আজঃ রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

গৃহবধূ হত্যা: স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি ও দেবর গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:শনিবার ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

তালতলী(বরগুনা)প্রতিনিধি:

বরগুনার তালতলীতে নিখোঁজের দুইদিন পরে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর মা বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি ও দেবরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার(৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে আসামীদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গতকাল রাতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের থানায় নেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার সাথে সম্পৃক্ত থাকায় পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার দেখায়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেনস্বামী হাসান (২১), শশুর সাইফুল সরদার (৪৫), শাশুড়ি ময়না বেগম(৪০) ও স্বামীর ফুফাত ভাই আবদুল(৩০)।

জানা যায়, গত ৩১ জানুয়ারি সন্ধ্যার পরে উপজেলার ছোটবগী ইউনিয়নের চরপাড়া এলাকার শশুর বাড়ির কাজ শেষে গৃহবধূ সুখি (২০) নিজ কক্ষে চলে যায়। এরপর তার আর কোন সন্ধ্যান পাওয়া যায়নি। সকালে পরিবারের লোকজন আত্মীয় স্বজনদের কাছে খোঁজ করেও তার কোন সন্ধ্যান পায়নি। দুইদিন পরে গতকাল শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১ টার দিকে নিহতের শশুর বাড়ির অদুরে ওয়াপদা রাস্তার পাশে মরদেহটি পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বেলা ১২ টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। নিহতের শরীরে আঘাতের বেশ কয়েকটি চিহ্ন পাওয়া গেছে এবং নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়েছে বলে জানান পুলিশ। পরে শুক্রবার রাতেই গৃহবধূর মা ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামীদের বিরুদ্ধে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর পরে স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি ও দেবরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। পরে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিকভাবে এই হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকায় শনিবার দুপুরে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।

তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম খান বলেন, গৃহবধুর মা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেন। সেখানে কোন আসামিদের নাম উল্লেখ করেনি। পরে সন্দেহভাজন হিসেবে স্বামী শ্বশুর-শাশুড়ি ও দেবরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে এই হত্যাকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ততা থাকায় ঐ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



চেক ডিজঅনার কেন হয়, টাকা পেতে যা করবেন

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

ব্যবসায়িক লেনদেন ছাড়াও নানা সময়ে চেকের মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ করা হয়ে থাকে। সেই চেক ব্যাংকে জমা দিয়ে নিজের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করা যায়। আবার কেউ চাইলে চেকের বিপরীতে নগদ টাকাও ব্যাংক থেকে নিতে পারেন। চেক ইস্যুর তারিখ থেকে ৬ মাসের মধ্যে ব্যাংকে জমা দিয়ে এই টাকা উত্তোলন করতে পারেন গ্রহীতা।

তবে অনেক সময় চেকের বিপরীতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। মূলত চেকে নামের মিল না থাকা, অ্যাকাউন্টধারীর অপর্যাপ্ত তহবিল, চেকের মেয়াদ উত্তীর্ণ, চেকে অ্যাকাউন্টধারীর স্বাক্ষরের মিল না থাকা কিংবা চেকে টাকার পরিমাণ অঙ্কে ও কথায় মিল না থাকার মতো কারণে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এটিকেই চেক ডিজঅনার বলা হয়ে থাকে।

অপর্যাপ্ত তহবিল বা অন্য কোনো যুক্তিসংগত কারণে যদি চেক ডিজঅনার হয়, সেক্ষেত্রে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কারণ উল্লেখ করে চেক জমাদানকারীকে একটি ডিজঅনার স্লিপ দেন। আর চেক ডিজঅনার হলে ১৮৮১ সালের হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইনের ১৩৮ ধারা অনুযায়ী মামলা করতে হয়। এই ধারায় দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড এবং চেকে উল্লেখিত টাকার ৩ গুণ অর্থ জরিমানা হতে পারে।

