আজঃ রবিবার ১৬ জুন ২০২৪
শিরোনাম

গণমাধ্যমে শৃঙ্খলা আনার কাজ করা হচ্ছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাংবাদিকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গণমাধ্যমে শৃঙ্খলা আনার কাজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত বিএসআরএফ বার্তার মোড়ক উন্মোচন ও মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়টি (গণমাধ্যমে শৃঙ্খলা আনা) নিয়ে আমি এরই মধ্যে কাজ করছি। বিষয়টি একটু জটিল। জটিল এ কারণে যে, সংখ্যা নির্ণয় করার যে ফলাটা আছে তার মধ্যেও কিছু গলদ আছে, সেটিকেও ম্যানুপুলেট করা যায়। যদি বলি ফর্মুলা অলরেডি আছে সেটি দিয়ে সঠিক তালিকা করে ফেলবো, এর মধ্যেও দেখা যাবে সঠিক হয়তো অনেক কিছু হবে না। কারণ, পেছন দিকে ম্যানুপুলেশন সমস্যা। যে কারণে আমি ফর্মুলাটা নিয়ে কাজ করছি।

তিনি বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে ক্রোড়পত্র দিই, তা কিন্তু ডিএফপির লিস্ট দেখে দিচ্ছি না। আমি কিন্তু একটি লিস্ট বানিয়েছি, বিশেষ সোর্সের মাধ্যমে। যেটি আমাকে মোটামুটি সঠিক একটি সার্কুলেশনের চিত্র দিয়েছে, তার ভিত্তিতে আমি এখন সিদ্ধান্তগুলো নিচ্ছি।

কারা কত ক্রোড়পত্র পেয়েছেন তা এক্সেল সিটের মাধ্যমে মেইন্টেইন করি। কাছাকাছি সার্কুলেশনের দুটি পত্রিকার মধ্যে একটি পত্রিকা কম পেলে পরে তা ব্যালেন্স করার চেষ্টা করি। আমি ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করি। ৬০-৭০ শতাংশ সিদ্ধান্ত সার্কুলেশনের ওপর ভিত্তি করে নিই। কারণ, এখানে সরকারের স্বার্থ আছে, বেশিরভাগ মানুষের হাতে এটি আমি পৌঁছাতে চাই।

মোহাম্মদ আলী আরাফাত আরও বলেন, কিছু পত্রিকার সার্কুলেশন চ্যালেঞ্জ আছে, কিন্তু হয়তো সেই পত্রিকার ইতিহাস ঐতিহ্য আছে। আবার কিছু পত্রিকার সার্কুলেশন চ্যালেঞ্জ থাকলেও সেখানে হয়তো নামকরা সম্পাদক আছেন, যার নিজেরই ইতিহাস-ঐতিহ্য ব্র্যান্ডিং আছে। এগুলো যাচাই-বাছাই করে ব্যালেন্স করে ক্রোড়পত্র দিয়েছি।,কোনো ব্যক্তির সুপারিশে ক্রোড়পত্র দিইনি। সুপারিশ করেছে- নিয়েছি, দেখেছি; কিন্তু দিন শেষে আমার ফর্মুলাই অ্যাপ্লাই করেছি।

ডিএফপিতে নতুন ডিজি নিয়োগ দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যারা সার্কুলেশনের কাজ করেন তাদের নিয়ে আমি বসবো। ফর্মুলা ফাইনটিউন করবো আমরা। সত্যিকার অর্থে সার্কুলেট, অর্থাৎ শুধু প্রিন্ট করলে হবে না, বিক্রিত নম্বরটাও পাওয়ার ফর্মুলা বের করবো আমরা, যেখানে ম্যানুপুলেশনের সুযোগ থাকবে না। আমার কাছে আসল লিস্টটা যেন থাকে। সব জায়গায় আমি এক ধরনের স্বচ্ছতা ও অবজেকটিভিটি আনার চেষ্টা করছি। আপনারা সবার সামনে যে বিয়য়টি বলবেন, আমাকে একা পেলেও সে কথাটিই বলবেন।

সাংবাদিকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বেঁধে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়ে এক প্রশ্নে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটি নিয়ে এ মুহূর্তে আমি বলতে পারবো না, আইনমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। এ মুহূর্তে আমি গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়ে কাজ করছি।

গণমাধ্যমকর্মী আইন পাস হলে এটি মোটামুটি সবকিছু কাভার করে ফেলবে। কারণ, এখানে অনলাইন, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মোটামুটি সবকিছুই কাভার করবে। গণমাধ্যমের সমস্যাগুলোর সমাধানও হবে- এ প্রসঙ্গে বলেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, শ্রম আইনের অধীনে যত সুরক্ষা দেওয়া আছে সেগুলোকে রেখে বাকি বিষয়গুলো গণমাধ্যমকর্মী আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, বিটিভিসহ তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ১৫টি ডিপার্টমেন্টের দিকেই তাকাবো। সবগুলোর ভেরতে ঢুকবো, শুধু ভেতরেই ঢুকবো না, একেবারে তলদেশ পর্যন্ত যাবো। ভেতর থেকে আমার সাধ্যের মধ্যে, সামর্থ্যের মধ্যে যতটুকু পরিবর্তন-পরিবর্ধন ও সংস্কারের সুযোগ আছে সবটুকু করবো। তবে এটিও প্রায়োরিটি বেসিসে করবো। সব জায়গায় কিছু না কিছু পরিবর্তন আপনারা দেখতে পাবেন।


আরও খবর



এমপি আনার হত্যাকাণ্ড: চোরাচালানের পর মিলছে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে জড়িত গডফাদার, প্রভাবশালী, এমপি, রাজনৈতিক নেতা ও কিছু সংখ্যক বড় বড় ব্যবসায়ীদের জড়িত থাকার তথ্য বেরিয়ে আসছে। এমপি আনারের কন্যা মুমতারিন ফেরদৌস ডরিনও তার পিতার হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে এবং জড়িত খুনিদের রক্ষা করতে বড় বড় জায়গা থেকে ফোন আসছে বলে তথ্য পেয়েছেন। এই তথ্য তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছেন।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের স্বর্ণ চোরাচালান, হুন্ডি ব্যবসায়ী এবং মাদক পাচারের নিয়ন্ত্রণকে এমপি আনার হত্যার অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। গ্রেফতারকৃত খুনি ও রাজনৈতিক নেতাদের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের কারণ হিসেবে একের পর এক নতুন ও চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসছে। এর মধ্যে যুক্ত হয়েছে রাজনৈতিক বিরোধ। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ এলাকার একাধিক নেতা ও এমপি আনারের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ব্যক্তি গণমাধ্যমকে বলেন, গ্রেফতারকৃত ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম মিন্টুর নির্বাচনি আসন হরিনাকুন্ড উপজেলা। সেখানে নির্বাচিত হয়েছেন একজন ক্ষমতাধর বড় ব্যবসায়ী। এই আসনে মিন্টুর পক্ষে নির্বাচন করা সম্ভব নয়। আর নির্বাচন করলেও তার জয়ী হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।

মোটকথা এলাকাবাসির তথ্য অনুযায়ী, মিন্টুর এই আসন হাতছাড়া। তাই তার ভবিষ্যৎ লক্ষ্য ঝিনাইদহ-৪ আসনে নির্বাচন করা। এ নিয়ে তিনি সামনের রাজনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ক্ষমতাসীন একাধিক এমপি ও দলীয় নেতাকে আর্থিকসহ নানা সুবিধা প্রদান করে আসছেন। ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়েও এমপি আনার ও মিন্টুর মধ্যে বিরোধ ছিল। এমপি আনার বেঁচে থাকলে মিন্টুর এমপি হওয়া কিংবা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ ধরে রাখা সম্ভব ছিল না। মিন্টু এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারীদের একজন বলে এলাকার একাধিক নেতা জানিয়েছেন। কালীগঞ্জ এলাকার এমপি আনার হত্যাকাণ্ডে জড়িত কথিত সিবিআই নেতাসহ একাধিক ব্যক্তি এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলে এলাকাবাসীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। কলকাতার সঞ্জীভা গার্ডেন্সে গত ১৩ মে এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনা প্রকাশ পাওয়ার পর ঐ সকল জড়িত ব্যক্তিরা আত্মগোপনে চলে যান। প্রভাবশালী এমপি ও ব্যবসায়ীদের আশ্বাসেই তারা এখন আবার এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

