোগ যে শরীরে বাসা বাঁধলেও শুরুতে কিছুই টের পাওয়া যায় না। যখন বুঝতে পারা যায়, ততক্ষণে দেরি হয়ে যায় অনেকটাই। তাই সুস্থ অবস্থায়ও শরীরের বিভিন্ন লক্ষণের দিকে খেয়াল রাখা জরুরি। মুখের ক্যান্সারের লক্ষণ বুঝতে হলে আপনাকে আগেভাগেই খেয়াল রাখতে হবে কিছু বিষয়ের প্রতি। নিয়মিতভাবে খেয়াল রাখলে লক্ষণ থাকলে তা বুঝতে পারা সহজ হবে। এই অসুখ যত আগে বোঝা যায় তত দ্রুতই সুস্থতা লাভের আশা করা যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন বিষয়গুলোর প্রতি খেয়াল রাখবেন-

মুখে অস্বাভাবিক ক্ষত : আপনার মুখে যদি কদিন পরপরই ঘা হতে থাকে তবে সতর্ক হোন। কারণ এটি হতে পারে উদ্বেগের বিষয়। এমনিতে মুখে ঘা হওয়া অস্বাভাবিক নয়। তবে সেই ঘা আবার দ্রুত সেরেও যায়। যদি মুখে ঘা হওয়ার তিন সপ্তাহ পরও ঘা না সারে তবে হতে পারে তা আপনার জন্য সতর্ক সংকেত। এক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

দাঁত পড়ে যাওয়া : বড় হওয়ার পর কোনো কারণ ছাড়া দাঁত পড়বে না। যদি আপনার দাঁত এভাবে কোনো কারণ ছাড়াই পড়ে যায় বিশেষ করে মাড়ির দাঁত, তাহলে সতর্ক হোন। হতে পারে এটি মুখের ক্যান্সারের লক্ষণ। আবার যদি মুখ খুলতে সমস্যা হয় তাহলে দ্রুত পরীক্ষা করিয়ে নিন। সাবধানতার বিকল্প নেই।

গলার স্বর বদলে গেলে : গলার স্বর বদলে গেলে তা আপনার জন্য দুঃসংবাদ বয়ে আনতে পারে। কারণ সুস্থ মানুষের গলার স্বর হঠাৎ করে পরিবর্তন হয়ে যাওয়ার কথা নয়। এক্ষেত্রে এটি আপনার কণ্ঠনালীতে বড় কোনো সমস্যার সংকেত হতে পারে। এর পাশাপাশি যদি খাবার খেতে অসুবিধা হয় তবে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। সময়মতো সঠিক চিকিৎসা পেলে দ্রুত সুস্থ হওয়া সম্ভব।

মুখে ফোলাভাব দেখা দিলে : মুখের ভেতরে মাঝে মাঝে আঙুল দিয়ে পরীক্ষা করে দেখবেন। যদি কখনো মুখের ভেতরে কোনো পিণ্ড বা ফোলাভাব দেখা দেয় তাহলে সতর্ক হোন। দাঁত এবং মাড়ি পর্যবেক্ষণ করে বোঝার চেষ্টা করুন কোনো সমস্যা রয়েছে কি না। এছাড়াও মাড়ি দিয়ে কোনো কারণ ছাড়াই রক্ত পড়লে বা দাঁতের ভেতরে ফাঁকা হতে শুরু করলে তা আপনার জন্য হতে পারে সতর্ক সংকেত। এক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


আরও খবর



বিশ্বকাপ খেলতে মধ্যরাতে দেশ ছেড়েছেন সাকিব-শান্তরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিতে দেশ ছেড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ১.৪০ মিনিটের ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে উড়াল দিয়েছে নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাকিব আল হাসানরা। এই স্কোয়াডে ট্রাভেলিং রিজার্ভ, টিম ম্যানেজমেন্ট ও কোচিং স্টাফরাও ছিলেন।

দেশ ছাড়ার আগে গতকাল রাত বাড়তেই বিমানবন্দরে পরিবারকে নিয়ে হাজির হন তাসকিনসৌম্য ও লিটন দাসরা। যেখানে টাইগার সমর্থকদের ভিড়ের মুখে পড়তে হয়েছে তাদের। এ সময় কেউ তারকা ক্রিকেটারদের সঙ্গে সেলফির আবদার মিটিয়েছেন, আবার কেউবা শুভকামনা জানিয়েছেন বিশ্বকাপে ভালো পারফর্ম করার আশায়।

এর আগে বুধবার দুপুরে আনুষ্ঠানিক ফটোসেশন সেরেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। মিরপুর শেরই বাংলা স্টেডিয়ামে ক্রিকেটাররা হাস্যোজ্জ্বল ছবি দিয়ে ভালো কিছুর বার্তা দিয়েছেন।

আগামী ২ জুন যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে বসতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। আইসিসির মেগা আসরটিতে অংশ নেওয়ার আগে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিশ্বকাপের শেষ প্রস্তুতি হিসেবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। ২১, ২৩ ও ২৫ মে হবে সিরিজের ম্যাচগুলো।