চেক ডিজঅনার হলে মামলার বিষয়ে ঢাকা জজ আদালতের আইনজীবী আলী হাসান জানান, আইনে তিন গুণ জরিমানার কথা থাকলেও বাস্তবে সাধারণত আদালত তিনগুণ টাকা জরিমানা করেন না। পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনা করেই দোষীকে জরিমানা করেন আদালত। আবার বিবাদী যদি স্বেচ্ছায় জরিমানার টাকা না দেয় তবে দেওয়ানি মোকদ্দমার মাধ্যমে টাকা আদায় করা যেতে পারে।

চেক ডিজঅনার হলে মামলার ক্ষেত্রে ব্যাংক থেকে প্রথমেই স্লিপ নিতে হবে। এরপর চেকের টাকা পরিশোধের জন্য ৩০ দিন সময় দিয়ে উকিল নোটিশ বা লিগ্যাল নোটিশ পাঠাতে হবে। বিবাদী ওই নোটিশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হলে পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে এখতিয়ারসম্পন্ন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করতে হবে।

এক্ষেত্রে মামলার সময় বাদীকে নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়াও চেক ডিজঅনারের স্লিপ, লিগ্যাল নোটিশের একটি করে ফটোকপি করে জমা দিতে হবে। সেই সঙ্গে মামলার সময় চেকের মূল কপি আদালতে প্রদর্শন করতে হবে। পাশাপাশি মামলার আবেদনের সঙ্গে প্রসেস ফি জমা দিতে হবে।

চেক ডিজঅনার মামলায় হাইকোর্টের ৫ নির্দেশনা

মামলা হওয়ার ৩ মাসের মধ্যে যদি চেক প্রদানকারী ব্যক্তি গ্রহীতাকে উল্লেখিত টাকা দিতে চান, সেক্ষেত্রে বিচারিক আদালত চেকে উল্লেখিত টাকা এবং মামলার যাবতীয় খরচ যোগ করে গ্রহীতাকে ক্ষতিপূরণ দেবেন।

চেক প্রদানকারী যদি মামলা হওয়ার ৩ মাস পর ও ৬ মাসের আগে গ্রহীতাকে উল্লেখিত টাকা পরিশোধ করতে চান, তবে চেকে উল্লেখিত টাকার সঙ্গে সমপরিমাণ টাকা মামলার খরচ হিসেবে জরিমানা দিতে হবে। অর্থাৎ চেকে উল্লেখিত টাকার দ্বিগুণ অর্থ গ্রহীতাকে দিতে হবে।

মামলা হওয়ার ৬ মাস পর ও এক বছরের আগে যদি চেক প্রদানকারী ব্যক্তি গ্রহীতাকে টাকা দিতে চান, সেক্ষেত্রে চেক প্রদানকারীকে চেকে উল্লেখিত টাকা ও উল্লেখিত টাকার আড়াইগুণ জরিমানা হিসেবে দিতে হবে।

চেক প্রদানকারী যদি মামলা হওয়ার এক বছর পর ও দুই বছরের আগে উল্লেখিত অর্থ গ্রহীতাকে দিতে চান, তবে চেকে উল্লেখিত টাকা ও এর তিন গুণ টাকা জরিমানা দিতে হবে।

মামলা হওয়ার দুই বছর পরও যদি চেক প্রদানকারী ব্যক্তি টাকা না দেন, তবে আদালত চেকে উল্লেখিত টাকার তিনগুণ জরিমানা ছাড়াও প্রয়োজন মনে করলে চেক প্রদানকারীকে এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডে দণ্ডিত করতে পারেন।


আরও খবর



বিস্ফোরক মামলায় বিএনপি নেতার আইনজীবী জেলা আ.লীগের সা. সম্পাদক

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নাজিরপুর (পিরোজপুর) প্রতিনিধি

Image

পিরোজপুরের নাজিরপুরে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া বিস্ফোরক মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী হয়ে আদালতে লড়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. কানাই লাল বিশ্বাস ও প্রচার সম্পাদক শহিদুল ইসলাম পান্না। 

