আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

গোপালগঞ্জ জেলা সমিতি ঢাকা এর উদ্যোগ জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ আগস্ট ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

গোপালগঞ্জ জেলা সমিতি ঢাকা কর্তৃক সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার সকাল দশটায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এম.পি।

অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গোপালগঞ্জ জেলা সমিতি ঢাকা'র সম্মানিত সভাপতি শেখ কবির হোসেন।

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান এম.পি, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন গোপালগঞ্জ জেলা সমিতি ঢাকার প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট মোল্লা মোহাম্মাদ আবু কাওছার। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন গোপালগঞ্জ জেলা সমিতি ঢাকা সাধারণ সম্পাদক শ্রী শৈলেন্দ্র নাথ মজুমদার।

অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, টুঙ্গিপাড়া এমন এক অজপাড়াগাঁ যেখান থেকে এক সময় গোপালগঞ্জে যেতে দশ থেকে পনের ঘণ্টা লাগত। সেই টুঙ্গিপাড়ায় চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন আমাদের প্রিয় নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যিনি একটি দেশ আমাদের উপহার দিয়েছেন। এই মহান মানুষকে ষড়যন্ত্রকারীরা নিষ্ঠুরভাবে মেরে ফেলে। তাঁকে জানাযা ছাড়াই কবরস্থ করতে চেয়েছিল খুনীরা। খুনীরা বঙ্গবন্ধুর কফিনকে জানাযা ছাড়াই দাফন করতে গেলে মওলানা হামিদ তা হতে দেন নি। এরপর বঙ্গবন্ধুকে ৫৭০ সাবান দিয়ে গোসল করিয়ে মার্কিন থান কাপড় পরিয়ে কবর দেয়া হয়।

তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ১৬ আগস্ট এক বিদেশী সাংবাদিক বলেছিলন, এই বঙ্গবন্ধুই একদিন বাংলাদেশে স্বমহিমায় ভাস্মর হবেন। শুধু বাংলাদেশেই নয় সারা বিশ্বের মানুষ বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা করবে। আজকে সেই সাংবাদিকের কথা প্রমাণ হয়েছে। সারাবিশ্ব বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে আসছে।

অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু মাত্র ৫৫ বছরের জীবনের মধ্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য ১৪ বছর জেল খেটেছিলেন । তিনি এসময়ে যে কদিন বাইরে ছিলেন সেসময় ভাষা আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন। ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট জয়ী হলে বঙ্গবন্ধু কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। দলকে সুসংগঠিত করার জন্য মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ করেন। দক্ষ সংগঠক হিসেবে বাঙালির কান্ডারি হিসেবে ১৯৬৬ সালে ছয় দফা ঘোষণার মাধ্যমে পরোক্ষভাবে তখনই বাংলাদেশের স্বাধীনতাই ঘোষণা করেন।


আরও খবর



নির্বাচনে জয়লাভের পর ফের পরমাণু যুদ্ধের হুঁশিয়ারি পুতিনের

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় লাভের পর ফের পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে পশ্চিমাদের সতর্ক করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

পুতিন বলেন, রাশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্টের নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোটের মধ্যে সরাসরি সংঘাতের অর্থ– পৃথিবী তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ থেকে মাত্র এক ধাপ দূরে।’ তবে এমন দৃশ্যপট কেউই চায় না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ইউক্রেন যুদ্ধ ১৯৬২ সালের ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের পর পশ্চিমাদের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক গভীর সংকটে নিমজ্জিত করেছে। পুতিন একাধিকবার পারমাণবিক যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তবে ইউক্রেনে তিনি পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন না বলেও মন্তব্য করেছেন।

ফ্রান্সের প্রসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁন গতমাসে ইউক্রেনে পদাতিক বাহিনী মোতায়েন করার সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেছিলেন। যদিও অধিকাংশ পশ্চিমা মিত্র ম্যাক্রঁনের সঙ্গে একমত হননি।

রয়টার্স এ নিয়ে পুতিনের কাছে মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি পরমাণু যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। পুতিন বলেছিলেন, আধুনিক বিশ্বে সবই সম্ভব।’ অর্থাৎ পশ্চিমারা ইউক্রেনে সরাসরি সেনা মোতায়েন করলে রাশিয়া তার কাছে থাকা পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করবে।

