আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

গ্রামীণফোন ব্যবহারকারীদের জন্য দুঃসংবাদ

প্রকাশিত:শনিবার ০২ জুলাই 2০২2 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ জুলাই 2০২2 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ব্যবহারকারীদের দুঃসংবাদ দিয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল অপারেটর কোম্পানি গ্রামীণফোন। এখন থেকে গ্রামীণফোনে ২০ টাকার কম রিচার্জ (ফ্লেক্সিলোড) করা যাবে না। এর আগে মোবাইল রিচার্জের সর্বনিম্ন লিমিট ছিল ১০ টাকা। তবে গ্রাহকরা ১৪ টাকা ও ১৬ টাকার মিনিট প্যাকেজগুলো কিনতে পারবেন। শুক্রবার এসএমএস বার্তায় ব্যবহারকারীদের এ তথ্য জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

২০ টাকা রিচার্জ করলে ৩০ দিনের মেয়াদ পাওয়া যাবে। এর আগে ১০ টাকা রিচার্জেও ৩০ দিন মেয়াদ পাওয়া যেত। ২০ টাকার কম রিচার্জ না করা গেলেও গ্রামীণফোনের ৯ টাকা, ১০ টাকা ও ১৯ টাকার স্ক্র্যাচ কার্ডগুলো আগের মতই ব্যবহার করা যাবে।তবে জিপি থেকে জিপি নাম্বারে সর্বনিম্ন ১০ টাকা ব্যালেন্স ট্রান্সফার করা যাবে।

সম্প্রতি ভয়েস কল-ইন্টারনেট ব্যবহারে গ্রাহকদের মানসম্মত সেবা দিতে না পারায় গ্রামীণফোনের সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। গত বুধবার এ সংক্রান্ত নির্দেশনা গ্রামীণফোনের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত গ্রামীণফোন নতুন কোনো সিম বিক্রি করতে পারবে না বলেও নির্দেশনায় জানানো হয়েছে।

এদিকে গ্রামীণফোনের কাছে (অডিট আপত্তির) সরকারের বকেয়া টাকার পরিমাণ ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৪ লাখ ৭৬ হাজার ১৩৫ টাকা। এর মধ্যে পরিশোধ করেছে ২ হাজার কোটি টাকা। বর্তমানে বকেয়ার পরিমাণ ১০ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৪ লাখ ৭৬ হাজার ১৩৫ টাকা।

নিউজ ট্যাগ: গ্রামীণফোন

আরও খবর



ঢাকাসহ ৫ বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এছাড়া চাঁদপুর ও মৌলভীবাজার জেলাসহ ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর ও বরিশাল বিভাগ এবং খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে যে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে তা অব্যাহত থাকতে পারে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

শুক্রবার (৩ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক জানান, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও বাগেরহাট জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। চাঁদপুর ও মৌলভীবাজার জেলাসহ ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর ও বরিশাল বিভাগ এবং খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের যে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

শনিবার (৪ মে) সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

তিনি আরও জানান, সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।


আরও খবর
বৃষ্টির পর আসছে হিট ওয়েভ

শনিবার ১৮ মে ২০২৪




‘বাস মালিকদের সুবিধা দিতে রেলের ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে’

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাস মালিকদের বিশেষ সুবিধা দিতে রেয়াত সুবিধা প্রত্যাহারের নামে বাসের চেয়ে রেলের ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

আজ মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে যাত্রী কল্যাণ সমিতি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সংগঠনের মহাসচিব মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

লিখিত বক্তব্যে মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, রেলের রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার করে সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি যাত্রী কল্যাণ সমিতি পর্যবেক্ষণ করে নিম্নে ৫টি রুটের বাস এবং রেলের ভাড়া ও সময়ে তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে, এতে দেখা গেছে

১। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম তূর্ণা নিশিতা ট্রেনে শোভন চেয়ারের আগের ভাড়া ছিল ৩৪৫ টাকা। এখন রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহারের পর ৪০৫ টাকা। এই টিকিট কালোবাজারির কাছ থেকে যাত্রীদের কিনতে হয় ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায়। ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে লোকাল বাসের ভাড়া ৪০০ টাকা, ডাইরেক্ট বাসের ভাড়া ৬৮০ টাকা। ঢাকা চট্টগ্রাম তূর্ণা নিশিতা ট্রেনে এসি চেয়ারে আগের ভাড়া ছিল ৬৫৬ টাকা রেয়াত প্রত্যাহারের পরে এখন ৭৭৭ টাকা। এই টিকিট কালোবাজারির কাছ থেকে কিনতে হয় ১০০০ থেকে ১২০০ টাকায়। অথচ এই রুটে এসি বাসের ভাড়া ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা। ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে বাসে যেতে সময় লাগে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা, ট্রেনে সময় লাগে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা।