সোমবার (১ এপ্রিল) জেলা দায়রা জজ মো. রফিকুল ইসলামের আদালতে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. মিজানুর রহমান দুলালসহ ১৯ নেতা-কর্মী জামিনের আবেদন করলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন।

এ সময় আসামিপক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের ওই দুই নেতাসহ আট আইনজীবী ছিলেন। বিস্ফোরক মামলার আসামিদের পক্ষে তারা কাজ করায় জেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন মহলে ব্যাপক আলোচনা তৈরি হয়েছে।

এ বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কানাই লাল বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।

অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট শ.ম হায়দার আলী জানান, ওই সময় তিনি আদালতেই উপস্থিত ছিলেন। তার সামনেই তারা (কানাই লাল বিশ্বাস ও শহিদুল ইসলাম পান্না) কাজ করেছেন।

উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও মামলার প্রধান আসামি মিজানুর রহমান দুলাল বলেন, আমাদের মামলায় প্রধান আইনজীবী হিসেবে জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও বিএনপি নেতা অ্যাড. আবু কালাম আকন এবং তাদের সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কানাই লাল বিশ্বাস ও প্রচার সম্পাদক শহিদুল ইসলাম পান্নাসহ আট আইনজীবী ছিলেন।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন নেন মিজানুর রহমান দুলালসহ অন্য আসামিরা।

জানা গেছে, গত ৯ নভেম্বর উপজেলার মাটিভাঙ্গা ইউনিয়নের তারাবুনিয়া গ্রামের ইউপি সদস্য ও যুবলীগ নেতা মো. কবির হোসেন বাদী হয়ে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়কসহ ৯০ জনকে নামীয় এবং ৭০-৮০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।

তার আগে ৭ নভেম্বর বিকেলে অভিযুক্তরা ওই এলাকার একটি পাকা রাস্তার ওপর বসে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের আট নেতা-কর্মীকে মারধরসহ তাদের সঙ্গে থাকা টাকা ও স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।


আরও খবর



চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন: ভোট শেষে গণ্ডগোলের শঙ্কা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

চলছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচন। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টা নাগাদ শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

এবারের নির্বাচনে গণ্ডগোলের আশঙ্কা রয়েছে বলে ধারণা করে আসছে বিজ্ঞমহল। ভোটের দিন ৫৭০ জন ভোটারের বিপরীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৪০০ সদস্যকে দেখা গেছে এফডিসি প্রাঙ্গণে।

শিল্পীরা একে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, এরপরও ভোটকেন্দ্রে কেন এত কড়াকড়ি নিরাপত্তা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও শিল্পীদের কেউই সাংবাদিকদের এ বিষয়ে যথাযথ উত্তর দিতে পারেননি। এমনকি সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার ও উৎসুক জনতার ভিড় সামলাতেও এবার বাড়তি সতর্কতা দেখা গেছে।

এবারের নির্বাচনে মুখোমুখি হয়েছে মিশা-ডিপজল ও কলি-নিপুণ প্যানেল। রয়েছে ৬ স্বতন্ত্র প্রার্থী। প্রকাশ্যে কোনো কাদা ছোড়াছুড়ি না হলেও সব পক্ষই বিপরীত দলকে চাপে রেখেছে। ইতোমধ্যেই ভোটারদের অর্থ প্রদানের অভিযোগ উঠেছে দুই সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ডিপজল ও নিপুণের বিরুদ্ধে। এই নির্বাচনে মূলত ডিপজল ও নিপুণই শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী। কেউই কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। দুজনের বিরুদ্ধেই ভোটারদের অর্থ প্রদানের অভিযোগ উঠেছে। তাই নির্বাচনের শীলত যুদ্ধ আপাতত এক-এক গোলে ড্র। কিন্তু ভোট শেষে এই সাম্য নাও থাকতে পারে। পরিস্থিতি পাল্টে যেতে পারে যে কোনো মুহূর্তে।

