কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে উম্মে সালমা আক্তার শিলা (২২) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক
মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় স্বামী শামীম হোসেন সোহাগকে আটক করেছে পুলিশ। শিলার পরিবারের
অভিযোগ, যৌতুক না পেয়ে স্বামীর নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে সোহাগের পরিবারের দাবি,
গৃহবধূ শিলা আত্মহত্যা করেছেন।
মনোহরগঞ্জ থানার পুলিশ উপজেলার খিলা বড় বাড়ি থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে
সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
রবিবার সন্ধ্যায় নিহতের মা মমতাজ বেগম বাদী হয়ে শিলার স্বামী শামীম হোসেন সোহাগ
ও দেবর নজরুল ইসলাম সুজনকে অভিযুক্ত করে মনোহরগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত
সোহাগ খিলা বড় বাড়ির মৃত আবদুল ওহাবের ছেলে আর শিলা শাহরাস্তি উপজেলার রঘুরামপুর গ্রামের
মৃত আবুল হাশেম খন্দকারের মেয়ে।
শিলার মা মমতাজ বেগম জানান, ছয় বছর আগে সোহাগের সঙ্গে তার মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের
পর থেকেই সোহাগ শিলাকে নানাভাবে নির্যাতন করতো। তিনি বলেন, বিয়ের কয়েক মাস পর জানতে
পারি সোহাগের বিরুদ্ধে মামলা আছে । মামলা নিষ্পত্তির জন্য সে ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি
করে। টাকা না দেওয়ায় শিলাকে গলা টিপে হত্যা করবে বলে হুমকি দেয়।
শিলার মা দাবি করেন, শনিবার দিবাগত রাতে এসব নিয়ে ঝগড়া হলে সোহাগ ও সুজন তার
মেয়েকে গলা টিপে হত্যা করে। তিনি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার দাবি করেন।
শিলার দেবর অভিযুক্ত নজরুল ইসলাম সুজন বলেন, কথা-কাটাকাটির জেরে সোহাগ ভাইয়ের
ওপর অভিমান করে সালমা ভাবি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
মনোহরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিউল আলম জানান, গৃহবধূর মা মমতাজ
বেগম বাদী হয়ে একটি হত্যার অভিযোগ করেন। গৃহবধূর স্বামী শামীম হোসেন সোহাগকে আটক করা
হয়েছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।