বাংলাদেশের মূল বিশ্বকাপ অভিযান শুরু হবে ৭ জুন থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে শান্তর দল শ্রীলংকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করবে। ১০ জুন বাংলাদেশ লড়বে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। পরবর্তীতে ১৩ জুন নেদারল্যান্ডস এবং ১৭ জুন নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে গ্রুপপর্ব শেষ করবে বাংলাদেশ।


আরও খবর



পি কে হালদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণ নিয়ে সিদ্ধান্ত ১০ জুন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের (আইএলএফএসএল) ৭০ কোটি ৮২ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক পি কে (প্রশান্ত কুমার) হালদারসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণ করা হবে কিনা, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আগামী ১০ জুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আশ-শামস জগলুল হোসেনএ আদেশ দেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন আনান কেমিকেল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অমিতাভ অধিকারী এবং পরিচালক প্রীতিশ কুমার হালদার, উজ্জল কুমার নন্দী, পূর্ণিমা রানী হালদার, রতন কুমার বিশ্বাস, ওমর শরীফ ও রাজীব সোম, আইএলএফএসএলের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশেদুল হক, সাবেক ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. পরিচালক সৈয়দ আবেদ হাসান, সহ-সভাপতি নাহিদা রুনাই, সহ-সভাপতি আল মামুন সোহাগ, সিনিয়র ম্যানেজার রাফসান রিয়াদ চৌধুরী ও কোম্পানির সেক্রেটারি রফিকুল ইসলাম খান, আইএলএফএসএলের পরিচালক নুরুল আলম, নাসিম আনোয়ার, মো. নুরুজ্জামান, এম এ হাসেম, মো. আবুল হাশেম, জহিরুল আলম, আনোয়ারুল কবির, নওশেরুল ইসলাম ও বাসুদেব ব্যানার্জী।

২০২১ সালের ২৪ জানুয়ারি দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ পি কে হালদারসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করে দুদক। গত ২৯ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ মামলার প্রধান আসামি পি কে হালদারকে ২০২২ সালের ১৪ মে ভারতের অশোকনগর থেকে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্য আসামি উজ্জল, রাশেদুল ও রাফসান গ্রেপ্তারের পর কারাগারে আছেন। উজ্জল ও রাশেদুল অর্থ আত্মসাতের কথা স্বীকার করেছেন। চার্জশিটে বাকি ১৯ আসামিকে পলাতক দেখানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, আসামিরা আইএলএফএসএল থেকে ৭০ কোটি ৮২ লাখ টাকা নেন এবং ২০২২ সালের ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত সুদসহ ১০৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচার করেন। পি কে হালদার এবং তার পরিবারের মালিকানাধীন কোম্পানির বিরুদ্ধে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ২০২০ সাল থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ৫২টি মামলা হয়েছে।


আরও খবর



তানজানিয়ায় ভারী বৃষ্টিপাতে বন্যা-ভূমিধস, নিহত অন্তত ১৫৫

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পূর্ব আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ায় বন্যা ও ভূমিধসে কমপক্ষে ১৫৫ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুই শতাধিক মানুষ। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে ইতোমধ্যেই প্রায় ২ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তানজানিয়ায় এল নিনোর কারণে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ১৫৫ জন মারা গেছেন বলে দেশটির প্রধানমন্ত্রী কাসিম মাজালিওয়া জানিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, মে মাস পর্যন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।

আর এই কারণে মানুষ ও পরিবারগুলোকে বন্যাপ্রবণ এলাকা ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী কাসিম আরও জানিয়েছেন, প্রায় ২ লাখ মানুষ এবং ৫১ হাজারেরও বেশি পরিবার ইতোমধ্যেই এই দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বিবিসি বলছে, ভারী বৃষ্টিপাত প্রতিবেশী কেনিয়া এবং বুরুন্ডিতেও হচ্ছে, যার ফলে এই অঞ্চলে মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে দেশের পরিস্থিতি নিয়ে তানজানিয়ার সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী মাজালিওয়া বলেন, ১৫৫ জন নিহত ছাড়াও ২৩৬ জন আহত হয়েছেন।

তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন অংশে প্রবল বাতাস, বন্যা এবং ভূমিধসের সাথে এল নিনোর কারণে প্রবল বৃষ্টিতে উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে জীবনহানি, ফসল, বাড়িঘর, নাগরিকদের সম্পত্তি এবং রাস্তা, সেতু এবং রেলপথের মতো অবকাঠামোর ধ্বংসও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।’

উত্তর তানজানিয়ার সিহা জেলার একজন বাসিন্দা বিবিসিকে বলেছেন, তার বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। তিনি বলেন, আমার কিছুই অবশিষ্ট নেই, সবকিছু ভেসে গেছে।’