সূত্রের খবর, ভোট গননার সময় ঘটতে পারে অঘটন। দুই প্যানেলের মধ্যে গণ্ডগোলের আশঙ্কা রয়েছে। ফল প্রকাশ হতে মধ্যরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। গতরাতে ডিপজলের বিরুদ্ধে অর্থ প্রদানের অভিযোগ সামনে আসে। অন্যদিকে নিপুণও অর্থ দিয়েছেন এমন একটি কল রেকর্ড ফাঁস হয়। তখনই এফডিসি ও এর বাইরে অবস্থান নিয়েছিলেন অনেকেই। সরাসরি কিছু না বললেও প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু রয়েছেন চাপে। তবে নির্বাচন শেষে জায়েদ-নিপুণের মতো ডিপজল-নিপুণকেও সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে আদালতপাড়ায় যেতে হবে তা দিনের আলোর মতোই স্পষ্ট।

এর আগে ২০১৭ সালে মধ্যরাতে ভোট গণনার সময় এফডিসিতে শাকিব এলে তার ওপরে হামলা হয়েছিল। সে সময় নিজে নির্বাচন না করলেও ওমর সানীকে সভাপতি হিসেবে সমর্থন দিয়েছিলেন শাকিব।

মূলত শিল্পী সমিতির নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা পর থেকেই শুরু হয় তর্কবিতর্ক এবং অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ। এবারের নির্বাচনে শুরু থেকেই রাজনৈতিক প্রভাবও চলমান। দুই প্যানেল থেকেই গণমাধ্যমে বেশকিছু প্রার্থী এমন অভিযোগ জানিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রার্থী বলেন, এবারের নির্বাচনে শিল্পীদের পাশাপাশি রাজনৈতিক ব্যক্তিদের পরিচয় ও ক্ষমতা কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে অনেকেই। এরই মধ্যে বিএফডিসির বাইরে বিভিন্ন নেতার অফিসেও করা হয়েছে মিটিং, যা আমাদের মোটেও কাম্য ছিল না। অভিযোগ উঠেছে নিজেদের জয়ী করতে অনেকেই আবার কিনছে ভোট, দেখাচ্ছে ভয়-ভীতি।

এখন পর্যন্ত ভোটারদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠেনি এফডিসি। প্রচণ্ড গরম পড়ায় সকালের দিকে ভোটার সমাগম কম হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ভোটার বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

কার্যকরী পরিষদ সদস্য প্রার্থী পীরজাদা হারুন দুপুর ১২টার দিকে বলেছেন, গতবার এই সময়ে ভোট কাস্ট হয়েছিল ১৬০টি, এবার ১১টি।

এবারের নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে আছেন প্রযোজক নেতা খোরশেদ আলম খসরু। তার বিরুদ্ধেও নিপুণের জন্য সভাপতি প্রার্থী খোঁজার অভিযোগ উঠেছিল। খসরুর সঙ্গে সদস্য হিসেবে আছেন এজে রানা ও বিএইচ নিশান।

শিল্পী সমিতির নির্বাচনে মিশা-ডিপজল পরিষদের অন্য প্রার্থীরা হলেন সহসভাপতি মাসুম পারভেজ রুবেল ও ডিএ তায়েব; সহসাধারণ সম্পাদক আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ডন এবং কোষাধ্যক্ষ পদপ্রার্থী কমল।

এই প্যানেলে কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদে নির্বাচন করছেন খ্যাতিমান চিত্রনায়িকা সুচরিতা, রোজিনা, আলীরাজ, সুব্রত, দিলারা ইয়াসমিন, শাহনূর, নানা শাহ, রত্না কবির, চুন্নু, সাঞ্জু জন ও ফিরোজ মিয়া।