গত শুক্রবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। রবিবার সবশেষ দেশটির সবচেয়ে পশ্চিমে বাল্টিক সাগরের তীরে কালিনিনগ্রাদ অঞ্চলে ভোটগ্রহণ হয়। এরপর বুথ ফেরত জরিপের ফল প্রকাশ করে রাশিয়ার সরকারি জরিপ সংস্থা ভিটিএসআইওএম।

জরিপ অনুযায়ী, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৮৭ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পেয়ে জয় পেয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণার আগে এ জরিপ করা হয়।


আরও খবর



প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আরও এক ধাপ এগোলেন ট্রাম্প

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান প্রার্থী নির্বাচনে আরও তিনটি রাজ্যে জয়ী হয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই জয়ে রিপাবলিকান দলের মনোনয়ন দৌড়ে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলেন ট্রাম্প। রবিবার (০৩ মার্চ) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

শনিবার রিপাবলিকান প্রাথমিক প্রার্থী বাছাইয়ের লড়াইয়ে আইডাহো, মিসৌরি এবং মিশিগান রাজ্যে জয় পেয়েছেন ট্রাম্প। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী জাতিসংঘের সাবেক রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালিকে সহজেই হারিয়েছেন তিনি।

মিশিগানে ৩৯, মিসৌরিতে ৫৪ এবং  আইডাহোতে ৩২ জন প্রতিনিধি জিতেছেন ট্রাম্প। মিশিগান ককাসে জয়লাভকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হয়। আর এই মিশিগানে ১৩টি জেলায় জয়লাভ করেছেন তিনি। এর ফলে প্রতিদ্বন্দ্বী হ্যালির ২৪ প্রতিনিধির বিপরীতে তার প্রতিনিধির সংখ্যা দাঁড়াল ২৪৭ এ। রিপাবলিকান মনোনয়ন পেতে একজন প্রার্থীকে এক হাজার ২১৫ প্রতিনিধি নিশ্চিত করতে হবে।

প্রতিনিধিরা হলেন এমন ব্যক্তি যারা নিজ নিজ দলের জাতীয় অধিবেশনে নিজ রাজ্য বা জেলার প্রতিনিধিত্ব করেন এবং পরবর্তী প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কে হবেন, সেটা তারাই সিদ্ধান্ত নেন। ট্রাম্পের বিজয়টি এলো ৫ মার্চের সুপার টুইসডের ঠিক আগে।

ফলে এখন সবাই তাকিয়ে আছে মঙ্গলবারের সুপার টুইসডের দিকে। রিপাবলিকান পার্টি থেকে মনোনয়ন নিশ্চিত করার বিষয়টি সুপার টুইসডের ওপর নির্ভর করছে।

এদিন ক্যালিফোর্নিয়া, আলাবামা, আলাস্কা, নর্থ ক্যারোলাইনা, টেনেসি, টেক্সাস, ম্যাসাচুসেটসসহ ১৬টি রাজ্যে রিপাবলিকান দলের প্রাথমিক বাছাই হবে। এই ১৬ রাজ্যের মধ্যে আবার নর্থ ক্যারোলাইনা সুইং স্টেট বা দোদুল্যমান রাজ্য হিসেবে পরিচিত।

একাধিক রাজ্যে বাছাই অনুষ্ঠিত হয় বলে দিনটিকে মার্কিন নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সুপার টুইসডে হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। তাই নভেম্বরের নির্বাচনে হোয়াইট হাউসে যাওয়ার লড়াইয়ে সুপার টুইসডে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এদিন ৮৫৪ জন রিপাবলিকান প্রতিনিধির ভোট পেতে লড়াই করবেন প্রার্থীরা।

জিতে গেলে, ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট লড়াইয়ে ডেমোক্রেটিক পার্টির জো বাইডেনের মুখোমুখি হবেন ট্রাম্প।


আরও খবর



সর্বজনীন পেনশন স্কিমে যুক্ত হলো ‘প্রত্যয় স্কিম’

