আজঃ সোমবার ০৬ মে ২০২৪
শিরোনাম

গর্ভবতী বান্ধবীকে খুন করে পেট চিরে বাচ্চা চুরি!

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ নভেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ নভেম্বর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বন্ধুত্বের সুযোগ নিয়ে অন্তঃসত্ত্বা এক নারীকে হত্যা করে তার পেট চিরে বাচ্চা চুরি করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে আরেক নারীর বিরুদ্ধে। খুন হওয়া ওই ৩৬ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। লোমহর্ষক এ ঘটনাটি ঘটেছে ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় সান্তা ক্যাটারিনা প্রদেশের ক্যানেলিনহা শহরে। 

জানা যায়, ২৭ বছর বয়সী রোজালবার সঙ্গে ২৪ বছর বয়সী ফ্ল্যাভিয়া গোডিনহো মাফরার বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। একটি স্কুলে পড়াতেন নিহত মাফরা। ২০২০ সালের ২৭ আগস্ট তাকে শহরের এক প্রান্তে একটি পুরাকীর্তির স্থানে ঘুরতে যেতে প্রলুব্ধ করেন রোজালবা। সেখানে যাওয়ার পর একটি নির্জন স্থানে মাথায় একের পর এক ইটের আঘাতে মাফরাকে হত্যা করেন তিনি।

আঘাতের পর আঘাতে মাফরা নিস্তেজ হয়ে পড়লে একটি ধারালো ছুরি বের করেন রোজালবা। পরে সেই ছুরি দিয়ে তিনি মাফরার পেট চিরে ফেলেন এবং পেটের ভেতর থেকে ৩৬ সপ্তাহের নবজাতকটিকে বের করে আনেন। পরে মাফরার মরদেহটি একটি চুল্লির ভেতর লুকিয়ে বাচ্চাটি নিয়ে পালিয়ে যান তিনি।

নৃশংস এ ঘটনার পর রোজালবা তার প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে নবজাতকটির প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য একটি হাসপাতালে যান। এর কিছুদিন আগেই প্রেমিককে রোজালবা জানিয়েছিলেন, তিনি সন্তানসম্ভবা। তাই প্রেমিকও নবজাতকটিকে নিজের সন্তান ভেবেছিলেন।

হাসপাতালে গিয়ে কর্মীদের কাছে রোজালবা দাবি করেন, একটু আগেই তিনি বাচ্চাটির জন্ম দিয়েছেন। এখন এই বাচ্চার প্রাথমিক চিকিৎসা প্রয়োজন। কিন্তু রোজালবার আচরণ ও শারীরিক সামর্থ্য দেখে সন্দেহ হয় হাসপাতালের কর্মীদের। তাই তারা ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে পুলিশে খবর দেয়। সম্প্রতি হত্যাকাণ্ড ও বাচ্চা চুরির ঘটনায় রোজালবা মারিয়া গ্রিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ওই নারীকে ৫৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ব্রাজিলের একটি আদালত। 

অন্যদিকে এ ঘটনার সঙ্গে কোনো যোগসূত্র না থাকায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার হওয়া রোজালবার প্রেমিককে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

১৫ ঘণ্টার শুনানিতে আদালতকে রোজালবা জানান, মাফরাকে হত্যা পরিকল্পনাই শুধু নয়, হত্যার পর বাচ্চাটিকে কিভাবে পেট থেকে বের করে আনবেন তা নিয়েও বিস্তর পড়াশোনা করেছিলেন তিনি। অপেক্ষা করছিলেন, মায়ের গর্ভে বাচ্চাটি পরিণত হওয়ার জন্য।


আরও খবর



মোংলা বন্দরে এ মাসে ভিড়ল ৮টি কন্টেইনারবাহী জাহাজ

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আবু বকর সিদ্দিক, মোংলা প্রতিনিধি

Image

মার্কস লাইনের ১৮৬ মিটারের লাইবেরিয়ান পতাকাবাহী মার্কস হাই পং কন্টেইনারবাহী জাহাজ মোংলা বন্দরের ৯ নং জেটিতে আগমনের মধ্য দিয়ে করোনা মহামারি পরবর্তী মোংলা বন্দরের জেটিতে এক মাসে সর্বোচ্চ ৮ টি কন্টেইনারবাহী বাণিজ্য জাহাজ আগমনের রেকর্ড করে।