২। ঢাকা খুলনা রুটে ট্রেনের শোভন চেয়ারে ৫০০ টাকার ভাড়া এখন ৬২৫ টাকা। অথচ এই রুটে বাসে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায় যাতায়াত করেন যাত্রীরা। এই রুটে ট্রেনে এসি চেয়ার ৯৫৫ টাকার টিকিট এখন ১১৯৬ টাকা যা কালোবাজারির কাছ থেকে ১৫০০ টাকায় কিনতে হয়। অথচ ঢাকা-খুলনা রুটে বিলাসবহুল এসি বাসের ভাড়া মাত্র ৯০০ টাকা।

৩। ঢাকা-রংপুর রুটে ট্রেনের শোভন চেয়ার ৫০৫ টাকা টিকিট এখন ৬৩৫ টাকা যা কালোবাজারির কাছ থেকে কিনতে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা লাগে। ঢাকা রংপুর রুটে লোকাল বাসের ভাড়া ৪০০/৫০০ টাকা, ডাইরেক্ট বাসের ভাড়া ৮০০ টাকা। এই রুটে ট্রেনের এসি চেয়ার ৯৬৬ টাকার টিকিট এখন ১২১৪ টাকা যা কালোবাজারির কাছ থেকে কিনতে লাগে ১৫০০ টাকায়। এই রুটে বিলাসবহুল বাসের এসি টিকিট ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকায় পাওয়া যায়। ঢাকা রংপুর ট্রেনের এসি বার্থ ২১৮০ টাকা যা কালোবাজারে কিনতে ৩০০০ টাকা লাগে অথচ বিলাসবহুল বাসে এই রুটে এসি স্লিপার ১৬০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। এই রুটে বাসে যেতে সময় লাগে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা, ট্রেনে সময় লাগে ১০ থেকে ১১ ঘণ্টা।

৪। ঢাকা-কুড়িগ্রাম রুটে ট্রেনের ৫১০ টাকার শোভন চেয়ার টিকিট এখন ৬৪৫ টাকা যা কালোবাজারে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকায় কিনতে হয়। অথচ এই রুটে ৬০০ থেকে ৯০০ টাকার উন্নতমানের বাসে যাওয়া যায়। এই রুটে ট্রেনের এসি চেয়ার ৯৭২ টাকার টিকিট এখন ১২৩৭ টাকা যা কালোবাজারির কাছ থেকে ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকায় কিনতে হয়। অথচ বিলাসবহুল এসি বাসের টিকিট ১২০০ টাকায় পাওয়া যায়।

৫। ঢাকা-পঞ্চগড় রুটে এসি বার্থ এর মূল্য ২৪০০ টাকা। এই রুটে বিলাস বহুলবাসে এসি স্লিপারের ভাড়া ১৮০০ টাকা।


আরও খবর
বাবর আলীর এভারেস্ট জয়

রবিবার ১৯ মে ২০২৪




১৫৩ রোহিঙ্গার ভুয়া জন্ম নিবন্ধন, ইউপি চেয়ারম্যান সাময়িক বরখাস্ত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

Image

মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার ১নং ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে ১৫৩ রোহিঙ্গার ভুয়া জন্ম নিবন্ধন তৈরির প্রক্রিয়ায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকালে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ২৪ এপ্রিল সিনিয়র সহকারী সচিব এ কে এম আনিছুজ্জামানের স্বাক্ষারিত প্রজ্ঞাপনে উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাসকে বরখাস্তের এই আদেশ দেওয়া হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মৌলভীবাজা জেলার রাজনগর উপজেলার ১নং ফতেপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান (নিবন্ধক) নকুল চন্দ্র দাস অসৎ উদ্দেশ্যে রোহিঙ্গাদের জন্ম নিবন্ধন তৈরির জন্য স্থানীয় সরকার আইন, ২০০৯ অনুযায়ী রেজিস্ট্রার জেনারেল, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করেন। যেহেতু ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তার দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন নয় মর্মে সরকার মনে করে, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কর্তৃক সংঘটিত অপরাধমূলক কার্যক্রম ইউনিয়ন পরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থী বিবেচনায় আইন অনুযায়ী ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে স্বীয় পদ হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব এ কে এম আনিছুজ্জামান বলেন, আমরা রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছ থেকে তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর ওই ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে বরখাস্ত করি।

