প্রেমিকাকে না জানিয়ে বিয়ে করায় প্রেমিকের বাসায় গিয়ে গলায় ফাঁস
দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। এ বিষয়ে প্রেমিকের বিরুদ্ধে
আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে ভুক্তভোগীর পরিবার।
বুধবার (০৫ অক্টোবর) দুপুরে আশুলিয়ার ডেন্ডাবর এলাকায় প্রেমিকের ফ্ল্যাটে গিয়ে
আত্মহত্যা করেন ওই শিক্ষার্থী। প্রেমিককে আটক করে থানায় এনেছে আশুলিয়া থানা-পুলিশ।
আটক প্রেমিক হলেন—ঢাকার দোহার থানার রাধানগর গ্রামের মো. ওমর আলীর
ছেলে মো. ফিরোজ আলম (৩১)। তিনি পেশায় একজন চিকিৎসক। স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় মেডিকেল
অফিসার হিসেবে তিনি কাজ করতেন। গত ৬ মাস আগে আরেক চিকিৎসককে বিয়ে করেন তিনি।
পুলিশ জানায়, প্রেমিক বিয়ে করেছে জানতে পেরে তার ফ্ল্যাটে গিয়ে হাজির
হন প্রেমিকা। মীমকে ঘরে রেখেই বারান্দায় স্ত্রীর সঙ্গে মোবাইলে কথা বলতে যান ফিরোজ।
পরে বারান্দার দরজা ঘরের ভেতর থেকে আটকে নিজের ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে ফ্যানের সঙ্গে
ঝুলে পড়েন মীম। বারান্দা থেকে ফিরোজ এ ঘটনা দেখতে থাকেন। সে চিৎকার চেঁচামেচি করলেও
মীম থামেনি। পরে ফোনে পুলিশকে জানালে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে এবং প্রেমিককে বারান্দা
থেকে বের করে।
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ঘটনাস্থল থেকে
মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। চিকিৎসক প্রেমিককে আটক করে থানায়
আনা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থীর ভাই বাদী হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনার দায়ে
ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবেন। মামলার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।