এ সময়ে জাহাজে ১৮৭৫ টিইইউজ কন্টেইনারজাত মালামাল আমদানি-রপ্তানি করা হয়।

এ সকল বাণিজ্যিক জাহাজের মাধ্যমে ফেবরিকস, মেশিনারি, আপেল, ট্রাই সাইকেলপার্টস, ইলেকট্রিক্যাল গুডস, হোয়াইট ক্লিংকার, ফার্টিলাইজার, ক্যালসিয়াম কার্বোনেট, কপার ক্যাথোডস ইত্যাদি আমদানি এবং জুট, জুট গুডস, সিরিমপস, কার্বস, হোয়াইট ফিস, ক্লে টাইলস, ড্রাইড ফিস, মেশিনারি, গার্মেন্টস প্রোডাক্টস, কটন ইয়ার্ন ইত্যাদি রপ্তানি করা হয়।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) মোংলা বন্দরের পি.পি জেটি নং-৭ এ সিংগাপুর পতাকাবাহী কোটা টেনেগা এবং এমভি কোটা রানচাক, এমভি মার্কস ভিলাডিভসটক, এমভি মার্কস কুইনজু, এমভি মার্কস চট্টগ্রাম, এমভি মার্কস ঢাকা বন্দরের বিভিন্ন জেটিতে নোঙর করে। বর্তমানে বন্দর জেটিতে গড়ে প্রতি সপ্তাহে ২ টি করে কন্টেইনার জাহাজ আগমন করছে।

শিপিং এজেন্ট, মোংলা কাস্টমস এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশন, চেম্বার অব কমার্স খুলনা ও বাগেরহাট, আমদানি-রপ্তানিকারক ও বন্দর ব্যবহারকারীদের সাথে ধারাবাহিকভাবে মিটিং ও সমন্বয়সহ বন্দরে আধুনিক কন্টেইনার হ্যান্ডলিং ইকুইপমেন্ট সংযোজনের ফলে জেটি থেকে দ্রুততার সাথে স্বল্প সময়ের মধ্যে কন্টেইনার খালাস বোঝাই সম্ভব হচ্ছে।

একই সাথে গিয়ারলেস জাহাজ হ্যান্ডলিং এর সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় কন্টেইনারবাহী সমুদ্রগামী জাহাজের আগমন বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলশ্রুতিতে বন্দর ব্যবহারকারীদের মোংলা বন্দরের প্রতি আস্থা বাড়ার পাশাপাশি তাদের সময় এবং অর্থের সাশ্রয় হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত স্মার্ট বাংলাদেশ ও ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে মোংলা বন্দর বদ্ধ পরিকর। বন্দরকে আধুনিক ও বিশ্বমানের স্মার্ট বন্দর হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।


আরও খবর



ঈদযাত্রায় ভোগান্তি নেই পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঈদযাত্রা শুরু হলেও পাটুরিয়া দৌলতদিয়া নৌপথে যাত্রী ও যানবাহনের তেমন চাপ নেই। লঞ্চঘাটেও ভিড় নেই যাত্রীদের। ঘাটে আসার পরপরই যাত্রী ও যানবাহনগুলো ফেরিতে উঠে নদী পারাপার হচ্ছে।

তবে রোববার (৭ এপ্রিল) বিকেল থেকে এ ঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা সেতু চালুর আগে দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বার ছিল দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথ। ২১ জেলার লাখ লাখ মানুষের যাতায়াতের এ পথে ফেরি পারাপারের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থেকে ভোগান্তির শিকার হতেন। ঈদের সময় সেই দুর্ভোগ বেড়ে যেতো কয়েকগুণ। পদ্মা সেতু চালুর পর কমেছে ভোগান্তি; স্বস্তি ফিরেছে ঘাট দিয়ে যাতায়াতকারীদের।