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

সর্বজনীন পেনশনে প্রত্যয় নামে নতুন স্কিম চালু করা হয়েছে। সব স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীন অঙ্গ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ স্কিম নিতে পারবেন। আজ বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৪ সালের ১৩ মার্চ প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সব স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা ও তাদের অধীন অঙ্গ-প্রতিষ্ঠানগুলোর চাকরিতে যেসব কর্মকর্তা বা কর্মচারী চলতি বছরের ১ জুলাই ও তার পরে নতুন যোগদান করবেন, তাদের সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইনের অন্তর্ভুক্ত করেছে সরকার।

এছাড়া এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য প্রত্যয় স্কিমের রূপরেখাও ঘোষণা করা হয়েছে ওই প্রজ্ঞাপনে। প্রত্যয় স্কিম চালুর ফলে এসব প্রতিষ্ঠানের বিদ্যমান কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিদ্যমান পেনশন/আনুতোষিক সুবিধা অক্ষুণ্ন থাকবে। তবে যাদের ন্যূনতম ১০ বছর চাকরি অবশিষ্ট আছে তারা আগ্রহ প্রকাশ করলে প্রত্যয় স্কিমে অংশ নিতে পারবেন।

প্রত্যয় স্কিমে অংশ নিতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা কর্মচারীর মূল বেতনের ১০ শতাংশ বা সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা, কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বেতন থেকে কেটে নেবে এবং সমপরিমাণ অর্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা প্রদান করবে। এরপর উভয় অর্থ ওই প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত ওই কর্মকর্তা/কর্মচারীর হিসাবে জমা করবে। এ প্রক্রিয়ায় ওই কর্মকর্তা-কর্মচারীর পেনশন ফান্ড গঠিত হবে এবং ওই ফান্ড জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক লাভজনক খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রাপ্য মুনাফা এবং চাঁদা হিসেবে জমা করা অর্থের ভিত্তিতে পেনশন দেওয়া হবে।

অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিদ্যমান সিপিএফ ব্যবস্থায় কর্মচারী মূল বেতনের ১০ শতাংশ এবং প্রতিষ্ঠান মূল বেতনের ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ দিয়ে থাকে। প্রত্যয় স্কিমে প্রতিষ্ঠান দেবে মূল বেতনের ১০ শতাংশ, যা সিপিএফ ব্যবস্থা থেকে ১ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেশি। প্রত্যয় স্কিমে একজন ব্যক্তি একটি প্রতিষ্ঠানে যোগদানের পর মাসিক ২ হাজার ৫০০ টাকা নিজ বেতন থেকে এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে একই পরিমাণ টাকা ৩০ বছর চাঁদা দিলে অবসরে যাওয়ার পর, অর্থাৎ ৬০ বছর বয়স থেকে মাসিক ৬২ হাজার ৩৩০ টাকা হারে পেনশন পাবেন।

এ ক্ষেত্রে ৩০ বছর ধরে মাসিক ২ হাজার ৫০০ টাকা হারে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর নিজ বেতন থেকে প্রদত্ত মোট চাঁদার পরিমাণ ৯ লাখ টাকা এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থা কর্তৃক প্রদত্ত মোট চাঁদার পরিমাণ ৯ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট কর্মচারী মিলিয়ে সর্বমোট চাঁদার পরিমাণ হবে ১৮ লাখ টাকা। তিনি যদি ৭৫ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন তবে ১৫ বছরে পেনশন প্রাপ্য হবেন ১ কোটি ১২ লাখ ১৯ হাজার ৪০০ টাকা, যা সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর নিজ জমার ১২ দশমিক ৪৭ গুণ।

অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জমা করা চাঁদার ওপর বিনিয়োগ রেয়াত পাওয়া যাবে এবং প্রাপ্য পেনশন আয়করমুক্ত হবে। এ স্কিমে নিবন্ধিত কর্মচারী পেনশনযোগ্য বয়সে উপনীত হওয়ার পরবর্তী মাস থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে মাসিক পেনশনের অর্থ পেতে থাকবেন, যা তাকে মোবাইল এসএমএসের মাধ্যমে অবহিত করা হবে। এ ক্ষেত্রে তাকে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ বা অন্য কোনও দফতরে যাওয়ার বা কোনও প্রকার প্রমাণ দাখিলের প্রয়োজন হবে না।


আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




লংকানদের বিপক্ষে টাইগারদের সম্ভাব্য একাদশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

