আজঃ বুধবার ০৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

গলাচিপায় জেলের জালে ধরা পড়ল ২০ মণের শাপলা পাতা মাছ

প্রকাশিত:রবিবার ২৭ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ২৭ মার্চ ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

পটুয়াখালীর গলাচিপা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে এক জেলের জালে ধরা পড়েছে ২০ মণ ওজনের একটি শাপলা পাতা মাছ। রোববার (২৭ মার্চ) মাছটি কেটে ৫০০ টাকা কেজি দরে প্রায় ৪ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। এর আগে একই দিন দুপুরে মাছটি বিক্রির জন্য গলাচিপা মাছ বাজারে বিক্রি নিয়ে আসা হয়। এ সময় মাছটি এক নজর দেখতে ভিড় জমায় উৎসুক জনতা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার ভোরের দিকে গলাচিপা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে স্থানীয় জেলে নাসির হাওলাদারের জালে মাছটি ধরা পরে। পরে দুপুরে তিনি মাছটি গলাচিপা মাছ বাজারের ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিনের কাছে পাইকারি দরে বিক্রি করে দেন। পরে শাহাবুদ্দিন মাছটি কেটে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেন। এর আগেও শাপলাপাতা মাছ ধরা পড়লেও এটাই সবচেয়ে বেশি ওজনের মাছ বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।  

জেলে শাহাবুদ্দিন জানান, মাছটি সাগর থেকে ট্রলারে তুলতে আমাদের বেশ বেগ পেতে হয়েছে। মাছ ট্রলারে তোলার পর গলাচিপা নিয়ে আসি। সাগর থেকে এটি নিয়ে আসতে প্রায় ৬ ঘণ্টা সময় লেগেছে। মাছটির দামও মোটামুটি ভালো পেয়েছি।

ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিন জানান, এত বড় শাপলাপাতা মাছ আগে কখনো দেখিনি। মাছটি আড়তে পৌঁছানের সঙ্গে সঙ্গেই অনেক উৎসুক জনতা এটি দেখতে ভিড় জমায়। পরে এটি কাটার কিছুক্ষনের মধ্যেই বিক্রি হয়েছে। তবে এত বড় মাছ কাটতে অনেক সময় লেগেছে।

গলাচিপা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ জহিরুন্নবী বলেন, বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ২০১২ আইন অনুসারে শাপলা পাতা মাছ ধরা ক্রয় বিক্রয় করা নিষেধ। শাপলা পাতা মাছ সাধারণত সমুদ্র এলাকায় পাওয়া যায়। তবে এসব বড় শাপলা পাতা মাছের জন্য উপকূলীয় অঞ্চলে অভয়াশ্রম করা গেলে সেগুলো নদীতে সহজে বংশ বিস্তার করতে পারত।

নিউজ ট্যাগ: শাপলা পাতা মাছ

আরও খবর



মাদারীপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষ-ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ১০

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মাদারীপুর প্রতিনিধি

Image

মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দুপক্ষের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।

বুধবার (৮ মে) মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামে মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মোটরসাইকেল ও আনারস প্রতীকের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে ৪ জনকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া বাকীদের বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।  আহতরা হলেন- ইদ্রিস  হাওলাদার (৫৫), বাদশা হাওলাদার (৬৫), বাবুল হাওলাদার (৫০), শাহিন হাওলাদার(৪৫), চানমিয়া হালাদার(৬০) ইউনুস হাওলাদার (৫০) জামাল হাওলাদার(৪৫) বিল্লু সর্দার (১৬) ফেরদৌস মাতুব্বর(২২)  বিউটি বেগম  (৪৫)। তাদের মধ্যেককটেল বিস্ফোরণে আহতরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, সকালে ভোট কেন্দ্রের বাহিরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মোটরসাইকেল ও আনারস প্রতীকের দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় একাধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও ইট পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

মাদারীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলাউল হাসান জানান, ভোট কেন্দ্রের বাহিরে সমর্থকদের মাঝে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় একাধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি ৮/১০ জনের মত আহত হয়েছে।


আরও খবর



বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে সংগীত শিল্পী পাগল হাসানসহ নিহত ২

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

সুনামগঞ্জে বাস ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে গীতিকার ও সংগীত শিল্পী মতিউর রহমান হাসান ওরফে পাগল হাসান (৩৫) ও তার প্রতিবেশী ছাত্তার মিয়া (৪৫) নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আরও তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ভোরে সুনামগঞ্জের ছাতক-দোয়ারাবাজার সড়কের সুরমা সেতু টোলপ্লাজার পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ আলম দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

শিল্পী পাগল হাসান ও ছাত্তার মিয়ার বাড়ি ছাতক উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের মুক্তিরগাঁও-শিমুলতলা গ্রামে। পাগল হাসানের দুই ছেলে রয়েছে।

আহতরা হলেন- মুক্তিরগাঁও-শিমুলতলা গ্রামের আব্দুল কাদিরের ছেলে লায়েছ মিয়া (৩০), ননদু মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৩৪) ও সিএনজি অটোরিকশার চালক সিরাজ আলীর ছেলে রুপন মিয়া (৩০)।