অন্যদিকে মাহমুদ কলি-নিপুণ প্যানেলের অন্য প্রার্থীরা হলেন- সহসভাপতি পদে ড্যানি সিডাক ও অমিত হাসান; সহসাধারণ সম্পাদক বাপ্পি চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক অঞ্জনা রহমান, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক মারুফ আকিব, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক কাবিলা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক মামনুন হাসান ইমন ও কোষাধ্যক্ষ পদে অভিনেতা আজাদ খান। এ প্যানেলে কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদে প্রার্থীরা হলেন- সুজাতা আজিম, নাদের চৌধুরী, পীরজাদা হারুন, পলি, জেসমিন আক্তার, তানভীর তনু, মো. সাইফুল, সাদিয়া মির্জা, সনি রহমান, হেলেনা জাহাঙ্গীর ও সাইফ খান।


আরও খবর



গরম কমাতে কী কী করেছেন, জানালেন চিফ হিট অফিসার

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গরমের তীব্রতা বাড়ায় শনিবার থেকে সারা দেশে চলছে তিন দিনের হিট অ্যালার্টের সতর্কতা। সোমবার সেটি আরও ৭২ ঘণ্টার জন্য বাড়ানো হয়েছে। তীব্র গরমে রাজধানী ঢাকাসহ গোটা দেশের মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। এমন পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক কারণেই প্রশ্ন উঠছে, কী করছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন?

এক বছর আগে দায়িত্ব নেওয়া বুশরা দেশের একটি টিভি চ্যানেলের মুখোমুখি হয়ে নিজের কাজ ও বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কথা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, সবাইকে একসাথে নিয়ে হিট মোকাবিলা করবো, এটাই আমার কাজ। তবে আমি স্বাধীনভাবে কাজ করছি না, আমাকে সিটি করপোরেশনের অধীনে কাজ করতে হচ্ছে। উত্তর ও দক্ষিণ সিটিতে প্রায় ৩০ মিলিয়নের বেশি মানুষের বসবাস, শহর খুব দ্রুত বড়ো হচ্ছে। পরিস্থিতিও খুব দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে, হিট নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে এখানে প্রচুর বিনিয়োগের প্রয়োজন।

অনুন্নত এলাকায় গরমের প্রকোপ বেশি জানিয়ে তিনি বলেন, গত বছর আমরা শহরের অনুন্নত অন্তত ১৫টি এলাকায় সবুজায়ন প্রোগ্রাম করেছি। যেখানে পাঁচ হাজারেরও বেশি বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে। পাশাপাশি তাদেরকে সবুজায়নের প্রয়োজনীয়তা নিয়েও সচেতনতা সৃষ্টির কাজ করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের আমরা বুঝিয়েছি, নিজে ও পরিবারের সদস্যদের কীভাবে তীব্র গরম থেকে বাঁচাতে পারবো।

গত বছর হিট মওসুমে নিয়োগ হওয়ায় তখন বেশি কাজ করতে পারেননি জানিয়ে বুশরা বলেন, কাজ শুরু করলে রাতারাতি পরিবর্তন হবে না। আস্তে আস্তে এই পরিবর্তনের ফল পাওয়া যাবে। তবে পরিকল্পনা তিনি নিজে বাস্তবায়ন করতে না পারায় সময় বেশি লাগছে বলে দাবি করেন তিনি। পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের বরাদ্দ পেলেও টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ করতে বেশি সময় লেগে যায়। এছাড়া আমলাতন্ত্রও কাজের ক্ষেত্রে বড় বাধা বলে জানান বুশরা।

চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন তীব্র গরম থেকে বাঁচতে জীবনযাত্রায় পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি চাইলেও একরাতে সব পরিবর্তন করে দিতে পারবো না। গরমে বেশি বেশি পানি পান ও শরীরের প্রতি নজর রাখতে হবে। যেহেতু এমন গরম আগে বাংলাদেশে ইতিহাসে হয়নি, তাই এই পরিস্থিতি মানিয়ে নিতে আগের অভ্যাস বাদ দিতে হবে।