অন্যদিকে কেনিয়ায় দেশটির প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো সেনাবাহিনীকে উদ্ধার অভিযানে সহায়তা করার নির্দেশ দিয়েছেন। মূলত এই দেশটিতেও ভারী বৃষ্টিপাত রাজধানী নাইরোবিসহ দেশের বড় অংশে আঘাত হেনেছে এবং কিছু বস্তি এলাকার বাড়িঘর, আসবাবপত্র এবং অন্যান্য জিনিসপত্রসহ বহু জিনিস পানিতে ভেসে গেছে।

এই সপ্তাহে কেনিয়ায় ১০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছেন। আর গত মার্চ মাস থেকে দেশটিতে অন্তত ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে রেড ক্রস জানিয়েছে।

এছাড়া বুরুন্ডিতে, ভারী বর্ষণে প্রায় ১ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।


আরও খবর



জলবায়ু পরিবর্তনের মূল আঘাত যাচ্ছে এশিয়ার ওপর দিয়ে: জাতিসংঘ

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিভিন্ন দুর্যোগের কারণে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এশিয়া মহাদেশভুক্ত দেশগুলো। জাতিসংঘের বৈশ্বিক আবহাওয়া ও জলবায়ু নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএমও) এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে এ তথ্য।

ডব্লিউএমও’র মতে, অন্যান্য মহাদেশের চেয়ে এশিয়ায় বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব পড়েছে বেশি। এ কারণে এই মহাদেশের তাপমাত্রাও বাড়ছে। ১৯৯১ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে এশিয়ার গড় তাপমাত্রা বেড়েছে ১ দশমিক ৮৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমনকি ২০২০ সালের তুলনায় গত বছর এশিয়ার গড় তাপমাত্রা ছিল দশমিক ৯১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।

গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে টানা ও দীর্ঘ তাপপ্রবাহে এক দিকে এশিয়ার পার্বত্য অঞ্চলের হিমবাহগুলো গলে যাচ্ছে, অন্য দিকে জলাশয়গুলো শুকিয়ে যাচ্ছে— যা অদূর ভবিষ্যতে এই অঞ্চলের পানির নিরাপত্তা ক্ষেত্রে ব্যাপক সংকট সৃষ্টি করবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ডব্লিউএমও’র প্রতিবেদনে।

মঙ্গলবার প্রতিবেদন প্রকাশের পর এক বিবৃতিতে ডব্লিউএমওর শীর্ষ নির্বাহী কেলেস্টে সাউলো বলেন, এশিয়ার অধিকাংশ দেশের ইতিহাসে ২০২৩ সাল ছিল উষ্ণতম বছর। বিশ্বে খরা, তাপপ্রবাহ, ঝড়, বন্যার মতো যত বিপর্যয় ঘটেছে, সেসবের অধিকাংশই ঘটেছে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে। জলবায়ু পরিবর্তনের গভীর প্রভাব ইতোমধ্যে জনজীবন ও পরিবেশের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের সমাজ ব্যবস্থা, অর্থনীতিতেও পরিলক্ষিত হচ্ছে। যদি তাপমাত্রা বৃদ্ধি, হিমবাহ গলে যাওয়া এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকে, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে এই প্রভাব আরও ব্যাপক হবে।’

ডব্লিউেএমও’র তথ্য অনুয়ায়ী, তাপমাত্রা বাড়ছে সাইবেরিয়া থেকে মধ্য এশিয়া, পূর্ব চীন থেকে জাপান পর্যন্ত। জাপানের ইতিহাসে উষ্ণতম বছর ছিল ২০২৩ সাল। একই সঙ্গে এ সময় প্রশান্ত মহাসাগরের উত্তর পশ্চিমাঞ্চল অর্থাৎ এশীয় অংশের তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ।

গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির জেরে এশিয়ার হিমালয় পবর্তমালা এবং এই পর্বতমালার হিন্দুকুশ ও তিব্বত রেঞ্জের ২২ টি হিমবাহের মধ্যে অন্তত ২০টির বরফের মজুত ২০২৩ সালে ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে।

তাপমাত্রা বৃদ্ধির পাশাপাশি জলসৃষ্ট দুর্যোগও মোকাবিলা করতে হচ্ছে এশিয়াকে। ২০২৩ সালে এশিয়ায় বড় আকারের ঝড়, বন্যা ও তুমুল বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে অন্তত ৭৯টি। এতে প্রাণ হারিয়েছেন ২ হাজারেরও বেশি মানুষ এবং সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অন্তত ৯০ লাখ।

জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় এশিয়ার দেশগুলোর আবহাওয়া কর্মীদের যথাযথ প্রশিক্ষণ এবং গ্রীন হাউস গ্যাসের নির্গমণ হ্রাসে জোর দেওয়া হয়েছে ডব্লিউএমওর প্রতিবেদনে।

এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, আবহাওয়া কর্মীদের প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতি কমাতে খানিকটা হলেও সহায়তা করবে। তবে গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমণ কমানোর কোনো বিকল্প নেই। এই মুহূর্তে গ্রিন হাউস গ্যাসের নির্গমণ হ্রাস কেবল একটি বিকল্প নয়, বরং জরুরি কর্তব্য।’


আরও খবর