বুধবার (১২ জুন) এমপি আনারের কন্যা ডরিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন। এ সময় তার পিতা এমপি আনার হত্যাকাণ্ডে জড়িত খুনিদের রক্ষায় তাদের পৃষ্ঠপোষক প্রভাবশালীদের তৎপরতা এবং তদন্ত কার্যক্রমকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টাসহ বিস্তারিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানান। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এমপি কন্যা ডরিনকে আশ্বাস দেন যে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিশ্বাস করেন যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনো অপরাধীকে তিল পরিমাণ ছাড় দেন না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত শেষে এমপি আনার কন্যা সাংবাদিকদের জানান, তার পিতার হত্যাকারীদের বাঁচাতে কিংবা গ্রেফতারকৃতদের ছাড়িয়ে নিতে বড় বড় জায়গা থেকে ফোন আসছে। এমন তথ্য তিনি জানতে পেরেছেন। এজন্য তার সন্দেহ যে পিতার হত্যাকাণ্ডের তদন্তের ফলাফল আদৌ আলোর মুখ দেখবে কিনা।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে স্বর্ণ চোরাচালান, হুন্ডি ব্যবসা ও মাদক পাচারের নিয়ন্ত্রণের টাকার ভাগাভাগি নিয়ে শতাধিক ব্যক্তি খুন হয়েছেন। এমনকি অনেকে নিখোঁজও হয়েছেন। কিন্তু এসব হত্যাকাণ্ডের কোনোটিরই বিচার হয়নি। এমনকি নিখোঁজ কাউকেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তাই এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়েও এলাকাবাসীর মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল কালীগঞ্জ এলাকায় গ্রেফতারকৃত আওয়ামী লীগ নেতা মিন্টু ও কাজী কামালসহ খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ হয়েছে। এলাকাবাসী ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানান যে, এমপি আনারের হত্যাকাণ্ডের বিচার যেন আগের সব খুনের ঘটনার মতো ধামাচাপা না পড়ে।


আরও খবর



গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে যে সমস্যায় পড়বেন নেতানিয়াহু

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ মে 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ মে 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) সম্ভাব্য গ্রেফতারি পরোয়ানাকে নজিরবিহীন অপমান বলে বর্ণনা করেছে ইসরাইল। তবে আইসিসির এ সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে ফ্রান্স, বেলজিয়াম ও স্লোভেনিয়া।

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ইসরাইলের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ আপত্তিকর

এর আগে সোমবার সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটর করিম খান বলেন, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াভ গ্যালেন্টকে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায় নিতে হবে। এ জন্য তিনি তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে আইসিসির জুরি প্যানেলের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। তিনি হামাস নেতার বিরুদ্ধেও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন। তারা হলেন ইয়াহিয়া সিনওয়ার, ইসমাইল হানিয়া ও মোহাম্মদ দাইফ।

এর আগে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বা আইসিসির সম্ভাব্য গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, ইসরাইল কেবল হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে, যারা গণহত্যাকারী সন্ত্রাসী সংগঠন। আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটর করিম খানকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে নেতানিয়াহু বলেন, তিনি আধুনিককালে সবচেয়ে বড় ইহুদিবিদ্বেষী। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্যালেন্টও।