এখন বেশিরভাগ যানবাহন পদ্মা সেতু ব্যবহার করলেও কুষ্টিয়া, সাতক্ষীরা, যশোর, মাগুরা, ফরিদপুর ও রাজবাড়ীর বেশ কিছু পরিবহন ও পণ্যবাহী ট্রাক এ নৌপথে চলাচল করছে। সাধারণ সময়ে দেড় থেকে দুই হাজার যানবাহন পারাপার হলেও ঈদ ঘিরে দ্বিগুণ হয়েছে। তবে এবার ভোগান্তি ছাড়াই পারাপার হচ্ছেন যাত্রীরা।

বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম খালেদ নেওয়াজ বলেন, ঈদে যাত্রী ও যানবাহন নির্বিঘ্নে পারাপারের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তিনটি ঘাট প্রস্তুত আছে। পাশাপাশি ১৫টি ফেরি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যানবাহনের বাড়তি চাপ কমাতে ঈদের তিনদিন আগে ও পরে বন্ধ থাকবে পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার।

তিনি আরও বলেন, ঘরমুখো মানুষ স্বস্তিতে পারাপার হচ্ছেন। কারও কোনো ধরনের সমস্যা হচ্ছে না।


আরও খবর



গত এক সপ্তাহে সৌদিতে ২১ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আবাসন, শ্রম ও সীমান্ত সুরক্ষা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ২১ হাজারের বেশি প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত ২৮ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত ওই প্রবাসীদের গ্রেপ্তার করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অবৈধ প্রবাসীদের বিরুদ্ধে সৌদিজুড়ে চলমান ধরপাকড় অভিযানের অংশ হিসেবে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) বলেছে, গত ৩ এপ্রিল পর্যন্ত এক সপ্তাহে দেশজুড়ে অভিযান চালিয়ে ২১ হাজার ৫০৫ জন প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই প্রবাসীদের বিরুদ্ধে সৌদি আরবের আবাসন, শ্রম ও সীমান্ত সুরক্ষা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, সৌদির আবাসন আইন লঙ্ঘনের দায়ে ১৪ হাজার ৩২৩ জন, সীমান্ত সুরক্ষা আইনে ৪ হাজার ৭৭৮ জন এবং শ্রম আইনের আওতায় ২ হাজার ৪০৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১ হাজার ২৯৫ জনকে অবৈধভাবে সৌদি আরবে প্রবেশের চেষ্টার সময় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত প্রবাসীদের মধ্যে ইয়েমেনি ৩৭ শতাংশ, ইথিওপিয়ান ৬১ শতাংশ এবং অন্যান্য দেশের ২ শতাংশ নাগরিক রয়েছেন।

এছাড়া অবৈধ উপায়ে সৌদি আরব ত্যাগের চেষ্টটার সময় আরও ৬১ জন প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একই সময়ে আবাসন ও কর্মবিধি লঙ্ঘনকারীদের পরিবহন এবং আশ্রয় দেওয়ায় সৌদিতে বসবাসরত ৯ ব্যক্তিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বসবাসের অনুমতি, শ্রম ও সীমান্ত আইন লঙ্ঘনের দায়ে সৌদি আরবে বর্তমানে ৬১ হাজার ৩০১ জনের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তাদের মধ্যে পুরুষ ৫৭ হাজার ১৩ জন এবং নারী আছেন ৪ হাজার ২৮৮৮ জন। আটককৃত প্রবাসীদের মধ্যে ৫৪ হাজার ১৬৯ জনকে দেশে ফেরত পাঠানোর আগে ভ্রমণের প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহের জন্য তাদের নিজ নিজ কূটনৈতিক মিশনে পাঠানো হয়েছে। এর পাশাপাশি আরও ১ হাজার ৬৬৬ জনকে সৌদি আরব থেকে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করতে চূড়ান্ত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আর গ্রেপ্তারদের মধ্যে ৭ হাজার ৪২৩ জনকে ইতোমধ্যে সৌদি আরব থেকে নিজ নিজ দেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে অবৈধভাবে প্রবেশে সহায়তার চেষ্টাকারী ব্যক্তির ১৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানার বিধান রয়েছে। সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে বারবার সতর্ক করে দিয়ে আসছে।