রাজনগর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাস বলেন, সার্ভার হ্যাক হয়ে ভুয়া নিবন্ধন করা হয়েছে। এসব নিবন্ধনে আমাদের স্বাক্ষর নেই। মন্ত্রণালয় থেকে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে আমার জানা নেই।

জানা যায়, গত ১৮ সেপ্টেম্বর শরীয়তপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে আসিয়া বিবি (২৭) নামে একজন রোহিঙ্গা নারী পাসপোর্ট করতে গিয়ে কর্তৃপক্ষের হাতে আটক হন। তার আইডি কার্ড না থাকায় জন্মনিবন্ধন দিয়ে পাসপোর্ট করতে যান তিনি। আসিয়া আক্তার যে নিবন্ধন দিয়ে পাসপোর্ট করতে গিয়েছিলেন সেটি রাজনগর উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়ন থেকে নিবন্ধিত, যা গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর ইউনিয়ন কার্যালয় থেকে নিবন্ধিত হয়েছে।

আটক ওই নারী কক্সবাজারের টেকনাফ থানার আলী যোহার ও আম্বিয়া খাতুন দম্পতির মেয়ে বলে জানিয়েছেন। বিষয়টি যাচাই করার জন্য ওই সময় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠালে ইউএনও ফতেহপুর ইউনিয়নের সচিব পাপড়ি দত্তকে কার্যালয়ে ডেকে আনেন। পরে ওই ইউনিয়নের জন্মনিবন্ধনের আইডি নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়। ওই সময় কয়েক শ’ রোহিঙ্গা নিবন্ধন হয়েছে বলে ধারণা করেন সংশ্লিষ্টরা। যাচাই করে ওই সময় ইউএনও দেখতে পান ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৫৩টি ভুয়া নিবন্ধন হয়েছে। তারা সবাই রোহিঙ্গা হিসেবে সন্দেহ করেন। এ ব্যাপারে ফতেহপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাস রাজনগর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।


আরও খবর



বিএনপি একটা জালিয়ত রাজনৈতিক দল: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

বিএনপি একটা জালিয়ত রাজনৈতিক দল উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আপনাদের মনে আছে গতবছর ২৮ অক্টোবর জো বাইডেনের ভুয়া উপদেষ্ঠাকে বিএনপি হাজির করেছিল। ভুয়া উপদেষ্ঠা যখন বিএনপি কার্যালয়ে, তখন দেখি শুধু ইংরেজি বলে। পুলিশ যখন ধরে নিয়ে গেল তখন দেখি গড়গড়াইয়া বাংলা বলে।

তিনি বলেন, তার আগে বিএনপি কংগ্রেসম্যানদের সই জাল করেছিল। সেই সময়ে বলেছিল ভারতের অমিত শাহ ফোন করেছিল। অমিত শাহর অফিস থেকে বলা হলো তিনি কাউকে ফোন করেননি, যে আওয়াজ ছাড়া হয়েছিল সেটা অমিত শাহর নয়। দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি দেখে বিএনপি ও তাদের দোসরদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। মাঝেমধ্যে দেখি জিএম কাদেরেরও মাথা খারাপ হয়ে যায়।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর কাজীর দেউড়িস্থ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন হলে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচনের আগে আমরা দেখেছি বিএনপি প্রতিদিন বিভিন্ন এম্বেসিতে ঘুরে বেড়াত। আর দেন দরবার করত, নির্বাচনটা যাতে বন্ধ করা যায়, কোন লাভ হয় নাই। নির্বাচন হয়েছে, ৪২ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছে। যদি নির্বাচনের দিন কুয়াশা এবং প্রচন্ড ঠান্ডা না থাকত তাহলে আরো বেশি মানুষ ভোট দিত। আর বিএনপি যদি নির্বাচন প্রতিহতের ঘোষণা, মানুষের উপর হামলা, ট্রেনের মধ্যে শিশুসন্তানসহ পুরো পরিবারকে জ্বালিয়ে হত্যা না করত তাহলে ভোটের হার ৬০ শতাংশের বেশি হত। গত দুতিন বছরে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত অনেক দেশে নির্বাচন হয়েছে, সেখানে অনেক দেশে ৪০ শতাংশের কম ভোট পড়েছে। যদিওবা সেখানে নির্বাচনে বর্জন ও প্রতিহতের কোন হুমকি ছিলনা।   