আলজাজিরার খবরে বলা হয়, ইসরাইল ও হামাসের নেতাদের বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেফতারি পরোয়ানা চলতি সপ্তাহেই জারি হতে পারে। তবে এটি কোনো নিশ্চিত সময়সীমা নয়। করিম খান তার আবেদন বিচারিক প্যানেলের কাছে পাঠিয়েছেন। তারা পূর্ণাঙ্গ সিদ্ধান্ত নেবেন। এ পরোয়ানা জারি হলে নেতানিয়াহু আইসিসির ১২৪ সদস্য দেশে সফর করতে বাধার মুখে পড়বেন। এসব দেশে তিনি গ্রেফতারের মুখোমুখি হতে পারেন। তবে ভারত, চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া আইসিসির সদস্য দেশ নয়। এর আগে ইউক্রেনের যুদ্ধাপরাধ সংঘটনের দায়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আইসিসি।

গাজায় ৭ অক্টোবরের পর এ পর্যন্ত ৩৫ হাজার ৬৪৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৮০ হাজারের বেশি। হতাহত অধিকাংশই নারী ও শিশু। অবরুদ্ধ উপত্যকাটির ৮০ শতাংশের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত।


আরও খবর



হজে গিয়ে ১৫ বাংলাদেশির মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

চলতি বছর হজে গিয়ে সৌদি আরবে এ পর্যন্ত বাংলাদেশী মোট ১৫ জন হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গতকালই দুইজন মারা গেছেন। এছাড়া হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত ৭৯ হাজার ৫৫৯ জন বাংলাদেশী হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন।

মঙ্গলবার (১১ জুন) হজ পোর্টালে আইটি হেল্প ডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

হজ বুলেটিনের তথ্য অনুযায়ী, সৌদি আরবের মোট ১৫ জন বাংলাদেশী হজযাত্রী মারা গেছেন। এদের মধ্যে পুরুষ ১৪ জন, নারী একজন। মক্কায় ১১ জন এবং মদিনায় চারজন মারা গেছেন। মারা যাওয়া হজ যাত্রীদের মধ্যে রয়েছেন, রাজধানীর কদমতলীর মো. শাজাহান (৪৮), কুমিল্লা কোতোয়ালুর মো. আলী ইমাম ভূইয়া (৬৫), কক্সবাজার মহেশখালীর জামাল উদ্দিন (৬৯), কক্সবাজারের রামুর মো. নুরুল আলম (৬১), কক্সবাজারের চকোরিয়ার মাকসুদ আহমেদ (৬১), ফরিদপুর নগরকান্দার মমতাজ বেগম (৬৩), ঢাকা রামপুরা বনশ্রীর শেখ আরিফুল ইসলাম (৫৭), গাইবান্ধা সাঘাটার মো. সোলাইমান (৭৩), রংপুর পীরগঞ্জের মো. শাহাজুদ আলী (৫৫) ও রংপুর তারাগঞ্জের মো. গোলাম কুদ্দুস (৫৪)।

এছাড়া সর্বমোট ৭৯ হাজার ৫৫৯ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ৫ হাজার ২৯৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ৭৪ হাজার ২৬২ জন।

এখন পর্যন্ত সৌদি আরব যাওয়ার ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে ২০১টি। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস পরিচালিত ফ্লাইট সংখ্যা ১০৫টি,

সৌদিয়া এয়ারলাইনস পরিচালিত ফ্লাইট ৬৮টি ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস পরিচালিত ফ্লাইট ২৮টি। সৌদিতে আগামী ১৫ জুন এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার প্রথম ফ্লাইট গত ৯ মে শুরু হয়। আগামী ১২ জুন পর্যন্ত সৌদি যাওয়ার ফ্লাইট চলবে। হজ শেষে ২০ জুন ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে। দেশে ফেরার ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ২২ জুলাই।


আরও খবর



সিরাজগঞ্জে সাংবিধানিক ও আইনগত অধিকার বিষয়ক কর্মশালা

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

সিরাজগঞ্জে সাংবিধানিক ও আইনগত অধিকার বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৮ মে) জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এ.কে শহিদ শামসুদ্দিন সম্মেলন হলরুমে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

আইন প্রণয়নের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং আইন বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি, আইন, বিচার এবং সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ এ কর্মশালার আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব ড.হাফিজ আহম্মেদ চৌধুরী।

জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, আইন প্রণয়নের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং আইন বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক (উপ-সচিব) মোহাম্মদ আবু কাউছার।