লংকানদের বিপক্ষে চট্টগ্রামে প্রথম ম্যাচ ৬ উইকেটে জিতে সিরিজে এগিয়ে বাংলাদেশ। বন্দরনগরী জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে দিবা-রাত্রির এই ম্যাচটি শুক্রবার (১৫ মার্চ) দুপুর ২.৩০ মিনিটে শুরু হবে। জিতলেই ওয়ানডে সিরিজ নাজমুল হোসেন শান্তদের। সিরিজ নিশ্চিত করার ব্রত নিয়েই আজ লংকানদের মুখোমুখি হবেন স্বাগতিকরা। অন্যদিকে সিরিজে টিকে থাকতে জয়ের বিকল্প নেই শ্রীলংকার।

প্রথম ম্যাচে তানজিম সাকিব, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলামদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে কোনোরকমে আড়াইশ স্পর্শ করে লংকানরা। সেই ম্যাচে তিন পেসারই দুর্দান্ত বোলিং করেছিলেন। পাশাপাশি মেহেদি হাসান মিরাজও মিতব্যায়ী বোলিং করেছেন।

যদিও ব্যতিক্রম ছিলেন তাইজুল ইসলাম। এই বাঁহাতি স্পিনার দু’হাতে রান খরচা করেছেন। বাজে পারফরম্যান্সের কারণে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাদ পড়তে পারেন তাইজুল। তার পরিবর্তে একাদশে ফিরতে পারেন রিশাদ হোসেন। এই লেগ স্পিনারের সাম্প্রতিক ফর্ম তাকে এগিয়ে রাখছে।

টাইগারদের একাদশে এছাড়া খুব একটা পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা নেই। ব্যাটিংয়ে টপ অর্ডার গত ম্যাচে ব্যর্থ হলেও লিটন দাস-সৌম্য সরকারদের আরও সুযোগ দেওয়ার পক্ষে টিম ম্যানেজমেন্ট। তাওহীদ হৃদয়কে নিয়েও লম্বা পরিকল্পনা দলের। তাই এই তিনজনের সাম্প্রতিক ফর্ম পক্ষে না থাকলেও টিম ম্যানেজমেন্ট তাদের পাশে থাকছে।

স্বাগতিক বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন দাস, মুশফিকুর রহিম, তাওহিদ হৃদয়, সৌম্য সরকার, মেহেদী হাসান মিরাজ, রিশাদ হোসেন, শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তানজিম হাসান সাকিব।


আরও খবর
ডি মারিয়াকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




স্থায়ী হলো দ্রুত বিচার আইন, সংসদে বিল পাস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে প্রণীত দ্রুত বিচার আইন স্থায়ী করেছে সরকার। আইনটি এতদিন বিভিন্ন মেয়াদে সময় বাড়িয়ে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এবার সময় বাড়ানোর পরিবর্তে স্থায়ী রূপ দিতে জাতীয় সংসদে আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) (সংশোধন) বিল পাস করা হয়েছে। এসময় বিরোধী দলের নেতারা সমালোচনা করে সংসদে আইনটি স্থায়ী না করার প্রস্তাব দিলেও কণ্ঠভোটে তা নাকচ হয়ে যায়।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বিলটি পাসের জন্য সংসদে তোলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। বিলের ওপর আনা জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি শেষে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। সংসদ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

২০০২ সালে প্রথম এই আইনটি করা হয়েছিল দুই বছরের জন্য। এরপর ৭ দফা এই আইনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ২০১৯ সালে আইনটি সংশোধন করে মেয়াদ বাড়ানো হয়। আগামী ৯ এপ্রিল এই আইনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এর মধ্যে আইনটির মেয়াদ না বাড়িয়ে তা স্থায়ী করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। গত ২৯ জানুয়ারি মন্ত্রিসভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেদিন মন্ত্রিসভায় বিলের খসড়া অনুমোদনের পর মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত বিল সংসদে পাস হলো। বিলে আইনটি স্থায়ী করা ছাড়া অন্যকোনো সংশোধনী আনা হয়নি।

বিল পাসের আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক বলেন, ২০০২ সালে বিএনপি-জামায়াত সরকার যখন আইনটি করেছিল তখন আপনারা (তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগ) বলেছিলেন এটি নিপীড়নমূলক ও কালো আইন। এই আইনটা রাজনৈতিক কারণ বা সরকার চাইলে যেকোন কারণে নাগরিককে হয়রানি করতে পারে। সে আইনটা আপনারা রেখেছেন। আমি জানি না কেন রেখেছেন?