তিনি বলেন, বাংলাদেশে অত্যন্ত চমৎকার নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচন যদি চমৎকার না হত তাহলে পৃথিবীর ৮০টা দেশের সরকার কিংবা রাষ্ট্র প্রধান আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাতেন না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট চিঠি লিখে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, আমরা বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই। সর্বশেষ দুদিন আগে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীও আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছে। এজন্য বিএনপির মাথা খারাপ। সম্ভবত সেজন্য বিএনপি নেতা ড. মঈন খান ইদানিং জ্যোতিষীর মতো কথা বলছেন।

বয়সে সিনিয়র বিএনপি নেতা ড. মঈন খানের প্রতি সম্মান রেখে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, তিনি রাজনীতির বাইরে এখন জ্যোতিষীর দায়িত্বও পালন করা শুরু করেছেন। বঙ্গবন্ধু যখন দেশ পরিচালনা করছিলেন তখন মঈন খানের বাবা আবদুল মোমেন খান খাদ্য সচিব ছিলেন। খাদ্যবাহী জাহাজ ভারত মহাসাগর থেকে ফেরত যাবার পেছনে তার বাবার কারসাজি ছিল, যাতে দেশে খাদ্য সঙ্কট তৈরী হয়। খাদ্য সঙ্কট তৈরী করে বঙ্গবন্ধুকে অজনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে আবদুল মোমেন খানের ভুমিকা ছিল। সেটির পুরস্কার স্বরূপ জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করার পর আবদুল মোমেন খানকে মন্ত্রীর মর্যাদায় খাদ্য উপদেষ্ঠা বানিয়েছিলেন। ৭৯ সালের নির্বাচনের পর আবদুল মোমেন খান সংসদে খাদ্য মন্ত্রী হিসেবে বক্তব্যে বলেছিল খাদ্যের জন্য দরকার হলে দেশ বিক্রি করে দিব। ওনারই সন্তান মঈন খান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহকারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসেছিলেন, তারা বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্যই এই সফরে এসেছিলেন। এবং আমার সাথে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে কিভাবে সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাব, সেটি নিয়ে তিনি কথা বলেছেন। এমনকি আমরা যদি কোন কোন ক্ষেত্রে কিছু রিফর্ম করি তাহলে আমাদেরকে জিএসপি সুবিধাও ফিরিয়ে দেয়ার অভিপ্রায়ও তারা ব্যক্ত করেছেন। একইসাথে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা থেকে কাটিয়ে উঠার লক্ষ্যে তাদের একটি বিশেষ তহবিল আছে। সেখান থেকে তারা সাহার্য্য করার কথাও বলেছেন। সুতরাং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। আমরা সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যেই কাজ করছি। এজন্যই বিএনপির মাথাটা বেশি খারাপ।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে, বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঘটাতে হলে, জননেত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প একমাত্র শেখ হাসিনা, এইদেশে আর কোন বিকল্প নাই। তিনি জাতিকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন ডিজিটাল বাংলাদেশের। এবং সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঘটেছে। ২০১৮ সালে আমাদের স্লোগান ছিল আমার গ্রাম আমার শহর। আজকে গ্রামগুলো শহরেরমত হয়ে গেছে, গ্রাম আর শহরের মধ্যে কোন পার্থক্য নাই।

তিনি বলেন, এবার আমরা স্লোগান দিয়েছি স্মার্ট বাংলাদেশ। স্মার্ট বাংলাদেশ বলতে, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নেন্স এবং স্মার্ট পিপলস। এই চারটি অনুসঙ্গকে আমরা সাথে নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ রচনা করতে চাই। ইনশাল্লাহ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এই অভিযাত্রায়ও বিজয়ী হব। কিন্তু আমাদের অভিযাত্রাকে আটকে দিতে চান বিএনপি এবং তাদের দোসররা। সেই কারণেই নানা ষড়যন্ত্র।

মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এডভোকেট ইব্রাহীম হোসেন চৌধুরী বাবুল, আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু , সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য শফিক আদনান, শফিকুল ইসলাম ফারুক, এডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান প্রমুখ।