আইন প্রণয়নের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং আইন বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি প্রকল্পের সাংবিধানিক ও আইনি অধিকার সম্পর্কে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন করেন প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ন-সচিব) ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দীন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা ও দায়রা জজ এম আলী আহম্মেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আব্দুল হান্নান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড.কেএম হোসেন আলী হাসান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার, পৌর মেয়র সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক তৌহিদুল ইসলাম ও জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি এ্যাড. কায়সার আহমেদ লিটন।

এসময় লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হাফিজ আহমেদ চৌধুরীসহ জেলার সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।

নিউজ ট্যাগ: সিরাজগঞ্জ

আরও খবর



ট্রেনে ঈদযাত্রা: ১৪ জুনের টিকিট বিক্রি চলছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে স্বাচ্ছন্দ্যে বাড়ি ফিরতে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। যাত্রীদের অনলাইনে টিকিট ক্রয় করতে হচ্ছে। আজ বিক্রি হচ্ছে ১৪ জুনের টিকিট।

মঙ্গলবার (৪ জুন) সকাল ৮টায় টিকিট বিক্রি শুরু হয়। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, যাত্রী সাধারণের টিকিট কেনা সহজলভ্য করার জন্য পশ্চিমাঞ্চলে চলাচলরত সব আন্তনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি সকাল ৮টায় শুরু হয়েছে। আর পূর্বাঞ্চলে চলাচলরত সব ট্রেনের টিকিট দুপুর ২টা থেকে বিক্রি শুরু হবে।

মঙ্গলবার যারা টিকিট ক্রয় করছেন তারা আগামী ১৪ জুন ভ্রমণ করতে পারবেন। একজন যাত্রী ঈদের আগে যাত্রা ও ফিরতিতে সর্বোচ্চ একবার টিকিট ক্রয় করতে পারবেন এবং সর্বাধিক ৪টি আসনের টিকিট ক্রয় করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে যাত্রীর সর্বোচ্চ এই চারটি টিকিট ক্রয়ের ক্ষেত্রে সহযাত্রীদের নাম সংযুক্ত করে দেওয়ার ব্যবস্থা আছে। ঈদযাত্রার এই টিকিট রিফান্ড করা যাবে না। টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধে প্রতিবার টিকিট ক্রয়ের সময় নিবন্ধনকৃত মোবাইল নম্বরে ওটিপি প্রেরণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ঈদের চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে ১৭, ১৮ ও ১৯ জুনের টিকিট বিক্রি করা হবে।

ঈদযাত্রার ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হবে ১০ জুন। ১০ থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত ২০ থেকে ২৪ জুনের ফিরতি অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে।

২০ জুনের অগ্রিম টিকিট দেওয়া হবে ১০ জুন। ২১ জুনের টিকিট দেওয়া হবে ১১ জুন। ২২ জুনের টিকিট দেওয়া হবে ১২ জুন। ২৩ জুনের টিকিট দেওয়া হবে ১৩ জুন। আর ২৪ জুনের টিকিট দেওয়া হবে ১৪ জুন।

ঈদযাত্রায় বাড়তি যাত্রীর চাপ সামাল দিতে পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলে সব মিলে ২০টি, অর্থাৎ ১০ জোড়া বিশেষ ট্রেন চালাবে রেলওয়ে। এসব বিশেষ ট্রেনের টিকিট যাত্রার আগে স্টেশনের কাউন্টারে বিক্রি করা হবে।

এবারের ঈদযাত্রায় প্রতিদিন ঢাকা থেকে বর্হিগামী ট্রেনের মোট আসন সংখ্যা হবে ৩৩ হাজার ৫০০টি।

এদিকে রেলের পশ্চিমাঞ্চলে কোরবানির পশু পরিবহনের জন্য ১২ থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত ক্যাটল ট্রেন’ পরিচালনা করা হবে। আর পূর্বাঞ্চলে ক্যাটল ট্রেন চলবে ১২ জুন।


আরও খবর