গরমের সময়ে
একটু মসলাযুক্ত রান্না খেলেই অনেকের পেটের সমস্যা দেখা দেয়। কারও কারও আবার সারা বছরই
হজমের সমস্যা থাকে। এছাড়াও গরমে হজমজনিত সমস্যায় বমি, জ্বর, আমাশয়সহ বিভিন্ন উপসর্গ
দেখা দিতে পারে। সাধারণত অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, অপরিষ্কার পানি, বিশেষ কোনও খাবার
সহ্য না হওয়া কিংবা ব্যাক্টেরিয়া-ছত্রাক সংক্রমিত খাবার থেকেই এসব সমস্যা দেখা দেয়।
খাদ্যে বিষক্রিয়ার শিকার হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তা না হলে বিপদের আশঙ্কা
থাকে।
বিশেষ কয়েকটি
খাবার নিয়ম করে খেলেই এই বিষক্রিয়া থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে পারেন। যেমন-
অ্যাপেল সিডার ভিনেগার: অ্যাপেল সিডার ভিনেগারে থাকা অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল গুণ পেটে সংক্রমণের
কমাতে সাহায্য করে। হালকা গরম পানিতে দুই চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে খান। দ্রুত
সুস্থ হয়ে উঠবেন।
কলা: পটাশিয়াম ও
ফাইবারে ভরপুর কলাও খাদ্য বিষক্রিয়া কমাতে দারুণ উপকারী। এই সময়ে দিনে দু’থেকে তিনটি কলা খেতে পারেন।
তুলসি পাতা: রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এই পাতার জুড়ি নেই। খাদ্য বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হলে প্রতিদিন
সকালে খালি পেটে কয়েকটি তুলসি পাতা ও দুটি এলাচ চিবিয়ে খেয়ে নিন। এতে সংক্রমণ কমবে।
জিরা: পেটের যে কোনও
সমস্যা দূর করতে জিরার কোনও জুড়ি নেই। খাদ্যে বিষক্রিয়া হলে পেটে অস্বস্তি হয়। এ ক্ষেত্রে
পাকস্থলির সংক্রমণ কমাতে একটা পাত্রে পানি নিয়ে তাতে জিরা, ধনেপাতার রস এবং অল্প লবণ
মিশিয়ে বেশ কিছু ক্ষণ ফুটিয়ে নিন। হালকা ঠান্ডা হলে খেয়ে ফেলুন। এতে পেটের যন্ত্রণা
দূর হবে। সেই সঙ্গে ব্যাক্টেরিয়াগুলিও ধ্বংস হবে।
রসুন: রসুনের অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল
ও অ্যান্টিফাংগাল গুণ রয়েছে। প্রতিদিন খালি পেটে এক কোয়া রসুন খেলে টক্সিন পদার্থগুলি
শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। পেটের অসুখ হলেও রসুন খেতে পারেন। খালি রসুন খেতে না পারলে এক
চা চামচ মধু মিশিয়েও খেতে পারেন। এতে সংক্রমণের হাত থেকে রেহাই পাবেন।