চুন্নু বলেন, যখন আপনারা ক্ষমতায় থাকবেন না, স্থায়ীভাবে আইনটা করবেন, অন্য কেউ ক্ষমতায় আসবেন, তখন উদ্দেশ্য তো ভালো নাও থাকতে পারে। আপনারা কি এটা বলতে চান, বিএনপি যে আইনটা এনেছিল তা ভালো ছিল? এটাই আজকে স্বীকার করুন। র‌্যাবের যখন গঠন করা হয়েছিল আওয়ামী লীগসহ অনেক রাজনৈতিক দল বিরোধিতা করেছিল। সেই র‌্যাব এখন টিকে আছে, তারা কাজ করছে। সরকারের কাছে অনুরোধ, যদি প্রয়োজন পড়ে এক/দুই বছর আইনের মেয়াদ বাড়ান। কিন্তু আইনটা স্থায়ী করবেন না, করলে ভবিষ্যতে একদিন আপনাদের এমন অবস্থা হবে, সেদিন আফসোস করবেন।

জাতীয় পার্টির আরেক সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, আইনটি আনা হয়েছিল বিএনপির সময়। ওই সময় আমরা ও আজকের আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধিতা করেছিলাম। তারপরও আইনটি পাস হয়েছিল। আজকেও পাস হবে। আমার প্রশ্ন হলো যার জন্য গর্ত খুঁড়বেন, নিজেকেই সেই গর্তে পড়তে হয়। আজকে বিএনপি সেই গর্তে পড়েছে। এখন আওয়ামী লীগ আইনটিকে স্থায়ী করতে নিয়ে এসেছে। দিন এক রকম থাকবে না। তিনি আইনটিকে স্থায়ী না করে পাঁচ/চার বছর মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব করেন।

বিরোধী দলের সমালোচনার জবাবে আইনটি করার সময় বাংলাদেশে অরাজক পরিস্থিতি ছিল বলে দাবি করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, সেসময় নানা ধরনের অপরাধ হতো, তাই হয়ত আইনটি তৎকালীন সরকার করেছিল। আমি মনেকরি আইনটি করার উদ্দেশ্য ছিল তাৎক্ষণিক বিচার যেন মানুষ পায়। দ্রুত সময়ের মধ্যে অপরাধীরা যাতে শাস্তি পায় সেটাই মূল উদ্দেশ্য ছিল।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সংসদ সদস্যরা অনেক সময় আমাদের কাছে পাঠান যেন এ আইনের মাধ্যমে বিচার হয়। শুধু সংসদ সদস্য না, অনেকেই আইনটি ব্যবহার করার জন্য আমাদের কাছে সুপারিশ পাঠান। কারণ একটাই যাতে দ্রুত বিচারের মাধ্যমে অপরাধীরা শাস্তি পায়। সংসদ সদস্যদের কেউ বলেনি আইনটি বাতিল করে দেন। কেউ বলেননি আইনটি যথাযোগ্য নয়। তারা সময় বৃদ্ধি করে দিয়ে আইনটি চালু থাকার কথা বলেছেন। আইনটি একই রকম আছে আমরা কোনো রকম সংশোধন করি নাই। কাউকে উদ্দেশ্য করে বা ক্ষতি করার জন্য আইনটি হয়নি। কোনো রাজনৈতিক নেতা বলতে পারবেন না, এ আইনের মাধ্যমে শাস্তি হয়েছে।

সংশোধনীর আলোচনায় মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্ববিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বলেছেন আইনটি ভালো। তাহলে বিএনপি যখন আইনটি করেছিল আপনারা তার বিরোধিতা করেছিলেন কেন? এখন ভালো হয়ে গেল! আপনি বলেছিলেন, অপপ্রয়োগ হয় কিনা যারা আন্দোলন করছে তারা বলতে পারবে। আমরা যদি কখনো আপনাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে যাই তখন বলতে পারব অপপ্রয়োগ হচ্ছে কিনা।

পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, আইনটি কখন আনা হয়েছিল তা মুখ্য উদ্দেশ্য নয়। শান্তির পরিবেশ তৈরির জন্য আইনটি স্থায়ী করা হচ্ছে।


আরও খবর