এরপর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে চট্টগ্রাম নগরীর কদম মোবারক এতিমখানায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ উপ কমিটির উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সুবিধা বঞ্চিতদের মাঝে সুষম খাবার বিতরণ করেন। আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগর সহ সভাপতি শাহজাদা মহিউদ্দিন প্রমুখ।


আরও খবর



বাড়ছে লবণাক্ততা, কয়রায় সুপেয় পানির সংকট

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
তারিক লিটু, কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি

Image

সুন্দরবন ঘেষা কয়রা উপজেলার চারিদিকে নদ-নদীতে অথৈ পানি থাকার পরেও বিশুদ্ধ পানির তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে এই এলাকার জনসাধারণ বাধ্য হয়ে স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে অনেকেই অতিমাত্রায় লবণ ও কাঁদাযুক্ত পুকুরের পানি পান করে আক্রান্ত হচ্ছেন ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন পানিবাহিত জটিল রোগে।

লোনা পানিতে উপকূলের মানুষের জীবনটাই যেন লোনা হয়ে গেছে। পানি যখন সুপেয় না হয়, তখন তা হয়ে ওঠে নানা অসুখ, নানাবিধ স্বাস্থ্য সমস্যাসহ মরণেরও কারণ। এখানে শুধু সুপেয় পানির অভাব এমনটাই নয়, পানিশূন্যতা, লবণাক্তসহ নানা চর্মরোগসহ দূর থেকে পানি আনায় শারীরিক বিভিন্ন ঝুঁকিও আছে, বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে।

কয়রা উপজেলার সুন্দরবনসংলগ্ন কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, এসব জনপদের চারদিকে পানি থাকলেও তা লবণাক্ত। বেশির ভাগ নারী লবণ পানিতে গোসল ও গৃহস্থালির কাজ সারছেন। এক কলসি পানি সংগ্রহের জন্যে নারী-পুরুষ আর শিশুদের ছুটতে হয় সেই সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত।

মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের তেঁতুলতলা গ্রামের বাসিন্দা সেলিম হোসেন বলেন, আমাদের এলাকায় কোনো টিউবওয়েল বসানো যায় না। তারপরও যা আছে তা দিয়ে লবণ পানি ওঠে। দীর্ঘদিন বৃষ্টি পানিও ধরে রাখা যায় না, পানি নষ্ট হয়ে যায়। এসব পানি খেলে বিভিন্ন রোগ দেখা দেয়। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পরে।

২০২১ সালে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) এক জরিপে দেশের উপকূলীয় মানুষের নিরাপদ খাওয়ার পানির দুর্দশার কথা তুলে ধরা হয়। জরিপে দেখা যায়, উপকূলীয় এলাকার ৭৩ শতাংশ মানুষকে অনিরাপদ লবণাক্ত পানি পান করতে হয়।

কয়রা জনস্বাস্থ্য বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, উপজেলার অধিকাংশ মানুষ বৃষ্টির পানির ওপর নির্ভর করে। চলতি মৌসুমে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে পুকুর ও জলাধার শুকিয়ে গেছে। এতে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় অধিকাংশ নলকূপে পানি কম উঠছে। ফলে সংকট বেড়েছে।

কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, বাধ্য হয়ে উপকূলের মানুষ পুকুরের পানি পান করে এ কারণে ডায়রিয়া, আমাশয়, পেটের পীড়া ও চর্মরোগ নিয়ে অনেকে হাসপাতালে আসে। লবণাক্ত পানি পানের মাধ্যমে অতিরিক্ত সোডিয়াম ক্লোরাইড গ্রহণ করছে উপকূলের মানুষ, যা তাদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করছে। লবণাক্ত পানি পানের কারণে গর্ভবতী নারীদের কিডনি ও যকৃৎ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

খুলনার কয়রা-পাইকগাছার সংসদ সদস্য রশীদুজ্জামান বলেন, বছরের পর বছর লোনাপানি আটকে চিংড়ি চাষের কারণে মিঠাপানির পুকুরগুলোর অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সয়েল, ওয়াটার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. শেখ মোতাসিম বিল্লাহ মনে করেন, উপকূলের সুপেয় পানির চাহিদা মেটাতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কোটি কোটি টাকা ব্যয় করলেও অপরিকল্পিত আর দায়সারা কাজে দীর্ঘমেয়াদি সুফল মিলছে না।


আরও খবর