পুলিশ জানায়, আজ সকালে সংগীত শিল্পী পাগল হাসানসহ একই গ্রামের পাঁজন সিএনজি চালিত অটোরিকশায় করে দোয়ারাবাজার থেকে ছাতকে ফিরছিলেন। অপরদিকে, ছাতক থেকে একটি বাস দোয়ারাবাজারে যাচ্ছিল। পথে সুরমা সেতুর টোলপ্লাজার কাছে বাস ও অটোরিকশাটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই সংগীত শিল্পী পাগল হাসান ও ছাত্তার মিয়া মারা যান। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। পুলিশ দুর্ঘটনা কবলিত বাসটি (মৌলভীবাজার–জ- ১১-০০৪০) জব্দ করেছে। তবে ঘটনার পরপরই বাসের চালক ও সহযোগীরা পালিয়ে যায়।

কালারুকা ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. সামছু মিয়া বলেন, শিল্পী পাগল হাসান ও ছাত্তার মিয়া একই গ্রামের বাসিন্দা। যারা আহত হয়েছেন তাদের দুইজন হাসানের বন্ধু ও একজন সিএনজি চালিত অটোরিকশার চালক।’

ওসি মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, পাগল হাসানসহ দুইজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেটের এমএজি ওসমামানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’


আরও খবর



আজ পবিত্র ঈদুল ফিতর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



দুই দিনে সোনার দাম বাড়ল ১৭৮৫ টাকা

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

টানা আট দফায় কমানোর পর দেশের বাজারে গত দুই দিনে প্রতি ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৭৮৫ টাকা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এর মধ্যে শ‌নিবার বে‌ড়ে‌ছিল ১০৫০ টাকা এবং রোববার প্রতি ভরি সোনার দাম বেড়েছে ৭৩৫ টাকা।

দাম বাড়ানোর ফলে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম হবে ১ লাখ ১০ হাজার ৯৪৮ টাকা। যা সোমবার থেকে কার্যকর হবে। আজ প্রতিভরি সোনা ১ লাখ ১০ হাজার ২১৩ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

রোববার (৫ মে) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বেড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা ১ লাখ ১০ হাজার ৯৪৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৫ হাজার ৮৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের সোনা ৯০ হাজার ৭৬৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনা ৭৫ হাজার ৪৮৯ টাকায় বিক্রি করা হবে।

সোনার দাম বাড়ানো হ‌লেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।

আজ রোববার সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা ১ লাখ ১০ হাজার ২১৩ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ৫ হাজার ১৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের সোনা ৯০ হাজার ১৭৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনা ৭৪ হাজার ৯৮৯ টাকায় বিক্রি হয়।


আরও খবর



ইউক্রেনে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: নিহত ১৭

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইউক্রেনের ঐতিহাসিক শহর চেরনিগিভে বুধবার কয়েক দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ওই শহরে তিনটি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ১৭ জন নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা এরই মধ্যে মিত্র দেশগুলোর কাছ থেকে আরও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। খবর এএফপির।

বেশ কিছু ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, শহরের রাস্তা-ঘাট রক্তাক্ত হয়ে আছে। উদ্ধারকর্মীরা জীবিতদের উদ্ধারে কাজ করছেন। এছাড়া আহতদের উদ্ধার করে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে আরও সাহায্যের জন্য আবেদন জানিয়েছেন। অপরদিকে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ অবশেষে একটি বিশাল আকারের নতুন সামরিক সহায়তা প্যাকেজের ওপর ভোটাভুটির ঘোষণা দিয়েছে। এতে ৬১ বিলিয়ন ডলারের দীর্ঘ সময়ের সামরিক সহযোগিতা অন্তর্ভূক্ত থাকছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের এমন পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন জেলেনস্কি।

চেরনিগিভের বাসিন্দা ওলগা সামোইলেঙ্কো এএফপিকে বলেন, প্রথম ক্ষেপণাস্ত্রটি যখন বিস্ফোরিত হলো তখন তিনি তার সন্তানদের নিয়ে তাদের অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ের করিডোরে অবস্থান করছিলেন।

৩৩ বছর বয়সী ওলগা বলেন, আমাদের প্রতিবেশীরাও ইতোমধ্যেই সেখানে অবস্থান করছিলেন। আমরা চিৎকার করে সবাইকে মেঝেতে শুয়ে পড়তে বলেছিলাম। সবাই তাই করেছিল এবং এর মধ্যেই আরও দুটি বিস্ফোরণ ঘটে। তারপরেই আমরা পার্কিং লটে ছুটে যাই।

এদিকে জরুরি সেবা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, তিন শিশুসহ ৬০ জন রুশ হামলায় আহত হয়েছে। শহরের মেয়র ওলেকসান্দর লোমাকো জানিয়েছেন, ডজনখানেকের বেশি ভবন আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যান্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ডজনখানেক যানবাহন এবং মেডিকেল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এই হামলার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করেছেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, রুশ হামলা প্রতিহত করতে পশ্চিমা দেশগুলোর উচিত ইউক্রেনকে আরও সহায়তা দেওয়া।

তিনি বলেন, ইউক্রেন যদি পর্যাপ্ত বিমান প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম পেত এবং রাশিয়ার সন্ত্রাসী হামলা প্রতিহত করার জন্য বিশ্বের দৃঢ় সংকল্প থাকত তবে তারা এভাবে হামলা চালাতে পারত না। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ থেকে প্রায় ১৪৫ কিলোমিটার (৯০ মাইল) উত্তরে অবস্থিত চেরনিগিভ শহরটি। যুদ্ধের আগে ওই শহরের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ২ লাখ ৮৫ হাজার।


আরও খবর