মানুষকে সচেতন করতে একটি সহজ ভাষায় ছবি সম্বলিত বুকলেট প্রকাশের কাজ চলছে বলে জানান এই চিফ হিট অফিসার। তিনি বলেন, বিদ্যমান পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তন হবে, এমন প্রত্যাশা করা উচিত হবে না। আমি মনে করি, সব আলোচনাই ইতিবাচক। সমালোচনার দিকে নজর না দিয়ে কাজ করেই সময় পার করছেন বলেও জানান বুশরা আফরিন।

নিউজ ট্যাগ: বুশরা আফরিন

আরও খবর



গরুর দাম কোটি টাকা, কারণ 'বংশমর্যাদা'

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পুরোনো বাণিজ্য মেলা মাঠে অনুষ্ঠিত প্রাণিসম্পদ মেলায় নানা জাতের গরু নিয়ে হাজির হয়েছিল সাদিক এগ্রো। এর মধ্যে আমেরিকার ব্রাহামা জাতের একটি গরুর দাম হাঁকানো হয় এক কোটি টাকা। ১ হাজার ৩০০ কেজি ওজনের গরুটি দেখতে ভিড় করেন দর্শনার্থীরা।

গরুর দাম এত বেশি কেন জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির মালিক ইমরান হোসেন বলেন, গরুটির বংশমর্যাদার জন্য দাম বেশি। এই গরুটার বাবা, দাদা, দাদার বাবার পরিচয় আছে।

মেলার আকর্ষণ রোজু নামের গরুটির রং সাদার ওপর হালকা কালো শেড ছাপ ছাপ, ছোট শিং, নাকে নথ। গলায় স্বর্ণের আদলে তৈরি চেইনের সঙ্গে লকেট। গরুটি প্রতিপালনে মাসে ২৫ হাজার টাকা খরচ হয় বলে জানান ইমরান হোসেন।

তিনি বলেন, গরুটার দাম এক কোটি চাওয়া হচ্ছে, এটার অনেক কারণ আছে। এক নম্বর হচ্ছে- এই গরুটার ১১০ বছরের পেডিগ্রি (বংশ পরম্পরা) আছে। আরেকটা বড় কারণ হচ্ছে, এই গরুটার বাবা ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন ব্লাড লাইন। এটা হচ্ছে আমেরিকান ভিয়েট ল্যাঞ্চের নোবেল সিরিজ, ওদের সবচেয়ে বেস্ট সিরিজ এটা। এই জাতের গরু কম খাদ্য খেয়ে দ্রুত বড় হতে পারে। মাংস কিংবা ওজনের চিন্তা করে না বরং এটা বংশমর্যাদাপূর্ণ গরু। এর জন্যই দাম বেশি। গরুটি প্রতিপালনে মাসে ২৫ হাজার টাকা খরচ হয় বলেও জানান ইমরান হোসেন।

সাদিক এগ্রোর মালিক আরও বলেন, মেলায় আমরা গরু, ছাগল, উট, দুম্বা, ভেড়াসহ অনেক প্রাণি নিয়ে এসেছি। শুধু যে বেচাকেনা করার জন্য এনেছি সেটি নয়, অনেক প্রাণি আছে মানুষ দেখেনি, তাই নিয়ে আসা। আজকে যেসব বাচ্চারা আসছে, এরা অনেকেই হয়তো উট দেখেনি, আজ দেখতে পারবে। আমরা মনে করি, এটা আমাদের মেলার একটা অর্জন। এই প্রাণিগুলোর সঙ্গে আগামী প্রজন্মকে পরিচয় করিয়ে দেওয়াটাও আমাদের একটা লক্ষ্য।

এ ছাড়া সাদিক এগ্রোর আরেক কর্মকর্তা সৌরভ জানান, মেলা উপলক্ষে প্রায় ২৫ থেকে ৩০টি গরু, ৪টি ছাগল, ৫টি দুম্বা, ৭টি ভুট্টি গরু মেলায় প্রদর্শন করছে। একেকটি দুম্বা ৪ লাখ করে আর ভুট্টি জাতের গরু ২ লাখ ৫০ হাজার থেকে তিন লাখ টাকা দাম চাওয়া হচ্ছে।


আরও খবর