প্রায় ৩ কোটি ৪৮ লাখ মানুষের দেশ সৌদি আরব। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লাখ লাখ অভিবাসী শ্রমিক সৌদিতে কর্মরত রয়েছেন। সৌদি আরবের স্থানীয় গণমাধ্যম নিয়মিতভাবে দেশটিতে আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে নিরবচ্ছিন্ন ধরপাকড় অভিযান ও অবৈধ প্রবাসীদের আটকের খবর প্রকাশ করছে।


আরও খবর



কারাগার থেকে সরিয়ে সু চিকে গৃহবন্দি করল মিয়ানমারের জান্তা

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে কারাবন্দি থাকা মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চিকে কারাগার থেকে সরিয়ে গৃহবন্দি করা হয়েছে। চলমান গরম আবহাওয়ার কারণে বাড়তি সতর্কতা হিসেবে এই পদক্ষেপ নিয়েছে মিয়ানমারের জান্তা।

সামরিক সরকারের বরাত দিয়ে বুধবার (১৭ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারে আটক দেশটির সাবেক নেতা ও নোবেল বিজয়ী অং সান সু চিকে কারাগার থেকে সরিয়ে গৃহবন্দি করা হয়েছে বলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির সামরিক সরকারের একজন মুখপাত্র গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।

জান্তার মুখপাত্র মেজর জেনারেল জাও মিন তুন বলেন, যেহেতু আবহাওয়া এখন অত্যন্ত গরম, তাই এটি শুধুমাত্র অং সান সুচির জন্য নয়... যাদের জন্য প্রয়োজনীয় সতর্কতা প্রয়োজন, বিশেষ করে বয়স্ক বন্দিদের, আমরা তাদের হিটস্ট্রোক থেকে রক্ষা করার জন্য কাজ করছি।'

মিয়ানমারের চারটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে। জাও মিন তুন অবশ্য মন্তব্যের জন্য রয়টার্সের অনুরোধে সাড়া দেননি।

২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ৭৮ বছর বয়সী সু চির সরকারকে উৎখাত করা হয় এবং এরপর থেকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী তাকে আটক করে রেখেছে। রাষ্ট্রদ্রোহ এবং ঘুষ থেকে শুরু করে টেলিকমিউনিকেশন আইন লঙ্ঘন পর্যন্ত অপরাধের দায়ে নোবেলজয়ী এই নেত্রীকে ২৭ বছরের কারাদণ্ডের সম্মুখীন হতে হয়েছে। যদিও তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগই অস্বীকার করেছেন অং সান সু চি। এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সু চির ছেলে কিম অ্যারিস বলেছিলেন, তাকে (অং সান সু চি) নির্জন কারাগারে রাখা হয়েছে।

বিশ্ব নেতারা এবং গণতন্ত্রপন্থি কর্মীরা বারবার সু চির মুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন। মিয়ানমারের এনইউজি ছায়া সরকারের একজন মুখপাত্র সু চি এবং দেশটির ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট ইউ উইন মিন্টের নিঃশর্ত মুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন।

মুখপাত্র কিয়াও জাও বলেন, তাদেরকে কারাগার থেকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া ভালো, কারণ কারাগারের চেয়ে ঘরগুলো ভালো। তবে তাদের অবশ্যই নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। তাদের অবশ্যই অং সান সু চি এবং ইউ উইন মিন্টের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিতে হবে।


আরও খবর



বুয়েট শিক্ষার্থী রাব্বীকে সিট ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ হোসেন রাব্বির হলে সিট ফেরত দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (৮ এপ্রিল) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে ইমতিয়াজের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জরুল হক।

বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ হোসেন রাব্বির হলের সিট বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে ইমতিয়াজ রাব্বিকে হলে সিট ফেরত দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়। ইমতিয়াজ হোসেনের পক্ষে ব্যারিস্টার হারুনুর রশিদ এ রিট দায়ের করেছেন।বুয়েটের ভিসিসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে।

বুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ক্যাম্পাসের ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ হোসেনের হলের সিট বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।


আরও খবর